ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : আজাদ মজুমদার

অনলাইন ডেস্ক
২৩ মে, ২০২৫ ১৬:৪৩
অনলাইন ডেস্ক
মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : আজাদ মজুমদার

মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর নিয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তাই সীমান্ত জনপদের মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার এ কথা বলেন।

কর্মশালায় তিনি বলেন, মফস্বলের সাংবাদিকরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন। রোহিঙ্গা ইস্যু, মাদক ও মানব পাচার চোরাচালানসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তাদের সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন খুবই চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারত সীমান্ত এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হয়।

দিনব্যাপী শহরের লাবণী পয়েন্টের হোটেল সীগালের হল রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে এবং এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের সহযোগিতায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রেসক্লাব সভাপতি মাহাবুবুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন।

এসময় প্রশিক্ষক হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এর হেড অব কমিউনিকেশন তানজিলা শারমিন, কক্সবাজার পিবিআই’র পুলিশ সুপার মতিউর রহমান, বৈশাখী টিভির হেড অব নিউজ জিয়াউল কবির সুমন, ফ্রেন্ডশিপ স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. শাহনূর-সহ অন্যরা।

কর্মশালায় উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং ফ্যাক্ট চেকিং, প্রান্তিক ও সীমান্ত অঞ্চলে সাংবাদিকতার উপর আলোকপাত করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলায় কর্মরত ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের মাঝে সনদ তুলে দেওয়া হয়।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    মানবতাবিরোধী অপরাধ

    অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা-প্রসিকিউটর

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৩ মে, ২০২৫ ১৬:১৭
    অনলাইন ডেস্ক
    অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা-প্রসিকিউটর

    মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতার করতে পারবেন-এমন ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালি বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।

    এছাড়া ট্রাইব্যুনাল কোনো আসামি বা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটর পরোয়ানাভুক্ত আসামি বা আসামিদের গ্রেফতার করতে পারবেন।

    আজ বৃহস্পতিবার সংশোধিত এই কার্যপ্রণালি বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    ট্র্যাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য এম মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও মো. শফিউল আলম মাহমুদের আদেশক্রমে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

    ২০১০ সালের কার্যপ্রণালি বিধিমালার ২৪টি বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বিধি একেবারেই বিলুপ্ত এবং বাকি ১৯টি বিধি আংশিক বা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে নতুন বিধি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বিধি ৬। যেখানে ২০১০ সালের বিধি বিলুপ্ত করে প্রতিস্থাপন করা বিধি ৬-এ বলা হয়েছে, ‘যদি তদন্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাহলে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যাবেন, মামলার তথ্য ও পরিস্থিতি তদন্ত করবেন এবং অভিযুক্ত সন্দেহভাজন বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করতে পারবেন।’ এই বিধিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার, আবিষ্কার এবং জব্দ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তাও চাইতে পারেন।’

    অন্যদিক, কার্যপ্রণালি বিধির ৯(১) বিধি বিলুপ্ত করে তা নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা তদন্তকারী কর্মকর্তা অথবা আইনের ৮(২) ধারার অধীনে তদন্তকারী প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবেন।’

    এছাড়া সংশোধিত বিধিতে ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনকেও রাখা হয়েছে। আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে চিফ প্রসিকিউটরকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কার্যপ্রণালি  বিধি-২০১০ (সংশোধিত) অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিকের সুযোগ নেই: পরিবেশ উপদেষ্টা

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৩ মে, ২০২৫ ১৪:১৩
    অনলাইন ডেস্ক
    ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিকের সুযোগ নেই: পরিবেশ উপদেষ্টা

    পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

    শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীতে একটি প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

    রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

    তিনি বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি যে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটা সময় দিয়েছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ হওয়া উচিত নয়।

    ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি—ওটা আপনারা ওনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।

    চাপের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ধরুন, প্রত্যাশার একটা চাপ হচ্ছে যে আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি না। আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ নেই।

    তিনি আরও বলেন, আপনি এখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন—সচিবালয় থেকে যমুনা—যেতে পারবেন না, রাস্তা বন্ধ। কেন রাস্তা বন্ধ? এরকম অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়। চাপ হচ্ছে আমাদের নিজেদের পারফরম্যান্সের। আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি পারছি না।

    সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্ব থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আমরা যদি না পারি, আমাদের যার যার নিজস্ব কাজ আছে, সেখানে ফিরে যাবো। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্বে থাকাটা আর প্রাসঙ্গিক থাক থাকলো কি না?

    আপনারা কী দায়িত্ব পালন করতে পারছেন? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। সংস্কার কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই প্রতিবেদনের ওপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল সেখানে পার্টিসিপেট করছে। এটা কি পারা না? এটাতো পারা। আমরা একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বলে দিয়েছি যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে সেটাও একটা পারা। বিচার ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল এখন দুইটা হয়েছে, আগামীকাল থেকে ট্রায়ালার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, কিন্তু জিনিসগুলা স্মুথ যেতে হবে। এগুলোতে কোনো রকমের প্রতিবন্ধকতা না আসে, সেটা প্রথম থেকে একটা আহ্বান ছিল। এই কাজগুলো আমরা সঠিক প্রক্রিয়াতে শেষ করতে চাই। 

    ‘গতকালকে আমাদের মিটিংয়ের পর অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। মোটা দাগে আমাদের দায়িত্ব তিনটা। তিনটায় কঠিন কঠিন দায়িত্ব। একটা দায়িত্ব হচ্ছে সংস্কার, আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে বিচার, আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্ব নেইনি।’

    তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত দাবি আছে সবগুলো নিয়ে রাস্তায় বসে যাচ্ছে। রাস্তা আটকে দিচ্ছে, একদম ঢাকা শহর অচল করে দিচ্ছে। সে অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কি না? আমরা আগেও বলেছি আমরা ক্ষমতার নেইনি দায়িত্বে আছি। এই দায়িত্ব পালন করা তখনই আমাদের জন্য সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাব। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা আরেক। আমরা চিন্তা করেছি আসলে দায়িত্ব পালন করতে পারছে কি না।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না

      অনলাইন ডেস্ক
      ২৩ মে, ২০২৫ ১৩:৩০
      অনলাইন ডেস্ক
      প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না

      অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তার ক্ষমতা প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ড. ইউনূসের প্রয়োজন আছে।

      শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেইজে প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন।

      সেই সঙ্গে তিনি সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে নিয়মিত আলোচনা বসতে, তাদের মতামত নিতে এবং কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ফয়েজ আহমদ।

      ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ফেসবুক পোস্টটি যুগান্তর পাঠকদের হুবহু তুলে ধরা হলো-

      প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না

      ‘অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এর ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যার এর দরকার আছে।

      বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরো বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।

      বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। 

      আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোন ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। 

      পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোন সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

      সকল দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে'র মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি। এসময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ।

      জুলাই-আগস্ট'২৫ এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। 

      ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না। 

      ইনকিলাব জিন্দাবাদ। প্রফেসর ইউনূস জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’

      প্রসঙ্গত, গত দুদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, অধ্যাপক ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন। এই গুঞ্জন নাকচ করে দিলেন তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ। 

      মন্তব্য

      রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই

      অনলাইন ডেস্ক
      ২২ মে, ২০২৫ ১২:৩২
      অনলাইন ডেস্ক
      রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই

      বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

      বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে, ইশরাক হোসেনকে শপথ দিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

      আদালতে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।

      এর আগে, বুধবার (২১ মে) বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিন ধার্য করা হয়।

      গত ১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।

      হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী।

      ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য
        সর্বশেষ সংবাদ
          সর্বাধিক পঠিত