ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫ ২ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বাংলাদেশে উল্কাবৃষ্টি দেখার দারুণ সুযোগ আসছে

অনলাইন ডেস্ক
১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৮
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে উল্কাবৃষ্টি দেখার দারুণ সুযোগ আসছে

উল্কাবৃষ্টি দেখার দারুণ এক সুযোগ আসছে আমাদের দেশে! ১২ ও ১৩ আগস্ট বাংলাদেশের আকাশ থেকে দেখা যাবে এই অনিন্দ্য সুন্দর মহাজাগতিক ঘটনা—পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি।


প্রতি বছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এই উল্কাবৃষ্টি হয়ে থাকে, আর উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো থেকে সহজেই তা দেখা যায়। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১৩ আগস্ট ভোররাতে উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে।


চাঁদের আলো কিছুটা বাধা, তবুও দারুণ অভিজ্ঞতা হবে


গত বছর উল্কাবৃষ্টির সময় চাঁদ ছিল না, তাই অন্ধকার আকাশে উল্কাগুলো অনেক স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল। তবে এবার চাঁদের আলো থাকবে বলে উল্কাবৃষ্টি কিছুটা ম্লান লাগতে পারে। তবুও, পার্সাইড উল্কা এতটাই উজ্জ্বল যে তারা চাঁদের আলোয়ও চোখে পড়বে।


বিজ্ঞানীরা বলছেন, আকাশ যদি মেঘমুক্ত থাকে, তাহলে আপনি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০টি উল্কা দেখতে পারেন। এ এক চমৎকার অভিজ্ঞতা—আকাশে হুট করে জ্বলে উঠছে উজ্জ্বল আলোর রেখা, একটার পর একটা!


কোথা থেকে আসছে এই উল্কাগুলো?


এই উল্কাবৃষ্টির উৎস হচ্ছে পার্সিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জ। এখান থেকেই ‘পার্সাইড’ নামটির উৎপত্তি। তবে বাস্তবে উল্কাগুলো আসে সুইফট-টাটল নামের একটি ধূমকেতু থেকে।


যখন পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে এই ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া ধূলিকণার পথে চলে আসে, তখন সেই ছোট ছোট কণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে ঘর্ষণে জ্বলে ওঠে। আমাদের চোখে যেটা দেখা যায়, তা-ই শুটিং স্টার বা উল্কা!


কখন দেখবেন?


তারিখ: ১২ ও ১৩ আগস্ট


সর্বোত্তম সময়: ১৩ আগস্ট ভোর রাত, সম্ভব হলে ২টা থেকে ৪টার মধ্যে


যেখানে দেখবেন: শহরের আলো থেকে দূরে, খোলা আকাশের নিচে


শর্ত: পরিষ্কার আকাশ হলে সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে


এ দৃশ্য উপভোগের টিপস:


- সম্ভব হলে আলো দূষণ কম এমন জায়গায় যান


- মোবাইল বা টর্চের আলো কম ব্যবহার করুন


- একটা চাদর বা চেয়ারে শুয়ে আরাম করে আকাশের দিকে তাকান


- ধৈর্য ধরে ১৫–২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, চোখ অন্ধকারে অভ্যস্ত হলে বেশি উল্কা দেখতে পারবেন


তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    হোয়াটসঅ্যাপের যেসব গোপন ফিচার জানেন না অনেকেই

    অনলাইন ডেস্ক
    ২৩ জুলাই, ২০২৫ ১০:২২
    অনলাইন ডেস্ক
    হোয়াটসঅ্যাপের যেসব গোপন ফিচার জানেন না অনেকেই

    জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। যা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে নিয়মিত। যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরো ভালো করে। তবে মেটার মালিকানাধীন এই অ্যাপে এমন অনেক ফিচার রয়েছে যা এখনও জানেন না ব্যবহারকারীরা। 


    চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরকমই ৩টি আকর্ষণীয় ফিচার


    এক. হোয়াটসঅ্যাপ চালু কারো চ্যাটে গেলেই নিচের দিকে দেখা যায় বেশ কয়েকটি আইকন। তার মধ্যে থাকে ক্যামেরা, ডকুমেন্ট ও মাইক্রোফোন। ওই মাইক্রোফোনে ক্লিক করলে পাঠানো যায় ভয়েস মেসেজ। কিন্তু কিবোর্ডে থাকে আরো একটি মাইক্রোফোন। সেটির ব্যবহার জানেন? সেটিংসে গিয়ে ভাষা পরিবর্তন করে নিয়ে ওই মাইক্রোফোন ক্লিক করে আপনি যা বলবেই সেটাই ওই ভাষায় টাইপ হয়ে স্ক্রিনে আসবে। ফলে আপনাকে আর পরিশ্রম করে টাইপ করতে হবে না।


    দুই. যেকোনো প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপের কিবোর্ডই হয়ে উঠতে পারে স্ক্যানার? আপনি কাউকে কোনো লেখা পাঠাতে চাইছেন। এতদিন ছবি খাতায় লেখার ছবি তুলে পাঠাতেন। আর সেকাজ করবেন না। মেসেজে ট্যাপ করলেই পাবেন অটোফিল অপশন। তাতে ক্লিক করলেই কিবোর্ডটি হয়ে যাবে স্ক্য়ানার। ছবি তুলে যে লেখা পাঠাচ্ছিলেন, সেটা স্ক্য়ান করে পাঠিয়ে দিন।



    তিন. হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে মেসেজ ট্রান্সক্রিপ্ট অপশনও। এই ফিচার ব্যবহারে ভয়েস মেসেজ লিখিত আকারে দেখতে পাবেন। তাতে পথে ঘাটে মানুষের মাঝে থাকলে আর হেডফোন খুঁজে শুনতে হবে না। এটার জন্য প্রথমে যেতে হবে সেটিংসে। তারপর অন করতে হবে ভয়েস মেসেজ ট্রান্সক্রিপ্ট অপশন। এরপর পছন্দ করতে হবে ভাষা। যে কোনো ভয়েস মেসেজ লিখিত আকারে পেয়ে যাবেন স্ক্রিনে।


    মন্তব্য

    প্রয়োজনীয় তথ্য মনে রাখতে পারেন না? সমাধানের সহজ ৫ উপায়

    অনলাইন ডেস্ক
    ৮ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১
    অনলাইন ডেস্ক
    প্রয়োজনীয় তথ্য মনে রাখতে পারেন না? সমাধানের সহজ ৫ উপায়

    আমাদের সবারই জীবনে এমন সময় আসে যখন আমরা অনেক কিছুই অনেক সময় মনে করতে পারি না। হয়তো এ ঘর থেকে অন্য ঘরে যেতে যেতেই ভুলে যাই কেন গিয়েছিলাম সেখানে। বা অনেকক্ষণ পড়ার পরেও পরীক্ষার সময় মাথা ফাঁকা হয়ে যায়। এমন হলে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় বিভিন্ন চিন্তা আসা শুরু করে। ভুলে যাওয়ার রোগ ধরল নাকি তা নিয়েও ভাবনা আসে মনে। তবে চিন্তার কিছু নেই। আপনি একা নন। বরং, এটা খুবই স্বাভাবিক এবং সবার সঙ্গেই ঘটে কমবেশি।

    বিভিন্ন গবেষণা বলছে, মানব মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি হয়নি যেন আমরা প্রতিটি ছোটখাটো বিষয় মনে রাখতে পারি। আসলে, ভুলে যাওয়া একটা প্রাকৃতিক বিষয়, যা মস্তিষ্ককে বেশি কার্যকর রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্ক শুধু সেই তথ্য মনে রাখে যা আমাদের কাজে লাগে বা আমাদেরকে বাঁচতে সাহায্য করে। যেমন চেনা মুখ, বিপদ, রুটিন কাজ ইত্যাদি। মস্তিষ্ক মেনে চলে যে সবকিছু মনে রাখার দরকার নেই।

    এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে- তাহলে আসলেই দরকারি তথ্য কীভাবে মনে রাখবেন? নিচে ৫টি কার্যকরী উপায় দেওয়া হলো, যা বিজ্ঞানভিত্তিক এবং সহজে প্রয়োগযোগ্য।

    ১. একবারে গিলতে যাবেন না, সময় নিয়ে শিখুন

    জার্মান বিজ্ঞানী হারমান এববিংহাউস তার গবেষণায় দেখিয়েছেন, নতুন কিছু শিখলে আমরা খুব দ্রুত তা ভুলে যাই। এর মূল কারণ আমরা সেটা বারবার সময় নিয়ে দেখি না।

    পদ্ধতিটা কীভাবে কাজ করে: একই দিনে বারবার এক জিনিস পড়ার চেয়ে সপ্তাহে কয়েকদিনে ভাগ করে পড়লে সেই জিনিস বেশি মনে থাকে। যেমন- আজ পড়ুন, কাল আবার একটু দেখুন, তারপর ৩ দিন পর, তারপর ১ সপ্তাহ পর।

    সহজ পরামর্শ: ছোট ছোট নোট বা কার্ড বানিয়ে সেগুলো বারবার দেখে নিন। এতে তথ্যটা দীর্ঘমেয়াদে মাথায় থাকবে।

    ২. যেটা শেখেন, সেটা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নিন

    মস্তিষ্ক এমন তথ্য বেশি মনে রাখে, যেটা সে আগে থেকে কোনোভাবে চেনে বা যেটার সঙ্গে মানুষের অনুভূতির যোগ আছে।

    কেন এটা কাজে দেয়: আমরা যে তথ্যের সঙ্গে আবেগ বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জড়াতে পারি, মস্তিষ্কের জন্য সেটা মনে রাখা অনেক সহজ হয়।

    সহজ পরামর্শ: নতুন কিছু শিখলে সেটা নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে ভাবুন বা কল্পনা করুন। যেমন ইতিহাস পড়লে ভাবুন আপনি সেই সময়ের মানুষ ছিলেন।

    ৩. ভালো ঘুম মানেই ভালো স্মৃতি

    ঘুম শুধু বিশ্রামের জন্য না, এটা নতুন করে শেখা জিনিস মনে রাখার জন্যও জরুরি। গভীর ঘুমের সময়েই আমাদের মস্তিষ্ক শিখা তথ্যকে দীর্ঘমেয়াদে জমা করতে থাকে।

    বিজ্ঞানের তথ্য: যেসব মানুষ দিনে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমায়, তারা স্মৃতির কাজে অনেক ভালো করে।

    সহজ পরামর্শ: নতুন কিছু শেখার পর অন্তত এক রাত ভালো মত ঘুম দিন। এমনকি ৯০ মিনিট ঘুমও অনেক কাজে দেয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গবেষণা।

    ৪. নিজেই নিজের পরীক্ষা নিন, শুধু পড়লেই হবে না

    বারবার পড়লে মনে হচ্ছে শেখা হচ্ছে, আসলে তা না। তথ্য মনে রাখতে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে নিজে নিজে সেটা মনে করার চেষ্টা করা।

    কেন এটা কার্যকর: প্রশ্ন করে বা নিজে বলে বলে শেখা হলে মস্তিষ্ক বুঝতে পারে যে এটা দরকারি তথ্য। তখন সে সেটা জমা করে দ্রুত।

    সহজ পরামর্শ: পড়া শেষ করার পর বই বন্ধ করে ভাবুন আপনি কী শিখলেন। মুখে বলুন বা নিজের ভাষায় লিখে ফেলুন। দেখবেন মস্তিষ্ক দ্রুত আপনাকে মনে রাখতে সাহায্য করছে।

    ৫। হাতে লিখলে স্মৃতি থাকে বেশি

    কম্পিউটারে টাইপ করার সময় কাজ দ্রুত হয়, কিন্তু হাতে লেখার সময় মস্তিষ্ক বেশি সচল থাকে এবং শেখেও দ্রুত।

    গবেষণার ফল: হাতে লেখা নোট টাইপ করা নোটের চেয়ে বেশি কার্যকর। এতে শুধু তথ্য নয়, তার মানে বুঝতেও সাহায্য হয় মস্তিষ্কের।

    সহজ পরামর্শ: একটা খাতা রাখুন যেখানে নতুন শেখা জিনিসগুলো নিজের ভাষায় লিখবেন। চাইলে ছবি, মানচিত্র বা ডায়াগ্রামও আঁকতে পারেন নিজের সুবিধা মত।

    মানব মস্তিষ্কের জন্য সবকিছু মনে রাখা সম্ভব না- এটাই বাস্তবতা। আমাদের মস্তিষ্ক কোন ক্যামেরা না। এটা একটা লাইব্রেরিয়ান। যা দরকার সেটাই রেখে দেয় সে। কিন্তু সঠিক উপায়ে চর্চা করলে আপনি মস্তিষ্ককে সাহায্য করতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে। মনে রাখবেন, সব কিছু মনে রাখতে হবে না- শুধু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো মনে রাখাটাই যথেষ্ট।

    তথ্যসূত্র: সিএনএন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ

      অনলাইন ডেস্ক
      ৪ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১২
      অনলাইন ডেস্ক
      নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ

      মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা, ছবি কিংবা ভিডিও আদান-প্রদানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মটি। বিল্ড কোয়ালিটি, সহজ ব্যবহার পদ্ধতি আর নিরাপদ হওয়ায় মেটার এই অ্যাপটি গ্রাহকদের বেশি পছন্দ।

      হোয়াটসঅ্যাপে অনেক দিন আগেই যুক্ত হয়েছে স্ট্যাটাস দেওয়ার সুবিধা। স্ট্যাটাসে যখন যা খুশি শেয়ার করা যাচ্ছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো। অন্যের স্ট্যাটাসে রিঅ্যাক্টও দেওয়া যায়। এবার আরেকটি নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মে। অন্যের স্ট্যাটাস শেয়ার করার অপশন চালু করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।

      ধরুন, আপনার কন্টাক্ট লিস্টে থাকা কেউ একজন একটি ভিডিও, গান বা লেখা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আপনার তা খুব পছন্দ হয়েছে। আপনি তা আপনার অ্যাকাউন্টে শেয়ার দিতে পারবেন। একইভাবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসও অন্যরা শেয়ার করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য স্ট্যাটাস বা স্টোরি দেওয়ার সময় ‘অ্যালাউ শেয়ারিং’ অপশনটি অন করে দিতে হবে। অন্যথায় মিলবে না শেয়ারের অপশন।

      ফেসবুকে শেয়ারের ক্ষেত্রে মূল পোস্টটি যার করা, তার নাম দেখা যায়। নিশ্চয়ই ভাবছেন, এক্ষেত্রেও তা হবে কি না। উত্তর হচ্ছে, না। প্রাইভেসি পলিসি অনুযায়ী, মূল পোস্টটি কার করা তা দেখা যাবে না শেয়ারের ক্ষেত্রে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সৌরজগতে শনাক্ত হলো রহস্যময় ধূমকেতু

        অনলাইন ডেস্ক
        ৪ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
        অনলাইন ডেস্ক
        সৌরজগতে শনাক্ত হলো রহস্যময় ধূমকেতু
        সম্ভাব্য ইন্টারস্টেলার ধূমকেতু ৩আই/ অ্যাটলাস। ছবি : সংগৃহীত

        সৌরজগতে রয়েছে হাজার হাজার গ্রহ-নক্ষত্র। তারা নিজেদের আপন গতিতে চলাফেরা করছে। এর মধ্যে কোনো কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায় আবার কোনোটা অজানাই থেকে যায়। তবে এবার আমাদের সৌরজগতের বাইরে মিলেছে অজানা ধুমকেতু।

        বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি হতে পারে আমাদের সৌরজগতের বাইরের তৃতীয় আগন্তুক বস্তু। যার নাম ‘৩আই/অ্যাটলাস’। এটি একটি সম্ভাব্য ইন্টারস্টেলার ধূমকেতু, যা প্রথম শনাক্ত করা হয় চিলির রিও হার্টাডো শহরে স্থাপিত অ্যাটলাস টেলিস্কোপের মাধ্যমে।

        নাসা জানিয়েছে, বস্তুটি প্রথম পর্যবেক্ষণে আসে ১৪ জুন, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২ জুলাই তা প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই জ্যোতির্বিদরা এর কক্ষপথ, গতি ও উৎস নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত। বস্তুটি বর্তমানে সূর্য থেকে প্রায় ৪১৬ মিলিয়ন মাইল দূরে এবং ধনু নক্ষত্রপুঞ্জের দিক থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৬০ কিমি গতিতে ছুটে আসছে।

        এর কক্ষপথ অত্যন্ত বাঁকা ও খোলা প্রকৃতির (হাইপারবোলিক), যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে এটি সম্ভবত আমাদের সৌরজগতের বাইরের এক আগন্তুক। এর আগে মাত্র দুটি ইন্টারস্টেলার বস্তুকে শনাক্ত করা গিয়েছিল—২০১৭ সালের ‘উমুয়ামুয়া’ এবং ২০১৯ সালের ‘২আই/বরিসভ’।

        ব্রিটেনের সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ ড. মার্ক নরিস বলেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়, এটি হবে আমাদের শনাক্ত করা তৃতীয় ইন্টারস্টেলার বস্তু। এর মানে, গ্যালাক্সিতে এমন ‘ভ্রমণকারী’ বস্তুর সংখ্যা হয়তো আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি।’

        প্রথমে বস্তুটির নাম ছিল আ১১পিএল৩জি, পরে সেটির মধ্যে ধূমকেতুর মতো বৈশিষ্ট্য দেখা গেলে এটি সি/২০২৫ এন১ (অ্যাটলাস) নামেও পরিচিত হয়। এর একটি ধোঁয়াটে আবরণ এবং একটি ছোট লেজ রয়েছে, যা সাধারণত ধূমকেতুর বৈশিষ্ট্য।

        বস্তুটির আকার হতে পারে ২০ কিমি পর্যন্ত, যা সেই মহাকাশীয় শিলাটির চেয়েও বড়, যেটি পৃথিবীতে ডাইনোসরদের বিলুপ্তির কারণ হয়েছিল। তবে নাসা আশ্বস্ত করেছে, এটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয়। বস্তুটি পৃথিবী থেকে কমপক্ষে ১.৬ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট (প্রায় ১৫০ মিলিয়ন মাইল) দূরত্ব বজায় রেখেই চলবে।

        এডিনবরার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কলিন স্নডগ্রাস বলেন, বস্তুটিকে বড় মনে হলেও, সেটির চারপাশে থাকা ধূলিকণা ও গ্যাসের কারণে আলোর প্রতিফলন বেশি হতে পারে। আসল বস্তুটি হয়তো আরও ছোট।

        ৩০ অক্টোবর নাগাদ এটি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি যাবে। তখন সেটি মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথের ভেতর দিয়ে চলবে এবং তারপর আবার মহাশূন্যে হারিয়ে যাবে।

        রয়্যাল অবজারভেটরি গ্রিনউইচের জ্যোতির্বিদ জেক ফস্টার বলেন, `বর্তমানে এটি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়, তবে ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে মাঝারি মানের টেলিস্কোপ দিয়েই এটি দেখা যাবে।'

        যারা অপেক্ষা করতে চান না, তাদের জন্য ভার্চুয়াল টেলেস্কপ প্রোজেক্ট এই ধূমকেতুটিকে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে ইউটিউবে দেখানো হয়েছে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত ১১টায় (যুক্তরাজ্য সময়) ।

        বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে এই বস্তুটি এখন গবেষণার এক অনন্য সুযোগ। এবং জ্যোতির্বিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি শুধু একটি ধূমকেতু নয় বরং বহির্জগতের রহস্য উন্মোচনের এক সম্ভাব্য চাবিকাঠি।

        তথ্যসূত্র : নাসা, বিবিসি, রয়াল ওবসারভেটরি গ্রিনউয়িচ

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত