ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

পরবর্তী পোপ হতে চান ট্রাম্প!

অনলাইন ডেস্ক
৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:১৯
অনলাইন ডেস্ক
পরবর্তী পোপ হতে চান ট্রাম্প!

পরবর্তী পোপ হওয়ার ‘আগ্রহ’ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ ‘আগ্রহ’ প্রকাশ করেন তিনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছেন, পরবর্তী পোপ হিসেবে তিনি কাকে দেখতে চান? তখন তিনি মজা করে বলেন, আমিই পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরী হতে চাই। এটাই আমার প্রথম পছন্দ হবে।’

এরপর তিনি যোগ করেন, আসলে পোপ হিসেবে তার কোনো পছন্দ নেই। তিনি আরো বলেন, ‘আমি শুধু বলতে চাই, নিউইয়র্কের বাইরে থেকে আসা আমাদের এক কার্ডিনাল আছেন, তিনি খুবই ভালো। দেখা যাক কী হয়।’

উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিস গত সপ্তাহে ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। এরপর সম্ভাব্য পোপপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সেখানে নিউ ইয়র্কের আর্চবিশপ কার্ডিনাল টিমোথি ডোলানের নাম নেই। তবে তালিকায় রয়েছেন আরেক আমেরিকান, নিউ জার্সির নিউয়ার্কের আর্চবিশপ কার্ডিনাল জোসেফ টোবিন। এখন পর্যন্ত কখনো কোনো পোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত হননি।

ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া গত সপ্তাহে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশ নিতে রোম সফর করেছিলেন।

গত এক দশকে ট্রাম্প ও ফ্রান্সিসের মধ্যে নানা বিষয়ে, বিশেষ করে অভিবাসীদের প্রতি পোপের সহানুভূতিশীল অবস্থান নিয়ে বাকযুদ্ধ চলেছে। পোপ যাদের পাশে দাঁড়ান, ট্রাম্প বারবার সেসব অভিবাসীকে বহিষ্কারের চেষ্টা করেছেন।

প্রায় ১৩৫ জন ক্যাথলিক কার্ডিনাল শিগগিরই এক গোপন সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে তারা নতুন পোপ নির্বাচন করবেন। তবে এখনো পর্যন্ত কারো সুনির্দিষ্ট অগ্রাধিকার প্রতীয়মান হয়নি।

সূত্র : রয়টার্স

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আসা-যাওয়ার সময় বেড়ে গেছে ৪ ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১৪:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আসা-যাওয়ার সময় বেড়ে গেছে ৪ ঘণ্টা

ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মূলত ওই হামলার পর কূটনৈতিকভাবে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয় ভারত।

আর এর জবাবে পাকিস্তান ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে দেয়। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ভারত থেকে উত্তর আমেরিকা-গামী ও ভারতে ফেরত আসা ফ্লাইটগুলোর ওপর।

এমনকি পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর সঙ্গে ভারতের রাজধানী দিল্লির ফ্লাইটের সময় বেড়ে গেছে ৪ ঘণ্টা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ফ্লাইটরাডার২৪ নামের একটি ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট জানিয়েছে, পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারায় ভারতের দিল্লি থেকে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে যাওয়ার পথে এখন বাধ্যতামূলকভাবে জ্বালানি নেওয়ার জন্য থামতে হচ্ছে ভারতীয় বিমানগুলোকে। এজন্য ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া) ও কোপেনহেগেন (ডেনমার্ক)-এ নতুনভাবে রিফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি থেকে শিকাগো যাওয়ার বিমান আগে সরাসরি পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করে ১২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করত এবং এতে সময় লাগত প্রায় ১৪ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট। এখন সেই একই ফ্লাইট পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিচ্ছে এবং সময় লাগছে ১৯ ঘণ্টারও বেশি।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লিগামী ফ্লাইট আগে সরাসরি চলত এবং সময় লাগত ১৫ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। এখন এই যাত্রাপথে ভারতীয় বিমানগুলোকে ভিয়েনায় বা কোপেনহেগেনে বাধ্যতামূলকভাবে থামতে হচ্ছে এবং মোট সময় লাগছে ২০ ঘণ্টারও বেশি।

অবশ্য শুধু দীর্ঘপথের ফ্লাইটের ক্ষেত্রেই নয়, পাকিস্তান ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়ায় আঞ্চলিক রুটগুলোতেও এর প্রভাব পড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি থেকে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইট আগে মাত্র ২ ঘণ্টা ১৮ মিনিটে পৌঁছাত। এখন সেটি ইরান ও তুর্কমেনিস্তান হয়ে ঘুরপথে গিয়ে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময় লাগছে।

এয়ার ইন্ডিয়া গত ২৪ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার)-এ জানিয়েছিল, “পাকিস্তানের আকাশপথে নিষেধাজ্ঞার ফলে আমাদের কিছু ফ্লাইটকে বিকল্প দীর্ঘ রুট নিতে হচ্ছে। এই কারণে যাত্রীদের যে অসুবিধা হচ্ছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। তবে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা।”

অন্যদিকে ইন্ডিগো জানিয়েছিল, “আকাশসীমা হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”

প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।

এমনকি আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানে হামলা করতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটি। এমন অবস্থায় ভারতের যেকোনও আগ্রাসনের পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। শেহবাজ বলেন, “ভারত যদি আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে পাকিস্তান তার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ড রক্ষায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে”।

এছাড়া ভারত যদি সত্যিই পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে, সেক্ষেত্রে নিজেদের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ গত সোমবার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক

    পাকিস্তানে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ২১:৫
    অনলাইন ডেস্ক
    পাকিস্তানে সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি

    জম্মু ও কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলা ও এর সম্ভাব্য জবাব নিয়ে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স অনীল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মোদির নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠকটি হয়। কাল বুধবার তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর আগে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরামর্শকের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।

    সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ নিউজ জানিয়েছে, বৈঠকে মোদি জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের সক্ষমতার ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন কবে, কখন কোন সময় লক্ষ্যতে আঘাত হানতে হবে সে ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।

    একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের ধ্বংসাত্মক আঘাত ভারতের জাতীয় সংকল্প।” এরমাধ্যমে মোদি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে অপর একটি সূত্র।

    সশস্ত্র বাহিনীর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই মোদির দিল্লির বাড়িতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    কাশ্মিরের পেহেলগামে ওই হামলার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

    ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ সেনা নিহত হয়। এরপর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর দাবি করে নয়াদিল্লি। তারা বলেছিল বালাকোটে জইস-ই মোহাম্মদ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা ছিল। যারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজেদের পরিচালনা করে আসছিল এবং সেনাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।

    সূত্র: এনডিটিভি, নিউজ নাউ

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাক-ভারত উত্তেজনার মাঝে

    ইমরান খানের মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি পিটিআই’র

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৪:১৩
    অনলাইন ডেস্ক
    ইমরান খানের মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি পিটিআই’র
    পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (ফাইল ছবি)

    জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।

    এমন অবস্থায় কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল পিটিআই। একইসঙ্গে ইমরানকে রেখে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের দাবিও করেছে দলটি।

    মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় বিরোধী দল পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) তাদের দলনেতা ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে, যাতে তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে পারেন।

    সোমবার পাকিস্তানের সিনেটে পিটিআই এই দাবি জানায়। একই সঙ্গে দলটি অবিলম্বে একটি সর্বদলীয় সম্মেলন (মাল্টি-পার্টি কনফারেন্স) আয়োজনের আহ্বানও জানিয়েছে, যেখানে ইমরান খানের উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবিও করা হয়েছে।

    সিনেটে পিটিআইয়ের পার্লামেন্টারি নেতা সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতপার্থক্য একপাশে রেখে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠকই একমাত্র সঠিক পদক্ষেপ।”

    তিনি বলেন, ইমরান খান যদি এমন বৈঠকে অংশ নিতে পারেন, তাহলে তা বিশ্বকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেবে যে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ, আর এতে দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

    আলী জাফর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে “নাৎসি মানসিকতার” সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ভারত মিথ্যা অভিযোগে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে, অথচ পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার।

    পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ বলেন, ইমরান খানকে টেলিভিশনে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক, যাতে তিনি জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ভারত সীমান্তের দিকে (ওয়াগা সীমান্ত) পদযাত্রা করার ডাক দিতে পারেন। তিনি দাবি করেন, এই ডাকে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবেন।
       তিনি বলেন, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে শক্ত বার্তা দিতে পারেন”। একইসঙ্গে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভিত্তিতে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দাবিও করেন।

    ক্ষমতাসীন পিএমএল-এনের সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী বলেন, “পেহেলগামের হামলা একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন, যেটি ভারতের কর্তৃপক্ষই পরিচালনা করেছে পাকিস্তানকে হেয় করার জন্য।”

    তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যেখানে প্রতি সাতজন কাশ্মিরির বিপরীতে একজন করে ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা আছে, সেখানে এতো কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে এমন বড় হামলা সম্ভব?”

    সিনেটর সিদ্দিকী আরও বলেন, ভারতের অভ্যন্তর থেকেও এখন মোদির নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে এবং আন্তর্জাতিক মহলও ভারতের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।

    মন্তব্য

    ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পাশে চীন! উত্তেজনায় উত্তাল উপমহাদেশ

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১৫:৫০
    অনলাইন ডেস্ক
    ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পাশে চীন! উত্তেজনায় উত্তাল উপমহাদেশ

    জম্মু-কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মাঝেই রোববার (২৭ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এ সময় তারা আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা অক্ষুণ্ন রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চীনা মন্ত্রীকে বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। টেলিফোনে আলাপকালে উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং একতরফা ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জারি থাকবে বলে পরস্পরকে জানান এ দুই নেতা।

    চীন ছাড়াও ভাতৃপ্রতীম দেশ সৌদি আরব, ইরান ও মিসরকেও ভারতের সঙ্গে চলা উত্তেজনার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান।

    দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষায় ইসলামাবাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে বেইজিং। চীন ও পাকিস্তান এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নসহ সবক্ষেত্রে গভীর সম্পর্ক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

    গত মঙ্গলবার কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে বুধবার বেশ কিছু কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই হামলার ঘটনায় ভারতের সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে’’ সহায়তার অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে স্বাক্ষরিত দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত এবং উভয় দেশের মধ্যকার প্রধান স্থল সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার ও হাইকমিশনে নিযুক্ত কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।

    ভারতের আকস্মিক এমন পদক্ষেপের পর পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

    সূত্র: জিও নিউজ।

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত