হত্যা মামলায় কারাগারে সাবেক মেয়র আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদেরের আদালত এ নির্দেশ দেন। আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলে পুলিশ।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বলেন, সাবেক মেয়র আইভীকে মিনারুল হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত মামলার শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ মে হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটিরে তাঁকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা ও তাঁর সমর্থকেরা পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে। আইভীও দিনের আলো ছাড়া বের হবেন না বলে জানান। দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক হাসনাতের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ (শুক্রবার) বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে। এতে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যমুনার সামনে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই জমায়েতের ডাক দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
হাসনাত বলেন, ‘সার্ক ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজকে তারা বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভ এখনো চলছে।
আরও পড়ুন
সকাল আটটার দিকে যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
কখনো টানা, আবার কখনো কিছুটা বিরতি দিয়ে যমুনার সামনে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে ও ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।’
এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন। রাত দুইটার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।
তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগের বিচার নেই, যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নেই, তার সঙ্গে আমরাও নেই।’
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘শুধু এই মাসেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইকমিশন বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে অন্তত তেইশটা মিটিং করেছে।’
এনসিপির এই নেতা লিখেছেন, ‘লিখে রাখেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচারের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। একটা পর্যায় গিয়ে বলা হবে, এক সময়ের জনসমর্থিত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমাদের কাজ নয়।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নাই, যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।’
এর আগে সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আরেকটি পোস্ট করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়।
সেই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন?
সবশেষ অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন- তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয় নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির। এতে অন্যতম শীর্ষ পদে আসেন তিনি।
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শুরু

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি চলছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে রয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মে) প্রথম দিনের মতো শুনানি হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে দুই নম্বর, তিন নম্বর এবং চার নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম।
এ ছাড়া পাঁচ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ছয় নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ছয় নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর পাঁচ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।
এনসিপি নেতা সরোয়ার তুষার
প্রাদেশিক সরকার এই মুহূর্তে দরকার নেই, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার চাই

জনসংস্কার কমিশনের ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা যাবে এমন নয়টি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি বলেছেন, প্রাদেশিক সরকারকে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি। এটা এই মুহূর্তে দরকার নেই।
আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে হওয়া বৈঠকের বিরতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংসদে স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থাকতে হবে। আজকে আলোচনা এসেছে যে, সকল মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় আছে সেই মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থেকে প্রধান হবেন। যেমন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এগুলোর প্রধান যেন বিরোধী দল থেকে হয় সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আমাদের যে মতামত ছিল সেখানে আমরা বলেছি যে, সরকারের স্থিতিশীলতা এবং সংসদ সদস্যদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা— তথা দলের বিরুদ্ধে ভোট প্রদানের অধিকারের পক্ষে আমরা অবস্থান নিয়েছি। যে কারণে আমরা বলেছিলাম যে, অর্থবিল এবং অনাস্থা ভোট বাদে, অন্য যেকোনো সংসদ সদস্য দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন।
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে দলের সংসদ সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন, এমন বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আওতায় কী কী কাজ করতে পারবে, কী কী ধরনের বিচারিক ক্ষমতা থাকবে— এগুলো আলোচনায় এসেছে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় কীভাবে আনা যাবে, সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন মত আছে। কমিশন প্রস্তাব করেছে সংসদীয় কমিটির মধ্য দিয়ে একটা তদন্ত করা হবে। অনেক রাজনৈতিক দল মত প্রকাশ করেছে। এতে করে রাজনীতি করার একটা সম্ভাবনা থাকে। অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মধ্যে দিয়ে এটা সমাধান করা যেতে পারে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। নিম্নকক্ষ এবং উচ্চ কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের পরে গণভোটের বিধান থাকতে হবে। এর মধ্যদিয়ে সংবিধান সংশোধন হবে। মাইনর সংশোধন যদি হয়, সেক্ষেত্রে গণভোটে যেতে হবে কিনা প্রশ্ন উঠেছে। আমরা স্পেসিফিক করে কয়েকটা ধারা বলে দিয়েছি যে, এই সমস্ত সংশোধনের জন্য অবশ্যই গণভোটে যেতে হবে। পাওয়ার স্ট্রাকচার বা পিএম বেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বা মূলনীতি সংশোধনের জন্য গণভোটে যেতে হবে। রুটিন সংশোধনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। জ্যেষ্ঠ তিনজনের মধ্যে একজনকে বাছাইয়ের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলেছে। যিনি জ্যেষ্ঠতম থাকবেন তিনি প্রধান বিচারপতি হবেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিটাকে আমরা সমর্থন করেছি। সেখানে দুই পক্ষের সংসদ সদস্যদের বাইরে জেলা কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কাউন্সিল রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করবে। আরও স্থানীয় প্রতিনিধি যোগ করার জন্য আমরা বলেছি।
এমসিপির এই নেতা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন অর্থবছরে একবার করে তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য বলেছে কমিশন। আমরা বলেছি, প্রতি আয়কর বছরই এটা করা দরকার। প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের হিসাব দিতে বাধ্য থাকবে।
নিম্নকক্ষে নারী আসন নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছিল, আজকেও আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০০ আসনে সরাসরি নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ১০০ জন নারী পার্লামেন্টে যাবেন। এটাকে আমরা সমর্থন করছি। উচ্চ আসনে ১০০ জনের ২৫ শতাংশ নারী রাখার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকারকে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি। এটা এই মুহূর্তে দরকার নেই। আমরা স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে পারি। এর বাইরে দুটি নতুন বিভাগের প্রস্তাব তারা করেছিলেন— ফরিদপুর এবং কুমিল্লা। আমরা এটার সাথে একমত হয়েছি।
আরও পড়ুন
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলা গ্রহণের ক্ষমতা দিয়েছে কমিশন। আমরা দ্বিমত করেছি। বিচারিক ক্ষমতা বিচার বিভাগে থাকার জন্য আমরা বলেছি, যোগ করেন তিনি।
সরোয়ার তুষার বলেন, জেলা পরিষদ বাতিলের প্রস্তাব করেছে, আমরা বলেছি না, জেলা পরিষদ থাকা দরকার। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্তির কথা বলেছেন, আমরা বলেছি না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মেম্বারদের ভোটে নির্বাচিত করার কথা বলেছেন। চেয়ারম্যান সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক যেন না থাকে। এটার কারণে আমাদের সমাজে সহিংসতা একেবারে গভীর পর্যন্ত পৌঁছেছে। আমাদের ভয়ংকর একটা সাংস্কৃতিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে ভালো ভালো যেসব ব্যক্তি আছেন তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য দলীয় প্রতীক বাতিল করা দরকার।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ভূমি আদালতের কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে, আমরা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত পজিটিভ। কাঠামোগত দিক কী ধরনের হবে, এটা নিয়ে কমিশনের সাথে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
মন্তব্য