ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

খুবিতে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য স্বতন্ত্র কৃষি অনুষদ খোলার ঘোষণায় বাকৃবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২৭
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
খুবিতে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য স্বতন্ত্র কৃষি অনুষদ খোলার ঘোষণায় বাকৃবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের জন্য স্বতন্ত্র কৃষি অনুষদ খোলার ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।


 শনিবার (২ আগস্ট) এক লিখিত বিবৃতিতে তারা এই উদ্বেগের কথা জানান।


বিবৃতিতে বলা হয়, খুবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানান, দেশের প্রতি বছর স্নাতক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক প্রায় ১৫ হাজার কৃষি ডিপ্লোমাধারীর জন্য পাইকগাছায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে পৃথক কৃষি অনুষদ স্থাপন করা হবে। সেখানে বিএসসি কৃষি ও অন্যান্য সার্টিফিকেট কোর্স চালু করে ‘বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র’ গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।তিনি আরো বলেন, 'খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে যারা পড়াশোনা করছেন তারা ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ভর্তি হন কিন্তু পাইকগাছা ক্যাম্পাসে ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন, তবে তাদের ডিগ্রীর মান প্রায়ই একই রকম হবে।'


এই বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মানের পরিপন্থী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বাকৃবিসহ দেশের অন্যান্য ৮টি পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের কৃষিশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার মান, মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।


বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। অন্যদিকে, কৃষি ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের শিক্ষাগত কাঠামো ভিন্নতর এবং তুলনামূলকভাবে প্রয়োগিক শিক্ষাভিত্তিক।


 এই পার্থক্যের প্রেক্ষাপটে কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের সমমর্যাদার বিএসসি কৃষি ডিগ্রি প্রদান করা হলে তা হবে উচ্চশিক্ষার মানকে হেয় করা এবং বিদ্যমান গুণগত মানসম্পন্ন ডিগ্রির প্রতি অবিচার হবে। এতে ভবিষ্যতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে অবস্থান এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বিভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা তৈরি হবে।


বাকৃবির শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং কৃষিশিক্ষা কাঠামোতে নীতিগত কোনো পরিবর্তনের আগে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ জানান।


প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বাকৃবিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপিত হবে আগামী ১ জুন

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৩১ মে, ২০২৫ ১৬:১৫
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    বাকৃবিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপিত হবে আগামী ১ জুন

    ‘আসুন দুগ্ধশিল্প এবং দুধের প্রভাব উদযাপন করি’  প্রতিপাদ্যে আগামী ১ জুন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ১৩তম বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপিত হবে। দেশে ডেয়রি শিল্পের বিকাশ এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যেক বছর এই দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে ১ জুন বাকৃবিতে প্রায় ২ হাজার ৫শ জন শিশুকে দুধ পান করানো, বর্নাঢ্য র‌্যালি, সচেতনতামূলক সেমিনার এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সভার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগ।

    এছাড়াও আগামীকাল শনিবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন করিডোরে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, হোম কিচেন ডেয়রি রেসিপি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

    বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম। শুক্রবার (৩০ মে)  বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড আশিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ২৫০ মিলি লিটার দুধ প্রয়োজন। সেখানে আমাদের প্রাপ্যতা মাত্র ২৩৫ মিলি লিটার। দেশে বছরে প্রায় ১৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধের প্রয়োজন হয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও দেশে তরল দুধের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি স্থায়ীভাবে পূরণ করতে হলে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
    দুধের উৎপাদন প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে অধ্যাপক আশিকুর রহমান জানান, প্রতি বছর দেশে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি করতে হয়। দুধের উৎপাদন ঘাটতির পেছনে নানা ধরনের সমস্যা জড়িত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ভালো জাতের দুধেল গাভীর অভাব, গো-খাদ্যের স্বল্পতা ও উচ্চ মূল্য এবং দুধ বাজারজাতকরণের জটিলতা। গত কয়েক বছর ধরে দেশে দুধের উৎপাদন বাড়লেও দুধ পানের আগ্রহ তেমন বাড়েনি। ফলে প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও দুধ কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না। তাই দুধের উৎপাদন বাড়াতে হলে দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এছাড়াও, দুধ পানের উপকারিতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং ডেইরি উন্নয়ন বোর্ডকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে হবে।

    তিনি আরও জানান, দুধ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ খাবার। খাদ্যের সব পুষ্টি উপাদান দুধে বিদ্যমান থাকায় এটিকে সুষম খাদ্যও বলা হয়। দুধে থাকা ল্যাকটোজ শিশুদের মস্তিষ্ক এবং  স্নায়ুকোষের বর্ধনে সহায়তা করে। জন্মের সময় মানব শিশুরা মস্তিষ্কের প্রায় ৮০ শতাংশ গঠন সম্পন্ন করে আসে। বাকি ২০ শতাংশ পরবর্তী ১৫-১৬ বছরে ধীরে ধীরে গঠিত হয়। তাই শৈশবে মস্তিষ্কের বিকাশে দুধের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, যে জাতি যত বেশি দুধ পান করে, সে জাতি তত বেশি মেধাবী হয়ে ওঠে।

    সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম, পশু পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো সাইফুল ইসলাম, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের ড. সুবাস চন্দ্র দাস, ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড এ কে এম মাসুমসহ ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।

    বাকৃবিতে দুধ উৎপাদনের সীমাবদ্ধতা বিষয়ে অধ্যাপক ড মো হারুন অর রশীদ জানান, বাকৃবির ডেইরি খামারে প্রত্যেক দিন ৫শ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষেকের সংখ্যা বিবেচনয় চাহিদার তুলনায় নগণ্য। বাকৃবির নিজস্ব ডেইরি খামারের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার শিক্ষার্থীর দুধের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।  ডেয়রি খামারের দুধ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা প্রয়োজন। এই পরিমান অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর দুধের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। তবে বাজেট মাত্র ৮৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কোন শিক্ষার্থী যদি খামারে গিয়ে দুধ চায় তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না কমপক্ষে ১ থেকে ২ লিটার করে দুধ দেওয়া হয়।

    দিবসটি উদযাপনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা), আকিজ ডেয়রি লিমিটেড, ঢাকা আইসক্রিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, নিউজিল্যান্ড ডেয়রি প্রোডাক্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, আরলা ফুডস বাংলাদেশ লিমিটেড, আড়ং ডেয়রি, নেসলে বাংলাদেশ, প্রাণ ডেয়রি, ঈগলু আইসক্রিমসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

    উল্লেখ্য, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)র উদ্যোগে সর্বপ্রথম ২০০১ সালে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশেও এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

     

    মন্তব্য

    বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ২০ মে, ২০২৫ ২০:৩০
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন

    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শুরু হয়েছে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। মঙ্গলবার (২০ মে) পূবালী ব্যাংক পিএলসি-এর অর্থায়নে এবং ছাত্র বিষয়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। মাসব্যাপী এই  কর্মসূচির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আট শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হবে।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবুর রহমান এবং পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিরা শহীদ মিনার চত্বরে চারটি পলাশ গাছের চারা রোপণ করে কর্মসূচির সূচনা করেন।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, অধ্যাপক ড. মো. মাসুম আহমাদ, রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত ড. মো. হেলাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বোটানিক্যাল গার্ডেনের কিউরেটর অধ্যাপক ড. মো. নেছার উদ্দীনসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পূবালী ব্যাংক বাকৃবি শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা গাছ কাটি, আবার নতুন করে রোপণ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাঁরা গাছপালার রক্ষণাবেক্ষণ বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ থাকবে তারা যেন প্রতিটি গাছের বয়স, প্রজাতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গবেষণা করেন এবং এসব তথ্য সংরক্ষণ করেন। শুধু কৃষ্ণচূড়া বা রাধাচূড়া নয়, আমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ রোপণ করতে হবে, যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা সেই ফল ভোগ করতে পারে।

     

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, পরীক্ষা ১২ এপ্রিল

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১০ এপ্রিল, ২০২৫ ২০:৫২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, পরীক্ষা ১২ এপ্রিল

    বাকৃবি প্রতিনিধি:

    কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ এপ্রিল। এ উপলক্ষে সব কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে । পরীক্ষার্থীদের কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় একই দিন ‘মার্চ টু গাজা’ কর্মসূচির কারণে সড়কে যানজটের আশঙ্কা থাকায় সময় নিয়েই কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে। এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতির নেতৃত্বে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

    বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার অফিসের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কৃষি গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন।

    তিনি বলেন, এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র ও ১৩টি উপকেন্দ্রে। পরীক্ষার্থীদের কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকায় একই দিনে “মার্চ টু গাজা” কর্মসূচির কারণে সড়কে যানজটের সম্ভাবনা থাকায় সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাকৃবি ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এ বছর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৮৬৩ এবং সর্বমোট ৯৪ হাজার ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করেছে। আবেদনকারীদের মধ্যে ৪৬ হাজার ৯৩২ জন ছাত্র এবং ৪৭ হাজার ৮৮ জন ছাত্রী রয়েছে। প্রতিটি আসনের জন্য প্রতিযোগিতা করছে ২৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী । আগামী ১২ এপ্রিল ৯টি কেন্দ্রে ও ১৩ টি উপকেন্দ্রে বিকাল ৩ টা থেকে ৪টা একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সম্ভাব্য আগামী ১৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গুচ্ছ কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, বাকৃবি ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ও শিক্ষা বিষয়ক শাখার এডিশনাল রেজিস্ট্রার মো. সারওয়ার জাহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

    বাকৃবি কেন্দ্রে নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ভর্তি পরীক্ষার দিন বেলা ১২ টার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও পরীক্ষার আগেরদিন রাত থেকে সকল স্থানে বিশেষ করে নদের পাড় এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সন্ধ্যা ৭ টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নদে কোনো নৌকা চলাচল করতে দেওয়া হবে না।

    প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস যাতে কোনোভাবেই না হয় সে বিষয়ে সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবস্থা রাকা হয়েছে যাতে কতদূর, কেথায় প্রশ্ন পত্র যাচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা যায়। এছাড়াও সর্বদা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশের আগে তাদেরকে পুরোপুরিভাবে তল্লাশী করা হবে যাতে কোনো ডিভাইস বা পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বনের কোনো উপকরণ তাদের কাছে না থাকে।

    উল্লেখ্য, কৃষি গুচ্ছের অওতাভূক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা,পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      বাকৃবিতে বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ১৯:১৫
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      বাকৃবিতে বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত

      বাকৃবি প্রতিনিধি: গাছের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৃক্ষমেলায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন জাতের সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছের চারার স্টল রাখা হয়েছিল।

      শনিবার (১৮ নভেম্বর) টিএসসি মিনি সম্মেলেন কক্ষে এই বৃক্ষমেলার আয়োজন করে বাকৃবি প্লান্ট লাভারস সংগঠন। মেলাটি সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে।

      বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গাছের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের আবাসিক হলের রুমে, বারান্দায়, জানালার পাশে এইসব সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছের চারা টবে রেখে যত্ন করতে পারে এজন্য মেলায় দেশি বিদেশি বিভিন্ন জাতের ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট, পথজ ইত্যাদি গাছের চারা বিক্রয় ও দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হয়। সল্প জায়গায় এসব গাছ লালনপালন করা যায় বলে, আবাসিক শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এই সমস্ত গাছের চারা মেলায় রাখা হয়েছিল। মেলায় গাছের চারার ১২ টি স্টল ছিল যার সবগুলো বাকৃবি শিক্ষার্থী পরিচালিত। এসব তথ্য জানান বাকৃবি প্লান্ট লাভারের প্রতিষ্ঠাতা ও এই মেলার প্রধান আয়োজনকারী কৃষিবিদ সানজিদা সাকি বৈশাখি।

      মেলা পরিদর্শন করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, সহকারী প্রক্টর মো. শরীয়ত-উল্লাহ ও ড. মো. আরিফ সাকিল।

      এসময় সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিন মুস্তারি বলেন , এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্ররা যারা বিভিন্ন সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ লাগায় সেই গাছগুলো সহজপ্রাপ্য করা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশন থেকে চেষ্টা করব আগামী বছর থেকে এই মেলাটি বড় পরিসরে হেলিপ্যাড বা করিডোর এরকম উন্মুক্ত স্থানে আয়োজন করতে। যাতে অনেক দর্শণার্থী এই মেলায় আসতে পারে। প্রকৃতি কন্যা খ্যাত বাকৃবিতে এমনিতে অনেক ধরনের গাছ পাওয়া যায় তারপরও আমাদের শিক্ষার্থীরা এর ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি এরকম মেধাবৃত্তিক কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সব সময় পাশে থাকবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য
        সর্বশেষ সংবাদ
          সর্বাধিক পঠিত