সারজিস আলমের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

সাংবাদিক তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেন বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ। মানহানির জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরন চাওয়া হয়েছে।
তানভীর সিরাজ বলেন, ‘অপরাধী চক্রের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু এসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম না জেনেই ফেসবুকে এই ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়েছে, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র
খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ আগস্ট) খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, এস এম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট পারভেজ আলম খান। এ ছাড়া মামলায় আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা থেকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এম মুজিবুর রহমানকে। তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল থেকে জানা যায় হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ‘তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’, ‘বিজয় একাত্তর’ ও ‘জয় বাংলা আমার প্রাণ’ গ্রুপের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়। কেএমপি থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহর মামলার অনুমতি চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ৪ আগস্ট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি পায় কেএমপি। সোমবার এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
গত ১৬ বছরে যারা নির্যাতিত ছিল আজকে জালেম হয়ে উঠছে: ভিপি নুর

"গত ১৬ বছরে যারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, মজলুম ছিল, আজকে তারা জালেম হয়ে উঠছে" বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
এসময় তিনি তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে যারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, মজলুম ছিল, আজকে তারা জালেম হয়ে উঠছে। বিভিন্ন এলাকায় দখল বাজি, চাঁদাবাজি, মানুষের উপর জুলুম, নির্যাতন এমনকি অন্য দলের লোকেরা এলাকায় থাকতে হলে তাদের কাছে থেকে মাশেয়ারা নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এটা করেছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগ এটা করেছিল। সীমান্ত দিয়ে কাপড় ছাড়া পালিয়েছে। আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী জুতা পড়ার সময় পান নাই। দেশের প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ পালিয়েছে।
তিনি বলেন, এই উদাহরণগুলো থাকার পরেও যদি কেউ শিক্ষা না নেয়, তাহলে তাদের জন্যও ভবিষ্যতে নিষ্ঠুর পরিণতি অপেক্ষা করছে। তাই আমরা সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বলতে চাই, এদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা পরিবর্তনের পক্ষে। কাজেই দশটা হোন্ডা, বিশটা গন্ডা, শোডাউন দিয়ে, মিছিল করে, মিটিং করে, হুমকি দিয়ে, প্রশাসন দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে, কেউ মন্ত্রী হবেন এমপি হবেন, সরকার গঠন করবেন সেই ইতিহাস ভুলে যান।
তিনি একটি গবেষণা তুলে ধরে আরো বলেন, বাংলাদেশের মাত্র ১২% মানুষ বিএনপিকে, ১০% মানুষ জামায়াত কে, ১৪% মানুষ বলতে চায় না কাকে ভোট দিবে, বাকি ৪৮% মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি তারা কাকে ভোট দিবে। তিনি বলেন, তার মানে এটা পরিষ্কার ১৪% মানুষ বিএনপি, জামায়াত কাউকে ভোট দিতে চায় না, আর ৪৮% মানুষের সিদ্ধান্ত আমরা জানি না। এই সম্ভাবনাময় পরিস্থিতিতে যারা ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করবেন তারা যদি সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারেন, তাদের মাঝে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা করে নিতে পারেন, তাহলে আগামীতে মানুষ আপনাদের গ্রহণ করবে।
এছাড়াও আয়োজিত এই গণসমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় ও রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মাত্র ১২% মানুষ বিএনপি কে, ১০% মানুষ জামায়াত কে ভোট দিতে চায়: ভিপি নুর

"মাত্র ১২% মানুষ বিএনপিকে, ১০% মানুষ জামায়াত কে ভোট দিতে চায়" বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
এসময় তিনি একটি গবেষণা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মাত্র ১২% মানুষ বিএনপিকে, ১০% মানুষ জামায়াত কে, ১৪% মানুষ বলতে চায় না কাকে ভোট দিবে, বাকি ৪৮% মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি তারা কাকে ভোট দিবে। তিনি বলেন, তার মানে এটা পরিষ্কার ১৪% মানুষ বিএনপি, জামায়াত কাউকে ভোট দিতে চায় না, আর ৪৮% মানুষের সিদ্ধান্ত আমরা জানি না। এই সম্ভাবনাময় পরিস্থিতিতে যারা ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করবেন তারা যদি সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারেন, তাদের মাঝে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা করে নিতে পারেন, তাহলে আগামীতে মানুষ আপনাদের গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে যারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, মজলুম ছিল, আজকে তারা জালেম হয়ে উঠছে। বিভিন্ন এলাকায় দখল বাজি, চাঁদাবাজি, মানুষের উপর জুলুম, নির্যাতন এমনকি অন্য দলের লোকেরা এলাকায় থাকতে হলে তাদের কাছে থেকে মাশেয়ারা নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এটা করেছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগ এটা করেছিল। সীমান্ত দিয়ে কাপড় ছাড়া পালিয়েছে। আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী জুতা পড়ার সময় পান নাই। দেশের প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ পালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই উদাহরণগুলো থাকার পরেও যদি কেউ শিক্ষা না নেয়, তাহলে তাদের জন্যও ভবিষ্যতে নিষ্ঠুর পরিণতি অপেক্ষা করছে। তাই আমরা সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বলতে চাই, এদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা পরিবর্তনের পক্ষে। কাজেই দশটা হোন্ডা, বিশটা গন্ডা, শোডাউন দিয়ে, মিছিল করে, মিটিং করে, হুমকি দিয়ে, প্রশাসন দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে, কেউ মন্ত্রী হবেন এমপি হবেন, সরকার গঠন করবেন সেই ইতিহাস ভুলে যান।
এছাড়াও আয়োজিত এই গণসমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় ও রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
৪২ দলের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক, যেসব আলোচনা হলো

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার দলগুলোকে এক কাতারে আনতে চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নির্বাচনেও মিত্রদের ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে চান তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর মিত্র ৪২টি দলের সঙ্গে ২ দিন পৃথকভাবে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে বিএনপি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন বর্জন করা আরও ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করার কথা রয়েছে তারেক রহমানের।
জানা যায়, শুক্র ও শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৪২ দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাও এতে অংশ নেন।
তখন নেতাদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। আসছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের রায়ে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতা অভিন্ন তথ্য দিয়ে যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া এক ধাপ এগিয়েছে। এ জন্য বিগত সময়ে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন তিনি। ৩১ দফা নিয়ে সবাইকে জনগণের কাছে যাওয়ার কথা বলেছেন।
বৈঠকে মিত্রদলগুলোর নেতারাও যুগপৎ আন্দোলনের মতো আগামী নির্বাচনে বিএনপির পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা যোগ্য নেতাদের নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার কথাও বলেন কয়েকজন মিত্র নেতা। আগামী নির্বাচনে আসন ও সরকার গঠনে যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়নের প্রত্যাশার কথাও জানান তারা।
সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ পর্যায়ে দেশের ৬৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ৬৪টি দল রয়েছে, যারা বিগত সরকারের আমলে নির্বাচন বর্জন করেছিল। এছাড়া ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠন হওয়া এনসিপিসহ আরও ৪টি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনানুষ্ঠানিকভাবে হতে পারে।
এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৪২ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক শিগগিরই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মন্তব্য