ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

এ সপ্তাহে নির্বাচন কর্মপরিকল্পনার চূড়ান্ত রোডম্যাপ : ইসি সচিব

অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১২
অনলাইন ডেস্ক
এ সপ্তাহে নির্বাচন কর্মপরিকল্পনার চূড়ান্ত রোডম্যাপ : ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন কর্মপরিকল্পনার চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে।


সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে চলতি সপ্তাহেই। সীমানা নির্ধারণের ৮২টি আসনের বিপরীতে ২৪ আগস্ট থেকে শুনানি শুরু হয়ে চলবে চারদিন ধরে।তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্র বাড়ছে না। তবে তিন হাজার জন ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র থাকবে। একটি বুথে ৫০০ এর জায়গায় ৬০০ করে ভোটার থাকবে।


২২টি রাজনৈতিক দলের তদন্তের জন্য মাঠপর্যায়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

এনআইডি সংশোধন প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এনআইডি সংশোধনের জন্য দেওয়া যে আবেদনগুলো প্রাথমিকভাবে বাতিল হয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে এ ধরনের আপিলের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। ইসি মনে করে, যদি ডাটা এন্ট্রি আরও নিখুঁত হয়, তাহলে আপত্তির সংখ্যা আরও কমে আসবে।

ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ স্ক্যানের বিষয়ে আখতার আহমেদ জানান, ২০০৮ সাল থেকে যে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তার অনেকগুলো ফর্ম এখনও স্ক্যান করা বাকি। সেই ফর্মগুলো স্ক্যান করে কমিশনের পোর্টালে আপলোড করার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে তথ্যভান্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো উদ্বেগ নেই বলে কমিশন জানিয়েছে। সবার নিজস্ব কাজ গুছিয়ে নিলেই হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত। মাঠ প্রশাসন নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের দায়িত্ব পালন করছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজের ক্ষেত্রে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যাতে শেষ মুহূর্তে কোনো ধরনের হুড়োহুড়ি বা সমস্যা না হয়।









প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:৭
    অনলাইন ডেস্ক
    মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

    রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


    সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) খান মো. এরফান তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

    রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহারনামীয় ১ নং আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট, আজ্ঞাবহ হয়ে মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে মো. নাসির উদ্দিন সাথীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার এমন উসকানিমূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণে মামলার ডিসিষ্ট আসাদুল হক বাবু মৃত্যুবরণ করে বলে তদন্তে প্রকাশ পায়। নাসির উদ্দিন সাথী মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে মহান সাংবাদিকতার পেশায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ও দায়িত্বে থেকে তার অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দলীয় এবং ব্যক্তিগত হীনস্বার্থে তদানীন্তন আওয়ামী সরকারককে আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দলমতকে প্রত্যাখান করে উদ্দেশ্যমূলক হিংসাত্মক এহেন কার্যক্রম সংগঠিত করায় মামলার প্রকৃত ঘটনা, অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরিচয় শনাক্তকরণ ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে রোববার গুলশান থেকে নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন আসাদু। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন।

    এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় নাসির উদ্দিন ২২ নাম্বার এবং তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নাম্বার এজাহারনামীয় আসামি।


    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করতে ২৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:৫
      অনলাইন ডেস্ক
      তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করতে ২৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম

      কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করতে সরকারকে ২৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে জুলাই রেভল্যুশনানি অ্যালায়েন্স (জেআরএ)। সংগঠনটির জানিয়েছে, আফ্রিদি শুধু বর্তমান সরকারের সময়কালের নয়, ১৫ আগস্টের আওয়ামী লীগ ক্যাম্পেইনের সময়ও অর্থ সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।

      রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে জেআরএ-এর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এবং ডিএমপি কমিশনার মহোদয়, জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পুনাব) এবং জুলাই ঐক্যসহ অন্যান্য জুলাইয়ের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আফ্রিদিকে গ্রেপ্তারের জন্য আর মাত্র ২৬ ঘণ্টা বাকি। আফ্রিদি বাংলাদেশেই আছে। এই ছবিটি গতকালের। কোনো নাটক চলবে না, সোজাসাপ্টা গ্রেপ্তার করতে হবে।


      গ্রেপ্তারের এই আলটিমেটাম নিয়ে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

      এদিকে রোববার তৌহিদ আফ্রিদির বাবা মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।



      বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় নাসির উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।



      গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি এবং শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। মামলাটি করেন মো. জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে। আসামির তালিকায় ২ নম্বরে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ৩ নম্বরে সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

      মামলায় ১১ নম্বর আসামি তৌহিদ আফ্রিদি এবং ২২ নম্বর আসামি তার বাবা নাসির উদ্দিন সাথী। এ হত্যা মামলায় মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।





      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বিভিন্ন দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নেপথ্যে

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫৭
        অনলাইন ডেস্ক
        বিভিন্ন দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নেপথ্যে

        বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মৌখিক নির্দেশে এমনটি করেছে দূতাবাসগুলো। হঠাৎ সিটিং রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে— এই নির্দেশনা কোত্থেকে এলো। কোনো মৌখিক সিদ্ধান্তে দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি সরানো যায় কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 


        জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ রাষ্ট্রপতির ছবি নামানোর এই নির্দেশের কারণ কী তা সরকারের তরফে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি নামানো হয়। তবে এই ব্যাপারে কোনো লিখিত নির্দেশনা জারি করেনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমন্বয়হীনতা দৃশ্যমান।


        ছবি সরানোর বিষয়ে একজন উপদেষ্টার আগ্রহের বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন।


        এদিকে মৌখিক নির্দেশনা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। নানা রকমের গুজবও ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে বিধিবিধান উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি হলে অনেক অস্পষ্টতা ও বিতর্ক এড়ানো যেত।


        এদিকে রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে এমন কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনকে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। রোববার রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, সরকারি দপ্তরে পোট্রেট ব্যবহার শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার নিরুৎসাহিত করছে। অলিখিতভাবে জিরো পোট্রেট নীতি বজায় রেখেছে। তারপরও কেউ কেউ সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি নিজ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করেছে। সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে এমন কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনকে দেওয়া হয়নি। তারপরও দেখা যাচ্ছে আজ এটা নিয়ে বাজার গরম করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার পর রাজনীতি নিয়ে ঘোঁট পাকানোর সুযোগ কমে আসছে। কাটতি ধরে রাখার জন্য ছোটখাটো অনেক বিষয়কেও এখন তাই পাহাড়সম করে তোলা হচ্ছে।


        তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা রোববার বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ছবি বাংলাদেশের মিশন থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য অনেক আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মৌখিক নির্দেশনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়। এর আলোকে মিশনগুলো থেকে ছবি সরানো হয়েছে।’ 


        এত বড় সিদ্ধান্ত কেন মৌখিকভাবে দেওয়া হলো জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো কথা না বলাই ভালো।’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনেক আগে ছবি সরানোর নির্দেশনা দিলেও এত পরে কেন সরানো হলো সে বিষয়ে কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি। 



        রিজওয়ানা হাসান অবশ্য সচিবালয়ের দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ছবি নামানোর বিষয়টি তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। উপদেষ্টা এও বলেন যে, রাষ্ট্রপতির ছবি নামানোর কারণে নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

        তবে সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড সফরে গিয়ে জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রপতির ছবি টানানো দেখতে পান। তখন তিনি ক্ষোভ প্রকাম করে মন্তব্য করেন, ‘বিষয়টি তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।’ তিনি দেশে ফেরার পরপরই দূতাবাসগুলোতে রাষ্ট্রপতির ছবি নামানোর মৌখিক নির্দেশনা বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে যায়। রিজওয়ানা হাসান অবশ্য সচিবালয়ের দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ছবি নামানোর বিষয়টি তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। উপদেষ্টা এও বলেন যে, রাষ্ট্রপতির ছবি নামানোর কারণে নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 


        এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার এক কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব যুগান্তরকে জানান, এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। এর বাইরে আর কোনো মন্তব্য তিনি করতে চাননি। 


        সিনিয়র কূটনীতিক ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অভ্যন্তরে সরকারি দপ্তরে এবং বিদেশে বাংলাদেশের মিশনে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের ছবি টানানো একটি প্রথা। এ বিষয়ে সাংবিধানিক কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টানানোর কথা বলা আছে। তবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানো কিংবা নামিয়ে ফেলার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দিয়ে থাকে। ২০০২ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় ছবি টানানো হয়। এবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছবি নামানোর মৌখিক নির্দেশনা দেওয়ার পর তা বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে মৌখিকভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৩২৮ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ

          টিআরসি রিপোর্ট
          ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২৭
          টিআরসি রিপোর্ট
          ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৩২৮ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ

          ১৮ বছর আগে বরখাস্ত হওয়া দেশের ৩২৮ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহারের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।


          একইসঙ্গে তাদের চাকরির সকল সুযোগ-সুবিধা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) এই বিষয়ে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।


          সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ছিল অসাংবিধানিক এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম ক্ষমতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।


          আদালতের মতে, একটি সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।


          ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, দেশের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত ৩২৮ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ ছিল, তারা দায়িত্ব পালনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব করেছেন।


          তবে দীর্ঘ সময়েও এসব অভিযোগের পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা সেই সময় থেকেই আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিলেন।


          তৎকালীন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। আদালত বলেন, এই কর্মকর্তারা কোনো ধরনের নিয়ম ভঙ্গ করেননি। তৎকালীন সময়ে প্রশাসনিকভাবে যেভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, তা ছিল অবৈধ ও অন্যায়।


          রায়ে আরও বলা হয়েছে, ওই বরখাস্ত আদেশে কোনো নিয়ম মানা হয়নি এবং বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক প্রভাবিত ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত