জবির পরিবহন প্রশাসকের দায়িত্বে তারেক বিন আতিক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তারেক বিন আতিক। তিনি ইসলামিক ইস্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
গতকাল (৫ মে)বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো: শেখ গিয়াস উদ্দীন সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারেক বিন আতিক-কে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তী ০২ (দুই) বছরের জন্য পরিবহন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হলো।
এতে আরো বলা হয় ,০৬ মে থেকে এটি কার্যকর হবে এবং বিধি মোতাবেক তিনি ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
তারেক বিন আতিক বলেন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে সর্বদা সচ্ছতার সাথে কাজ করতে চাই।শিক্ষার্থীদের পরিবহন সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে ইনশাল্লাহ আমাকে সবসময় পাওয়া যাবে।যেকোনো পরিস্থিতিতে আমি জবাবদিহিতার জন্য প্রস্তুত থাকবো।
গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আজ ৫ মে, ২০২৫ তারিখ বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফল ওয়েবসাইট: gstadmisson.ac.bd -এ পরীক্ষার্থী লগইন করে জানতে পারবে।
'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৭ হাজার ৬ শ ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৬ শত ৪১ জন অর্থাৎ ৪৬. ৭৯ শতাংশ।
‘বি' ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭২,০৬২ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৭ হাজার ৬শ ২৮ জন অর্থাৎ ৯৩.৮৫ শতাংশ এবং অনুপস্থিতির সংখ্যা ৪ হাজার ৪ শ ৩৪ জন অর্থাৎ ৬.১৫ শতাংশ। ওএমআর বাতিলের সংখ্যা ১৭ টি। অকৃতকার্যের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৯শ ৭০ জন (শতকরা ৫৩.১৯)।
আজ ৫ মে বিকেলে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা শেষে কমিটির আহবায়ক এ তথ্য জানান ।
উল্লেখ্য, গত ২ মে, ২০২৫ (শুক্রবার) ‘বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ‘এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৯ মে, ২৯২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থাভাবে ভর্তি না হতে পারা শিক্ষার্থীর পাশে জবি ছাত্রদল নেতা বাসিত

আর্থিক সমস্যার কারণে জবি ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারছিলনা নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। তখন পাশে দাঁড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতা বাসিত। নিজে দায়িত্ব নিয়ে সেই শিক্ষার্থীর ভর্তির কাজ সম্পন্ন করেন।
অর্থ অভাবে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থী বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি। কিন্তু অর্থ অভাবে ভর্তি হতে পারছিলাম না। তখন বাসিত ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করি তিনি ভর্তি করাই দেন।
জবি ছাত্রদল নেতা বাসিত বলেন, আমাদের এটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যারা এরকম অসচ্ছল অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেনা। তাদের আমি ও আমার বন্ধুরা সাহায্য করছি। যখন তার বিষয়টা জানতে পারি সাথে সাথে তার সাথে যোগাযোগ করে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেই। অর্থের অভাবে যেন কেউ পিছনে না পরে।
তিনি আরো বলেন, সে সামনের দিনে সাফল্যের উচ্চ শিখতে পৌঁছাক।আমরা তার পরিচয় গোপন রাখতে চাই।সবার আত্নসম্মান অক্ষুণ্ন রাখা জরুরি।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় জড়িতদের বাদ দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে বেরোবিতে বিক্ষোভ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নিপীড়ন মামলায় গড়িমসি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের মামলা থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেরোবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৫মে) দুপুর আড়াই টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে আবু সাঈদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে শহিদ আবু সাঈদ গেইট থেকে পুনরায় প্রধান ফটকে এসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা "আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; ফ্যাসিবাদের দোসররা, হুশিয়ার সাবধান; ফ্যাসিবাদের আস্তানা, ভেঙে দাও পুড়িয়ে; ইত্যাদি নানা স্লোগান ও বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায়।
সুমন সরকার বলেন, শহিদ আবু সাঈদ হত্যার মামলার কোন সঠিক পদক্ষেপ দেখছিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সব জায়গায় তাল বাহানা চলছে। যেখানে গুটি কয়েকজন কে আসামি করা হয়। অধিকাংশরা ধরা ছোয়ার বাহিরে।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্তীরা ফুসিয়ে উঠেছে শহিদ আবু সাঈদ হত্যার বিচার মামলা না হওয়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এর যাদের ইশারায় শহিদ আবু সাঈদের উপর গুলি করা হয়েছে। তারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনে বহাল তবিয়তে আছে। আমরা দাবী ছাড়াই সকল আসামিকে যদি লিস্টের আওতায় না আনা হয়। তাহলে আমাদের আন্দোলন চলছে আন্দোলন চলবে।
মুরসালিন মুন্না বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আওয়ামী লীগের দোসর ও যারা জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী। যাদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজে আমরা দেখেছি। তারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বহাল তবিয়তে কাজ করছেন, এমনকি তারা পদন্নোতিও পাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো মামলা করা হয়নি, কোনো অভিযোগ করা হয়নি; তাহলে আমরা মনে করি এ প্রশাসন শিক্ষার্থী সাথে হাসি তামাশায় করছে। এটা শহিদ আবু সাঈদের ক্যাম্পাস। আমরা রক্ত দিতে জানি, জান দিতে জানি। সুতরাং এখানে কোনো ধরনের তাল বাহানা চলবে না। আমরা চাই সঠিক তদন্ত করে, সঠিক বিচার করে আওয়ামী লীগ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে, আওয়ামী দালাল মুক্ত করতে হবে এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
রাকিব মিয়া বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে, যারা ফ্যাসিবাদের দোসর; তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। যারা আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিল, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে; তাদের অনেককে মামলা থেকে বাদ দেয়ার চক্রান্ত চলছে। মামলা নিয়ে কোনো প্রকার রাজনীতি করা যাবে না, শিক্ষার্থীদের কে যদি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসন মামলা নিয়ে তাল বাহানা করে তাহলে শিক্ষার্থীরা আবার রাজপথে নেমে পড়বে।
উল্লেখ্য যে, বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা আরও নতুন করে জুলাই বিপ্লবে হামলাকারীর তালিকার স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনা রাবি ছাত্রদলের, স্ক্রিনশট ভাইরাল

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ট্রল করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনার একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। স্ক্রিনশটটিতে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে চ্যাট করতে দেখা গেছে। সেখানে একজন লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাসের বাইরে-ভেতরে না মামা, এদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই পিটাতে হবে’।
সোমবার (৫ মে) সকালে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশটটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। সেখানে গ্রুপের নাম দেওয়া আছে ‘রাবি ছাত্রদল’। এ ঘটনাকে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্ক্রিনশটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. তুষার শেখ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত কর্মী হাসিবুল ইসলাম হাসিবের মধ্যে চ্যাট করতে দেখা যায়।
সেখানে হাসিবুল ইসলামকে বলতে দেখা গেছে, ‘আগামীকাল ক্যাম্পাসে আসেন, এই বট বাহিনীর ছেলেগুলাকে চিহ্নিত করে দিন। এক শালাকেও ছাড় হবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে বের হবে না? সবগুলারে একটা একটা করে ধরে ছিঁড়ে ফেলে দেবো।’
আহসান হাবিবকে বলতে দেখা গেছে, ‘যাচাই-বাছাই ছাড়াই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর ও মিথ্যা পোস্ট অ্যাপ্রুভ করায় এদের বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।’
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তুষার শেখকে বলতে দেখা যায়, ‘আগামীকাল ক্যাম্পাসে আসেন, এই বট বাহিনীর ছেলেগুলাকে চিহ্নিত করে দিন। এক শালাকেও ছাড় হবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে-ভেতরে না মামা, এদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই পিটাতে হবে।’
সেখানে আহসান হাবিব আবার বলেন, ‘কিন্তু বাদী হবে কে? এদের বিরুদ্ধে মামলা করা মানে শিবিরের বিরুদ্ধে মামলা করা।’
অন্য আরেকটি স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, সেখানে বেশিরভাগ মেসেজগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। তবে একটি মেসেজ দেখা যায়। সেখানে তুষার শেখ লিখেছেন, ‘গায়ে হাত দেওয়া অন্যায় ঠিক। কিন্তু এদেরকে পিটানো ছাড়া কোনোভাবেই সোজা করা সম্ভব নয়। এদেরকে পিটোনি দিলে সব ঠিক।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. তুষার শেখকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
বিষয়টি স্বীকার করে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব বলেন, ‘আমি শুধু আমার মতামত দিয়েছি। গ্রুপে এমন অনেক ছেলেরা আছে যারা ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সংগঠনের বক্তব্য নিয়ে ফেক আইডি দিয়ে বিভিন্ন পোস্ট গ্রুপে অ্যাপ্রুভ করা হয়, যেগুলো মানহানিকর। গ্রুপে এক ছোট ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তরে আমি মামলা করার বিষয়ে বলি।’
তবে ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশট এডিট করা দাবি করে ছাত্রদলের অব্যাহতিপ্রাপ্ত কর্মী হাসিবুল হাসান বলেন, ‘রাবি ছাত্রদল’ নামের গ্রুপটি ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কারোর না। মেসেজগুলো এডিট করা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদেরই ভাইবোন। আমরা শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়ে কোনো কথা বলেনি। এখানে স্পষ্টভাবে ‘বট বাহিনীর’ কথা উল্লেখ করা আছে।
‘বট বাহিনী’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা ক্যাম্পাসে উল্টাপাল্টা গুজব ছড়ান তাদের বোঝানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘এটা যদি কেউ করে থাকেন তবে সেটি তাদের ব্যক্তিগত আলোচনা। এটা সংগঠনের আলোচনা না। এমনটি যদি কেউ করে থাকেন তাহলে সে নেতা, কর্মী বা সমর্থক যেই হোক; তার সংগঠনে থাকার কোনো সুযোগ নেই। সরাসরি বহিষ্কার করা হবে।’
মন্তব্য