মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রদলের কর্মী শুভ এবং মাহিন

টাঙ্গাইল শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোলকাতা কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো শহর। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী কাজল দেবনাথের ওপর এ হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় শহরের ‘কোলকাতা কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজে’ খেতে গেলে তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি কাজলের সঙ্গে কথোপকথনে লিপ্ত হন। কথার একপর্যায়ে একজন হঠাৎ তার মুখে চড় মেরে দ্রুত সঙ্গীদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। কাজলের বন্ধু কুয়েট শিক্ষার্থী ঘটনাটির ছবি তুললে, কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা ফিরে এসে ছবি মুছে ফেলার জন্য হুমকি দেয় এবং কাজলকে কাচের বোতল ও মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় কাজলকে গুম ও খুনের হুমকিও দেয়।
আহত অবস্থায় কাজলকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা জানান এবং বলেন, ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের কর্মী জিহাদ ইসলাম শুভ এবং মাহিনের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত ১টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তবে পরবর্তীতে তারা থানায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিলে, আহত শিক্ষার্থী মামলা না করার সিদ্ধান্ত নেন। আজ সকাল ৭টায় সেই প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন
এই ঘটনায় মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রাতভর শতাধিক শিক্ষার্থী টাঙ্গাইল সদর থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত একটি হামলার ঘটনায় মামলা না করে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি অবমাননার শামিল।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভুক্তভোগী মামলা না করায় বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।”
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও বাড়বে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ঘটনায় শহরে এবং ক্যাম্পাসে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় মা দিবস

যাঁর হাত ধরে আমরা হাঁটতে শিখি, আজ সেই মায়ের দিন। বিশ্ব মা দিবস আজ। জন্মের পরে সন্তানের সবচেয়ে বেশি আপন যে হয় তিনি হচ্ছেন মা। মা কে নিয়ে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন “তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দিবো।” রাসেল ব্যালার্ড বলেছেন, "জীবনে এমন কোন ভূমিকা নেই যা মাতৃত্বের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"
যার অবদানে পৃথিবীর আলো দেখে সন্তান। সেই মায়ের স্মরণে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যদিও মাকে ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানাতে কোনো বিশেষ দিন লাগে না, তবুও মাকে গভীর মমতায় বিশেষভাবে স্মরণ করার দিন আজ।
এবারের মা দিবসে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মোঃ আয়নুল ইসলাম।
মা কে নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জেমি রৌশান বলেন, একটা গানের কথায় শুরু করি
(একটা চাঁদ ছাড়া রাত আধার কালো, মায়ের মমতা ছাড়া কে থাকে ভালো)। মায়ের ছায়ার মতো আগলে রাখা প্রতিটি মুহূর্ত আজও আমার জীবনের প্রেরণা। মা পাশে নেই, আজ থেকে ০৭ বছর পূর্বে অনন্তের পথে পা রেখেছেন — কিন্তু তাঁর স্নেহ আমার হৃদয়ে বেঁচে আছে। আজকের দিনটা শুধুই তোমার জন্য, মা। তোমার জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানাই।
সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিক শিকদার কৌশিক বলেন, যার চেহরার রোশনিতে আমার জন্মের পূর্ণতা পায় তারই মলিনতায় আমার নিচ থেকে সরে যায় মাটি। আমার পুরো অস্তিত্ব তো শান্ত হয় এখানেই এসে। আমার বিপদে তিঁনি হয়ে উঠেন অশান্ত। মায়েরা তো এমনই। সন্তানদের বিপদ দেখে যারা রান্না ঘর ছেড়ে ছুটেছিলেন জুলাই এর গরম পিচঢালা রাজপথে। মুখে ছিলো স্লোগান। আমাদেরকে তাদের বুকের রক্ত দিয়ে রক্ত দিয়ে রক্ষা করার দীপ্ত শপথ,রাতে তাহাজ্জুদে কান্নামিশ্রিত মোনাজাত। শেষ পর্যন্ত যখন আমরা জিতলাম তখন তারা ফিরে গেলেন।কারণ-"সন্তান জিতলে জিতে যায় মা"।
আজকে মা দিবসের দিনে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি আমাকে আমার মায়েদের জুলাই এর অবদানের কথাই মনে করাই। সে সকল বিপ্লবী মা কে আজকের "মা দিবসে" আমার টুপি খোলা সালাম,কৃতজ্ঞতা।
ফরেস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সল আহম্মেদ বলেন, মাতৃত্ব ও মাতৃসত্তার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দিতে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার আসে এক বিশেষ দিন, মা দিবস।মায়ের স্মৃতি, তা কখনোই ধূসর হয় না। জীবন যতই ব্যস্ত হয়ে উঠুক, সময় যতই বদলাক,মায়ের সেই কোমল স্পর্শ, স্নেহময় আদর,আর গভীর মমতার স্মৃতি হৃদয়ের এক কোণে চিরকাল অমলিন রয়ে যায়। বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্তে মায়ের অসীম ত্যাগ ও ভালোবাসার ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।মায়ের স্মৃতি শুধু কেবলই স্মৃতি নয়,এটি ভালোবাসার এক অনন্য অনুভূতি যা কখনো মলিন হয় না। দূরত্বের এ বেড়াজালে আবদ্ধ থেকে একটি প্রার্থনা; মা, আমার আয়ু থেকে কিছু আয়ু যোগ হোক তোমার আয়ুতে তবুও তুমি বেঁচে থাকো যুগ যুগ ধরে।
টিএইচএম বিভাগের শিক্ষার্থী অদিতি চৌধুরী বলেন, আমাদের পুরুষশাসিত সমাজে মায়ের অবদান আজও অনেকাংশে অবহেলিত। অধিকাংশ মা-ই সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য নিজের স্বপ্ন ও ক্যারিয়ার বিসর্জন দেন। অথচ সমাজ প্রশ্ন তোলে—"সে সারাদিন বাড়িতে থেকে কী করে?" গর্ভধারণের নয় মাস থেকে শুরু করে সন্তানের প্রতিটি পদক্ষেপে মায়ের নিঃস্বার্থ ভূমিকা অনন্য। আধুনিক সমাজে কিছু পরিবর্তন এলেও, এখনো মায়ের অবদান নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয় না। মা শুধু একটি শব্দ নয়, এটি একটি অনুভব, এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসার নাম। মা দিবসে তাই সমাজের প্রতিটি স্তরে মায়ের মর্যাদা ও অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল ইবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে শেখপাড়া বাজার ঘুরে প্রশাসনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘চব্বিশের বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন
এসময় সমন্বয়ক এস এম সুইট'এর নেতৃত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল ও ইয়াসিরুল কবির সৌরভ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তলাবায়ে আরাবিয়ার সাধারণ সম্পাদক শামিমসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, জুলাই আন্দোলন যেভাবে ধৈর্যের সাথে আমাদের চালাতে হয়েছে তেমনি আরেকটি আন্দোলন চালাতে হচ্ছে। যা আমাদের আবার ধৈর্যের সাথে চালিয়ে যেতে হবে। আমরা দেখছি কিছু চাওয়া পাওয়া, বুঝা পোড়ার কারণে আওয়ামী প্রশ্নে অনেকে নমনীয়তা দেখাচ্ছে। আমরা আশা করি জুলাই আন্দোলনে তারা যেভাবে কাঁধে কাধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছে সেই কাজটিই করবে। আসলে ৫ আগস্টে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা বাকি। জুলাই গণহত্যা চালিয়ে তারা তাদের বেঁচে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাই ইন্টেরিমকে অতিদ্রুত আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। আমাদের দাবি আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে। জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

জিএসটি (সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিট এবং আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রইং) ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (০৯ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এ ইউনিট এবং বেলা ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রইং) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। এ সময় ভিজিল্যান্স উপ-কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম. কামাল, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা উপস্থিত ছিলেন। তবে শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ভিজিল্যান্স টিমের অন্য সদস্যবৃন্দ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করেন নি।
আরও পড়ুন
ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সি ও বি ইউনিটেরপর সবশেষ এ ইউনিটের পরীক্ষাও অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ভবনের ১২৭ টি কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবক, রোভার স্কাউট, জেলা প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ প্রশাসনসহ আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেয়েছি।’
এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, নতুন কলা ভবন এবং পুরাতন বিজ্ঞান ভবনে ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের এবং বিকালে নতুন কলা ভবনে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রইং) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
পরীক্ষাকেন্দ্র ও তার আশেপাশে ১৪৪ ধারা কার্যকর ছিল। ক্যাম্পাসে আগত অতিথিদের বসার ব্যবস্থা প্রশাসন থেকে করা হয়েছিল। রাস্তার যানযট নিয়ন্ত্রণ ও নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছিল। এছাড়া অন্যান্য ইউনিটের মতো এ ইউনিটেও ময়মনসিংহ ও ভালুকা হতে পরীক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বাস সার্ভিস ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮,৪৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৭,৪৪৬ জন। অনুপস্থিত ৯৯৩ জন। উপস্থিতির হার ৮৮.২৩ শতাংশ। আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রইং) পরীক্ষায় ১৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৮ জন উপস্থিত এবং ৬৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রতিটি ইউনিটের ফলাফল জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগ্যতাসাপেক্ষে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আসন সংখ্যার সামর্থ্যরে উপর ভিত্তি করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগে ১,১২৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
চবির সমাবর্তনে যোগ দিতে আসছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আসন্ন ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বিশ্ববিদ্যালয় হতে তাকে ডি-লিট সম্মাননা প্রদান করা হবে।
আগামী ১৪মে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২২,৫৬০ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। সমাবর্তনে ড. ইউনুস সমাবর্তন প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, “চবির ইতিহাসে এটি একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। দীর্ঘ নয় বছর পর আমরা সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটি হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মতো একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি সমাবর্তনকে বিশেষ মর্যাদায় অভিষিক্ত করবে। আমরা তাকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করব। ”
সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বর্ণিল সাজসজ্জা। প্রশাসনিক ভবন, মূল ফটক ও অনুষ্ঠানস্থলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা সেজেছে বর্ণিল আলোয়। একইসঙ্গে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে যাতে অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, নিবন্ধিত প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে একটি বিশেষ পরিচয়পত্র দেওয়া হবে, যা ছাড়া কেউ সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবে না। অনুষ্ঠানের দিন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, নিবন্ধিতদের তালিকা গোয়েন্দা সংস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। যেকোনো সময় পরিচয় যাচাইয়ের জন্য কল করা হতে পারে। সুনির্দিষ্ট কার্ড ছাড়া কেউ সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এছাড়া, ৩৬ বছর পর এই সমাবর্তন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও চবি অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আগমনকে কেন্দ্র করে চবির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি।
মন্তব্য