ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিকের সুযোগ নেই: পরিবেশ উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
২৩ মে, ২০২৫ ১৪:১৩
অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিকের সুযোগ নেই: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীতে একটি প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি যে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটা সময় দিয়েছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ হওয়া উচিত নয়।

ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি—ওটা আপনারা ওনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।

চাপের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ধরুন, প্রত্যাশার একটা চাপ হচ্ছে যে আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি না। আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ নেই।

তিনি আরও বলেন, আপনি এখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন—সচিবালয় থেকে যমুনা—যেতে পারবেন না, রাস্তা বন্ধ। কেন রাস্তা বন্ধ? এরকম অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়। চাপ হচ্ছে আমাদের নিজেদের পারফরম্যান্সের। আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি পারছি না।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্ব থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আমরা যদি না পারি, আমাদের যার যার নিজস্ব কাজ আছে, সেখানে ফিরে যাবো। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্বে থাকাটা আর প্রাসঙ্গিক থাক থাকলো কি না?

আপনারা কী দায়িত্ব পালন করতে পারছেন? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। সংস্কার কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই প্রতিবেদনের ওপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল সেখানে পার্টিসিপেট করছে। এটা কি পারা না? এটাতো পারা। আমরা একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বলে দিয়েছি যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে সেটাও একটা পারা। বিচার ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল এখন দুইটা হয়েছে, আগামীকাল থেকে ট্রায়ালার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, কিন্তু জিনিসগুলা স্মুথ যেতে হবে। এগুলোতে কোনো রকমের প্রতিবন্ধকতা না আসে, সেটা প্রথম থেকে একটা আহ্বান ছিল। এই কাজগুলো আমরা সঠিক প্রক্রিয়াতে শেষ করতে চাই। 

‘গতকালকে আমাদের মিটিংয়ের পর অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। মোটা দাগে আমাদের দায়িত্ব তিনটা। তিনটায় কঠিন কঠিন দায়িত্ব। একটা দায়িত্ব হচ্ছে সংস্কার, আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে বিচার, আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্ব নেইনি।’

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত দাবি আছে সবগুলো নিয়ে রাস্তায় বসে যাচ্ছে। রাস্তা আটকে দিচ্ছে, একদম ঢাকা শহর অচল করে দিচ্ছে। সে অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কি না? আমরা আগেও বলেছি আমরা ক্ষমতার নেইনি দায়িত্বে আছি। এই দায়িত্ব পালন করা তখনই আমাদের জন্য সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাব। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা আরেক। আমরা চিন্তা করেছি আসলে দায়িত্ব পালন করতে পারছে কি না।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৩ মে, ২০২৫ ১৩:৩০
    অনলাইন ডেস্ক
    প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তার ক্ষমতা প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনূসের প্রয়োজন আছে।

    শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেইজে প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন।

    সেই সঙ্গে তিনি সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে নিয়মিত আলোচনা বসতে, তাদের মতামত নিতে এবং কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ফয়েজ আহমদ।

    ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ফেসবুক পোস্টটি যুগান্তর পাঠকদের হুবহু তুলে ধরা হলো-

    প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না

    ‘অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এর ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যার এর দরকার আছে।

    বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরো বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।

    বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। 

    আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোন ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। 

    পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোন সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

    সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে'র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এসময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ।

    জুলাই-আগস্ট'২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। 

    ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না। 

    ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

    প্রসঙ্গত, গত দুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, অধ্যাপক ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন। এই গুঞ্জন নাকচ করে দিলেন তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ। 

    মন্তব্য

    রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই

    অনলাইন ডেস্ক
    ২২ মে, ২০২৫ ১২:৩২
    অনলাইন ডেস্ক
    রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই

    বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

    বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে, ইশরাক হোসেনকে শপথ দিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

    আদালতে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।

    এর আগে, বুধবার (২১ মে) বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিন ধার্য করা হয়।

    গত ১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।

    হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী।

    ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

      আমি বিদেশি হলে তারেক রহমানকেও বিদেশি নাগরিক বলতে হয়

      অনলাইন ডেস্ক
      ২১ মে, ২০২৫ ১৮:৫২
      অনলাইন ডেস্ক
      আমি বিদেশি হলে তারেক রহমানকেও বিদেশি নাগরিক বলতে হয়

      অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ব‌লে‌ছেন, কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি বলে যদি আমাকে বলা হয়, আমি বিদেশি নাগরিক, তাহলে তারেক রহমান সাহেবকেও সেই কথা বলতে হয়।

      বুধবার (২১ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকা‌ডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা ব‌লেন তি‌নি।

      নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব‌লেন, আমার একটাই নাগরিকত্ব, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব। আমি এখানে আসার আগে আমার পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি। কিন্তু আমার যুক্তরাষ্ট্রের কোনও পাসপোর্ট নেই। বাংলাদেশ ছাড়া আমার অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব নেই।

      খলিলুর রহমান বলেন, কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছি বলে যদি আমাকে বলা হয়, আমি বিদেশি নাগরিক, তাহলে তারেক রহমান সাহেবকেও সেই কথা বলতে হয়। আমি আবেদন করব যে, আপনারা বুঝেশুনে কথা বলবেন। আমাকে যদি ঢিল নিক্ষেপ করেন, তাহলে সেটা কিন্তু অন্যের ওপর গিয়েও পড়তে পারে। আমি যেটা নই আমাকে সেটা বানাবেন না, প্লিজ।

      তি‌নি ব‌লেন, পারলে প্রমাণ করেন, আদালতে গিয়ে প্রমাণ করেন। আমার তো একটা অধিকার আছে বাংলাদেশি হিসেবে। সেই অধিকারকে যদি সম্মান না দেন সেটা খুব দুঃখজনক হবে। এগুলো বন্ধ করুন।

      সম্প্রতি খুলনায় এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সরকারপ্রধানের উদ্দেশে বলেছেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আপনি বিদায় করুন। হয় তিনি নিজে পদত্যাগ করবেন, না হলে আপনি তাকে বিদায় করবেন।

      সালাহউদ্দিন আহমদ ব‌লে‌ছি‌লেন, এ দেশের নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো জাতীয় দায়িত্ব বিদেশি কোনো নাগরিকের হাতে থাকতে পারে না। এই নাগরিক ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য। আমরা তা হতে দেব না।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছে মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদ

        অনলাইন ডেস্ক
        ২১ মে, ২০২৫ ১৮:৪০
        অনলাইন ডেস্ক
        ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছে মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদ

        দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও থানা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য সেবা খাতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। 

        এ বিষয়ে গতকাল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। 

        স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুজিৎ দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক স্মারকে গতকাল ২০ মে মঙ্গলবার এ প্রস্তাব পাঠানো হয়।

        স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদসমূহ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বর্ণিত পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের জন্য মতামত প্রদান করেছে।

        সেই প্রেক্ষিতে, মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হলো।

        সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও মেডিকেল অ্যাসিসটেন্টদের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল বাড়ানোর প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল বাড়ানোর পর থেকেই তারা এ দাবি করে আসছেন।

        অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড পদমর্যাদার দাবি আলোচনায় এসেছে। এ নিয়ে গত ২ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এলে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রায় দুই দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

        বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, ১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ৩ জন নার্স ও ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। দীর্ঘ ১৪ বছরেরও অধিক সময় প্রশাসনিক জটিলতায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, সরকারি চাকরিতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা মাত্র ৪ হাজার ১০৬ জন ও মোট পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৫টি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭ হাজার ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট কর্মরত রয়েছেন।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত