ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষকদের সংহতি ও বিক্ষোভ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৮ মে, ২০২৫ ১৬:১৬
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
ববি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষকদের সংহতি ও বিক্ষোভ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে এবার সংহতি জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। 

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন বিশ জনেরও বেশি শিক্ষক। এ সময় শিক্ষকদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষকদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয়।

শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন, কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, সহকারী অধ্যাপক উন্মেষ রায়, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলাম এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিরাজিস সাদিকসহ অন্যান্যরা। এছাড়াও, "কাজ নেই মজুরি নেই" ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন চন্দ্র পাল এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান সহযোগী অধ্যাপক ড. গাজী জহিরুল ইসলাম আজ পদত্যাগ করেছেন। এর আগে, দুটি হলের প্রভোস্ট - শেরে বাংলা হলের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বাছির ও বিজয়-২৪ হলের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান এবং জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, "আগামীকাল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা জেনেছি যে ভর্তি পরীক্ষায় উপাচার্যের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। তাই, উপাচার্যকে কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।"

শিক্ষার্থীদের সকল দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিন বলেন, "আমাকে একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট সভা থেকে বেআইনিভাবে ও সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমাকে 'ফ্যাসিস্ট' আখ্যা দিয়ে অপমানজনকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, কীভাবে কাউকে এসব পদে অন্তর্ভুক্ত বা অব্যাহতি দেওয়া যাবে। অথচ সেই আইনকে উপেক্ষা করে, কোনো আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই আমাকে অপসারণ করা হয়েছে। এ ধরনের আচরণ প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচার ও দমননীতির স্পষ্ট প্রমাণ।"

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর এটিএম রফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, "শিক্ষার্থীদের নামে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তার সাথে আমি একমত নই। আমি তখন প্রক্টর ছিলাম, কিন্তু মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। সম্প্রতি একটি জিডি হয়েছে, এর সাথেও আমি কোনোভাবেই একমত নই। আমার সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা কেন মামলা খাবে? তাদের ভবিষ্যৎ আছে, তাদের জীবনে কেন কলঙ্কের দাগ লাগবে? আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিন স্যারকে সম্প্রতি একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিটা আমি পড়েছি, এবং এই ধরনের ভাষা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতেই আজ আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি।"

এ বিষয়ে সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সোনিকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান এবং কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তবে, সার্বিক বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

মন্তব্য

ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের অভিযোগ

জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
৮ মে, ২০২৫ ১৬:০
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা

ইউজিসির বাজেট বৃদ্ধি,আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য ভবনে তালা দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার(৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন ও বিজ্ঞান ভবন ঘুরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে সমাবেশ করেন তারা।ঘন্টা দুয়েক উপচার্য ভবন আটকে রেখে আগামী সপ্তাহে লং মার্চের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ শেষ করেন শিক্ষার্থারা।

এ সময় তাঁরা খুলবে না আর খুলবে না,এই তালা আর খুলবে না,আমাদের দাবী,আমাদের দাবী মানতে হবে মানতে হবে,প্রশাসনের বাজেট মানি না মানবো না,বৈষম্যের কালো হাত ,ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও,বাতিল বাতিল বাতিল চাই,বৈষম্যের বাজেট বাতিল চাই,ইউজিসির বৈষম্য মানি না মানবো না,বাজেট নিয়ে বৈষম্য ,মানি না মানবো না,বৈষম্যের গদিতে, আগুন জালো একসাথে সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

এ সময় ইসলামিক ইস্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজীল বলেন,আমরা আমাদের এই প্রশাসনের প্রতি চরম হতাশ।আমাদের জুলাই আন্দোলনের কারণেই তারা চেয়ারে বসতে পেরেছে।কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের দাবী পূরণে ব্যর্থ।আমাদের আস্থার জায়গাটাও তারা হারিয়ে ফেলেছে।জগন্নাথের মতো একটা জায়গার চেয়ারে থেকে যদি এমন করেন তাহলে বলবো প্লিজ চেয়ারটা ছেড়ে দেন।

আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন,যুগ যুগ ধরে জবিয়ানরা বৈষম্যের শিকার।প্রশাসনের উচিত ছিলো এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।কিন্ত তারা তা করেনি।আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে ঘোষণা করতে চাই যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেও আপনারা আমাদের দাবী মেনে না নেন তাহলে আমরা যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহন করবো।পরবর্তীতে যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের দায়ভার দিতে পারবেন না।আপনাদের ভালোই ভালোই বলছি আমাদের এই দাবী মেনে নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন চার দফা দাবী নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।কিন্তু প্রশাসনের ঘাফিলতির কারণে আমাদের দাবী বাস্তবায়ন হচ্ছে না।দাবী আদালতের আগামী সপ্তাহে আমরা লং মার্চ করার সিদ্ধান্তে নিয়েছি।

সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের উল্লেখিত চার দফা দাবিগুলো হলো:

  1. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।
  2. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা ।
  3. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ।
  4. আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।  
মন্তব্য

পিসিআইইউ মিডিয়া ক্লাব পেল নতুন নেতৃত্ব

অনলাইন ডেস্ক
৮ মে, ২০২৫ ১৫:২৭
অনলাইন ডেস্ক
পিসিআইইউ মিডিয়া ক্লাব পেল নতুন নেতৃত্ব

পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের পিসিআইইউ মিডিয়া ক্লাবের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন শেষ হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরে খুশি মিডিয়া ক্লাবের ভোটাররা।  এই ভোট প্রক্রিয়া অনেক ভোটারের জন্য ছিল প্রথম। বিভাগের শিক্ষকরা বলছে এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক মনোভাব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মানসিক ভাবে মজবুত করবে। এই নির্বাচনের শিক্ষা জাতীয় জীবনে কাজে লাগবে বলে আশা প্রার্থীদের।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হল রুমে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন করে মোট আট জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।

নির্বাচনে সভাপতি পদে ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন দাশ গুপ্ত। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৪টি ভোট নির্বাচিত হন একই ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রান্ত চৌধুরী।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাঈনুল হাসান চৌধুরী। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতাউস সামাদ রাজু ও সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ।

নির্বাচন চলাকালে মিডিয়া ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান দিলরুবা আক্তার, উপদেষ্টা সিনিয়র লেকচারার প্রশান্ত কুমার শীল, লেকচারার আকিব-উল-ওয়াদুদ আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদ খান মিলন এবং কর্মকর্তা নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।

বিকেল ৫টায় ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণা করেন। 

নবনির্বাচিত সভাপতি রবিন দাশ গুপ্ত জানান, আমাকে নির্বাচিত করার জন্য সকল ভোটারদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি তাদের সাথে নিয়ে এই ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ক্লাবসহ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের স্কিল উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যসূচি হাতে নিয়ে কাজ করবো। যেহেতু আমার হাতে আট মাসের মত সময় আছে আমি এবং ক্লাবের সদস্যদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেব।

সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত চৌধুরী জানান, বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন। পাশাপাশি পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করে সবাই মিলে এক পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে পথচলা নিশ্চিত করবেন।

এসময় তিনি জানান, এই নির্বাচন আমার জীবনে দেখা অন্যতম সুষ্ঠু নির্বাচন। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন পরিচালনা করা হয়। প্রতিটা প্রার্থী ভালোই প্রতিদ্বন্দীতা করেছে। বিজয়ীদের সাথে অন্যদের তফাৎ ছিল অল্প। ১০২ জন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৯৩ জন ভোট প্রদান করেন। ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৯১.১৮ শতাংশ।

মিডিয়া ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা দিলরুবা আক্তার বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এধরণের নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। ক্লাবের নতুন নেতৃত্ব বর্তমান শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করবে বলে অঙ্গীকারবদ্ধ। আশা করছি তারা সকলকে সাথে নিয়ে মিডিয়া ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    চবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ই-কার

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৮ মে, ২০২৫ ১৫:২৪
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    চবিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে ই-কার

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ইলেকট্রিক কার (ই-কার)। প্রথম ধাপে আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ মে ক্যাম্পাসে চলবে চারটি ই-কার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন উপলক্ষে নেওয়া নানা প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ।

    আজ বুধবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন জানান, ‘একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। তারা পরীক্ষামূলকভাবে ই-কার চালাবে। পরে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

    চুক্তি চূড়ান্ত হলে আগামী জুন মাসে ২০টি ই-কার নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে এ সেবা চালু হবে বলে জানান তিনি।

    তিনি বলেন, এই যানবাহন কেবল ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলবে জানিয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৫ টাকা। চার্জিং সুবিধা ও গাড়ি রাখার স্থান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেবে, আর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর।’

    তিনি আরও বলেন, ‘এটি চবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। অনেকটা “নো প্রফিট, নো লস” বা সামাজিক উদ্যোগের মতো। গ্রিন ক্যাম্পাস গড়তে সবাইকে অনুপ্রাণিত করতেই এ উদ্যোগ।’

    ভবিষ্যতে ডিজিটাল পেমেন্ট চালুর পাশাপাশি রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ই-কার চালানোর ব্যবস্থাও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      যারা ইন্ধন দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে তাদেরকে সহজেই ছেড়ে দেয়া হবে না: ববি উপাচার্য

      অনলাইন ডেস্ক
      ৮ মে, ২০২৫ ১৩:২৮
      অনলাইন ডেস্ক
      যারা ইন্ধন দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে তাদেরকে সহজেই ছেড়ে দেয়া হবে না: ববি উপাচার্য

      বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

       সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ পালন করেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বাসভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

      এছাড়াও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শেরে-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট ড. আবদুল আলিম বছির এবং জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার তাদের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।

      এদিকে এক দফা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ টির অধিক বিভাগ৷ 

      সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন জানতে চাইলে বলেন, "শিক্ষার্থীদের দাবি সিন্ডিকেট মিটিংয়ে মেনে নেওয়ার পরও কিছু শিক্ষার্থী নতুন নতুন দাবি তুলে আন্দোলন করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে নেই। যারা আন্দোলন করছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য ইন্ধন দিচ্ছে, এবং দিন দিন সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছে।"

      বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকগণ একের পর এক পদত্যাগ করছেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এখানে কিছু ব্যক্তিগত অভিসন্ধি কাজ করছে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে।"

      তিনি আরও বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারী আগের সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত, যাদের মধ্যে কারও কম, কারও বেশি ফ্যাসিস্ট সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।"

      সবশেষে উপাচার্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যে বা যারা ইন্ধন দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে তাদেরকে সহজেই ছেড়ে দেয়া হবে না।"

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য
        সর্বশেষ সংবাদ
          সর্বাধিক পঠিত