পোপের বেশে ছবি প্রসঙ্গে ট্রাম্প
এটা আমি করিনি, তবে বউ বলেছে কিউট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কিছুদিন আগে নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি পোপের পোশাক পরা ছবিটি তাঁর নয়। এই ছবির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এই ছবিটিকে ‘কিউট’ বলেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউএস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই দাবি করেন। তিনি বলেন, পোপের পোশাক পরা তাঁর কৃত্রিম ছবি নিয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। ছবিটি তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে গত সপ্তাহে পোস্ট করা হয়েছিল।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। কেউ পোপের মতো পোশাক পরা আমার একটি ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে। এটা আমি করিনি। কোথা থেকে এটা এসেছে, আমার কোনো ধারণা নেই। হয়তো এটা এআই দিয়ে তৈরি, কিন্তু আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি গতকাল সন্ধ্যায় এটি প্রথম দেখেছি।’
হোয়াইট হাউসের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আইডি থেকেও ছবিটি শেয়ার করা হয়। বিষয়টি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সমালোচনার মুখে পড়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে তারা এখনো শোকাহত। গত সপ্তাহে অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ট্রাম্প প্রয়াত পোপের শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের কথাও উল্লেখ করেন। কৃত্রিম ছবিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে আমার স্ত্রীর কাছে এটা সুন্দর লেগেছে। সে বলেছে, “এটা কি কিউট নয়? ”’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে, আমি হয়তো বিবাহিত হতে পারতাম না। আমি যত দূর জানি, পোপরা বিয়ে করার ব্যাপারে খুব আগ্রহী নন, তাই না? অন্তত আমরা যত দূর জানি।’
হোয়াইট হাউসে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় ছবিটি নিয়ে ক্যাথলিকদের হতাশার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে বিতর্ক উসকে দেওয়ার অভিযোগ করেন। সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রসিকতা বোঝে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাথলিকেরা এটা পছন্দ করেছে।’
ছবিটি হোয়াইট হাউসের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা উচিত হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘ছেড়ে দিন তো। কেউ এটা মজা করে করেছে, ঠিকই আছে। একটু মজা তো করতেই হবে, তাই না?’
ভারত অংশীদার চায়, উপদেশদাতা নয়, পশ্চিমি দুনিয়াকে নিশানা জয়শঙ্করের

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে ভারতের, সেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রোববার ভারতের থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা আর্কটিক সার্কেল ইন্ডিয়া ফোরামের সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানে নিজ বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা যখন বিশ্বের দিকে তাকাই, তখন আসলে আমরা অংশীদার খুঁজি, উপদেশদাতা নয়। বিশেষ করে সেইসব উপদেশদাতাদের একেবারেই নয়— যারা অন্যদের যেসব উপদেশ দেয়— সেসব নিজেরা পালন করে না।”
গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।
ভয়াবহ এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির সিন্ধু নদের পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।
এ হামলাকে ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে।
নিজ মন্তব্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর দুর্বলতা নিয়েও মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে হলে কৌশলগত স্বায়ত্বশাসন জরুরি; কিন্তু ইউরোপের জন্য এটি অর্জন করা কঠিন। কারণ, ইউরোপ নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, জ্বালানির জন্য রাশিয়া ও বাণিজ্যের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। বৈশ্বিক রাজনীতিতে এ ধরনের নির্ভরশীলতা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এখানে যে কোনো সময় পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।”
সূত্র : আরটি
ড. ইউনূসের এক তুড়িতে উড়ে গেল ভারতের ১০ মেগা প্রকল্প, কাঁপন ধরে গেছে দিল্লির
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সাহসী পদক্ষেপে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারতের চাপানো ১০টি বড় প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারত একতরফাভাবে বাংলাদেশের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে উপেক্ষা করে নানা চুক্তি ও প্রকল্প চাপিয়ে দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। এবার সেই ধারা ভেঙে দিয়েছে নতুন নেতৃত্ব।
সকল বিদেশি সিনেমায় ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন বিদেশে নির্মিত সিনেমার ওপর। বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা সিনেমার ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার (৪ মে) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশ তাদের চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং স্টুডিওগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের উৎসাহ দিচ্ছে। হলিউড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অনেক অঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটি, অন্য সবকিছুর পাশাপাশি একটি বার্তা ও প্রচারণা। আমি বাণিজ্য বিভাগ এবং ইউএসটিআরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা সমস্ত বিদেশি-প্রযোজিত চলচ্চিত্রের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন দিচ্ছি।’
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘এখন খুব কম সিনেমা’ তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশ, যাদের অনেকেই, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প চুরি করেছে। যদি তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে সিনেমা তৈরি করতে ইচ্ছুক না হয়, তাহলে আমাদের এখানে যেসব সিনেমা আসছে তার ওপর শুল্ক আরোপ করা উচিত।’
তবে এ ধরনের শুল্ক আরোপ কীভাবে কার্যকর হবে সে সম্পর্কে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু বলেননি। এমনকি হলিউডের বিভিন্ন চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে কি না তাও উল্লেখ করেননি।
চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর দেশটি পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল চলচ্চিত্র শিল্পও। ১০ এপ্রিল চীনের চলচ্চিত্র প্রশাসন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, চীনের ওপর শুল্ক আরোপের মার্কিন সরকারের ভুল পদক্ষেপ অনিবার্যভাবে আমেরিকান চলচ্চিত্রের প্রতি দেশীয় দর্শকদের আগ্রহ আরও কমিয়ে দেবে।
এতে বলা হয়, আমরা বাজারের নিয়ম মেনে চলব, দর্শকদের পছন্দকে সম্মান করব এবং আমদানি করা আমেরিকান চলচ্চিত্রের সংখ্যা মাঝারিভাবে কমিয়ে আনব।
জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন যা বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
যদিও এই ঘোষণার আগে ট্রাম্প সিলভেস্টার স্ট্যালোন, মেল গিবসন এবং জন ভয়েটকে ‘বিশেষ দূত’ হিসেবে নিয়োগ দেন, যারা হলিউডের হারানো ব্যবসা ফিরিয়ে আনার দায়িত্বে থাকবেন। তিনি বলেন, এই অভিনেতারা তার ‘চোখ ও কান’ হিসেবে কাজ করবেন এবং একইসঙ্গে তিনি ‘হলিউডের সোনালী যুগ’ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করবেন।
হলিউড সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কঠিন ব্যবসায়িক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং ২০২৩ সালের অভিনেতা ও লেখকদের ধর্মঘটের বিষয়টিও রয়েছে।
এছাড়া ২০২৪ সালে হলিউড স্টুডিওগুলো বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কম।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই শুল্কের ফলে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দুর্বল হতে পারে এবং অন্যান্য দেশ পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে, যা মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
যুদ্ধের প্রস্তুতি?
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: রাতে ব্ল্যাকআউটের মহড়া চালাবে ভারত

পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আজ রোববার (৪ মে) রাতে পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেনানিবাস ও আশপাশের এলাকায় ব্ল্যাকআউটের মহড়া চালাবে ভারত।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেনানিবাস এলাকায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই মহড়া চালানো হবে।
মহড়া যেন সফলভাবে করা যায় সেজন্য ফিরোজপুর সেনানিবাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানকার উপকমিশনার এবং স্টেশন হেডকোয়ার্টারের ‘সহায়তা এবং সহযোগিতা’ চেয়েছেন।
মহড়ার সময়টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। এছাড়া এ সময়ে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠি ইস্যু করেছে সেনানিবাসের বোর্ড কর্মকর্তা।
মহড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বলা হয়েছে, “এটির লক্ষ্য হলো চলমান যুদ্ধের হুমকির সময় ব্ল্যাকআউট পদ্ধতি বাস্তবায়নে প্রস্তুতি এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।”
ব্ল্যাকআউট সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এক ব্যক্তিকে ঘোষণা দিতে শোনা গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর পেছনে পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত এমন অভিযোগ তুলে ভারত। এরপর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিল, সীমান্ত বন্ধ ও পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলসহ কিছু ব্যবস্থা নেয় তারা। এর জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা তৈরি হয়। পাকিস্তানও সীমান্ত বন্ধ, সিমলা চুক্তি বাতিলসহ ভারতের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেয়।
হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১০দিন প্রতি রাতে সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য