ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

যারা ইন্ধন দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে তাদেরকে সহজেই ছেড়ে দেয়া হবে না: ববি উপাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
৮ মে, ২০২৫ ১৩:২৮
অনলাইন ডেস্ক
যারা ইন্ধন দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে তাদেরকে সহজেই ছেড়ে দেয়া হবে না: ববি উপাচার্য

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

 সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ পালন করেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বাসভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

এছাড়াও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শেরে-ই বাংলা হলের প্রভোস্ট ড. আবদুল আলিম বছির এবং জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার তাদের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।

এদিকে এক দফা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ টির অধিক বিভাগ৷ 

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন জানতে চাইলে বলেন, "শিক্ষার্থীদের দাবি সিন্ডিকেট মিটিংয়ে মেনে নেওয়ার পরও কিছু শিক্ষার্থী নতুন নতুন দাবি তুলে আন্দোলন করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এতে নেই। যারা আন্দোলন করছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য ইন্ধন দিচ্ছে, এবং দিন দিন সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকগণ একের পর এক পদত্যাগ করছেন কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এখানে কিছু ব্যক্তিগত অভিসন্ধি কাজ করছে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারী আগের সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত, যাদের মধ্যে কারও কম, কারও বেশি ফ্যাসিস্ট সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।"

সবশেষে উপাচার্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "যে বা যারা ইন্ধন দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে তাদেরকে সহজেই ছেড়ে দেয়া হবে না।"

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বুটেক্সে সমাবর্তন টেন্ডার ঘিরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৮ মে, ২০২৫ ১১:৫৪
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    বুটেক্সে সমাবর্তন টেন্ডার ঘিরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার

    বিগত বছরের জুলাই মাসের শুরুতে সারাদেশে কোটা আন্দোলন কেবল শুরু হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত একটি আদেশ অনুযায়ী আমাদের খুব সকালে ঘুম থেকে ডেকে তড়িঘড়ি করে দলবদ্ধভাবে ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেদিন ক্যাম্পাসের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল, কেন আমাদের যেতে বলা হচ্ছে—তা জানানো হয়নি। মনে নানা প্রশ্ন জাগলেও ভয়ে তা প্রকাশ করার সাহস পাইনি। শুধু জানলাম, সিনিয়রদের আদেশ অমান্য করলে বিপদ হতে পারে।

    প্রায় সকাল ৮টার দিকে আমাদের ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এক ধরনের থমথমে ও অস্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছিল। আমাদেরকে তৎকালীন ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মিরান ভাইয়ের নির্দেশে মূল ফটকের নিচে অবস্থান করতে বলা হয়। একই সময়ে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু ভাইয়ের নেতৃত্বে কিছু ছাত্রকে জোরপূর্বক সম্মেলন কক্ষ ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন (পি অ্যান্ড ডি) রুমের আশেপাশে অবস্থান করতে দেখা যায়। আমাদের বলা হয়, কোনো বহিরাগত ব্যক্তি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে।

    পি অ্যান্ড ডি রুমের সামনে কিছু পুলিশ সদস্য অবস্থান করছিলেন, যারা পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তখনও আমাদের কাছে পরিষ্কার ছিল না আসলে কী ঘটছে, কিংবা আমাদের উপস্থিতির উদ্দেশ্য কী। কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় তলা থেকে চিৎকার ও বিশৃঙ্খলার শব্দ ভেসে এলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে অন্যদিকে সরে যাই। পরে আমরা হলে ফিরে যাই।

    ঘটনাটি বলছিলেন শহীদ আজিজ হলের ৪৮তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী।

    বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পোষ্য নেতাকর্মীদের টেন্ডার বাণিজ্য ছিল নিয়মিত ঘটনা। তাদের পছন্দের লোককে টেন্ডার দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হতো লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রশাসনের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি, ধমকি এমনকি লাঞ্ছনারও শিকার হতে হতো।

    বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) প্রথম সমাবর্তনের টেন্ডারকে কেন্দ্র করেও এমনই একটি ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগ নেতাদের পছন্দের লোককে টেন্ডার দিতে রাজি না হওয়ায় ১০ জুলাই ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হল এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সকাল থেকে ক্যাম্পাসে হাজির করা হয়, যাতে অন্য কেউ টেন্ডার জমা দিতে না পারে।

    এদিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলবদ্ধভাবে পুরো ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশে অবস্থান নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগ কর্মীদের নেতৃত্বে পকেট গেট ও মেইন গেটে দুটি দলকে রাখা হয়, যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে। ৪৫তম ও তার ঊর্ধ্বতন ব্যাচের নেতারা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নেয়।

    তৎকালীন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে তার কক্ষে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের উপহার সামগ্রীসহ অন্যান্য প্যাকেজ সরবরাহের টেন্ডার কার্যক্রমের দায়িত্বে আমি ছিলাম। যথাযথ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল। তবে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার হুমকির কারণে প্রথম দফায় কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিতে সাহস করেনি, ফলে টেন্ডার বাতিল হয়।”

    তিনি আরও বলেন, “দ্বিতীয় দফায় কিছু প্রতিষ্ঠান টেন্ডার জমা দিতে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। সেদিন ‘টোটাল প্লাস বাংলাদেশ’-এর এক প্রতিনিধিকে অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানাই এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তেজগাঁও থানার ওসির সহায়তায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করি। পরে ছাত্রলীগ নেতারা আমার কক্ষে এসে পুলিশ ডাকার কারণ জানতে চায়, চাপ সৃষ্টি করে এবং আমাকে নানা হুমকি ও অপমানজনক আচরণ করে।”

    “তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত বাজেট প্রায় ১৫ লাখ টাকা বেশি ছিল, যা নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমি নিয়ম মেনে তুলনামূলকভাবে কম বাজেট দেওয়া একটি যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার প্রদান করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে ‘বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকার’ বলে অপবাদ দেয়।”

    টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় উপাচার্যের কক্ষ ঘেরাও করে ‘জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়া হয়। তৎকালীন উপাচার্য ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, “টেন্ডার জমা দেওয়ার আগেই ছাত্রলীগ নেতারা আমাকে চাপ দিতে থাকে যেন তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। আমি বারবার বলেছি, নিয়ম মেনে টেন্ডার জমা দিলে এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত হলে তবেই কাজ দেওয়া হবে, অন্যথায় নয়।”

    তিনি আরও জানান, “সেদিনের বেশিরভাগ ঘটনার সমন্বয় করছিলেন ফরহাদ স্যার। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগ টেন্ডার নিয়ে চাপ দিচ্ছে। তিনি পুলিশ ডাকতে পারেন এবং টেন্ডার বক্স থানায় সরিয়ে নিতে হতে পারে। আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই এবং সুষ্ঠু প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিই।”

    মন্তব্য

    বিশেষ সিন্ডিকেটেও পাশ হয়নি জবির জকসু গঠনতন্ত্র

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৭ মে, ২০২৫ ১৭:৫৪
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    বিশেষ সিন্ডিকেটেও পাশ হয়নি জবির জকসু গঠনতন্ত্র

    'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ' (জকসু) এর নীতিমালায় শিক্ষার্থীদের মতামত না থাকায় বিশেষ সিন্ডিকেট আহ্বান করেও পাশ হয়নি গঠনতন্ত্র।  

    বুধবার (৭ মে) সকাল নয়টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। 

    উপাচার্য বলেন, জকসু গঠনতন্ত্র নিয়ে কোনো অসন্তুষ্টি কিংবা অস্পষ্টতা না থাকে সে জন্য প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রে শিক্ষার্থীদের মতামত সংযুক্ত করার পরামর্শ এসেছে সিন্ডিকেট সদস্যদের কর্তৃক। শিক্ষার্থীদের মতামত যুক্ত করার পরামর্শ আসায় কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে গেলো এটি।

    উপাচার্য আরও বলেন, এ নিয়ে এখন একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি ও শিক্ষার্থীদের লিখিত মতামত নীতিমালাতে সংযুক্ত করে পরবর্তী সিন্ডিকেটে এটি পাশ হবে। এ পদ্ধতিতে গেলে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে আমি মনে করি।

    এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বলেন, প্রস্তাবিত নীতিমালাতে শিক্ষার্থীদের মতামত না থাকায় বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সিন্ডিকেট সদস্য ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিম আলম স্যারকে আহবায়ক করে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করে তাদের পর্যালোচনা লিখিত আকারে আগামী ১০ দিনের মধ্যে জমা দিবেন।

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানে অনীহা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ৭ মে, ২০২৫ ১৭:৪৭
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানে অনীহা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের

    দ্বিতীয় বারের মত সরকারি বাঙলা কলেজে  অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্ত:কলেজ বিজ্ঞান মেলা। এই মেলা ঘিরে কলেজটির বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর মধ্যে চলছে সাজ সাজ রব। সানন্দচিত্তে অংশগ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। 

    তবে এমন পরিস্থিতিতেও মুখে হাসি নেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ কোনো বরাদ্দ প্রদান না করায় হতাশা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন উক্ত বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা।

    পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী জানাচ্ছেন, ইতোমধ্যে ৭ ও ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দুটি বিশেষ প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তারা।

    প্রকল্প দুটি হলো:
    ১) এন্টি-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার
    ২) ক্রস-ওয়াচ

    এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে আনুমানিক ১১ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই অর্থের সংস্থানের জন্য বিভাগীয় প্রধান বরাবর সহযোগীতার আবেদন করলেও ইতিবাচক সাড়া মেলে নি।

    শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, বরাদ্দের জন্য আবেদন নিয়ে গেলে বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে। উপরন্তু, অংশগ্রহনেচ্ছুক শিক্ষার্থীদের নিজ খরচে প্রজেক্ট তৈরির পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তারা। 

    এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধান তাসলিমা ফেরদৌস স্পষ্ট করে বলেন, “বিভাগীয় বাজেটে বিজ্ঞান মেলার জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।”

    শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রম বাড়ানোর কথা, সেখানে বিজ্ঞানের বিভাগগুলোর এই ধরনের অবস্থান অত্যন্ত হতাশাজনক।

    এ প্রসঙ্গে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, “ একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণামূলক কাজের জন্য ন্যূনতম সহায়তা না থাকা সত্যিই চিন্তার বিষয়। শিক্ষার্থীদের সবাই তো সমান আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়। কিছু শিক্ষার্থী শুধু এই অর্থসংকটের কারণে প্রজেক্ট আইডিয়া থাকা সত্ত্বেও পিছিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।”
    তিনি বলেন, “আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যদিও বিভাগ মাত্র পনেরশো টাকা  বরাদ্দ দিয়েছে। তবে এটাও সত্য যে, পনেরশো টাকা কোনো প্রকল্পের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য অতি সামান্য।”

    বিজ্ঞানচর্চাকে গুরুত্ব দিতে প্রতিটি বিভাগে গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রমের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। অন্যথায়, ভবিষ্যতে বিজ্ঞানচর্চায় শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

    মন্তব্য

    ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটের বিষয়ে যা বলল রাবি ছাত্রদল

    অনলাইন ডেস্ক
    ৬ মে, ২০২৫ ১৯:২৮
    অনলাইন ডেস্ক
    ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটের বিষয়ে যা বলল রাবি ছাত্রদল

    ফাঁস হওয়া হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশটের বিষয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল। রাবি ছাত্রদলের কোনো অফিসিয়াল গ্রুপ নেই বলে জানিয়েছে ছাত্রদল। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। 

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘রাবি ছাত্রদল’ নামক একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ায় বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে রাবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত গ্রুপের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কোনো সিনিয়র নেতা অবগত ছিলেন না এবং বিষয়টি পূর্বানুমতি ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছিল কিংবা এটি আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা সম্পাদিতও হতে পারে।

    সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা স্পষ্টাক্ষরে বলতে চাই, গ্রুপটি ছাত্রদলের কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত কিংবা দিকনির্দেশনার আওতাধীন নয়। শুধুমাত্র পদাধিকারের কারণে কিছু কর্মী গ্রুপটিতে আমাকে ও সিনিয়র নেতাদের অ্যাডমিন হিসেবে যুক্ত করে থাকতে পারে তবে গ্রুপটি সরাসরি কোনো সাংগঠনিক তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ টি হল, সকল অনুষদ ও বিভাগভিত্তিক অসংখ্য গ্রুপ থাকতে পারে এবং এসব গ্রুপে যারা যুক্ত আছেন, তাদের সকলে দলীয় নির্দেশনার অংশ নন।

    রাবি ছাত্রদলের কোনো অফিসিয়াল গ্রুপ নেই উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমরা আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অফিসিয়াল কোনো গ্রুপ নেই। এমতাবস্থায় আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনকে বট বাহিনীর মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের মিডিয়া ট্রায়ালের বশবর্তী হয়ে সংবাদ উপস্থাপন না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

    আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাই, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় কেউ লিপ্ত হবেন না। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনার বাইরে কেউ সক্রিয় থাকলে তার বিরুদ্ধে সংগঠনের গঠনতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, সোমবার (৫ মে) সকালে হোয়াটস অ্যাপের গ্রুপের এই স্ক্রিনশটটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। সেখানে গ্রুপের নাম দেওয়া আছে রাবি ছাত্রদল। সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের পেটানোর পরিকল্পনার একটি কথোপকথনের স্ক্রিনসট সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্ক্রিনশটটিতে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে কথোপকথন করতে দেখা গেছে। সেখানে একজন বলেছেন ‘ক্যাম্পাসের বাইরে ভেতরে না মামা এদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই পিটাতে হবে’। এটারই প্রেক্ষিতে তারা আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত