ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

খানিকটা অসুস্থ বেগম জিয়া, নেতাকর্মীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১৭:৫৫
অনলাইন ডেস্ক
খানিকটা অসুস্থ বেগম জিয়া, নেতাকর্মীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, দীর্ঘ যাত্রা শেষে খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এখন তিনি বিশ্রামে আছেন। নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে বারণ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৬ মে) গুলশান খালেদা জিয়ার বাসভবনে ফিরোজা সামনে এসব কথা বলেন তিনি

মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এখন একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দিয়েছে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে। তাকে ঘুমিয়ে যেতে। আপনারা (নেতাকর্মীরা) দয়া করে বাসার সামনে থেকে নিজ নিজ বাড়ি চলে যান। তাকে একটু বিশ্রাম নিতে দেন। এখানে কেউ গোলযোগ সৃষ্টি করবেন না।

নেতাকর্মীদের স্লোগান না দিতে অনুরোধ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, সবাই যার যার বাড়ি চলে যান। ম্যাডামকে একেবারে বিশ্রাম নিতে হবে। এখানে কেউ স্লোগান দেবেন না, কেউ ভিড় করবেন না।

এর আগে এয়ারপোর্ট থেকে দীর্ঘ যাত্রা শেষে বেলা ১টা ২৫ মিনিটে গাড়ি বহর নিয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বাসভবনে প্রবেশ করলে নেতাকর্মীরা বাইরে স্লোগান দিতে থাকে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার পথে খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১৩:৫২
অনলাইন ডেস্ক
বিমানবন্দর থেকে  গুলশানের বাসভবন ফিরোজার পথে খালেদা জিয়া

দীর্ঘ চার মাস লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা গ্রহণ শেষে সকাল ১১টার পর খালেদা জিয়া বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ যাচ্ছেন।

এর আগে কাতারের আমিরের দেওয়া ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে সরাসরি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ উঠবেন। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’ও। বাসভবন ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফিরোজার নিরাপত্তায় রয়েছে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

এর আগে লন্ডনের গ্রিনিচ সময় গতকাল সোমবার বিকাল ৪টা ১০মিনিটে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ রাজকীয় বিমানে (আধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। যাত্রাপথে কাতারের দোহা বিমানবন্দরে বিরতি শেষে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ০৫ মিনিটে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি। সঙ্গে আসছেন তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।

 

মন্তব্য

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে লাখো নেতাকর্মীদের ঢল

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১৩:৪২
অনলাইন ডেস্ক
খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে লাখো নেতাকর্মীদের ঢল

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে আজ সকালে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সকালে সাড়ে ১০টায় তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে ভোর থেকে সড়কে জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দর এলাকায় ঢল নেমেছে লাখো নেতাকর্মীদের। 

দলীয় চেয়ারপারসনের ছবি, প্লেকার্ড, দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তারা সড়কের পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নিয়েছেন। সড়ক বন্ধ না করতে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

গাজীপুর সদর থেকে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ফজরের নামাজ পড়েই রওয়ানা দিয়েছি। প্রায় চার মাস নেত্রীর দেখা নেই, অসুস্থ ছিলেন। প্রতিদিন তার জন্য দোয়া করেছি। সৃষ্টিকর্তার মেহেরবানীতে তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরছেন, এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। আজ সেই আপসহীন নেত্রীকে ফুলেল শুভেচছা জানাতে চাই।

সাভার থেকে এসেছেন মহিলা দলের নাজনীন আক্তার । তিনি বলেন, রাস্তার ওপরে না দাঁড়ানোর নির্দেশনা রয়েছে। তাই সুশৃঙ্খলভাবে আমরা রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়েছি, যাতে কারও কোনো ভোগান্তি না হয়। 

তিনি বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। গণতন্ত্রের মা দেশে ফিরছেন, নেতা-কর্মীদের আগমনে ভরে গেছে ঢাকা শহর। সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।

সকালে রাজধানীর হযরত শাহজাহাল বিমান বন্দরে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণকে সহজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব ।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে নির্যাতিত হয়ে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলে কারাবন্দি মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন।

এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন। গণতন্ত্রে উত্তরণের এই সময়ে তার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণে সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।

খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন- দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শার্মিলা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশত্যাগের দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবারই প্রথম দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা করেন খালেদা জিয়া। এ সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। 

কাতারে যাত্রাবিরতিকালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন কাতারে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলথানির সৌজন্যে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন থেকে দোহা হয়ে ঢাকার পথে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।

মন্তব্য

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সহজ হবে: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১৩:৩০
অনলাইন ডেস্ক
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সহজ হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, চার মাস চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরে আসছেন বেগম জিয়া। এটি আমাদের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য আনন্দের দিন। কারণ তার দেশে ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সহজ করবে। পুরো দেশকে বৈষম্যহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করবে।

এদিকে দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে আছেন দুই পুত্রবধূ। খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কয়েকটি নির্দেশনাও জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় (সোমবার) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতির পর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে আওয়ামী সরকার।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

 

মন্তব্য

খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে

অনলাইন ডেস্ক
৬ মে, ২০২৫ ১১:১৩
অনলাইন ডেস্ক
খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর কারাবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের এই সময়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত