ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

কেন নিজের ওপর গুলি চালাতে বলেছিলেন শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক
২৭ মে, ২০২৫ ১৬:২২
অনলাইন ডেস্ক
কেন নিজের ওপর গুলি চালাতে বলেছিলেন শেখ হাসিনা

 

২০২৪ সালের ৫আগস্ট চারিদিকে উত্তাল ছাত্রজনতার আন্দোলনে কি হতে চলেছে কেউ কিচ্ছু জানে না। তবে ছাত্রজনতা এটুকু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজয় ছাড়া তাদের পিছু ওঠার সুযোগ নেই। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলাবেড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে রাস্তায় নেমে আসে লাখো জনতা। সবার গন্তব্য একটাই গণভবন। ঢেউের মত যখন মানুষজন রাস্তায় নেমে আসে তখন আর আওয়ামী লীগ সরকারের টিকে থাকার কোন পথ ছিল না। সব ফেলে দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পেছনে এক নাটকীয় ঘটনা ঘটেছিল—এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক শুনানিতে।

গত ২৫ মে রাজধানীর চানখাঁরপুলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানিতে তিনি জানান, ৫ আগস্ট সকালে গণভবনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বৈঠকে তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সেনাবাহিনীর পারফরম্যান্স নিয়ে শেখ হাসিনার মন্তব্যের জবাবে জানান, পুলিশের সক্ষমতা শেষ প্রান্তে, গোলাবারুদ ফুরিয়ে এসেছে এবং বাহিনী ক্লান্ত। তখন সামরিক কর্মকর্তারা তাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেন।

প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, এ সময় শেখ হাসিনা ক্ষোভে বলেন, “তাহলে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলো এবং গণভবনেই কবর দাও।”

পরে তাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে পুনরায় পদত্যাগের অনুরোধ জানানো হয়। ছোট বোন শেখ রেহানা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এমনকি একপর্যায়ে তার পা জড়িয়ে ধরেন। এরপর শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে কথা বলেন।

তাদের পক্ষ থেকে জয়কে বলা হয়, “মায়ের জীবন রক্ষার একমাত্র উপায় এখনই পদত্যাগ।” এই কথার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন এবং সেনাপ্রধানের জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন।

এই ঘটনাগুলো শুনানিতে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে উঠে আসে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    দলের পক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৭ মে, ২০২৫ ১৫:৫
    অনলাইন ডেস্ক
    দলের পক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির

    জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের আচারণে কষ্ট পেয়ে থাকলে দলের পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমা চান তিনি।

    সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে জামায়াতে ইসলামীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়ার পর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয় জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা মানুষ, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়।

    আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’

    তিনি আরো বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা দাবি করি না যে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী, সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, নিঃশর্ত ক্ষমা করে দেবেন।’

    এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায় প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাসের যে রায় দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হয়েছে সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না।

    মেঘের আড়াল ভেদ করে সত্যের আলো আসবেই আসবে।’

    শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে জামায়াতের শীর্ষ ৬ নেতাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমাদের নেতৃবৃন্দ ছিলেন ঈমানের বলে বলিয়ান। তারা বাতিলের কাছে মাথা নত করেননি।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৬ মে, ২০২৫ ২০:৪২
    অনলাইন ডেস্ক
    ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব

    অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    রোববার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ আয়োজিত বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত আগামীর ‘জাতীয় সরকার’ এর রূপরেখার ওপর নাগরিক ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এই প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

    সংগঠনের আহ্বায়ক মো. নাজিমুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন টাইমস ইউনিভার্সিটির বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. মো. জয়নুল আবেদীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএফ ফরমানুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. আলমগীর অপূর্ব, কাজী আমিনুল করিম। 

    অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদের সমন্বয়ক মো. সালাহ উদ্দিন কবির।

    জাতীয় সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করে নাজিমুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, ড. বদিউল আলম মজুমদারকে উপ-রাষ্ট্রপতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী এবং জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকারের রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পুনঃবণ্টন ও নতুন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন যারা তারা শুধুমাত্র প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হবেন। এর মধ্যে আনুপাতিক হারে বিএনপির ২৫ শতাংশ, জামায়াত ২০ শতাংশ, এনসিপি ১৫ শতাংশ, ইসলামী আন্দোলন ৫ শতাংশ, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ১০ শতাংশ, বাকি রাজনৈতিক দল থেকে ২৫ শতাংশ প্রতিনিধি জাতীয় সরকারে থাকবে। এই কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে বর্তমান সংস্কার কমিটিগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা নীতি প্রণয়ন করতে পারেন। আর একে রাষ্ট্র পরিচালনার ‘জাতীয় সনদ’ বলা যেতে পারে। জাতীয় সনদে বর্তমান সংবিধানে অপরিসীম প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীদের বণ্টনের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমতা আনয়ন করা হবে এবং স্বেচ্ছাচারী ও স্বেচ্ছাচারী মনোভাবমুক্ত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীয়করণ/সমতা আনা হবে। এজন্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানী, সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, বিশিষ্টজনসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণের মতামত গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।

    বক্তারা বলেন, জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণকর রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঐক্যবদ্ধ এবং সমবেত সরকার গঠন ও সুশাসনের নিশ্চিত প্রতিফলন। যেখানে জনগণের ইতিবাচক, কল্যাণকর সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এর ফল জনগণ উপভোগ করবে। এখানে শাসক কখনো শোষক হবে না। শাসক সবসময় জনগণের দ্বারা মনোনীত ও জনগণের সদিচ্ছার প্রতিফলনকারী হবেন। এখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পরিচালন নিশ্চিত হবে তথা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।এজন্য গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব শক্তির সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় সরকারের ওপর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে : তারেক রহমান

      অনলাইন ডেস্ক
      ২৬ মে, ২০২৫ ১৯:৫৮
      অনলাইন ডেস্ক
      মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে : তারেক রহমান

      মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

      গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

      তারেক রহমান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এ আন্তর্জাতিক সপ্তাহ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন।

      তিনি বলেন, আমাদের হিসেবে উল্লিখিত গুমের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি হবে। এদের মধ্যে অধিকাংশ এখনও নিখোঁজ, অনেকেরই মৃতদেহ পাওয়া গেছে আবার অনেকদিন পর কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটি বিগত আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমুনা। উল্লিখিত সংখ্যা গুম হয়ে যাওয়া পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট এর ভিত্তিতে, আর অনেক আতঙ্কিত পরিবারই রিপোর্ট করার সাহস পায়নি।

      তারেক রহমান বিবৃতিতে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের ১০/১৫ বছরেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। এছাড়াও গুমের শিকার হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষও। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকারবিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

      তিনি আরও বলেন, গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে আমি এই গুম হওয়া মানুষদের অসহায় পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। আর কোনো ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। আর যেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের মতো অমানবিক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।

      প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      এনসিপির কাউকে ভালো লাগলে ভোট দেবেন, না হলে দেবেন না : সারজিস

      অনলাইন ডেস্ক
      ২৬ মে, ২০২৫ ১৯:৫০
      অনলাইন ডেস্ক
      এনসিপির কাউকে ভালো লাগলে ভোট দেবেন, না হলে দেবেন না : সারজিস

      জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে নেতারা জনগণের পকেটে টাকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে বয়স্ক ভাতাসহ সব কিছু মেরে দিয়েছে। যাদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদের হাত ধরেই এসেছে এনসিপি। আগামী নির্বাচনে অন্ধ ভক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টির কাউকে ভালো লাগলে ভোট দেবেন না হলে দেবেন না।

      সোমবার (২৬ মে) দুপুর এনসিপির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার সকল উপজেলার পথসভা এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডোমার উপজেলার পথসভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

      সারজিস আলম বলেন, শেখ হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে ক্ষমতা ছাড়ার চিন্তাও না করে। আগামীতে আপনারা মার্কা দেখে ভোট না দিয়ে ভালো মানুষ দেখে ভোট দেবেন। সেই ব্যক্তি কোনো দলের হোক বা না হোক, তার মার্কা থাকুক বা না থাকুক, সে যদি মানুষ ভালো হয়, সে আপনাদের জন্য কাজ করবে। আর যে ব্যক্তি চাঁদাবাজি করবে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেবেন না। আপনারা প্রতিবাদ গড়ে তুলবেন, এই প্রতিবাদ জারি রাখবেন। না হইলে তারাও এক সময় আপনাদের গলা চেপে ধরবে। আপনারা চোখ কান খোলা রাখবেন, আপনাদের আশপাশে এখনো অনেক সিন্ডিকেট তৈরি হবে। অনেক মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। এই মানুষগুলোকে শুরুতে যদি প্রতিবাদ করে প্রতিহত না করেন এরাই আবার ধীরে ধীরে আপনাদেরকে জিম্মি করে ফেলবে।

      তিনি বলেন, নীলফামারীতে আগে জেলায় চাঁদাবাজি চলতো। এখন উপজেলায় চলে। অটো থেকে চাঁদাবাজি করা হয়, ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। পিকআপ থেকে চাঁদাবাজি করা হয়। এই অল্প কয়েকটি লোক সে যেই দলেরই হোক দেখার সময় নেই। সকলে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন।

      সারজিস আলম বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে এমন কোনো অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক কথা যেন না বলি। এখন সরকারে যারা আছে তারা সরাসরি কোনো দলের প্রতিনিধি না। তারা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শক্রমে সরকারে জায়গা করে নিয়েছে।

      নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে এটা কথা হতে পারে না। বরং কথা এটা হতে পারে যে নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হওয়ার জন্য সামগ্রিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করে বিচার এবং সংস্কার শেষে নির্বাচন হতে হবে।

      বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন বাণিজ্য সম্পর্কে সারজিস বলেন, আমরা দেখেছি আগে এমপিরা টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনত। তারা দলীয় প্রভাবে নির্বাচিত হত এবং জনগণের কথা চিন্তা না করে তার ওপরে যে নেতা তাকে তেল দিয়ে ও মেইনটেন করতে তার দিন যেত। কিন্তু জনগণের দিকে খেয়াল করার সময় পায়নি। এসব নেতারা নির্বাচনের আগে জনগণের পকেটে ৫০০/১০০০ টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে জনগণকে প্ররোচিত করত এবং নির্বাচনের পরে সকল সেবায় ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়েছে। তিনি আগামী নির্বাচনে দল মত না দেখে ভালো মানুষকে নির্বাচিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

      এর আগে তিনি ডোমার উপজেলা শহরে বৃষ্টিতে ভিজে গণসংযোগ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, সাদিয়া ফারজানা দিনা, আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবু সাঈদ লিওন প্রমুখ।

      প্রসঙ্গত, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চলমান জাতীয় রাজনীতিতে বিকল্প ধারার নেতৃত্ব প্রদানের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে। দলটি ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠন গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে। নীলফামারী জেলায় এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলে এনসিপির তৃণমূল পর্যায়ে জনসংযোগ এবং সাংগঠনিক তৎপরতা আরও জোরদার হবে বলে আশা করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য
        সর্বশেষ সংবাদ
          সর্বাধিক পঠিত