বাকৃবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ১ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএএমবিই-২০২৫)'।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে স্মার্ট এগ্রিকালচার ও ফার্ম মেকানাইজেশন বিষয়ক কারিগরি সেশন, বিজনেস সেশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসএএমবিই) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সকালে স্মার্ট কৃষি-২, স্মার্ট কৃষি-৩ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শীর্ষক টেকনিক্যাল সেশনের মাধ্যমে ২য় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সেশনে গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি, স্বয়ংক্রিয় চাষাবাদ, ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নিয়ে তাঁদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এরপর বিজনেস সেশন ও পোস্টার উপস্থাপনা সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে তরুণ গবেষকরা তাঁদের উদ্ভাবনী ধারণা ও গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন। পোস্টার সেশনে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা এবং বিকল্প জ্বালানি নিয়ে গবেষণার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
পরবর্তীতে বিকেলে সম্মেলনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পোস্টার উপস্থাপনায় সেরা ছয়জন ও মৌখিক উপস্থাপনায় সেরা ছয়জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। বিজয়ীরা স্মার্ট এগ্রিকালচার, ফার্ম মেকানাইজেশন এবং বিকল্প জ্বালানি বিষয়ক উদ্ভাবনী গবেষণার জন্য পুরস্কৃত হন।
বিএসএএমবিই-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন ও তার প্রয়োগে গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'কৃষি জাতির মেরুদণ্ড। কৃষির এখন বড় প্রতিকূলতা হলো জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রমিক সংকট ও অত্যাধুনিক জ্ঞানের অভাব। এসকল সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি, যা চতুর্থ কৃষি বিপ্লবের অংশ। এরই ধারাবাহিকতায় আয়োজিত এই সম্মেলনে চারা রোপন থেকে শুরু করে ফসল উত্তোলন সকল পর্যায়ে ক্ষতি কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শুধু মাঠ পর্যায়ে থাকলে চলবে না। নীতি-নির্ধারক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এতে করে সকল পর্যায়ের জ্ঞান একে অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরী হবে। ফলস্বরূপ কৃষি হবে অধিক টেকসই, লাভজনক ও পরিবেশবান্ধব।'
এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. খালেকুজ্জামান এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিএএমবিই-২০২৫ সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল, সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আশিক-ই-রব্বানী, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. টুম্পা রাণী সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, এই সম্মেলনের বিশেষ অর্জন হলো বাংলাদেশ সোসাইটি অব এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসএএমবিই)-এর যাত্রা শুরু এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ১ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। কৃষি প্রকৌশলী ও জীবাশ্মসম্পদ বিষয়ক গবেষণার সাথে জড়িতদের জন্য এটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। সম্মেলনের মাধ্যমে যেসকল গবেষণার উপস্থাপনা আমরা দেখেছি সেখান কৃষির সকল ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার লক্ষণীয়। ন্যানো প্রযুক্তি থেকে শুরু করে আইওটি সকল ক্ষেত্রেই কৃষির বিস্তারের সুযোগ আমরা দেখেছি, যা কৃষির প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি রূপরেখা তুলে ধরেছে। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারের দিকেও নজর দিতে হবে। শুধু বর্তমানের কথা না ভেবে আমাদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। দেশের মাটি, বায়ু, জলের উপযোগী যন্ত্র আমাদের প্রয়োজন। বাস্তুতন্ত্রে ব্যাঘাত হবে এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।'
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি গবেষক, বিজ্ঞানী, কৃষি প্রকৌশলী ও কৃষকবৃন্দ সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় কৃষি প্রযুক্তি মেলা। মেলায় এসিআই মোটরস, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-সহ ৮টি কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের উদ্ভাবিত সর্বশেষ কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করেন।
চবিতে শিক্ষকে লাঞ্ছিত করা শিক্ষার্থী বহিষ্কার

চবি সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার ও তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
এর আগে এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষকের সাথে তর্ক করতে থাকে আফসানা এনায়েত ইমি নামের এক ছাত্রী। এক পর্যায়ে চবির সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলীকে থাপ্পড় মারে শেখ হাসিনা হলের ওই ছাত্রী।
এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় ৯ জনকে ২ বছরের জন্য ও ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে একজনকে ২ বছর ও আরেকজনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯৯ শতাংশ, ৮ মার্চের মধ্যে ফল

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে চূড়ান্ত ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৭ হাজার ৫৫২ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন সাত হাজার ৪৬৭ জন। সেই হিসাবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার হার ৯৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম শিফটে এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দ্বিতীয় শিফটে বুয়েট ক্যাম্পাসে এ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভর্তিপরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো। তাদের ভাষ্য, ‘রেকর্ডসংখ্যক’ পরীক্ষার্থী এবার মূল ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আগামী ৮ মার্চের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েটে ভর্তিপরীক্ষা প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তিপরীক্ষার মাধ্যমে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২৪ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী গত ২৩ জানুয়ারি তিন শিফটে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেন।
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রতি শিফটের প্রথম থেকে ২৫০০তম পর্যন্ত তিন শিফটে (মডিউল-এ ও মডিউল-বি) মোট ৭ হাজার ৫৫২ জন শিক্ষার্থী মূল ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন। যার মধ্যে প্রথম শিফটে দুই হাজার ৫২০ জন, দ্বিতীয় শিফটে দুই হাজার ৫১২ ও তৃতীয় শিফটে দুই হাজার ৫২০ জন নির্বাচিত হন।
এদিকে, এবার রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থীর উপস্থিতিতে মূল ভর্তিপরীক্ষা সম্পন্ন হয় জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাত হাজার ৫৫২ জন নির্বাচিত শিক্ষার্থীর মধ্যে সাত হাজার ৪৬৭ জন মূল ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নেন। অধিকাংশ হলেই শতভাগ পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আড়াই মাসের ব্যবধানে ফের ববি উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা, পদত্যাগ দাবি

ববি প্রতিনিধি: আড়াই মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্টের সহযোগী, আওয়ামী পুর্নবাসনসহ একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে মাত্র আড়াইমাস আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ফ্যাসিস্ট সরকারে সহযোগী ও ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেন এবং পদত্যাগের দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা, ছয়দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং এসব দাবির প্রেক্ষিতে তারা একদফার ঘোষনা দিয়ে বলেন, ভিসি যদি এসব দাবির প্রেক্ষিতে তার অবস্থান পরিস্কার না করেন তাহলে তাকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো-
১.মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়ম বহির্ভূত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখে অসাধু সুবিধা দেওয়ার জন্য পাতানো গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বান।
২.২৯শে জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নৃশংস হামলায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের আগাম জামিন পাওয়া ও ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ না হওয়া।
৩.নিয়মবহির্ভূত ভাবে ২জন সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিয়ে চিহ্নিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে পাতানো গোপন সিন্ডিকেটের নাটক মঞ্চস্থ করা।
৪.আইন,সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের স্বপদে বহাল রেখে মূল পদে আনার কুচক্রী পায়তারা চালানো।
৫.গত ৬ মাসেও ২২ দফার কোনরকম প্রতিফলন করতে ব্যর্থ হওয়া।
৬.ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের অবাধ বিচরণ, মাদক সেবন ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করতে ব্যর্থ হওয়া।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রফিকুল ইসলাম বলেন, "কয়েকদিন আগে আপনারা দেখেছেন, ভিসি-বিরোধী একটি আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। ভিসি বলেছিলেন, তিনি সেই শর্তগুলো পূরণ করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি কোনো কথাই রাখেননি। সেই ভিত্তিতেই আজ আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। আমরা এর কোনো ব্যাখ্যা চাই না—আমাদের এক দফা, এক দাবি, ভিসির পদত্যাগ।"
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ও প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের দুইমাসের মধ্য শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিস্টের সহযোগিতার অভিযোগ এনে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
রাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আয়নুল, সম্পাদক লিমন

রাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(রাবিপ্রবি) ডিবেটিং সোসাইটির ১ম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সিএসই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ আয়নুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন একই বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মোঃ মাহবুব উল্যাহ লিমন।
আগামী একবছরের জন্য সংগঠনটির ১ম কার্যনির্বাহী পরিষদ ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে।
সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছেন রাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আতিয়ার রহমান। মডারেটরের দায়িত্বে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাঈনুদ্দিন।
রাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কার্যনির্বাহী সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলেন, আমি নতুন কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে আশাবাদী। নিশ্চয়ই তারা নতুন নতুন কার্য পরিকল্পনার মাধ্যমে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ও রাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কমিটির সভাপতি মোঃ আয়নুল ইসলাম বলেন, "আমাদের ক্যাম্পাসে একটি ডিবেটিং ক্লাব প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে আসছি। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের পর আহবায়ক কমিটি থেকে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করতে পারায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমাদের লক্ষ্য থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও বিতর্ক চর্চাকে ত্বরান্বিত করা এবং রাবিপ্রবির বিতর্ক চর্চাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা সর্বদা বদ্ধ পরিকর।"
কার্যনির্বাহী পর্ষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন, সহসভাপতি (প্রশাসন) পদে সঞ্চিতা চক্রবর্তী, সহসভাপতি (বিতর্ক) পদে মায়মূনা মুসাররাত তাসফিয়া, বিতর্ক সমন্বয়ক(বাংলা বিতর্ক) পদে সাহেদুল মারুফ, বিতর্ক সমন্বয়ক(ইংরেজি বিতর্ক) পদে নকিবুল আবছার শাওন, কোষাধ্যক্ষ পদে ফাইরুজ মেহেদী দীপান্বীতা, সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদক পদে ইফতেখার নাহিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে চন্দ্রিমা চান্দ্রেয়ী ও আমাতুল্লাহ ফারাবী ঈশা।
উল্লেখ্য,রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও একমাত্র বিতর্ক সংগঠন রাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি রাবিপ্রবিতে বিতর্ক চর্চা করার জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক চর্চাকে আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে গঠন করা হয়। এরপর, সংগঠনের মৌলিক ভিত্তি তৈরি করার লক্ষ্যে গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১ম আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। রাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও যৌক্তিক মানুষ তৈরির শক্তিশালী প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির লালন, ধারণ, অগাধ শ্রদ্ধা ও অসীম দেশপ্রেম সংগঠনের সঞ্জীবনী শক্তি। এই সব প্রত্যয় ও প্রচেষ্টাকে আরও বিশদভাবে ও নিপুনভাবে রাবিপ্রবি তথা পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে রাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি।
মন্তব্য