ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

নারী সংস্কার কমিশনের ‘বিতর্কিত’ ধারার বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ আজ

অনলাইন ডেস্ক
২৬ মে, ২০২৫ ১১:৯
অনলাইন ডেস্ক
নারী সংস্কার কমিশনের ‘বিতর্কিত’ ধারার বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ আজ

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের কয়েকটি বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ আজ।

সোমবার (২৬ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

গত ১৯ মে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের কয়েকটি বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রওশন আলী। কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

এর আগে নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক বিষয় পর্যালোচনর জন্য  বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট দায়ের করেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৫ মে, ২০২৫ ১৯:১৩
    অনলাইন ডেস্ক
    পদত্যাগ করতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন শেখ রেহানা

    লাখ লাখ ছাত্র-জনতা ৫ আগস্ট যখন গণভবনের দিকে এগিয়ে আসছিলেন তখন পদত্যাগ করতে শেখ হাসিনার পা ধরেছিলেন তার বোন শেখ রেহানা।

    রোববার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চানখারপুল গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের সামনে লিখিতভাবে এ তথ্য পড়ে শোনান তিনি।

    চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেষ সময়েও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ এবং আরও রক্তপাতের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার আগে ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাপ দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরিস্থিতি যে একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে, সেটা তিনি কিছুতেই মানতে চাইছিলেন না। পরে পরিবারের সদস্যরাসহ বোঝানোর পর পদত্যাগে রাজি হন তিনি। একপর্যায়ে শেখ হাসিনার পা ধরেন তার বোন শেখ রেহানা।

    এরপর দ্রুততম সময়ে পদত্যাগ করে সামরিক হেলিকপ্টারে করে গোপনে বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

    সারা দেশে ব্যাপক সংঘাত ও প্রাণহানি ঘটানোর পরও ছাত্র-জনতার আন্দোলন সামাল দিতে পারেননি শেখ হাসিনা। যদিও পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে ৪ আগস্ট রাতেই শেখ হাসিনাকে তার একজন উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নেতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারা সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরামর্শ দেন। তবে তিনি তা মানতে চাননি, বরং ৪ আগস্ট থেকে কারফিউতে আরও কড়াকড়ি করতে বলেন। ভোর থেকে কারফিউ কড়াকড়ি করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সকাল ৯টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা কারফিউ ভেঙে নামতে শুরু করেন। ১০টা নাগাদ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জমায়েত বড় হতে থাকে।

    বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র বলছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, সেটার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন– এরপরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বাস করে এই কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন– সেটাও তিনি উল্লেখ করেন।

    একপর্যায়ে শেখ হাসিনা আইজিপিকে দেখিয়ে বলেন, তারা (পুলিশ) তো ভালো করছে। তখন আইজিপি জানান, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এরকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।

    ওই সময়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাইছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন। তিনি তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে বলে অনুমান করা হয়। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় নাও পাওয়া যেতে পারে। এ বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

    এরপর ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। তারপর তারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।

    মন্তব্য

    আদালত অবমাননার অভিযোগে

    শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৫ মে, ২০২৫ ১৮:৪৬
    অনলাইন ডেস্ক
    শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
    ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ফাইল ছবি

    আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বহুল প্রচারিত দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    আগামী ৭ দিনের মধ্যে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি জাতীয় পত্রিকায় এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
    প্রসিকিউসনের আবেদনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেন। সেই সাথে আগামী ৩ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন ট্র্যাইব্যুনাল।

    আজ ট্র্যাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এসময় অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

    ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি,’ বলে ‘শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের’ একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথপোকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সেটি হাসিনার বলে সত্যতা পায়। পরবর্তীতে এই বক্তব্যের বিষয়ে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয় ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি গ্রহণ করে ১৫ মে'র মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু ১৫ মে জবাব দাখিল না করায় তাদেরকে আজ ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আজ ২৫ মে তারা হাজির না থাকায় প্রসিকিউসনের আবেদনে শেখ হাসিনাসহ দুজনকে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বহুল প্রচারিত দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য

    ক্ষমা চাইতে সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৪ মে, ২০২৫ ১১:৩৭
    অনলাইন ডেস্ক
    ক্ষমা চাইতে সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ

    হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় লিখিতভাবে ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    শনিবার (২৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন সারজিস আলমকে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

    গত ২২ মে হাইকোর্ট ইশরাক হোসেনকে ঢাকার মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট খারিজ করে আদেশ দেন। এ আদেশের পর ফেসবুকে পোস্ট এনসিপি নেতা সারজিস আলম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?

    এ পোস্টকে কেন্দ্র করে পাঠানো নোটিশে সারজিস আলমকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নোটিশ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানান আইনজীবী।

    মন্তব্য

    তদবির বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ

    এনসিপির সাবেক নেতা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই পিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

    অনলাইন ডেস্ক
    ২১ মে, ২০২৫ ১৩:১৮
    অনলাইন ডেস্ক
    এনসিপির সাবেক নেতা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই পিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
    স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক পিও তুহিন ফারাবী ও ডাক্তার মাহমুদুল হাসান, এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীর ছবি: সংগৃহীত

    তদবির বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবং এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।

    বুধবার (২১ মে) সকাল ১০ টায় দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে হাজির হন তারা। এরপরই সংস্থাটির পৃথক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

    এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, এনসিটিবি কাগজ সরবরাহে ৪শ কোটি টাকা কমিশন নিয়েছেন। এছাড়া ডিসি নিয়োগে তদবীরসহ নানা অভিযোগ আছে এনসিপির সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে।

    অপরদিকে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী ও ডাক্তার মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে শত কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার নির্ধারিত তলবের দিন ছিল। তবে একদিনে পরে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন তারা।

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত