ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫ ১ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দিলো বাকৃবি ছাত্রশিবির

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২৮
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দিলো বাকৃবি ছাত্রশিবির

ইসলামী শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বাকৃবি) বিভিন্ন বর্ষের ৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাকৃবি শাখা। শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ প্রদান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান:২৪ এর 'দ্রোহ গাথা' শীর্ষক স্মারক গ্রন্থ উপহার দেওয়া হয়। 


শনিবার (১৬ জুলাই ) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিনি সম্মেলন কক্ষে ওই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। 


বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাকৃবি শাখা শিবিরের সভাপতি আবু নাসির ত্বোহা, সেক্রেটারি আব্দুল আল মঈন । এছাড়াও বাকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 


অনুষ্ঠানে শিবিরের কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, "শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, ইফতার মাহফিলসহ আমাদের যে সকল কর্মকান্ড আছে তা আমরা নতুন করে করছি না। বিগত ১৭ বছরেও আমরা এ সকল কর্মকান্ড করে এসেছি। কিন্তু স্বৈরাচারের আমলে সবথেকে বেশি জুলুমের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তাই আমরা আমাদের অনুষ্ঠানগুলো সল্প পরিসরে করার চেষ্টা করতাম। শুধুমাত্র শিবির করার অপরাধে এবং শিবির সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন করা হতো।


তিনি আরও বলেন, আমরা শহীদ ভাইদের রক্তকে কখনো বৃথা যেতে দিব না। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এখানে অঙ্গীকারবদ্ধ। নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছাত্ররা নিজেদের রক্ত দিয়ে দেশকে মুক্ত করেছে, সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষার্থীদের নিজেকে দেশ করার যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র শিবির এই যোগ্য মানুষ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে।"

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    হাসনাত-সারজিসসহ পাঁচ নেতার শোকজ প্রত্যাহার

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ২১:১৯
    অনলাইন ডেস্ক
    হাসনাত-সারজিসসহ পাঁচ নেতার শোকজ প্রত্যাহার

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজার সফরের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) প্রত্যাহার করা হয়েছে।


    শনিবার (১৬ আগস্ট) দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ-এর প্রতি পৃথক পাঁচটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে উল্লেখিত নেতৃবৃন্দ দফতর মারফত আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রদান করেন।


    শোকজের জবাব বিশ্লেষণে উপরোক্ত ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলার ব্যত্যয় না ঘটায় আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে উল্লেখিত শোকজ নোটিশসমূহ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে।


    উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট এনসিপির পাঁচ নেতার কক্সবাজার সফর নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরে নেতাদের শোকজ নোটিশ দেয় দল।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ছাত্রশিবিরে কেউ দখল–চাঁদাবাজির জন্য আসে না: নুরুল ইসলাম সাদ্দাম

      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২৬
      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ছাত্রশিবিরে কেউ দখল–চাঁদাবাজির জন্য আসে না: নুরুল ইসলাম সাদ্দাম

      ছাত্রশিবিরে কেউ লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা টেম্পুস্ট্যান্ড দখলের জন্য আসে না। এখানে যোগ দিয়ে এসব কাজ করা সম্ভবও নয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরে সবাই নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্যই আসে।


      শনিবার (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত "ফ্রেশার রিসিপশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডলাইন" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।


      তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানবিক মানুষ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এদেশের প্রকৃত অভাব যোগ্য ও সৎ নেতৃত্বের। ইসলামী ছাত্রশিবির সেই নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন সৎ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রশাসন বারবার ছাত্রশিবিরকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—ছাত্রশিবির কখনো শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ হবে না।”


      তিনি আরও বলেন, “ছাত্রশিবিরে কাউকে জোর করে যোগদান করানো আমাদের লক্ষ্য নয়। একজন সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ছাত্রসমাজকে গড়ে তোলাই আমাদের কাজ।”


      অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রশিবিরের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি ছিল আন্তর্জাতিক মানের। বিভিন্ন স্কলারদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।


      প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আয়োজিত এ নবীনবরণে প্রায় ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০০ জন ছাত্রী ছিলেন। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও উপহার প্রদান করা হয়।


      চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাহিত্য সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব ও শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ইরাসমাস মন্ডুস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আশিকুর রহমান। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন।


      এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী ও ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয় : সালাহউদ্দিন

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৯
        অনলাইন ডেস্ক
        যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয় : সালাহউদ্দিন

        বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এবারও বিতর্কিত নির্বাচন হলে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, যারা নানান অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়।


        শনিবার (১৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।


        সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া, তার নির্দেশনায় কাজ করছে বিএনপি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর দেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খালেদা জিয়া। বেগম জিয়াই পরামর্শ দিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথকে সহজ করতে।


        বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিএনপি অপেক্ষা করছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে।


        তবে নির্বাচন নিয়ে তিনি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াবে। গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টিকারীরা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের শক্তি নয়।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে: বদিউল আলম

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫
          অনলাইন ডেস্ক
          নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে: বদিউল আলম

          আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।


          তিনি বলেছেন, সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এখন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, সেটা সরকার ও নির্বাচন কমিশন আইনি প্রক্রিয়ায়ই সিদ্ধান্ত নেবে। আর আওয়ামী লীগ ছাড়া আগামী নির্বাচন অন্তর্ভূক্তিমূলক হবে কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।


          শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।


          ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।


          আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো অনিশ্চয়তা দেখছেন না জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারও আন্তরিকভাবেই নির্বাচনের পথেই এগুচ্ছে। আশা করছি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 


          আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, সবাই যার যার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। দেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে। 


          বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থাই তাকে স্বৈরাচারের পরিণত করেছে। এজন্যই সংস্কার পরিবার প্রয়োজন। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরনো ব্যবস্থায় চললে নির্বাচন আবারও বিতর্কিত হবে। স্বৈরাচার সৃষ্টির পথ থেকে যাবে।


          অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলেও দল, প্রার্থী ও ভোটারদের দায়িত্বশীল ভূমিকা ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। কেন্দ্র দখল, প্রতিপক্ষের এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে ৪০ হাজার কেন আরো বেশি বডি ক্যামেরা কিনে নিরাপত্তা জোরদার করলেও গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তাই যেকোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার ও প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে আমরা আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার যে স্বপ্ন দেখছি তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।


          তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় ঘোষণা হলেও জুলাই সনদ চূড়ান্ত হয়নি। সনাতন না পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা নিয়ে এখনো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ শেষ হয়নি। এ অবস্থায় জুলাই সনদে স্বাক্ষরসহ আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নতুনভাবে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচন যদি সঠিক সময়ে করা সম্ভব না হয় তাহলে দেশ এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। তাই গণতন্ত্র, দেশ ও জাতির স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে যার যার অবস্থান থেকে ছাড় দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের গতিকে বেগবান করা উচিত।


          তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে স্বৈরাচার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। পাল্টাপাল্টি দোষারোপের রাজনীতি বর্জন করে নেতাদের বক্তব্যে শালীনতা বজায় রাখতে হবে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ তৈরি করা যাবে না। যদি আগামী নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এই বিভেদ ও মতবিরোধ বাড়তে থাকে তাহলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি হবে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বিভেদের সুযোগ নিয়ে পরাজিত শক্তি দেশে অরাজকতা তৈরি করতে পারে। তবে কেউ কেউ দেশে ১/১১ ও গৃহযুদ্ধের যে জুজুর ভয় দেখাচ্ছে তা অমূলক। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও ফ্যাসিবাদ ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দল ও শক্তি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।


          এর আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই প্রধান শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি দল বিজয়ী হয়।


          এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক জাকির হোসেন লিটন ও সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর।


          প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।


          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত