জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে
পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করা হবে না, হুঙ্কার মোদির

কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধ ঘিরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে ভারত কোনও ধরনের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না বলে হুঙ্কার দিয়ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার ভারতের স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।
ভাষণের শুরুতে তিনি পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও তাদের অভিযানের প্রশংসা করেন। নরেন্দ্র মোদি বলেন, একজন নারীর সিঁদুর মুছে ফেলার মূল্য কতটা চড়া হতে পারে, তা সশস্ত্র বাহিনীর পদক্ষেপে নিশ্চিত হয়েছে। এখন প্রত্যেক সন্ত্রাসী এটা জানে।
ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি এই দেশের সকল মা, বোন ও কন্যাদের প্রতি অপারেশন সিঁদুর উৎসর্গ করছি...অপারেশন সিঁদুর শুধু একটি নাম নয়, এটা মানুষের আবেগ ও অনুভূতির প্রতিফলন।’’
বিস্তারিত আসছে...
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদি

কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তানে ভারতীয় বাহিনীর চারদিনের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পারমাণবিক অস্ত্রধর দুই দেশের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর পর প্রথমবারের মতো সোমবার ভারতের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় এই ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে দুই সপ্তাহ পর গত ৭ মে চিরবৈরী প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর নামের এক সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত। যদিও পেহেলগামে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
ওই দিন পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। হামলায় পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার প্রায় ১০০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।
এই হামলার জবাবে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে ‘বুনইয়ান-উল-মারসুস’ নামের অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে ভারতের অন্তত ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন
শনিবার (১০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। শুভ বুদ্ধির ব্যবহার করে উভয়পক্ষ এই সিদ্ধান্তে আসায় অভিনন্দন।’’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই সেদিন ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।
এই চুক্তিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উভয় দেশই চুক্তি লঙ্ঘন করে আবারও হামলা-পাল্টা হামলা চালায়। ভারতের সেনাবাহিনী হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী যদি পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে সেই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী চুক্তি লঙ্ঘন করে কোনও হামলা চালানো হলে, তার যথাযথ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স।
বলছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী
ভারতই যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছে, পাকিস্তান করেনি

পাকিস্তানে কোনও আক্রমণ হলে পাল্টা জবাব হবে চূড়ান্ত ও নির্দয়। এমন হুঁশিয়ারিই উচ্চারণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে তারা বলেছে, পাকিস্তান নয়, (সদ্য বন্ধ হওয়া সংঘাতে) ভারতই যুদ্ধবিরতি চেয়েছিল।
সোমবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী রোববার স্পষ্টভাবে জানান, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘিত হলে তার দেশ প্রতিক্রিয়ায় কোনও ছাড় দেবে না—জবাব হবে ব্যাপক, কঠোর এবং চূড়ান্ত।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর (পিএএফ) এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ এবং নৌবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব নেভাল স্টাফ (অপারেশনস) ভাইস অ্যাডমিরাল রাজা রব নেওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বার্তা দেন।
যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, পাকিস্তান কখনোই যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেনি। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে রেকর্ডে রাখতে চাই যে— যুদ্ধবিরতির কোনো অনুরোধ পাকিস্তান থেকে করা হয়নি।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “৬ ও ৭ মে রাতের ওই কাপুরুষোচিত ও নৃশংস হামলার পর ভারত যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়। কিন্তু পাকিস্তান তখন জানিয়ে দেয়, আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে আবার কথা বলব।”
তিনি আরও বলেন, “১০ মে পাকিস্তান পাল্টা জবাব এবং প্রতিশোধ নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের আহ্বানে আমরা ভারতের করা অনুরোধে সাড়া দিই”। এছাড়া তিনি জানান, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী যেসব বিবৃতি দিয়েছে, তাতে পরিষ্কারভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রশমনের আহ্বান ছিল।
জেনারেল চৌধুরী জানান, ‘বুনইয়ান উল মারসুস’ অভিযানে পাকিস্তান এমন ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানের নাগরিকদের ওপর হামলা করা হয়েছিল এবং যেসব স্থাপনাকে পাকিস্তানে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য দায়ী মনে করা হচ্ছে। এসব লক্ষ্যবস্তু ছিল ভারতের মূল ভূখণ্ড এবং ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মির অঞ্চলে।
হামলার টার্গেটের মধ্যে ছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী ও বিমানঘাঁটি, যেমন—সুরতগড়, সিরসা, আদমপুর, ভুজ, নালিয়া, বাথিন্দা, বারনালা, হরওয়ারা, আওন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, মামুন, আম্বালা, উদমপুর ও পাঠানকোট। তিনি দাবি করেন, এসব ঘাঁটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভারতের ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য ব্যবহৃত স্থাপনাগুলোকেও ধ্বংস করা হয়েছে—যেগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানে নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিল। একইসঙ্গে আদমপুর ও ভুজে মোতায়েন থাকা ভারতীয় এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও হামলা চালানো হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ভারতীয় সামরিক রসদ ও লজিস্টিক ঘাঁটিগুলোকেও বেছে নেয়—যেমন, উরির ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো এবং পুঞ্চের রাডার স্টেশন—যেগুলোকে নিরীহ পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযানের সহায়ক বলে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের এই প্রধান সামরিক মুখপাত্র বলেন, এমন সামরিক সদরদপ্তরগুলোকেও ধ্বংস করা হয়েছে, যেগুলোতে পরিকল্পনা করা হয়েছিল নিরীহ মানুষের ওপর হামলার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি ব্রিগেড হল ১০ম ও ৮০তম, যেগুলো কেজি টপ ও নওশেরা অঞ্চলে অবস্থিত।
তিনি বলেন, এমন অবকাঠামোগুলোও চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানে হামলার জন্য ‘প্রক্সি’ বা সন্ত্রাসী উপাদানদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হতো।
মূলত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে যেসব ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি, গোলাবারুদ ভাণ্ডার, কামান অবস্থান এবং পোস্ট থেকে আজাদ কাশ্মির অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ চালানো হয়েছিল—সেগুলোর ওপরও ধারাবাহিকভাবে আঘাত হানা হয়। এমনকি এসব ঘাঁটিগুলো শেষপর্যন্ত সাদা পতাকা উত্তোলন করে এবং সংঘাত বন্ধের অনুরোধ জানায় বলেও পাকিস্তান দাবি করে।
জেনারেল চৌধুরী বলেন, “ভারতের সেনাবাহিনীর বর্বর আগ্রাসন ও আমাদের নাগরিকদের হত্যার জবাব আমরা কঠোরভাবে দিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতে শক্তিশালী সাইবার আক্রমণ চালায়, যার ফলে ভারতের সেনাবাহিনী যেসব অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে সেগুলোর কার্যক্ষমতা সাময়িকভাবে ভেঙে পড়ে বা দুর্বল হয়ে যায়।
ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানের নারী পাইলটকে কি আটক করেছে পাকিস্তান?

চারদিনের সামরিক সংঘাতের সময় ভারতের বিমানবাহিনীর একজন পাইলটকে পাকিস্তান আটক করে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফালের ওই নারী পাইলটকে আটকের গুঞ্জনের বিষয়ে কথা বলেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, প্রতিবেশী ভারতের বিরুদ্ধে নতুন লড়াইয়ের সময় পাকিস্তান ভারতীয় কোনও পাইলটকে আটক করেনি।
ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পাইলটকে আটকের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন ও একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় বিমান বাহিনীর নারী পাইলট শিবাঙ্গী সিংকে আটক করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় যুদ্ধবিমানে পাকিস্তানি সৈন্যরা গুলি চালানোর পর সেটি বিধ্বস্ত হয়। পরে সেই বিমানের পাইলট শিবাঙ্গী আটক করে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।’’
তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরীর কাছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান ভারতীয় কোনও পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে আছে কি না এবং যদি থাকেন তাহলে তাকে ফেরত পাঠানো হবে কি না?
জবাবে জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি একেবারে পরিষ্কারভাবে এটা নিশ্চিত করতে পারি যে, ভারতীয় কোনও পাইলট আমাদের হেফাজতে নেই। এটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরঞ্জন। ভুয়া সংবাদ এবং প্রচারণার একাধিক উৎস থেকে এই ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছে।’’
পাকিস্তানে ভারতীয় পাইলটের আটবের বিষয়টিকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। একই সঙ্গে দেশটির জনগণকে অপতথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
সূত্র: জিও নিউজ।
অবশেষে নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করল কুর্দিরা; এরদোয়ানের সাফল্য

চার দশকের সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। সোমবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। খবরটি প্রকাশ করেছে পিকেকে ঘনিষ্ঠ ফিরাত নিউজ এজেন্সি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করছি। তুর্কি-কুর্দি সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার সময় এসেছে।
সংগঠনটি আরও জানায়, এখন থেকে কুর্দি রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও একটি গণতান্ত্রিক কুর্দি জাতি গঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। পিকেকে তাদের ‘ঐতিহাসিক মিশন’ শেষ করেছে।
এখনো তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
পিকেকের এই সিদ্ধান্ত তুরস্ক ও ইরাকের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রায় ৪০ বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান টানল। এই সংঘর্ষে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
উল্লেখ্য, পিকেকে প্রধান আবদুল্লাহ ওজালান। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে তুরস্কে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক বিবৃতিতে সব সশস্ত্র গ্রুপকে ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এর ধারাবাহিকতায় এল এই বিলুপ্তির ঘোষণা। সূত্র: শাফাক নিউজ, আলজাজিরা
মন্তব্য