ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকা

ইবির ১৯ শিক্ষক ৩১ শিক্ষার্থীসহ ৬১ জনকে শাস্তির সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৪
অনলাইন ডেস্ক
ইবির ১৯ শিক্ষক ৩১ শিক্ষার্থীসহ ৬১ জনকে শাস্তির সুপারিশ

অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকা রাখার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ শিক্ষক, ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৩১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— এ মর্মে ১৯ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানের সময় যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিরোধী ভূমিকায় ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ১৯ জন শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে। সেজন্য শোকজ নোটিশ দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাদের।


প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন : মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন আজ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪১
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন : মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন আজ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ মনোনয়নপত্র সংগ্রহে এখন পর্যন্ত ডাকসুতে ১২৪ জন ও হল সংসদের ২০০-এর বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র তুলেছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের আজ শেষ দিন। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র তুলতে পারবেন। এদিকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে ছাত্রসংগঠনগুলো এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেনি।


    রবিবার (১৭ আগস্ট) ৬৩ জন ডাকসু নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে চারজন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে একজন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে তিনজন, সম্পাদক পদে ২৩ জন ও সদস্য পদে ৩২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর হল সংসদে নির্বাচনের জন্য রবিবার ১২টি হলে ১০৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।


    বাকি হলগুলোর খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

    এখন পর্যন্ত ছয় দিনে মোট ১২৪ জন ডাকসু নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে দুজন, এজিএস পদে পাঁচজন, সম্পাদক পদে ৪৪ জন এবং সদস্য পদে ৫৫ জন।


    এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৮ জন। আর হল সংসদের এখন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দুই শতাধিক প্রার্থী। প্রধান রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সকাল থেকে বসে আছি। তারা তাদের সুবিধামতো আসছে। আমরা আশা করছি কালকে সবাই চলে আসবে, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়।


    তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সময় বাড়ানোর কোনো কারণ দেখছি না। এদিকে গতকাল পর্যন্ত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাদে আর কোনো ছাত্রসংগঠন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের প্যানেল ঘোষণা করেনি এবং মনোনয়নপত্রও তুলতে আসেনি। ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্বাচনের কৌশল হিসেবে তারা কেউ এখনো মনোনয়নপত্র তোলেনি। সবাই জানতে চাইছে, অন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর কে কোন পদে মনোনয়নপত্র তুলেছে। সেই অনুযায়ী অন্যরা প্রার্থী ঠিক করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবে।


    ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘আমাদের প্যানেল গঠন নিয়ে এখনো কাজ চলমান। আশা করি আজকের মধ্যে (রবিবার) কাজ সম্পন্ন হবে। সোমবার সকালে আমরা মনোনয়নপত্র তুলতে যাব।’


    ঢাবি শিবিরের সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে শিবিরের বাইরেও অনেকেই থাকছেন। সবকিছু ঠিকঠাক করার জন্য এখনো আলোচনা চলমান। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করব।’

    ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘অনেকটা চমক রাখার জন্যই শেষ দিনে এসে মনোনয়নপত্র তোলা হবে। পাশাপাশি প্যানেল প্রস্তুত করার বিষয়টিও রয়েছে। আজকের (রবিবার) মধ্যে আমাদের প্যানেল চূড়ান্ত হবে। অন্তত শীর্ষ তিনটি পদে কারা থাকবেন সেটি জানা যাবে।’ 

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

      বাকৃবিতে বিপুল ভোটে শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেল কম্বাইন্ড ডিগ্রি

      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫০
      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      বাকৃবিতে বিপুল ভোটে শিক্ষার্থীদের সমর্থন পেল কম্বাইন্ড ডিগ্রি

      বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে আয়োজিত ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।


      প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, পশুপালন অনুষদের ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে এবং মাত্র ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী এনিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে ভেটেরিনারি অনুষদের ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে এবং ২০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী ডিভিএম ডিগ্রির পক্ষে মত দিয়েছেন।


      রবিবার (১৭ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেন কম্বাইন্ড ডিগ্রি ইস্যুতে গঠিত কমিটির সভাপতি ও কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান।


      এর আগে গত ২৮ জুলাই থেকে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যান। পরবর্তীতে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেন, ফলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়।


      এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের নিয়ে আট সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষার্থীদের মতামত জানতেই কমিটি সরাসরি ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর আওতায় ভেটেরিনারি অনুষদের লেভেল-১ থেকে লেভেল-৫ এবং পশুপালন অনুষদের লেভেল-১ থেকে লেভেল-৪ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইআরপি প্রোফাইলে লগইন করে ভোট দেন। অনলাইন ভোটগ্রহণ চলে ১৪ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১৬ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত।


      ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। এনিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রির পক্ষে কোনো উল্লেখযোগ্য সমর্থন নেই। পশুপালন অনুষদের ৯২ শতাংশ এবং ভেটেরিনারি অনুষদের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে মত দিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের মতামত জেনেছি। এখন ডিএলএসসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করবো। আলোচনা শেষ হলে আমরা রিপোর্ট প্রণয়নের দিকে এগোবো।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

        ‎বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনরত দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ

        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ৮:৫৫
        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ‎বেরোবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনরত দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ

        ‎ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।


        রোববার (১৭ আগস্ট) রাত পৌনে বারোটার দিকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৬ ব্যাচের জাহিদ হাসান জয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম মাহিদ।


        ‎এ সময় সহপাঠীরা তাদের সুস্থ করার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসক এনে স্যালাইন দেয়া হয়।


        ‎এদিকে রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য শওকাত আলীসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।


        ‎এসময় ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা অনশনে বসায় উপাচার্য এখন পর্যন্ত কিছু খাননি। এ কারণে তার প্রেসার লো হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের রেখে তিনি বাসায় যেতে চাইছেন না। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে এসে অনশন ভাঙার আহ্বান জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙতে অপারগতা প্রকাশ করেন।


        ‎এ সময় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদ যুক্ত করে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়ার জন্য আমরা নানা ধরনের আন্দোলন চালিয়ে আসছি। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন ও সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। ১৭ দিন আগে একটি কমিটি দেয়া হলেও সেই কমিটি মিটিংই করতে পারেনি।


        ‎অন্যদিকে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী খোকন ইসলাম বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ আইনই নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এর থেকে বড় প্রতারণা আর কিছু হতে পারে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করা পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।


        ‎এ সময় অসুস্থ হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর উদ্যোগ নিলে শিক্ষার্থীরা সেটাতেও প্রতিবাদ জানান। পরে ৪০ মিনিট পর চিকিৎসক এনে তাদের স্যালাইন দেয়া হয়। তারা জানান, অসুস্থ হওয়া কোনো শিক্ষার্থী বাইরে চিকিৎসা নেবে না।


        ‎শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. শওকত আলী বলেন, আজকে সারাদিন শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসায় আমিও লাঞ্চ করিনি। এখনো বাসায় যাইনি। শিক্ষার্থীদের রেখে আমি কিভাবে বাসায় গিয়ে ঘুমাব? আমি ঢাকায় কথা বলেছি। সাতজনের কমিটি রয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, দশ দিনের মধ্যে নির্ভুলভাবে আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে আমিও একমত। আমি নিজেই সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংযুক্ত করার জন্য কমিটি করে চিঠি দিয়েছি। সেটি আমলে নিয়ে লিগাল ভেটিংয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারি হলেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করব।


        ‎তিনি আরও বলেন, সংসদ না থাকলেও কিভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা হয়েছে সেটির জবাব আগের প্রশাসন দেবে। আমি ভিসি হওয়ার পর যে টাকা আদায় করা হয়েছে, সেটি আমি আলাদা অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছি।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

          বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সংক্রান্ত পেইজে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য, জানেন না কর্তৃপক্ষ

          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:৪
          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন সংক্রান্ত পেইজে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্য, জানেন না কর্তৃপক্ষ

          কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) পরিবহন প্রশাসকের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। গ্রুপে দেয়া এক শিক্ষার্থীর স্টাটাসে ওই পেইজ থেকে বিভ্রান্তমূলক মন্তব্যসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য ওঠে এসেছে। 


          আজ রোববার (১৭ আগস্ট) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী রেদওয়ানুল ইসলাম ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ নামের গ্রুপে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে বাস-ভোগান্তি কমাতে স্টাটাস দেন এবং স্টাটাসে ওই শিক্ষার্থী লিখেন, “২০২৪-২৫ ব্যাচ এসেছে, প্রত্যেকটা গাড়ি ওভারলোড। ডাবল ডেকার ওভারলোড হয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়াচ্ছে না (রাস্তা খারাপ)। এমতবস্থায় আমরা রোজ কি ভাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যাবো? হয় কালকের মধ্যে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হোক, না হলে একটা গাড়িও শহর থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যেতে দেয়া হবে না। ধন্যবাদ।”


          ওই স্টাটাসের প্রত্যুত্তরে প্রশাসনের পেইজ থেকে মন্তব্য ঘরে বলছেন, কালকের মধ্যে বাস বাড়বে না। এবার আপনার যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেন। কোনো কিছুর প্রতিকার হুমকি দিয়ে হয় না। আপনি যেহেতু হুমকি দিয়েছেন আপনি আপনার কাজ করেন। সব শিক্ষার্থীকে বাসে আটকিয়ে তাদের কষ্ট বাড়ালে আমরা আপনার নামই বলবো।


          এভাবে চলতে থাকেন সাইবার যুদ্ধ। এক পর্যায়ে সেশনজট, আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্ন তোলা সহ ইত্যাদি বিষয়ে কমেন্ট সেকশনে পাল্টাপাল্টি আলাপ করতে দেখা যায়। রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী এসে ‘প্রশাসনের এ্যপ্রোচ এমন হওয়া উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করেন এবং মন্তব্যগুলো হুমকি হিসেবে নেন শিক্ষার্থীরা।


          মন্তব্যের ঘরে কর্তৃপক্ষের পেইজ থেকে আরও বলেন, ‘পরিবহন বিভাগ বাসের সংখ্যা বাড়াতে অতিরিক্ত চারটি ডাবল ডেকার বাস আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ট্রেজারার অফিসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া, আগামী বছরের আগে বাস ভাড়া বাড়ানো সম্ভব নয় এবং মন্ত্রণালয় থেকে নিজস্ব বাস কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এক সময়ে ক্যাম্পাসে আসার কারণে বাসে চাপ বেশি পড়ে, তাই বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও একাডেমিক কাউন্সিলের পদক্ষেপ অত্যাবশ্যক। পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় ও ধৈর্যের প্রয়োজন।’


          এসব মন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক জানেন না বলে নিশ্চিত করেছেন। তবে জানা যায়, পেইজে এডমিন হিসেবে যুক্ত আছেন ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অভশান। জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমার কাছে যেসকল তথ্য আছে তার ভিত্তিতে উত্তর দেয়ার এখতিয়ার আছে এবং প্রশাসন থেকে পূর্ব থেকেই অনুমোদিত। আমি অযৌক্তিক কোনো রিপ্লাই দেইনি।’


          এদিকে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. শেখ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীর স্টাটাসটা আমি দেখেছি এবং স্ক্রিনশট নিয়ে ট্রেজারার স্যারকে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছি। উনি বিআরটিসির চারটি ডাবল ডেকার বাস কেনার অনুমোদন দিয়েছেন। আশা করি খুব দ্রুতই বাস সংকট সমস্যার সমাধান হবে।’


          পেইজে দেয়া মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আছে কি-না সেটা একান্ত অফিশিয়াল বিষয়। রিপ্লাইগুলো দেখিনি। তাছাড়া যেকোনো কমেন্টের রিপ্লাই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তি দেখানোর অনুমোদন কারো নাই।’

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত