ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ মার্চ, ২০২৫ ২৩:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে উপাচার্য

সাদিকুর রহমান সাদি: বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। আজ ১২ মার্চ (বুধবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের হামিদ চরে অবস্থিত এই নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যান তিনি।

পরিদর্শনকালে উপাচার্যের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধিদল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের সাথে বৈঠক শেষে নির্মাণাধীন প্রকল্পের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুততার সঙ্গে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সকল নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপাচার্য রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, "আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে এবং দ্রুততার সাথে এই ক্যাম্পাসে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।”

বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধি দলের সদস্য মো: রাহাদ আলী সরকার জানান, "দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ ধীরগতিতে চললেও গত ৬ মাসে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই আমরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছি। প্রত্যেকটি স্থাপনার কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। কথা বলে জেনেছি সকাল ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ চলছে। পূর্ণাঙ্গরূপে এই ক্যাম্পাস নির্মাণ হলে কর্ণফুলী নদীর তীরে মনোরম পরিবেশের এই বিশ্ববিদ্যালয় সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।"

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৯ সালে। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বর্তমানে ক্যাম্পাসের অবকাঠামো নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি হবে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মেরিটাইম শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি তথা ব্লু-ইকোনমি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বিশ্বসেরা ৫৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বুয়েট-ঢাবি-নর্থ সাউথ

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১২ মার্চ, ২০২৫ ২১:৪
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    বিশ্বসেরা ৫৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বুয়েট-ঢাবি-নর্থ সাউথ

    যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) ২০২৫ সালের বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

    র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ)।

    এবারের র‍্যাঙ্কিংয়েও আলাদা দুই ক্যাটাগরি করা হয়েছে। প্রধান বিষয় (ব্রড সাবজেক্ট এরিয়া) ক্যাটাগরিতে পাঁচটি বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন এবং ন্যাচার সায়েন্স। পাঁচটি ক্যাটাগরির মধ্যে তিনটিতে দেশের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জায়গায় স্থান হয়েছে।

    ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে দেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। এরমধ্যে বুয়েটের অবস্থান ৩২০তম এবং ঢাবির অবস্থান ৪০১-৪৫০তম এর মধ্যে।

    সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতেও দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। এরমধ্যে ঢাবির অবস্থান ৪০১-৪৫০ এর মধ্যে এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১-৫৫০ এর মধ্যে।

    আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ক্যাটাগরিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে ঢাবির অবস্থান ৫০১-৫৫০ এর মধ্যে। তবে লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন এবং ন্যাচার সায়েন্স ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

    আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিউএস র‍্যাঙ্কিং ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ তালিকা প্রকাশ করছিল। ২০১০ সালে আলাদা হয়ে যায় কিউএস। এরপর থেকে এককভাবেই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে তারা।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      শাহবাগে পুলিশের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বেরোবিতে বিক্ষোভ

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১২ মার্চ, ২০২৫ ২০:৫৭
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      শাহবাগে পুলিশের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বেরোবিতে বিক্ষোভ

      বেরোবি প্রতিনিধি: দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, গতকাল শাহবাগে পুলিশের উপর হামলাকারী শাহবাগী লাকী, সেবাদাসদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

      বুধবার (১২ই মার্চ) বাদ মাগরিব বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে আবু সাঈদ চত্বরে প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

      এ সময় শিক্ষার্থীরা, "1 2 3 4, শাহাবাগী নো মোর, ২৪-এর বাংলায়, শাহবাগীর ঠাই নাই, আবু সাঈদের বাংলায়, শাহবাগীর ঠাই নাই; মীর মুগ্ধের বাংলায়, শাহবাগী; আমার সোনার বাংলায়, শাহবাগীর ঠাই নাই ; লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে; শাপলা না শাহবাগ, শাপলা শাপলা; ছাত্রজনতার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; বেরোবির অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন;" ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

      বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আলবীর হোসেন বলেন, শাহবাগী শক্তি গতকাল আমাদের পুলিশ প্রশাসনের উপর কিভাবে হামলা চালিয়েছে। তাঁরা ২০১৩ সাল থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কে ফ্রাংকস্টাইলের দানব হিসেবে পরিণত করার জন্য সর্বাত্মক সহায়তাকারী ও পিছন থেকে ইন্দনদাতা হচ্ছে শাহবাগী শক্তি। তাঁরা এখনো নানাভাবে আমাদের দেশ বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছে। আমরা ছাত্রসমাজ জানিয়ে দিতে চাই শাহবাগী শক্তির সবধরনের অপকর্ম আমরা শক্তহাতে দমন করতে চাই। আমরা প্রশাসনকে দাবি জানাই এই দেশ বিরোধী শক্তিকে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে অতি শীঘ্রই নির্মূল করতে হবে।

      রহমত আলী বলেন, আমরা আজকে বেরোবির এই মাটি থেকে বলতে চাই, ২৪'র স্বাধীন বাংলাদেশে এই শাহবাগী, এই দেশ বিরোধী ও চক্রান্তকারীদের বলতে চাই যে এই বাংলাদেশ আর কোনো বিদেশি চক্রান্তে, আর কোনো বিদেশি প্রেসক্রিপশনে চলবে না। অনতিবিলম্বে ২০১৩ সালে শাপলাচত্বরে যে নির্ঘুম মুসল্লিদের উপরে হামলা হয়েছিল সেই হামলার বিচার দ্রুত করতে হবে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যে কোনো ধরনের পায়তারা এই দেশপ্রেমিক বাংলাদেশিরা সব সময় রুখে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। দেশ বিরোধী শাহবাগী লাকীসহ সকল শাহবাগীদের বলে দিতে চাই গতকাল পুলিশের উপর যেভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় যে নির্মম হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার যে পায়তারা করেছে, সেই পায়তারা এই ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কখনো সম্ভব না। আমরা আমাদের এই আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধদের রক্তের মাধ্যমে অর্জিত যে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশে আর কোনো শাহবাগী চক্রান্ত সফল হতে দিব না।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        জঙ্গি নাটকে পাঁচ বছর বন্দী খুবির ২ শিক্ষার্থী, ঈদে পাশে চায় সহপাঠীরা

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১২ মার্চ, ২০২৫ ২০:৪০
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        জঙ্গি নাটকে পাঁচ বছর বন্দী খুবির ২ শিক্ষার্থী, ঈদে পাশে চায় সহপাঠীরা

        খুবি প্রতিনিধি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের ‘১৭ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মাদ অনিক এবং পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ‘১৭ ব্যাচের মো. মোজাহিদুল ইসলাম রাফি দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও অধিক সময় ধরে জঙ্গি সন্দেহে কারাবন্দি রয়েছেন।

        ঈদের আগে তাদের মুক্তির দাবিতে আজ বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

        মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয় অনিক ও রাফি। অনিক ওই দিন সকালে রুমে ঘুমিয়ে ছিল। হলের অফিস ক্লার্ক এনামুলকে দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে গল্লামারী ঘোষ ডেয়ারির সামনে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

        আর রাফিকে গ্রেপ্তার করে তার ভাড়া বাসা থেকে, যেখানে তিনি স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। তাদের ১৭ দিন গুম করে রেখে ২৫ জানুয়ারি আদালতে তোলে পুলিশ।

        আওয়ামী প্রশাসন জঙ্গি নাটকের স্ক্রিপ্ট সাজিয়ে একে একে ৭টি মামলা দেয় তাদের নামে। যার মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা। অথচ ওই সময় খুলনার কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষিত তরুণদের কণ্ঠ রোধ করতে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়ে নিরীহদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর গত সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে অনিক ও রাফি কারাগারে অনশন করেন; কিন্তু তাতেও বর্তমান প্রশাসনের টনক নড়েনি।

        তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্যায়ভাবে ওদের ছাত্রত্ব স্থগিত করে। তাদেরকে কোনো রকমের আইনি সহযোগিতা করিনি। সে সময় প্রশাসনের যারা এ কাজে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার করতে হবে। আমরা চাই বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের মুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি তাদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেবে।

        মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম তিনি বলেন, "আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ফেরত চাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করে আগের দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়েছি। বিগত প্রশাসন এই নাটকের সাথে সরাসরি জড়িত। তারা বিভিন্ন প্রকার নাটক সাজিয়ে দুই শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করেছে। মুগ্ধর জানাযা পড়তে আসলে আমার সাথেও বিগত প্রশাসন নাটক করেছিল। স্বৈরাচারী সরকারের সাথে মিলে তাদের কাজ ছিল এমন নাটক করা। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তার জন্য সতর্ক করেন সবাইকে।

        উপাচার্য আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খুব দ্রুতই একটি তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাবো। তার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। তাদের মুক্তির জন্য বর্তমান প্রশাসনের যা করার প্রয়োজন তা করবে।

        আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের ডিন প্রফেসর ড. মো. নুর আলম ও প্রধান প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর মো. সামিউল হক, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এইচআরএম) ডিসিপ্লিনের শিক্ষক মেহেদী হাসান একই ডিসিপ্লিনের ১৭ ও ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহমাদ উল্লাহ স্বাধীন ও মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচের টিপু তমিজসহ প্রমুখ।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          রাজশাহী কলেজে শিবিরের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১২ মার্চ, ২০২৫ ২০:১৩
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          রাজশাহী কলেজে শিবিরের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

          মুজাহিদুল ইসলাম: রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে রাজশাহী কলেজের সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকদের সাথে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

          বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে রাজশাহী কলেজের কলাভবনে এই আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনা করেন রাজশাহী কলেজ শাখার ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন মাহাদি।

          অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজ শাখার শিবিরের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান জুয়েল।

          মতবিনিময় সভায় রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং প্রতিনিধিদের বিভিন্ন সমস্যা ও কলেজের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-সংক্রান্ত সমস্যা, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরা হয়।

          এ সময় মতবিনিময় সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করা এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদত্ত জীবনবিধান অনুসরণ করাই ইসলামী ছাত্রশিবিরের মূল উদ্দেশ্য।

          তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শ ছাত্র সংগঠন, যা শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও চারিত্রিক উন্নতির মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো এমন এক প্রজন্ম তৈরি করা, যারা আল্লাহভীরু, সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক হয়ে গড়ে উঠবে। আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী মূল্যবোধ জাগ্রত করতে চাই, যাতে তারা ন্যায়, সত্য ও নৈতিকতার পথে থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারে।

          এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা কলেজের সকল সংগঠনের সহযোগিতায় ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ পরিচালনা করার আহ্বান ব্যক্ত করেন।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত