ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করণের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
১২ মে, ২০২৫ ১৯:৩৬
অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করণের দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন

চট্টগ্রাম - কক্সবাজার মহাসড়ক (এন-১) ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১২ই মে ২০২৫) সকাল ১১ টায় মানববন্ধনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি, ঢাকা।

কমিটির সভাপতি ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম - কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা প্রবীণ রাজনীতিবিদ আইনজ্ঞ মোঃ আব্দুল মোমেন চৌধুরী, জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, প্রফেসর মোঃ মুসা খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মিজান, রাজনীতিবিদ এ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা এসএম ফরিদ, আব্দুল আওয়াল জাহেদ, এ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন, মোঃ শাহজাহান মন্টু, মোঃ ইসমাঈল, ছাত্রনেতা মহসিন মিয়া, শ্রমিক নেতা রুবেল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। চট্টগ্রাম-কক্সবজার সড়কটি অপ্রশস্ত হওয়ার কারণে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে নি।

অপরদিকে, বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব আয়ের শতকরা ৮০ ভাগ চট্টগ্রাম থেকে উপার্জিত হওয়ার পরেও বৃহত্তর চট্টগ্রামের জন্য কোন উন্নয়ন হয়নি বলে দাবি করেন বক্তারা।

আসন্ন জাতীয় বাজেটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবী জানিয়ে বক্তরা বলেন, ‘অবিলম্বে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।’

মানববন্ধন থেকে আসন্ন ১৪ই মে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চট্টগ্রাম সফরের সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীত করণের লক্ষ্যে সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঘোষণার দাবি করা হয়। অন্যথায় আগামী ২৫ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক অবরোধ করবেন বলে জানান বক্তারা।

মন্তব্য

বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
১১ মে, ২০২৫ ২০:২৯
অনলাইন ডেস্ক
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ঝালকাঠিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জুবায়েরের বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাবুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১১ মে) রাজপাশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাইফুল ইসলাম বাবু আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ভাইজি জামাই এবং তার গ্রামের বাড়ির তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুবায়ের ও বাবুর বাড়ি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামে। সরকার পরিবর্তনের পর বাবু প্রায়ই বিএনপি নেতা জুবায়েরের বাড়িতে রাত্রিযাপন করতেন। শনিবার রাতেও তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। রোববার সকালে জুবায়েরের বাড়ির সামনে থেকে শেখেরহাট ক্যাম্পের পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

সাইফুল ইসলাম বাবুর শেখেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাবুকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

জেলা প্রতিনিধি
১১ মে, ২০২৫ ১৯:৪৫
জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ঘোষণার পর নোয়াখালী শহর আওয়ামী  লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১১ দিকে নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়িতে ওই হামলা চালানো হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী নোয়াখালী শহর আওয়ামী  লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু আত্মগোপনে রয়েছেন।  

আবদুল ওয়াদুদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল তাদের বাড়িতে ঢোকে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে দুই তিনজন করে ছিল। তিনি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ব্যক্তিরা বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে একটি কক্ষে ঢুকে আশ্রয় নেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন।  

ওয়াদুদের স্ত্রী সাবরিনা মাহজাবিন জয়ন্তী অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা বাড়ির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় প্রতিটি কক্ষে হামলা ভাঙচুর ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা বাড়ির সামনে রাখা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে নিচ তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এই তান্ডব চালানো হয়। তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা চলে গেলে চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভান।

জয়ন্তী আরো জানান, হামলাকারীদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি। তবে তারা হামলার শুরুতে জিয়ার সৈনিক শ্লোগান দিয়েছিল। হামলা-ভাঙচুর করে তারা চলে যাওয়ার পর পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিদর্শন করে গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন,আপনারা নিশ্চিত থাকেন এ হামলা-ভাংচুর বিএনপির কেউ করে নাই। আমাদের দল এ রকম হামলার সমর্থন করেনা। এটা অন্যান্য কেউ হোতে পারে। এমন হয়ে থাকলে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। 

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, হামলকারীরা গ্লাস ভাংচুর করে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করে। তবে এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।  
 

মন্তব্য

নোয়াখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে বিএনপি নেতার পাকা দালান নির্মাণ

জেলা প্রতিনিধি
১১ মে, ২০২৫ ১৯:৩১
জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে বিএনপি নেতার পাকা দালান নির্মাণ
বিএনপি নেতা মো. নুর উদ্দিন

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় জেলা জজ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে পাকা দালান নির্মাণের কাজ অবহ্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা মো. নুর উদ্দিনের (৫০) বিরুদ্ধে। অথচ আদালতের নির্দেশে কবিরহাট থানার একজন কর্মকর্তা সরেজমিন গিয়ে ওই ব্যক্তিকে বিরোধপূর্ণ জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণের চিঠি দিয়ে এসেছিলেন। চিঠি পাওয়ার পর অভিযুক্ত নুর উদ্দিন ভবনের ছাদের ঢালাইও শেষ করেছেন রাতের অন্ধকারে।

গত ১৮ মার্চ নোয়াখালী সদর অতিরিক্ত ১ম আদালতের সহকারী জজ নিশি আক্তার নালিশি জমিতে কোন পক্ষই যাতে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ এবং প্রকৃতি পরিবর্তন না করতে না পারে তা পর্যবেক্ষণ ও তদারকির জন্য কবিরহাট থানাকে আদেশ দেন।

অভিযুক্ত নুর উদ্দিন উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী।  

আদালতের আদেশ ও পুলিশের নিষেধ অমান্য করায় অভিযুক্ত নুর উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি লিখিত প্রবিদেন দেয় কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব বড়ুয়া। ওই প্রবিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতের আদেশের বিষয়টি লিখিত ভাবে বিবাদীকে জানানো হয়। পরবর্তীতে আদালতের আদেশ ও থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ নলুয়া মৌজার ৩৮৫নং খতিয়ান ভুক্ত ২৬০১/৯০ দাগে ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার সংবাদ পাওয়া যায়। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ৫এপ্রিল কবিরহাট থানার জিডি নং ১৮৭ মূলে প্রকাশ্যে এবং গোপনে তদন্ত করে আদালতের আদেশ ও থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে পাকা ঘর নির্মাণ সামগ্রী মজুত করে ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। যাহা পেনাল কোডের ১৮৮ ধারায় অপরাধ মর্মে প্রতীয়মান হয়।  

গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের ল্যাংড়ার দোকান এলাকার একটি কাঁচা সড়কের পাশের একটি নিচু জমির কিছু অংশ ভরাট করে সেখানে ইটের তৈরী পাকা দালান তৈরী সম্পন্ন করা হয়। পাকা ভবনে লাগানো হয়েছে দরজা,জানালা। পাশের জমিতে একটি সেফটি ট্যাংক তৈরী করা হয়। ঘরের ভিতরে বাহিরে ইলেকট্রিকের কাজ চলছে।

দালান নির্মাণের কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, মানুষজনের কাছ থেকে শুনেছেন জমির মালিকানা নিয়ে দালান নির্মাণকারী নুর উদ্দিনের সঙ্গে এক ব্যক্তির বিরোধ রয়েছে। গত (২২ মার্চ) কবিরহাট থানা থেকে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। কিন্তু নুর উদ্দিন তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেননি, তাই তারাও কাজ চালিয়ে গেছেন। গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তারা দালানের ছাদের ঢালাই দিয়েছেন। এরপর মে মাসের শুরু থেকে ঘরের অন্যান্য কাজ করা হয়। আদালতের আদেশের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না, যিনি দালান নির্মাণ করাচ্ছেন তিনিও তাদের কিছু বলেননি।

মো. সামছুল হক বলেন, তিনি বিগত ১৯৯০ সালের ২৪ মার্চ তারিখের ৪২৩৭ নম্বর দলিল এবং ১৯৯৫ সালের ৬৬৬০ নম্বর দলিলমূলে দুই একর ৫০ শতাংশ জমি কিনেন। এর পর থেকে তিনি ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। জমির যাবতীয় খাজনাও পরিশোধ করছেন নিয়মিত। কিন্তু বিগত ২০১৮ সালে ওই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন হঠাৎ জমিটি তার বলে দাবি করেন এবং দলবল নিয়ে তার জমির ফসল নষ্ট করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে তিনি অভিযোগ করলে নুর উদ্দিন তার মালিকানার পক্ষে কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন। তখন থেকে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।  

আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে নুর উদ্দিন অভিযোগ নাকচ করে বলেন, আমার পাঁচটি রায় ডিক্রি আছে। আমার রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে তাদের কোন কাগজপত্র নেই। ঊনারা শুধু খতিয়ানে মালিক।  

কবিরহাট থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী থানা থেকে পুলিশ গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করেছে এবং উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখাতে নোটিশ প্রদান করে। কিন্তু মামলার বিবাদী নুর উদ্দিন আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখেন। যার সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 

মন্তব্য

মানববন্ধন, বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ

নোয়াখালীতে আবুল কাশেমের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

জেলা প্রতিনিধি
১০ মে, ২০২৫ ১৯:২৩
জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে আবুল কাশেমের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে (৬৫) হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা এ সময় আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

শনিবার (১০ মে) সকাল দশটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেনবাগ উপজেলার কানকিরহাট বাজারে সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্থানীয় কানকিরহাট কলেজ, কানকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেন। সড়ক অবরোধের কারণে এ সময় সড়কের দুই দিকে অসংখ্য যানবাহনবাহন আটকা পড়ে অনেক মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। পরে সেনবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আস্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা শান্ত হয়। পরে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে আম গাছের ঢাল কাটা নিয়ে কেশারপাড় গ্রামের ক্লাবঘর এলাকার আবুল কাশেমের সঙ্গে পাশের বাড়ির মো. হানিফদের ঝগড়া হয়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন নানা হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। এরপর পরদিন বুধবার সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে আবুল কাশেম বাড়ির পাশ্ববর্তী ক্লাবঘর নামকস্থানের দোকান থেকে নাস্তা আনতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেমকে মৃত ঘোষণার পর এলাকার লোকজন হামলার সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ ওয়াসিম (৩৪) নামে এক জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পরে নিহত কাশেমের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মো. হানিফকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার বাকি সাতজন আসামির কাউকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

আবুল কাশেম হত্যার ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আজ শনিবার স্থানীয় কানকিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁরা এ সময় কাশেমের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। অন্যথায় সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়ক বন্ধ করে দেওয়াসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।

সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও কেশারপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু ইউছুফ মজুমদার, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানজিদ কামাল, ইউনিয় যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিহত আবুল কাশেমের জামাতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, তার শ্বশুরকে সামান্য বিষয় নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন আসামিকে তাঁরা ধরে পুলিশে দিয়েছেন। আর কোন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ মামলার আসামিরা তাঁদের স্বজনদের মাধ্যমে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। একজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওসি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
    সর্বাধিক পঠিত