জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ সহ ৪ দফা দাবিতে চবি ইনকিলাব মঞ্চের স্মারকলিপি

জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার, ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং আবাসন সংকট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইনকিলাব মঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি)।
আজ বুধবার (২১ মে) বেলা ১২ টায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে ইনকিলাব মঞ্চ চবি নেত্রীবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শহিদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও শিক্ষার মান বজায় রাখতে ৪ দফা দাবি পেশ করে।
দাবি গুলো হলো-
১. জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে হবে।
২. আওয়ামী শাসনামলে ও জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্যাতনকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
৩. আবাসন সংকট নিরসনের জন্য কার্যকর রোড ম্যাপ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট হারে ভাতা প্রদান করতে হবে।
৪. জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্খা সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চায় নিয়মিত ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, "আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় অতিক্রম করলেও এই আন্দোলনের পূর্ণ মর্যাদা ও শহীদদের সম্মান নিশ্চিত হয়নি। শহীদদের নামে ভবন ও হলের নামকরণ ছাড়া আর কোনো কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। তদুপরি, এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুপস্থিত, আবাসন সংকট চরমে, এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে ইনকিলাব মঞ্চ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করছি।
বিইউডিএস নবনির্বাচিত সভাপতি মেহেদী- সম্পাদক নাফিস

বরিশাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (বিইউডিএস) ৮ম কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাফিস মোহাম্মদ মিকাঈল৷
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ কার্যক্রম চলে। এরপর বিকাল ৫টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মোট ১৮৩ জন সদস্য ভোটারের মধ্যে ১৫৪ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। এতে ভোট প্রদানের হার ছিল ৮৪.১৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন
সভাপতি পদে মো. মেহেদী হাসান ১২৫টি ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক নাফিস মোহাম্মদ মিকাঈল ১১৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন মো. বাপ্পি শিকদার। এছাড়াও সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান সিফাত ও আরিফা জামান লিজা।
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে মুটিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ল এন্ড মুট কোর্ট সোসাইটির উদ্যোগে “Ratio et Oratio: The Essentials of Mooting” শীর্ষক একটি বিশেষ মুটিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনা ভবনের অডিটোরিয়ামে এ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই সেশনে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিটাইম আইন বিভাগের প্রভাষক আবু জাফর তৌফিক আহমেদ আহাদ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আইন বিভাগের প্রভাষক ফাহমিন চৌধুরী তাজিম।
এসময় দুজন আলোচকই মুট কোর্টের প্রাথমিক ধারণা, গবেষণার কৌশল, বক্তব্য উপস্থাপনার রীতি, যুক্তির বিন্যাস এবং আন্তর্জাতিক মুট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তাঁরা ভবিষ্যতের মুটারদের জন্য বাস্তবমুখী দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং একজন দক্ষ মুটারের জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এছাড়াও বক্তারা মুটিং সম্পর্কে ধারনা ও চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, মুটিং হলো একজন ভবিষ্যৎ আইনজীবীর জন্য আদালতে উপস্থাপনার প্রস্তুতির অনন্য প্ল্যাটফর্ম।
বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ল এন্ড মুট কোর্ট সোসাইটির সভাপতি আশিকুর রহমান প্রিন্স বলেন, 'শিক্ষার্থীদের যুক্তি, বিশ্লেষণ ও আদালত চর্চায় দক্ষ করে তুলতেই এই ধরনের ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে এমন অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন
ল এন্ড মুট কোর্ট সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এ ওয়ার্কশপে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ওয়ার্কশপটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি এবং মুট কোর্ট চর্চার প্রতি তাদের আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে তুলছে বলে জানিয়েছে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের নেতৃত্বে শাকিল-অনিক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাস-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. শাকিল বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দৈনিক জনবাণী’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. আবু ইসহাক অনিক দায়িত্ব পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল ৩.০০ টায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সেমিনার কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ৯ সদস্য বিশিষ্ট ২য় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি হিসেবে দৈনিক জনকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোকন বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফটোগ্রাফার শ্রাবণ মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দৈনিক সবুজ পত্রিকার আলাওল করিম ফয়সাল, অর্থ সম্পাদক হিসেবে সাম্প্রতিক দেশকালের হৃদয় আহমেদ নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সময়ের কণ্ঠস্বরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম (অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ)। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আছেন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের মাহমুদা আক্তার নাঈমা ও একুশে সংবাদের মুসতারিন রহমান স্নিগ্ধা।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. শাকিল বাবু বলেন, ‘জাককানইবি সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটির সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংগঠন আরো গতিশীলতা লাভ করবে এবং নতুন উদ্যমে কাজ করবে বলে আশাবাদী। সাংবাদিক ফোরাম সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পথে চলেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
সাধারণ সম্পাদক মো. আবু ইসহাক অনিক বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের প্রয়োজনে সবসময়ই পাশে থেকেছি। সম্মানজনক এই পেশায় শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের দক্ষতায় যুক্ত হয়েছি। মানসিক শান্তি পেয়েছি, যখন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি মানুষের কল্যাণে। সংগঠনকে গতিশীল করা এবং ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা চাই।’
উল্লেখ্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় অনলাইন ও প্রিন্ট গণমাধ্যমে কাজ করা ক্যাম্পাস প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন জাককানইবি সাংবাদিক ফোরাম, দুই বছর ধরে কাজ করে আসছে।
/শাকিল বাবু
আরও পড়ুন
গোবিপ্রবি’তে প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিক্ষার্থীরা

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিতে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড। একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার ১৪ বছর পর প্রশাসনিকভাবে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সম্মাননা প্রদান এই প্রথম। এ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে ব্যাপক উচ্ছ্বাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে একাধিক ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে এবং ভালো ফলাফলের স্বীকৃতি দিতে এ পুরস্কার চালু করা হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ৩৩টি বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মোট ৭১ জন শিক্ষার্থীকে সনদ ও চেক প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর বলেন,
“আজকের দিনটি শিক্ষার্থীদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তারা ভবিষ্যতে যেখানেই থাকুক, তাদের সিভিতে এই অ্যাওয়ার্ডের উল্লেখ থাকতে পারবে, যা হবে সম্মানের প্রতীক এবং ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা।”
তিনি আরও বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, ল্যাব এবং বাজেট সংকট থাকলেও এখান থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি হচ্ছে, যারা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি আশা করি, আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আমাদের পরিচয় আরও সমৃদ্ধ করবে।”
তিনি আরও বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, ল্যাব এবং বাজেট সংকট থাকলেও এখান থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি হচ্ছে, যারা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি আশা করি, আজকের পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আমাদের পরিচয় আরও সমৃদ্ধ করবে।”
আরও পড়ুন
ভবিষ্যতেও এই অ্যাওয়ার্ড কার্যক্রম চালু রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন,
“আমি একসময় থাকবো না, কিন্তু চাই এই অ্যাওয়ার্ড চালু থাকুক। যাতে এটি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার পথে সহায়ক হয়।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য