ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

জ্যামে পড়লেই উড়াল দেবে এ গাড়ি

অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২০:১৪
অনলাইন ডেস্ক
জ্যামে পড়লেই উড়াল দেবে এ গাড়ি

বিশ্বের প্রথম ‘ফ্লাইং কার’ বা উড়ন্ত গাড়ি উদ্ভাবনের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি দাঁড়ানো গাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে কোম্পানিটি।


সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।


আলেফ অ্যারোনটিক্স নামের এই প্রতিষ্ঠান তাদের ‘মডেল জিরো’ নামের প্রোটোটাইপের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় গাড়িটি স্বাভাবিকভাবে রাস্তা দিয়ে চলার পর হঠাৎ করে উড়ে একটি পার্ক করা গাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে যায়।


প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জিম ডুখোভনি বলেন, শহরের বাস্তব পরিবেশে চালানো এই ড্রাইভ ও ফ্লাইট টেস্ট আমাদের প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। আমরা আশা করি, এটি রাইট ব্রাদারদের মতোই প্রমাণ করবে যে নতুন ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা সত্যিই সম্ভব।


বর্তমানে বেশির ভাগ ফ্লাইং কার স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানই ড্রোনের মতো কোয়াডকপ্টার ডিজাইন ব্যবহার করে, যেখানে গাড়ির বাইরের অংশে রোটর ব্লেড থাকে। আবার কিছু গাড়ি ফোল্ডিং উইং বা ভাঁজ করা ডানা ব্যবহার করে, যা উড্ডয়নের জন্য বড় জায়গা প্রয়োজন।


তবে আলেফের মডেল জিরো গাড়িটি দেখতে অনেকটাই সাধারণ গাড়ির মতো। এর রোটর ব্লেড গাড়ির চেসিস বা গঠন কাঠামোর ভেতরেই লুকানো রয়েছে।


আলেফ জানিয়েছে, পুরোপুরি বৈদ্যুতিক এই গাড়িটি একটানা ৩২০ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কপথে চলতে পারে এবং আকাশপথে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে সক্ষম।


২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আলেফ অ্যারোনটিক্স। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ভবিষ্যতে এমন একটি উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করা, যা শুধু ধনীদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও সহজলভ্য হবে।


ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘মডেল এ’ নামের গাড়িটির জন্য ৩ হাজার ৩০০টিরও বেশি প্রি-অর্ডার পেয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে এই গাড়িটির উৎপাদন শুরু হবে।


এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তারা একটি উৎপাদন চুক্তি সম্পন্ন করেছে ‘পুকারা অ্যারো’ এবং ‘এমওয়াইসি’র সঙ্গে। এই যৌথ উদ্যোগটি এর আগে ‘এয়ারবাস ও বোয়িং’-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অ্যাভিয়েশন-গ্রেড যন্ত্রাংশ তৈরি করেছে।


‘মডেল এ’-এর দাম শুরু হচ্ছে প্রায় ৩ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড থেকে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে আরও একটি উড়ন্ত গাড়ি ‘মডেল জেড’ বাজারে আনবে, যার দাম হবে আনুমানিক ৩৫ হাজার ডলার।


আলেফের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রাস্তার গাড়ির মতো চলতে পারবে, প্রয়োজনে সোজা ওপরে উড্ডয়ন করবে এবং যানজটের ওপর দিয়ে উড়ে যাবে- আমরা আধুনিক যাতায়াতব্যবস্থার সমস্যার এক কার্যকর সমাধান তৈরি করছি।


কোম্পানিটি আরও বলেছে, গাড়িটি নিয়মিত লেনেই চলতে পারে এবং সব ধরনের ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলে। এটি সাধারণ একটি পার্কিংয়ের জায়গা বা গ্যারেজে অনায়াসে রাখা যায়।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    বাংলাদেশে নারী কৃষকদের ক্ষমতায়নে কৃষি সম্প্রসারণ সেবার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪৬
    অনলাইন ডেস্ক
    বাংলাদেশে নারী কৃষকদের ক্ষমতায়নে কৃষি সম্প্রসারণ সেবার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র
    বাংলাদেশে নারী কৃষকদের ক্ষমতায়নে কৃষি সম্প্রসারণ সেবার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র

    বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারী কৃষকদের অবদান অপরিসীম। বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল কাটা, সবজি উৎপাদন থেকে পশুপালন—সবখানেই নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। তবুও প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, বাজার সংযোগ ও আর্থিক সহায়তায় নারীরা এখনও পিছিয়ে আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি সম্প্রসারণ সেবা নারীদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষি খাতের উন্নয়নে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।


    নারী কৃষকদের বর্তমান অবস্থা

    বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, কৃষি খাতে প্রায় ৪৩ শতাংশ শ্রমশক্তি নারী। তবে এদের একটি বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করে এবং তাদের অবদান প্রায়ই অর্থনৈতিক মূল্যে পরিমাপ হয় না।

    গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষক রাবেয়া বেগম জানান,

    “আমরা মাঠে ধান লাগাই, ঘরে বীজ সংরক্ষণ করি, কিন্তু নতুন জাতের ধান বা সবজি চাষের পদ্ধতি নিয়ে প্রশিক্ষণ খুব একটা পাই না।”

    কৃষি সম্প্রসারণ সেবার ভূমিকা

    কৃষি সম্প্রসারণ সেবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষকদের কাছে নতুন প্রযুক্তি, চাষাবাদের আধুনিক কৌশল এবং বাজার সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেওয়া। নারীদের জন্য এই সেবার বিশেষ উপযোগিতা হলো—

    • প্রযুক্তি স্থানান্তর – নারীরা যাতে সহজে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি ও আধুনিক পদ্ধতি শিখতে পারেন।

    • ফসল ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ – বীজ নির্বাচন, সার প্রয়োগ, সেচ ব্যবস্থাপনা ও রোগ-পোকার দমন শেখানো।

    • বাজার সংযোগ – ফসল বিক্রির সময়, দাম নির্ধারণ ও বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে পরামর্শ।

    • ঋণ ও সহায়তা প্রকল্প – সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কৃষি ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন,

    “নারী কৃষকদের জন্য আলাদা ফার্মার ফিল্ড স্কুল, প্রদর্শনী প্লট এবং ডিজিটাল পরামর্শ কেন্দ্র চালু করা গেলে তারা আরও আত্মনির্ভরশীল হবে।”

    জরিপে যা উঠে এসেছে


    বিষয় -শতাংশ (%)

    নারী কৃষকেরা প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ পান -৩৫%

    বাজার তথ্যের নিয়মিত অ্যাক্সেস আছে -২৫%

    কৃষি সম্প্রসারণ সেবার সাথে যোগাযোগ রাখেন -৪০%

    নারী কৃষক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে দক্ষ -১৮%


    সম্ভাবনার ক্ষেত্র

    1. ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণ – মোবাইল অ্যাপ, এসএমএস ও অনলাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলের নারী কৃষকের কাছে সেবা পৌঁছানো।

    2. গোষ্ঠীভিত্তিক কৃষি কার্যক্রম – সমবায় ও গ্রুপভিত্তিক চাষাবাদে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো।

    3. অ্যাগ্রো-প্রসেসিং – ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও ব্র্যান্ডিং-এ নারীদের সম্পৃক্ত করা।

    4. নারীবান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতি – হালকা ও সহজ ব্যবহারযোগ্য যন্ত্র তৈরি ও সরবরাহ।


    মাঠ পর্যায়ের সাফল্যের গল্প

    কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার নারী কৃষক হাসিনা আক্তার গত মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবা থেকে সবজি চাষের প্রশিক্ষণ নেন। নতুন কৌশল ব্যবহার করে তিনি জমির উৎপাদন দ্বিগুণ করতে সক্ষম হন।

    “আগে শুধু পরিবারের জন্য সবজি ফলাতাম, এখন বাজারে বিক্রি করে মাসে ৭-৮ হাজার টাকা আয় করি।”


    চ্যালেঞ্জ

    • সামাজিক বিধিনিষেধ – অনেক পরিবার নারীদের মাঠে বা প্রশিক্ষণে পাঠাতে অনিচ্ছুক।

    • ভূমি মালিকানার অভাব – জমির মালিকানা না থাকায় অনেক নারী কৃষি ঋণ পান না।

    • তথ্যের সীমাবদ্ধতা – প্রযুক্তি বা বাজার সংক্রান্ত তথ্য সময়মতো হাতে পৌঁছায় না।

    • পর্যাপ্ত নারী কৃষি কর্মকর্তা না থাকা – মাঠ পর্যায়ে নারী কৃষি কর্মকর্তার সংখ্যা কম হওয়ায় নারী কৃষকদের সেবা সীমিত।


    বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

    1. নারীবান্ধব সম্প্রসারণ নীতি প্রণয়ন।

    2. নারী কৃষকের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ।

    3. নারী প্রশিক্ষক ও কৃষি কর্মকর্তার সংখ্যা বৃদ্ধি।

    4. বাজারে নারী কৃষকের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।


    পরিশেষে, নারী কৃষকদের ক্ষমতায়ন শুধু তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কৃষি সম্প্রসারণ সেবা যদি পরিকল্পিতভাবে নারীবান্ধব করা যায়, তাহলে আগামী দিনে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং লাখো নারী কৃষক আত্মনির্ভরশীলতার পথে এগিয়ে যাবেন।


    লেখক- বেগম জেরিনা রেশমা, পিএইচডি ফেলো, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      চ্যাটজিপিটির ডায়েট চার্ট মেনে হাসপাতালে রোগী!

      অনলাইন ডেস্ক
      ১১ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২৪
      অনলাইন ডেস্ক
      চ্যাটজিপিটির ডায়েট চার্ট মেনে হাসপাতালে রোগী!

      কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এইআই) উপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরতা কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে, তার ভয়াবহ দৃষ্টান্ত সম্প্রতি উঠে এসেছে। চ্যাটজিপিটি-এর দেওয়া ডায়েট চার্ট মেনে চলতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক ব্যক্তি। চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত পরিমাণে সোডিয়াম ব্রোমাইড গ্রহণ করার ফলে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন তিনি। 


      এই ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এসিপি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা এই ঘটনার তদন্ত করেন। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি খাবারের অতিরিক্ত লবণ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এবং এর বিকল্প খুঁজতে গিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেন। 


      চ্যাটজিপিটি তাকে ক্লোরাইডের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে সোডিয়াম ব্রোমাইড গ্রহণের পরামর্শ দেয়। এআই-এর এই পরামর্শে ভরসা করে তিনি তিন মাস ধরে নিয়মিত সোডিয়াম ব্রোমাইড সেবন করতে থাকেন। কিন্তু চ্যাটজিপিটি তাকে এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি।


      হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ওই ব্যক্তির মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়। তিনি প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত থাকা সত্ত্বেও পানি পান করতে পারছিলেন না এবং তার হ্যালুসিনেশন হচ্ছিল। প্রথমে চিকিৎসকরা ধারণা করেন, মানসিক অসুস্থতার কারণে তার এমন হচ্ছে। পরে অ্যান্টি-সাইকোটিক ওষুধ ও ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইড দেওয়ার পর তার অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তখন তিনি পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন।


      চিকিৎসকরা জানান, ব্রোমাইড সাধারণত উদ্বেগ ও অনিদ্রার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হত। তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে কয়েক দশক আগেই ওষুধ হিসেবে এর ব্যবহার বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে কিছু প্রাণীর ওষুধ ও শিল্পজাত পণ্যে এর ব্যবহার সীমিত। 


      দীর্ঘ তিন সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর ওই ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বাংলাদেশে উল্কাবৃষ্টি দেখার দারুণ সুযোগ আসছে

        অনলাইন ডেস্ক
        ১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৮
        অনলাইন ডেস্ক
        বাংলাদেশে উল্কাবৃষ্টি দেখার দারুণ সুযোগ আসছে

        উল্কাবৃষ্টি দেখার দারুণ এক সুযোগ আসছে আমাদের দেশে! ১২ ও ১৩ আগস্ট বাংলাদেশের আকাশ থেকে দেখা যাবে এই অনিন্দ্য সুন্দর মহাজাগতিক ঘটনা—পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি।


        প্রতি বছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এই উল্কাবৃষ্টি হয়ে থাকে, আর উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো থেকে সহজেই তা দেখা যায়। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৩ আগস্ট ভোররাতে উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে।


        চাঁদের আলো কিছুটা বাধা, তবুও দারুণ অভিজ্ঞতা হবে


        গত বছর উল্কাবৃষ্টির সময় চাঁদ ছিল না, তাই অন্ধকার আকাশে উল্কাগুলো অনেক স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল। তবে এবার চাঁদের আলো থাকবে বলে উল্কাবৃষ্টি কিছুটা ম্লান লাগতে পারে। তবুও, পার্সাইড উল্কা এতটাই উজ্জ্বল যে তারা চাঁদের আলোয়ও চোখে পড়বে।


        বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকাশ যদি মেঘমুক্ত থাকে, তাহলে আপনি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০টি উল্কা দেখতে পারেন। এ এক চমৎকার অভিজ্ঞতা—আকাশে হুট করে জ্বলে উঠছে উজ্জ্বল আলোর রেখা, একটার পর একটা!


        কোথা থেকে আসছে এই উল্কাগুলো?


        এই উল্কাবৃষ্টির উৎস হচ্ছে পার্সিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জ। এখান থেকেই ‘পার্সাইড’ নামটির উৎপত্তি। তবে বাস্তবে উল্কাগুলো আসে সুইফট-টাটল নামের একটি ধূমকেতু থেকে।


        যখন পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে এই ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া ধূলিকণার পথে চলে আসে, তখন সেই ছোট ছোট কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে ঘর্ষণে জ্বলে ওঠে। আমাদের চোখে যেটা দেখা যায়, তা-ই শুটিং স্টার বা উল্কা!


        কখন দেখবেন?


        তারিখ: ১২ ও ১৩ আগস্ট


        সর্বোত্তম সময়: ১৩ আগস্ট ভোর রাত, সম্ভব হলে ২টা থেকে ৪টার মধ্যে


        যেখানে দেখবেন: শহরের আলো থেকে দূরে, খোলা আকাশের নিচে


        শর্ত: পরিষ্কার আকাশ হলে সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে


        এ দৃশ্য উপভোগের টিপস:


        - সম্ভব হলে আলো দূষণ কম এমন জায়গায় যান


        - মোবাইল বা টর্চের আলো কম ব্যবহার করুন


        - একটা চাদর বা চেয়ারে শুয়ে আরাম করে আকাশের দিকে তাকান


        - ধৈর্য ধরে ১৫–২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, চোখ অন্ধকারে অভ্যস্ত হলে বেশি উল্কা দেখতে পারবেন


        তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          হোয়াটসঅ্যাপের যেসব গোপন ফিচার জানেন না অনেকেই

          অনলাইন ডেস্ক
          ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১০:২২
          অনলাইন ডেস্ক
          হোয়াটসঅ্যাপের যেসব গোপন ফিচার জানেন না অনেকেই

          জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। যা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে নিয়মিত। যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরো ভালো করে। তবে মেটার মালিকানাধীন এই অ্যাপে এমন অনেক ফিচার রয়েছে যা এখনও জানেন না ব্যবহারকারীরা। 


          চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরকমই ৩টি আকর্ষণীয় ফিচার


          এক. হোয়াটসঅ্যাপ চালু কারো চ্যাটে গেলেই নিচের দিকে দেখা যায় বেশ কয়েকটি আইকন। তার মধ্যে থাকে ক্যামেরা, ডকুমেন্ট ও মাইক্রোফোন। ওই মাইক্রোফোনে ক্লিক করলে পাঠানো যায় ভয়েস মেসেজ। কিন্তু কিবোর্ডে থাকে আরো একটি মাইক্রোফোন। সেটির ব্যবহার জানেন? সেটিংসে গিয়ে ভাষা পরিবর্তন করে নিয়ে ওই মাইক্রোফোন ক্লিক করে আপনি যা বলবেই সেটাই ওই ভাষায় টাইপ হয়ে স্ক্রিনে আসবে। ফলে আপনাকে আর পরিশ্রম করে টাইপ করতে হবে না।


          দুই. যেকোনো প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপের কিবোর্ডই হয়ে উঠতে পারে স্ক্যানার? আপনি কাউকে কোনো লেখা পাঠাতে চাইছেন। এতদিন ছবি খাতায় লেখার ছবি তুলে পাঠাতেন। আর সেকাজ করবেন না। মেসেজে ট্যাপ করলেই পাবেন অটোফিল অপশন। তাতে ক্লিক করলেই কিবোর্ডটি হয়ে যাবে স্ক্য়ানার। ছবি তুলে যে লেখা পাঠাচ্ছিলেন, সেটা স্ক্য়ান করে পাঠিয়ে দিন।



          তিন. হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে মেসেজ ট্রান্সক্রিপ্ট অপশনও। এই ফিচার ব্যবহারে ভয়েস মেসেজ লিখিত আকারে দেখতে পাবেন। তাতে পথে ঘাটে মানুষের মাঝে থাকলে আর হেডফোন খুঁজে শুনতে হবে না। এটার জন্য প্রথমে যেতে হবে সেটিংসে। তারপর অন করতে হবে ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপ্ট অপশন। এরপর পছন্দ করতে হবে ভাষা। যে কোনো ভয়েস মেসেজ লিখিত আকারে পেয়ে যাবেন স্ক্রিনে।


          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত