ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বিশেষ সিন্ডিকেটেও পাশ হয়নি জবির জকসু গঠনতন্ত্র

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৭ মে, ২০২৫ ১৭:৫৪
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
বিশেষ সিন্ডিকেটেও পাশ হয়নি জবির জকসু গঠনতন্ত্র

'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ' (জকসু) এর নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের মতামত না থাকায় বিশেষ সিন্ডিকেট আহ্বান করেও পাশ হয়নি গঠনতন্ত্র।  

বুধবার (৭ মে) সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। 

উপাচার্য বলেন, জকসু গঠনতন্ত্র নিয়ে কোনো অসন্তুষ্টি কিংবা অস্পষ্টতা না থাকে সে জন্য প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রে শিক্ষার্থীদের মতামত সংযুক্ত করার পরামর্শ এসেছে সিন্ডিকেট সদস্যদের কর্তৃক। শিক্ষার্থীদের মতামত যুক্ত করার পরামর্শ আসায় কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে গেলো এটি।

উপাচার্য আরও বলেন, এ নিয়ে এখন একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি ও শিক্ষার্থীদের লিখিত মতামত নীতিমালাতে সংযুক্ত করে পরবর্তী সিন্ডিকেটে এটি পাশ হবে। এ পদ্ধতিতে গেলে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বলেন, প্রস্তাবিত নীতিমালাতে শিক্ষার্থীদের মতামত না থাকায় বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সিন্ডিকেট সদস্য ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিম আলম স্যারকে আহবায়ক করে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করে তাদের পর্যালোচনা লিখিত আকারে আগামী ১০ দিনের মধ্যে জমা দিবেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানে অনীহা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৭ মে, ২০২৫ ১৭:৪৭
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানে অনীহা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের

দ্বিতীয় বারের মত সরকারি বাঙলা কলেজে  অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্ত:কলেজ বিজ্ঞান মেলা। এই মেলা ঘিরে কলেজটির বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে চলছে সাজ সাজ রব। সানন্দচিত্তে অংশগ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। 

তবে এমন পরিস্থিতিতেও মুখে হাসি নেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কোনো বরাদ্দ প্রদান না করায় হতাশা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন উক্ত বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী জানাচ্ছেন, ইতোমধ্যে ৭ ও ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দুটি বিশেষ প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তারা।

প্রকল্প দুটি হলো:
১) এন্টি-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার
২) ক্রস-ওয়াচ

এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে আনুমানিক ১১ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই অর্থের সংস্থানের জন্য বিভাগীয় প্রধান বরাবর সহযোগীতার আবেদন করলেও ইতিবাচক সাড়া মেলে নি।

শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, বরাদ্দের জন্য আবেদন নিয়ে গেলে বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে। উপরন্তু, অংশগ্রহনেচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নিজ খরচে প্রজেক্ট তৈরির পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা। 

এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধান তাসলিমা ফেরদৌস স্পষ্ট করে বলেন, “বিভাগীয় বাজেটে বিজ্ঞান মেলার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।”

শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রম বাড়ানোর কথা, সেখানে বিজ্ঞানের বিভাগগুলোর এই ধরনের অবস্থান অত্যন্ত হতাশাজনক।

এ প্রসঙ্গে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, “ একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণামূলক কাজের জন্য ন্যূনতম সহায়তা না থাকা সত্যিই চিন্তার বিষয়। শিক্ষার্থীদের সবাই তো সমান আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়। কিছু শিক্ষার্থী শুধু এই অর্থসংকটের কারণে প্রজেক্ট আইডিয়া থাকা সত্ত্বেও পিছিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যদিও বিভাগ মাত্র পনেরশো টাকা  বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এটাও সত্য যে, পনেরশো টাকা কোনো প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য অতি সামান্য।”

বিজ্ঞানচর্চাকে গুরুত্ব দিতে প্রতিটি বিভাগে গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। অন্যথায়, ভবিষ্যতে বিজ্ঞানচর্চায় শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

মন্তব্য

ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটের বিষয়ে যা বলল রাবি ছাত্রদল

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১৯:২৮
অনলাইন ডেস্ক
ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটের বিষয়ে যা বলল রাবি ছাত্রদল

ফাঁস হওয়া হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশটের বিষয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল। রাবি ছাত্রদলের কোনো অফিসিয়াল গ্রুপ নেই বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রাবি ছাত্রদল’ নামক একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ায় বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে রাবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত গ্রুপের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কোনো সিনিয়র নেতা অবগত ছিলেন না এবং বিষয়টি পূর্বানুমতি ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছিল কিংবা এটি আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা সম্পাদিতও হতে পারে।

সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা স্পষ্টাক্ষরে বলতে চাই, গ্রুপটি ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত কিংবা দিকনির্দেশনার আওতাধীন নয়। শুধুমাত্র পদাধিকারের কারণে কিছু কর্মী গ্রুপটিতে আমাকে ও সিনিয়র নেতাদের অ্যাডমিন হিসেবে যুক্ত করে থাকতে পারে তবে গ্রুপটি সরাসরি কোনো সাংগঠনিক তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ টি হল, সকল অনুষদ ও বিভাগভিত্তিক অসংখ্য গ্রুপ থাকতে পারে এবং এসব গ্রুপে যারা যুক্ত আছেন, তাদের সকলে দলীয় নির্দেশনার অংশ নন।

রাবি ছাত্রদলের কোনো অফিসিয়াল গ্রুপ নেই উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমরা আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অফিসিয়াল কোনো গ্রুপ নেই। এমতাবস্থায় আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনকে বট বাহিনীর মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের মিডিয়া ট্রায়ালের বশবর্তী হয়ে সংবাদ উপস্থাপন না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাই, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় কেউ লিপ্ত হবেন না। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনার বাইরে কেউ সক্রিয় থাকলে তার বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৫ মে) সকালে হোয়াটস অ্যাপের গ্রুপের এই স্ক্রিনশটটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। সেখানে গ্রুপের নাম দেওয়া আছে রাবি ছাত্রদল। সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনার একটি কথোপকথনের স্ক্রিনসট সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্ক্রিনশটটিতে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে কথোপকথন করতে দেখা গেছে। সেখানে একজন বলেছেন ‘ক্যাম্পাসের বাইরে ভেতরে না মামা এদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই পিটাতে হবে’। এটারই প্রেক্ষিতে তারা আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন

মন্তব্য

নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিয়োগে জিওলজি স্নাতকদের বাদ: ন্যায্য সুযোগের দাবি

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৬ মে, ২০২৫ ১৭:৩৬
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিয়োগে জিওলজি স্নাতকদের বাদ: ন্যায্য সুযোগের দাবি

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট গত ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (৯ম গ্রেড) পদে ১৫টি শূন্য পদের জন্য চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে পুরকৌশল, তড়িৎকৌশল, যন্ত্রকৌশল, পানি সম্পদ কৌশল, কৃষি ইঞ্জিনিয়ারিং, রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইড্রলিক্স, হাইড্রোলজি, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থবিদ্যা, গণিত, ফলিত গণিত এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জিওলজি বা জিওলজিকাল সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোনো সুযোগ না দেওয়ায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, বরিশাল এবং জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওলজি বিষয়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি জিওলজিকাল সায়েন্সেস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (JUGSAA) এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রতিবাদে বলা হয়েছে, জিওলজি শিক্ষায় জিওমর্ফোলজি, হাইড্রোলজি এবং নদী গবেষণা-সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তৃত পড়াশোনা রয়েছে, যা নদী গবেষণার জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এমতাবস্থায় জিওলজি স্নাতকদের বাদ দেওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং নদী গবেষণার সম্ভাবনাকে সীমিত করে।

এক যৌথ বিবৃতিতে জিওলজি শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই প্রতিনিধিরা বলেন, “জিওলজি স্নাতকরা নদী গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাদের বাদ দেওয়া শুধু শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার নয়, বরং দেশের নদী ব্যবস্থাপনা ও গবেষণার মানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

”বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জিওমর্ফোলজি, যা নদীর গঠন, প্রবাহ এবং পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে, নদী গবেষণার জন্য অপরিহার্য। জিওলজি স্নাতকদের এই নিয়োগে অন্তর্ভুক্ত করা হলে গবেষণায় বৈচিত্র্যময় দক্ষতা ও জ্ঞানের সমন্বয় সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের দাবিতে নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

দেশের জিওলজি শিক্ষার্থী সম্প্রদায় এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কণ্ঠ তুলেছে। তারা বলছেন, জিওলজি স্নাতকদের অন্তর্ভুক্তি নদী গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ববির প্রশাসনিক ভবনে তালা, একাডেমিক শাটডাউনের হুশিয়ারি

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৬ মে, ২০২৫ ১৬:৫৫
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ববির প্রশাসনিক ভবনে তালা, একাডেমিক শাটডাউনের হুশিয়ারি

    বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা 

    মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১২ টায় শিক্ষার্থীরা পূর্ব ঘোষিত প্রশাসনিক শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপাচার্যের কার্যালয়, ট্রেজারার কার্যালয়, রেজিস্ট্রারের কার্যালয়সহ একাধিক কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী আজ ১১ টার মধ্যে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল  এবং পদত্যাগ না করায় পূর্ব ঘোষিত শাটডাউন পালন করার জন্যই এই তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আরো জানান, উপাচার্য পদ ত্যাগ না করলে আগামীকাল থেকে তারা একাডেমি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণাসহ আরো কঠোর কর্মসূচির দিতে বাধ্য হবেন।

    আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ বলেন, স্বৈরচারী মনোভাবের এই উপাচার্যকে অতিদ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। এই উপাচার্য একের পর এক প্রশাসনে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন শুরু করে। উপাচার্যের এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলে অন্যায়ভাবে মামলা দেন। আমরা আন্দোলন করছি আজ থেকে প্রশাসনিক শাটডাউনসহ প্রশাসনিক সকল রুমে তালা মেরে দিয়েছি।  বের পরেও তিনি পদত্যাগ না করলে আমরা একাডেমি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণাসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করতে হবে। 

    আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জন্য ছুটি কাটাতে পারবে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে অফিস করবেন। আমরা প্রশাসনিক সকল কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করেছি। দ্রুত যদি এই উপাচার্য পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা একাডেমিক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করবো। সরকারের উচ্চমহলের প্রতি আমাদের দাবি থাকবে অতিদ্রুত এই উপাচার্যকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার।

    উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে স্বৈরাচারের পুর্নবাসন ও জুলাই আন্দোলনের পক্ষে অবস্থানকারীদের হয়রানির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায়  উপাচার্য পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত