ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫ ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিলে সরকারকে সহযোগিতা করা কঠিন হবে

অনলাইন ডেস্ক
২২ মে, ২০২৫ ১৯:৫৩
অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বরে নির্বাচন না দিলে সরকারকে সহযোগিতা করা কঠিন হবে

চলতি বছরের মধ্যেই নতুন জাতীয় সংসদ গঠনের লক্ষ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এর অন্যথায় সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। 

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এটিই প্রধান দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।

লিখিত বক্তব্যে ড. মোশাররফ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অগণতান্ত্রিক বর্বর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা, বৈষম্যহীন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্নপূরণের জন্য এ দেশের মানুষ অপেক্ষমাণ।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হয়েছে, বিজয়ী হয়েছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, কিন্তু গত সাড়ে ৯ মাসে জনপ্রত্যাশা বা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু এর মধ্যে পূরণ হয়েছে তা একটি বিশাল প্রশ্নের সম্মুখীন। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। অথচ আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি এই ঐক্যকে বজায় রেখে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখার কথা ছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বক্তব্য আমরা বারবার উচ্চারণ করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে বিতর্কিত কয়েকজন উপদেষ্টা যাদের বক্তব্যে এবং কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এমন বিতর্কিত উপদেষ্টাদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা তুলেছিলাম। অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। অথচ সরকারের মুখপাত্র হিসাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন- ‘এই সরকারের সবকিছু করার ম্যান্ডেট রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, মানবিক করিডোর এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কিনা সেটা সর্বাগ্রে বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এছাড়াও এমন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী সরকারের আছে বলে এ দেশের জনগণ মনে করে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট স্পর্শকাতর ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে যাতে দেশে অস্থিতিশীল কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত কেবল জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার কর্তৃক জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হওয়াই সমীচীন।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ  ও পরোক্ষভাবে  জড়িত বলে সবাই জানে ও বুঝে; উপদেষ্টা পরিষদে তাদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয় নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাদের অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন। 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার গতকালকের (বুধবার)  বক্তব্য আবারও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাকে অব্যাহতি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোসর কয়েকজন উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি আমরা ইতোপূর্বে অনেকবার উত্থাপন করেছি।

তিনি আরও বলেন, একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এই সরকারের প্রধান কাজ, তাই মাথাভারী উপদেষ্টা পরিষদ না রেখে শুধুমাত্র রুটিন ওয়ার্ক (দৈনন্দিন কার্যক্রম) পরিচালনার জন্য একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাখাই বাঞ্ছনীয়।

তিনি বলেন, জুলাই-ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিগগিরই জনআকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই, আমরা একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা ইশরাকের

    অনলাইন ডেস্ক
    ২২ মে, ২০২৫ ১৭:৩৪
    অনলাইন ডেস্ক
    ৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা ইশরাকের

    বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলন আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকরাইল মসজিদের সামনে সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে ইশরাক হোসেন নিজেই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

    ইশরাক হোসেন বলেন, 'আজকের হাইকোর্টের আদেশের পর আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত আমরা আন্দোলন স্থগিত রাখব। সরকারকে আগামী ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে যে তারা কী করে।'

    তিনি আরও বলেন, 'তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী নির্দেশনা আসবে।'

    'একটা জিনিস স্পষ্ট বলতে চাই যে, রায়ের বিষয় শপথের বিষয় আলাদা। আর প্রথম যে দাবি করেছিলাম ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করতে হবে, সেটা কিন্তু পরিবর্তন হবে না,' বলেন তিনি।

    গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করেন এবং ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন।

    নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।

    ডিএসসিসি এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশীদ ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করে ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।

    হাইকোর্টে এ রিট করার পর ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা নগর ভবন অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন এবং তাকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রিট খারিজ করে দেন। এতে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোতে আর বাধা রইল না।

    ইশরাক হোসেন বলেন, 'হাইকোর্টে একটি রিট করে আমাকে মেয়র পদের শপথ গ্রহণ করানো থেকে বাধাগ্রস্ত করানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সবশেষে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।'

    'আমরা আশা রাখব যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আর একদিনও কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তাদের আগামী দিনের এজেন্ডা জনগণের কাছে ফুটিয়ে তুলে ধরবে,' বলেন তিনি।

    বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'সরকার যদি আবার টালবাহানা করে তাহলে কাল সকালেই আবার আমরা এখানে এসে আন্দোলন করব।'

    তিনি আরও বলেন, 'আপনারা জানেন আমাদের এই কর্মসূচির কারণে চরম জনভোগ সৃষ্টি হয় এবং জনগণ দুর্ভোগে পড়ে। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাফিকে তারা আটকে থাকে। এর জন্য আমরা ঢাকার সাধারণ জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।'

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ব্যারিকেড ভেঙে ইসির মূল গেটের সামনে এনসিপির নেতাকর্মীরা

      অনলাইন ডেস্ক
      ২১ মে, ২০২৫ ১৪:২৫
      অনলাইন ডেস্ক
      ব্যারিকেড ভেঙে ইসির মূল গেটের সামনে এনসিপির নেতাকর্মীরা

      পুলিশের কাঁটাতারের ব্যারিকেড ভেঙে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মূল গেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের থামিয়ে দেয়।

      বুধবার (২১ মে) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তায় পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে ইসির মূল গেটের সামনে চলে আসেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। তারা গেট অতিক্রম করে ভবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের থামিয়ে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা মূল গেটের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন। 

      এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।

       

      dhakapost

      বিক্ষোভ সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন এনসিপির কলাবাগান থানার প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ।

      এদিকে, এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনের আশপাশে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

      বুধবার সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা রক্ষায় কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। ভবনের সামনের রাস্তায় দেওয়া হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।

      সেখানে পুলিশের পাশাপাশি কোস্ট গার্ড, বিজিবি, র‌্যাব ও সেনাসদস্যদের রয়েছে সতর্ক উপস্থিতি।

      মন্তব্য

      উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন ইশরাক

      অনলাইন ডেস্ক
      ২১ মে, ২০২৫ ১২:৫৪
      অনলাইন ডেস্ক
      উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন ইশরাক
      উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ছবি: সংগৃহীত

      উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

      বুধবার (২১ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি জানান তিনি।

      ওই পোস্টে ইশরাক লেখেন, গণতান্ত্রিক ভাষায়, রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে যৌক্তিক কারণে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। যেহেতু এটা প্রতীয়মান যে আপনারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, হয়ত আগামীতে সরাসরি যুক্ত হবেন। এবং এটাও অনেকটা স্পষ্ট আপনারা নির্বাচন করবেন। তাহলে আপনাদের পদত্যাগের দাবি কি অযৌক্তিক? নাকি এটাই সঠিক পদক্ষেপ হবে এবং আপনাদের নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের অবসান ঘটবে।

      আপনাদেরই নাহিদ ইসলাম যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছে সেটাই অনুসরণ করুন। উনি চাইলে হয়ত আরও কিছুদিন মন্ত্রিত্ব করে তারপর এনসিপিতে যেতে পারতেন। একটা সময় ছিল সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহরা জোরালোভাবে দাবি করলে ওনারাও হয়ত মন্ত্রিত্ব নিতে পারতেন। কিন্তু তারা রাজনীতি করবেন বলে সেই কর্মপন্থা বেছে নিয়েছেন। হয়ত একদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে পূর্ণাঙ্গভাবে মন্ত্রীর দায়িত্ব, ক্ষমতা ও সম্মান আবার পাবেন।

      dhakapost

      আপনারা পদত্যাগ করলে বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতার ইমেজই বৃদ্ধি পাবে। এখনও মনে করি সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দলীয় ও সাংগঠনিক কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে দেশ ও জনগণকে আপনারা আরও ভালো কিছু দিতে পারবেন।

      আর ক্ষমতা ধরে রাখলে আপনাদের দলের লোকজনকে বিশেষ সুবিধা দিতেই হবে, এটা থেকে বিরত থাকার বা শতভাগ নিরপেক্ষ থাকার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা অথবা ক্ষমতা আপনাদের নাই। কারোরই থাকে না। কাঁঠাল ভাঙবে আপনাদের মাথায়, খাবে কিন্তু অন্য সবাই।

      এখন নিশ্চয়ই বলবেন বা ভাববেন ক্ষমতার লোভে অবৈধ মেয়র হওয়ার জন্য দিনের পর দিন আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়ে জনভোগান্তি তৈরি করে নিজেকে সাধু বানিয়ে আমাদের নীতিবাক্য শোনাচ্ছেন, তাই না? আমি নিজেও কি কম সমালোচনার শিকার হয়েছি এটি করতে গিয়ে? কিন্তু আমার আর কোনো উপায় ছিল না। আপনাদেরকে যে ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে সেটা জনগণকে বোঝানো দেশের জন্য প্রয়োজন ছিল। এবং আজ অবধি আমাকে বাধা দেওয়ার কাজটি যৌথ সিদ্ধান্তে হচ্ছে, এটা মিনিমাম রাজনৈতিক বোধ সম্পন্ন মানুষ বোঝে।

      কিন্তু আমি বলব এটা ছিল ওনাদের ভুল পলিসি, ব্যবহার হলেন আপনি আসিফ ভূঁইয়া। আইন-আদালত মেনে নিতে না পারলে কোথা থেকে দেশ সংস্কার শুরু হবে? তারপর যত ইচ্ছা সমালোচনা করতেন, দেখতেন আসলে কি করি। এখন পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া আমাকে সম্পন্ন করতেই হবে।

      বন্দোবস্ত তো আগেরটাই অনুসরণ হচ্ছে। আরও পাকাপোক্ত করা হচ্ছে বললেও ভুল হবে না। আপনাদের পদত্যাগের দাবি থেকে সরার কোনো সুযোগ নাই। আপনারাই বা কেন থাকতে চাচ্ছেন?

      মন্তব্য

      নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক

      অনলাইন ডেস্ক
      ২০ মে, ২০২৫ ২১:৪৫
      অনলাইন ডেস্ক
      নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক

      নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামীকাল সকাল ১১টা বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।

      মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

      তিনি বলেন, অনতি বিলম্বের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। এই দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য
        সর্বশেষ সংবাদ
          সর্বাধিক পঠিত