জবির সাংবাদিকতা বিভাগের “আনন্দ ভ্রমণ ২০২৫” অনুষ্ঠিত
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৪ মে, ২০২৫ ১৮:৩৭
শেয়ার
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
জবির সাংবাদিকতা বিভাগের “আনন্দ ভ্রমণ ২০২৫”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী “আনন্দ ভ্রমণ ২০২৫”। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে পুরো আয়োজনটি ছিল উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত।
ভ্রমণ শুরু হয় সকাল ৮টায় রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে। সকাল ৮.৩০টায় বাসে যাত্রা করে অংশগ্রহণকারীরা পৌঁছে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে। সেখানে সকালের নাস্তা ও খেলাধুলা শেষে গ্রুপ ফটোসেশনের আয়োজন করা হয়। এরপর ভ্রমণকারীরা রওনা দেন মূল গন্তব্য কেরানীগঞ্জের “শরীফ ফুড কোর্ট অ্যান্ড ড্রিম পার্ক”-এর উদ্দেশ্যে।
রিসোর্টে পৌঁছে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন সুইমিং, রাইড, খেলাধুলা, মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র ও নাস্তার আয়োজন। দিনব্যাপী এই আনন্দযাত্রা আনন্দ, হাসি ও স্মৃতিমধুর মুহূর্তে পরিপূর্ণ ছিল।
আয়োজনে বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আশরাফুল আলমের প্রতি, যার দায়িত্বশীল নেতৃত্ব ও সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজনটি সফল হয়।
আনন্দ ভ্রমণ কমিটির আহ্বায়ক ও বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসলাম বলেন, “সবার আন্তরিক অংশগ্রহণে আনন্দ ভ্রমণটি হয়ে উঠেছে স্মরণীয়। তবে আমরা গভীরভাবে মিস করেছি সেইসব প্রিয় মুখ, যারা বিভিন্ন কারণে অংশ নিতে পারেননি।”
চার দফা দাবীতে ডিপ্লোমা নার্সিং শিক্ষার্থীদের টানা পাঁচ দিন কমপ্লিট শার্টডাউন কর্মসূচি পালন
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৪ মে, ২০২৫ ১৮:১২
শেয়ার
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
স্নাতক সমমানের বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে ডিপ্লোমা নার্সদের দিয়ে। এ অবস্থায় নার্সিং কলেজগুলোতে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই সাথে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আজ শনিবার (৩ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধও জানিয়ে চার দফা দাবিও তুলে ধরেছন তারা।
শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের পক্ষে ঢাকা নার্সিং কলেজের স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি মহিব উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০০৬ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নত সেবা প্রদান ও বিদেশে দক্ষ নার্স রপ্তানির লক্ষ্যে বহিঃর্বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিপাইন, কানাডা, জাপান ও সুইডেনের মতো দেশের সহযোগিতায় উন্নত কারিকুলাম প্রণয়নপূর্বক দেশের বিভাগীয় মেডিকেল কলেজগুলোতে অবস্থিত নার্সিং কলেজগুলোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স চালু করে। সে সময় বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এসএসসি উত্তীর্ণ নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা করা নার্সদের দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের শিক্ষক হিসেবে সংযুক্তির আদেশের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে কোর্স পরিচালনা করে।
‘কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, তারই সুযোগ নিয়ে গত ১৭ বছর এই কোর্সের উপর এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে।’—যোগ করা হয় স্মারকলিপিতে। বলা হয়, এই কলেজগুলোতে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ থাকা স্বত্ত্বেও আইন অনুসারে যোগ্যদের সেখানে আসতে দেওয়া হয়নি। ফলে নার্সিং শিক্ষার মান চরমভাবে বিঘ্ন হচ্ছে। একই সাথে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকের অভাবে গবেষণা, গুণগত চিকিৎসাসেবা, প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুশীলন, সিমুলেশন, বেডসাইড ক্লিনিক্যাল প্র্যাক্টিস এবং ল্যাব অনুশীলন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশে-বিদেশে দক্ষ নার্স রপ্তানিতে সরকারের মূল লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হচ্ছে।
ডিপ্লোমা নার্সদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের জন্য স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও জনবল নিয়োগের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নার্সিং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা রয়েছে, ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি রয়েছে, নার্সিংয়ে সুস্পষ্ট নিয়োগবিধি রয়েছে, যার কোনোটিই এই ডিপ্লোমা শিক্ষকরা তোয়াক্কা করছেন না। উল্টো তারা মূল পদের বিপরীতে হাসপাতাল থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব, সংযুক্তি ও চলতি দায়িত্বের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগীর সেবা বাদ দিয়ে নার্সিংয়ের শিক্ষকতায় প্রবেশ করেন। এই নার্সরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকায় ভালোভাবে রিডিংও পড়তে পারেন না। অনেকে ই-মেইলও করতে জানেন না। আমরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫সহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করে লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় সর্বোচ্চ পেয়ে ভর্তি হই। পরবর্তীতে নার্সিংয়ের ক্লাসরুমে এসে ইন্টারনেট থেকে কপি-পেস্ট নামক এ ধরনের মানহীন স্লাইড লেকচার আকারে পড়তে দেখে হীনমন্যতায় ভুগছি।
যারা চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স সুনামের সাথে শেষ করে দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন, ডিপ্লোমা নার্সরা তাদেরও শিক্ষক হিসেবে আসতে বাধা প্রদান করে আসছেন উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নার্সিংয়ে স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী এবং কোর্সে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোনো রকম পেশাগত অগ্রগতির পথ কিংবা কর্মক্ষেত্র বা দায়িত্বের সীমা ও সুযোগ তৈরি করা হয়নি, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রী এই কোর্স সম্পূর্ণ করে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেন; যা নার্সিংয়ে স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী নার্সদের জন্য চরম হতাশার কারণ।
নার্সিং শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের পক্ষে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি মহিব উল্লাহ আরও লিখেছেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে গত জুলাই পরবর্তী ২১ আগস্ট থেকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়ে আসছি, এমনকি রাজপথেও আন্দোলন করেছি। আমাদের দাবিগুলো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেবা ও শিক্ষা শাখার অতিরিক্ত সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকরা কয়েকবার মিটিংয়ের পর আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের জন্য লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন। কিন্তু প্রায় আট মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও ডিপ্লোমা শিক্ষকদের বাধায় কোনো বাস্তবায়নের মুখ দেখিনি, যার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন নার্সিং কলেজগুলোতে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গত ২৯ এপ্রিল থেকে কলেজগুলোতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে, যতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া হবে, ততদিন এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
‘সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি’ বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।
বিএসসি ইন নার্সিং শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের চার দফা দাবি—
১. এসএসসি পাস করা ডিপ্লোমা নার্সদের তাদের নিজস্ব কর্মস্থল ফিরিয়ে নিয়ে হাসপাতালে রোগদের সেবায় নিয়োজিত করাসহ নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করতে হবে।
২. অন্যান্য পেশাজীবী ডিপ্লোমা গ্রাজুয়েটদের ন্যায় চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং ডিগ্রিধারী নার্সদের জন্য স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার পাথ ও অর্গানোগ্রাম তৈরি করে দেশ ও দেশের বাইরে দক্ষ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নার্সিংয়ে স্নাতক সম্মান ডিগ্রিধারী নার্সদের জন্য নবম গ্রেডে পদ সৃজন ও সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে।
৪. ২০১৬ সালের নার্সিং নিয়োগবিধি ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাবি রেজিস্ট্রারের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ; অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৪ মে, ২০২৫ ১৩:২০
শেয়ার
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক।
এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে তার বাসায় দূর্বৃত্তরা একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। দূর্বৃত্তরা অন্তত ৪টি ককটেল নিক্ষেপ করে। সেসময় বাসার মধ্যে রাবি রেজিস্ট্রারের অসুস্থ পিতা, নারী ও শিশু অবস্থান করছিলেন। তবে কেউ হতাহত হননি।
এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসঊদ বলেন, আমার সঙ্গে কারো ব্যক্তিগত আক্রোশ থাকতে পারে, কিন্তু গভীর রাতে বাসায় হামলা করা ন্যাক্কারজনক। যারা হামলা করেছে তাদেরকে তো দেখিনি, তাই আমি অজ্ঞতনামা আসামি করে মামলা করেছি। আমার বিশ্বাস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করবেন।
মামলার বিষয়ে নগরীর মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, স্যার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি, যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবো।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া) নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকদিন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রুয়া নির্বাচনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন।
ঢাবির ক্লাস ও অফিস কার্যক্রম আগামী ১১ মে বন্ধ থাকবে
অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ১২:১৯
শেয়ার
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস ও অফিস কার্যক্রম আগামী ১১ মে বন্ধ থাকবে। ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উপলক্ষে এদিন ছুটি থাকবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে, ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উদ্যাপন উপলক্ষে আগামী ১১ মে (রোববার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অফিস ছুটি থাকবে।
কুরআনকে জানার জন্য মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে: ঢাবি উপাচার্য
অনলাইন ডেস্ক
৪ মে, ২০২৫ ০:২৪
শেয়ার
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে জানার জন্য মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। আমি মনে করি, কুরআন প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। কুরআনকে বাহন হিসেবে নিয়ে কীভাবে সমাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায়, সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে। কুরআন শিক্ষা সোসাইটি ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।
শনিবার (৩ মে) বিকাল ৩টায় ঢাবি’র আরসি মজুমদার মিলনায়তনে ‘কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য : সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা সোসাইটি আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক অ্যারাবিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম।
সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুস সালাম সরকারের পরিচালনায় সেমিনারে আলোচনা উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক ড. শামসুদ্দীন আহমদ, ঢাবি’র প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ড. নাসিমা হাসান, লেখক ও গবেষক ড. সাজেদা হোমায়রা, গবেষক ও শিক্ষক ড. আবদুল হালিম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
তিনি বলেন, কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা না হয়, তবে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোনোভাবেই পরিবর্তন আসবে না। জবাবদিহিতা হতে হবে আল্লাহর কাছে। আল্লাহভীতি না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সফল হতে পারেনা।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুস শহীদ নাসিম বলেন, কুরআন সম্পর্কে আমাদের ভয়াবহ অজ্ঞতা রয়েছে। এই অজ্ঞতা থেকে যদি বের হতে না পারি তাহলে কুরআন থেকে আমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারবো না। কুরআন শুধু খতম দিলে হবে না। কুরআন নাজিল হয়েছে জানা-বোঝা ও মানার জন্য। কুরআনের আদেশ-নিষেধ পালন করতে হবে।
মন্তব্য