ভারতের বিধিনিষেধ আমাদের জন্যে আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, স্থলপথে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে ভারতের বিধিনিষেধ আমাদের জন্যে আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ।
উপদেষ্টা তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সাময়িক হয়তো কিছু ক্ষতি হবে, তবে দীর্ঘ মেয়াদে আমরা মনে করি, এটি আমাদের আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ।’
সাভারে জাতীয় যুব ইন্সটিটিউটে যুব সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
স্থলপথে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে ভারতের বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এটি আমাদের আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ।
অপর এক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, স্টারলিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষত দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলো-যেখানে এখনো অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পৌঁছায়নি-সেখানেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ট্রেনের ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু আজ

আগামী ৭ জুনকে পবিত্র ঈদুল আজহার দিন ধরে আজ ট্রেনের আসনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই যাত্রা সহজ করতে আজ বিক্রি করা হবে প্রথমদিনের (৩১ মে) ট্রেনের আসন। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
বুধবার (২১ মে) সকাল ৮টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আর দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
এবার শুধু ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর জন্য আসন নির্ধারিত রয়েছে ৩৩ হাজার ৩১৫টি। ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কর্মপরিকল্পনার তথ্য মতে, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মে’র টিকিট বিক্রি হবে ২১ মে; ১ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২২ মে; ২ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২৩ মে; ৩ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২৪ মে; ৪ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২৫ মে; ৫ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ২৭ মে।
আরও পড়ুন
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে সাত দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করা হবে। এসময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী চারটি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে সংগ্রহ করতে পারবেন।
দ্রুত নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বুধবার (২১ মে) চিঠি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ৪৩ সিনেটর ও এমপি।
মোটা দাগে তিনটি ইস্যুকে সামনে আনা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- জরুরি ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, জুলাই অভ্যুত্থানের ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার করা এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ভেঙে ফেলা।
এসব কাজ করতে বিলম্ব বা অস্পষ্টতা কেবল জনসাধারণের অবিশ্বাসকে আরও গভীর করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা আপনার নেতৃত্বকে সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক বৈধতা পুনরুদ্ধারের দিকে এই অপরিহার্য পদক্ষেপকে সমর্থন করার জন্য আমরা গঠনমূলকভাবে জড়িত হতে প্রস্তুত। ই-মেইল বার্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে, যা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হক নিশ্চিত করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কালবেলার হাতেও এসেছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে- আমরা, নিম্নস্বাক্ষরকারী অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর এবং সংসদ সদস্যরা, ‘নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন করার জন্য আমাদের প্রত্যাশা ভাগাভাগি করতে চাই। সেজন্য অবিলম্বে নির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রদান, জুলাই অভ্যুত্থানের ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রদান এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচারকে সমর্থন করার জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা বলেন, গত বছর জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের জনগণের দেখানো সাহসিকতা এবং সাহসকে স্বীকৃতি জানাই। এটি আপনার প্রশাসনকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার এবং শাসনব্যবস্থার উপর জনসাধারণের আস্থা পুনর্নির্মাণের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের সিনেটর ও এমপিরা বলেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা এবং একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনি প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের গত তিনটি নির্বাচনে একটি স্থিতিশীল, গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় বৈধতা ছিল না। নির্বাচনি অখণ্ডতা পুনরুদ্ধার এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য আমরা আপনার সরকারকে অনুরোধ করছি :
আরও পড়ুন
‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অবাধ, সুষ্ঠু এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের জন্য একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশ সম্প্রদায় আমাদের জানিয়েছে যে, তারা আশা করে, এই ক্যালেন্ডার বছরে এটি ঘটবে এবং সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। নির্বাহী ব্যবস্থার ব্যবহার এবং অযাচিত প্রভাব বা দমন রোধ করতে হবে।’
ড. ইউনূসকে নিয়ে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আমরা আশা করি বাংলাদেশ এই পরিবর্তনগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে, আপনার সম্প্রদায়কে ক্ষমতায়ন করবে এবং বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের বন্ধু এবং অংশীদার হিসাবে তার ন্যায়সঙ্গত স্থান গ্রহণ করবে। বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মতো আমরাও বাংলাদেশের ছাত্র এবং সাধারণ নাগরিকদের সাহসিকতা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি যারা জুলাই বিপ্লব ঘটাতে পেরেছিলেন। তবে, এই বিজয় এসেছে বিশাল মানবিক মূল্যে।
আরও বলা হয়- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, রয়টার্স এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদনগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, বিগত সরকারের বছরের পর বছর ধরে নির্মম দমনে হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আমরা একাধিক আবেদন পেয়েছি। আমরা অনুরোধ করছি যে, আমরা আপনার সরকারকে স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং বিচারের মাধ্যমে অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার অপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করার জন্য অনুরোধ করছি। তারা ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য সত্য, ন্যায়বিচার এবং ক্ষতিপূরণের একটি প্রক্রিয়াও দাবি করেছে। আমরা এই আহ্বানের শক্তি এবং মানবিকতা স্বীকার করি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অবিলম্বে ভেঙে ফেলা প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়, মানবাধিকার পর্যালোচনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতনসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ২০০৯ সাল থেকে র্যাব কর্তৃক ২,৬৯৯ জনেরও বেশি মানুষকে বেআইনিভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং বাহিনীটি সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সাথে কাজ করেছে, মতবিরোধকে চুপ করিয়েছে এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের লক্ষ্য করে কাজ করেছে।
আমরা র্যাবের নেতৃত্বের উপর মার্কিন সরকার কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলোকে সমর্থন করে উল্লেখ করেছি এবং আমরা অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। আবারও আমরা লক্ষ্য করছি অস্ট্রেলীয় বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আপনার প্রশাসনের কাছে র্যাব ভেঙে ফেলার এবং এর শিকারদের ন্যায়বিচার প্রদানের অনুরোধ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে আরও বলা হয়, আমরা আপনার প্রশাসনকে অবিলম্বে এবং জনসমক্ষে একটি নির্দিষ্ট, সময়সীমাবদ্ধ নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য এটি একটি জরুরি এবং আলোচনার অযোগ্য পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের যেসব সিনেটর ও এমপি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন- সিনেটর লারিসা ওয়াটার্স, সিনেটর ডেভিড শোব্রিজ, সিনেটর জর্ডন স্টিল-জন, সিনেটর ফাতিমা পেম্যান, সিনেটর লিডিয়া থর্প, সিনেটর পেনি অলম্যান-পেইন, সিনেটর মেহরিন ফারুকি, সিনেটর স্টেফ হজগিন্স-মে, সিনেটর বারবারা পোকক, সিনেটর পিটার হুইশ-উইলসন, সিনেটর, ডোরিন্ডা কক্স, সিনেটর নিক ম্যাককিম, সিনেটর সারা হ্যানসন-ইয়ং, এলিজাবেথ ওয়াটসন-ব্রাউন এমপি, অ্যাবিগেল বয়েড (এনএসডব্লিউ এমএলসি), আমান্ডা কোহন, ক্যাথরিন কোপসি, (এমএলসি), সু হিগিনসন (এনএসডব্লিউ এমএলসি), কেট ফেহরম্যান (এনএসডব্লিউ এমএলসি), আনাসিনা গ্রে-বারবেরিও (এমএলসি), আইভ পুগলিয়েলি (এমএলসি), ড. সারাহ ম্যানসফিল্ড (এমএলসি), ব্র্যাড পেটিট (এমএলসি), জেনি লিওং (এনএসডব্লিউ এমপি), তামারা স্মিথ (এনএসডব্লিউ এমপি), কোবি শেট্টি, (এনএসডব্লিউ এমপি), টিম রিড এমপি, এলেন স্যান্ডেল এমপি, মাইকেল বার্কম্যান এমপি, গ্যাব্রিয়েল ডি ভিয়েট্রি এমপি, ড. রোজালি উডরাফ এমপি, তাবাথা ব্যাজার এমপি, সিসিলি রোজল এমপি, ক্যাসি ও’কনর এমএলসি, ভিকা বেইলি এমপি, হেলেন বার্নেট এমপি, শেন র্যাটেনবারি এমএলএ, অ্যান্ড্রু ব্র্যাডক এমএলএ, জো ক্লে এমএলএ, লরা নাটাল এমএলএ, রবার্ট সিমস এমএলসি এবং ড. মাইক ফ্রিল্যান্ডার এমপি।
উপদেষ্টাদের জন্য ২৫ গাড়ি কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল সরকার

উপদেষ্টা বা মন্ত্রী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি গাড়ি কেনার প্রস্তাবে ফিরিয়ে দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ গাড়ি কেনার জন্য নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা অনুমোদন দেয়নি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে মোট প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়নি। বাকি দুটি প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে এবং একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি।
আরও পড়ুন
সূত্রটি জানায়, বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা/মন্ত্রী ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য ২৫টি গাড়ি পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখ করা মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে ক্রয়ের জন্য নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়। তবে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়নি।
নির্বাচন কমিশনের ৪০৬ কোটি টাকার ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কিনবে সরকার

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকার ‘ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড’ ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং সার্ভিসেস (আইডইএ) (২য় পর্যায়) ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে জিডি-১৬ এর অংশ প্যাকেজ নং-জিডি-১৬.১ এর আওতায় 'ব্লাংক স্মার্ট কার্ড' ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
ক্রয় কার্য পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্লাংক কার্ড ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকা।
মন্তব্য