ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার চিঠি দিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
১১ মে, ২০২৫ ১৮:৩২
অনলাইন ডেস্ক
আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার চিঠি দিয়েছে বিএনপি: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তার হাতে দেওয়া পত্রে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকালেও তার হাতে দেওয়া পত্রে আমরা পতিত ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত শেষ করে দেশের রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার দাবি জানিয়েছি।

রোববার (১১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আলোচনায় আমরা স্পষ্ট করে বলেছিলাম যে, আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত। বিভিন্ন সভা, সমাবেশে ও আলোচনায় আমরা আমাদের এসব দাবি বার বার উত্থাপন করেছি। উল্লেখযোগ্য যে, আমরা প্রশাসনিক আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে বলেই বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিএনপি।

তিনি বলেন, আমরা আনন্দিত যে বিলম্বে হলেও গতরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত করার এবং বিচারকার্য নির্বিঘ্ন করার স্বার্থে ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও তার সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রাসঙ্গিক আইন সংশোধন করে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অপশাসন চালনাকারী, ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সঠিক বলে মনে করি। তবে, আমাদের দাবি মেনে আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে চাপের মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিব্রতকর ও অনভিপ্রেত অবস্থায় সরকারকে পড়তে হতো না। ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পরিচালনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে মনে রাখবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও ক্রমাগত উপেক্ষিত হওয়ায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

মন্তব্য

আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা দিতে নাও পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন : হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
১০ মে, ২০২৫ ১৯:১৮
অনলাইন ডেস্ক
আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা দিতে নাও পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন : হাসনাত
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

কোনো শক্তি থেকে জোরপূর্বক আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও ছাত্র-জনতা যেন আন্দোলন চালিয়ে যান, সে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো শক্তি আমার কণ্ঠরোধ করতে চায়, তবুও আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।’

শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পূর্বঘোষিত গণজমায়েতে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের শাহবাগ থেকেই দেশে ফ্যাসিবাদের সূচনা হয়েছে, আর এই শাহবাগ থেকেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে। মত ও পথ ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে আমাদের অবস্থান এক।’

দাবদাহের মধ্যেও আন্দোলনে সক্রিয় থাকার বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘‘গত দু’দিন রাস্তায় থাকায় আমি যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। আগেই বলে রাখছি– কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে যদি কেউ আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক ‘আন্দোলন প্রত্যাহারে’র ঘোষণাও দেওয়ায় তাপরও আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।’’

এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত– একদিকে ফ্যাসিবাদী শক্তি, অন্যদিকে বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী; আর যারা নিষিদ্ধ করতে চায়, তারা প্রকৃত বাংলাদেশি শক্তি।’

জুলাই মাসে ঘোষিত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যতই ষড়যন্ত্র হোক, ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি যদি পরবর্তী কর্মসূচি দিতে নাও পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয়– আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা।’

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’ : নাহিদ ইসলাম

    অনলাইন ডেস্ক
    ৯ মে, ২০২৫ ২১:১৯
    অনলাইন ডেস্ক
    দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’ : নাহিদ ইসলাম

    আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’র মতো কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

    শুক্রবার (৯ মে) চলমান ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির মধ্যেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা ফেসবুক পোস্টে বলেন, শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সকল শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে। 

    নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, জুলাই বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, ইসলাম বিরোধী, নারী বিরোধী, মানবতা বিরোধী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থি সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।

    ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন হয়েছিল।

    ৮ মে রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার দুপুরেও এনসিপির নেতাকর্মীরা যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে শুক্রবার বিকেলে থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজধানীর শাহবাগ মোড়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলছে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির ডাক হাসনাতের

      অনলাইন ডেস্ক
      ৯ মে, ২০২৫ ১৭:৪২
      অনলাইন ডেস্ক
      আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির ডাক হাসনাতের

      আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

      শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পার্শ্ববর্তী সড়কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপি আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

      হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে ‘বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ’। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব। 

      তিনি আরও বলেন, ইন্টারিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।

      এর আগে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে অংশ নিতে দেখা গেছে। 

      বৃহস্পতিবার রাত থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। রাত পেরিয়ে শুক্রবার সকালে এবং এখনো এনসিপির নেতাকর্মীদের যমুনার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

       

      মন্তব্য

      ইন্টারকন্টিনেন্টাল-যমুনা এলাকা অবরুদ্ধ

      আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বড় জমায়েত

      অনলাইন ডেস্ক
      ৯ মে, ২০২৫ ১৩:৫৯
      অনলাইন ডেস্ক
      আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বড় জমায়েত

      আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। দুপুর ১২টার পর যমুনার সামনে থেকে সরে এসে আন্দোলনকারীরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

      বড় জামায়েতর লক্ষ্যে সমাবেশের জন্য ট্রাক দিয়ে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই মঞ্চের সামনেই অবস্থান নিয়েছে তারা।  

      এদিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রাস্তার দিক থেকে, কাকরাইল মসজিদের দিকের রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছে। 

      আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে গতকাল রাত থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এনসিপি। 

       

      মন্তব্য
      সর্বশেষ সংবাদ
        সর্বাধিক পঠিত