ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

আন্দোলনকারীদের বিষয়ে ঢাবি ভিসির সঙ্গে কথোপকথন

রাজাকারদের ফাঁসি দিয়েছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না: হাসিনার হুঙ্কার

অনলাইন ডেস্ক
১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫৬
অনলাইন ডেস্ক
রাজাকারদের ফাঁসি দিয়েছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না: হাসিনার হুঙ্কার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার এই বক্তব্যের স্বপক্ষে শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের টেলিফোন কথোপকথন (অডিও রেকর্ডের লিখিত রূপ) তুলে ধরেন তাজুল।


সোমবার (১১ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালে চানখারপুল গণহত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনা ও ঢাবির সাবেক ভিসির ফোনালাপ তুলে ধরেন।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ ফোনালাপ জমা দিয়েছে প্রসিকিউশন।


শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে মাকসুদ কামালের কথা হয়েছিল গত বছরের ১৪ জুলাই। ওই কথোপকথনের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, সেদিন মাকসুদ কামাল বলেছেন, ‘প্রত্যেক হল থেকে তো ছেলেমেয়েরা তালা ভেঙে বের হয়ে গেছে। এখন তারা রাজু ভাস্কর্যে, চার–পাঁচ হাজার ছেলেমেয়ে জমা হইছে। মল চত্বরে জমা হয়েছে এবং যেকোনো মুহূর্তে আমার বাসাও অ্যাটাক (আক্রমণ) করতে পারে।’


এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমার বাসা প্রটেকশনের (সুরক্ষার) কথা বলে দিছি।’ তখন মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি।’ এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে একবার করছে...।’


পরে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ওই রকম একটা প্রস্তুতি...লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হইছে।’


এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হলে হবে না, আমি পুলিশ এবং বিডিআর হয়ে বিজিবি আর...বলছি খুব অ্যালার্ট (সতর্ক) থাকতে এবং তারা রাজাকার হইতে চাইছে তো, তাদের সবাই রাজাকার। কী আশ্চর্য কোন দেশে বসবাস করি।’


জবাবে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি…বলতেছে আমরা সবাই রাজাকার।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘তো রাজাকারের তো ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও তাই করব। একটাও ছাড়ব না, আমি বলে দিছি। এই এত দিন ধরে আমরা কিন্তু বলিনি, ধৈর্য ধরছি, তারা আবার বাড়ছে।’


এরপর মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বেশি বেড়ে গেছে এবং অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, অতিরিক্ত...। আপা একটু ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাটা আরেকটু বাড়ানো...। আর আমার বাসার ওইখানেও...।’


তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্যাম্পাসের...ব্যবস্থা করছি, সমস্ত ক্যাম্পাসে…বিজিবি, র‍্যাব এবং পুলিশ—সব রকম ব্যবস্থা হইছে। তোমার বাসার ভেতরে লোক রাখতে বলছি। ভেতরে কিছু রাখা আছে...এত বাড়াবাড়ি ভালো না।’


শেখ হাসিনা ও মাকসুদ কামালের কথোপকথনের পুরোটাই সূচনা বক্তব্যে পাঠ করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেদিন মাকসুদ কামাল আরও বলেছিলেন, ‘বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের ছেলেদেরকে মেরেছে। আরও দু–একটা হলে একই কাজ করেছে। ছাত্রলীগের ছেলেপেলে সাদ্দাম (এখন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি), ইনান (নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক), শয়ন (নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি) ওরা আমার বাসায় ছিল সন্ধ্যা থেকে। আমি খবর পাচ্ছিলাম, ওদেরকে আমি ডেকে নিয়ে আসছি, ওরাও আসছে। ওদের সঙ্গে বসে ওদের হলে হলে যেন ছাত্রলীগকে সংঘবদ্ধ রাখে এবং ঢাকা উত্তর, দক্ষিণকে যেন খবর দিই। এগুলা করতে করতেই হাজার হাজার ছেলেমেয়ে একত্র হয়ে গেছে।’


এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন দেশে বাস করি আমরা। এদেরকে বাড়তে বাড়তে তো...রাজাকারদের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলাকে ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না।’


তখন মাকসুদ কামাল বলেন, ‘হ্যাঁ, এবার এই ঝামেলাটা যাক, এরপরে আমিও নিজে ধরে ধরে যারা এই অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, মেইন যারা আছে, এদের বহিষ্কার করব ইউনিভার্সিটি থেকে।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব এইগুলাকে বাইর করে দিতে হবে...আমি বলে দিচ্ছি আজকে সহ্য করার পরে অ্যারেস্ট (গ্রেফতার) করবে, ধরে নেবে এবং যা অ্যাকশন নেওয়ার নেবে...কারণ ইংল্যান্ডে এ রকম ছাত্ররাজনীতির জন্য মাঠে নামল, কতগুলি মেরে ফেলায় দিল না?’


জবাবে মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি জি।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই অ্যাকশন না নেওয়া ছাড়া উপায় নাই। আমরা এত বেশি সহনশীলতা দেখাই আজ এত দূর পর্যন্ত আসছে।’


এরপর মাকসুদ কামাল বলেন, ‘এটা তো...আমরাও তো সহনশীলতা...আমি ছাত্রলীগকে বলছি যে তোমরা কোনো ধরনের ইয়ে করতে যাইও না। যেহেতু আদালতের বিষয়, আদালত নিষ্পত্তি করবে।’


জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘না, এ আদালত হবে না, আবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিছে।’


তখন মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আবার রাষ্ট্রপতিকে কেউ এই রকম বলে যে ২৪ ঘণ্টার রাষ্ট্রপতিকে কেউ আলটিমেটাম দেয় একটা দেশে।’


এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছে...বেয়াদবির একটা সীমা থাকে…!’


মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আপা, আমি আপনাকে যদি অন্য কোনো খারাপের দিকে যায়, আমি আবার একটু জানাব। কিন্তু রাতের বেলা জানাব না, হয়তোবা আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টার মধ্যে হলে জানাব।’


তখন শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো অসুবিধা নাই...আমি আমি সব সময়ই ফ্রি।’


মাকসুদ কামাল বলেন, ‘জি জি জি, স্লামুআলাইকুম।’

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

    সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২১
    অনলাইন ডেস্ক
    সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

    গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ।


    মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।


    মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মামলার শুনানি শেষে বিচারক সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সারজিস বেশ কয়েকবার বিএনপিকে নিয়ে এমন অপপ্রচার চালিয়েছেন। বিষয়টি দলের কর্মীদের মনে আঘাত করেছে। আশা করি তিনি এখন থেকে আরও সচেতন হবেন।


    মামলার বাদী তানভীর সিরাজ অভিযোগ করে বলেন, “অপরাধী চক্রের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু সারজিস আলম না জেনেই ফেসবুকে এই ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন, যা দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। ইতোমধ্যে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করে স্পষ্ট করেছেন যে, এতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি এই মামলা করেছি এবং আশা করি ন্যায়বিচার পাব।”


    মামলার পটভূমিতে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লেখেন—


    “গাজীপুরে এক বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি নিয়ে নিউজ করায় দুপুরে আনোয়ার নামের এক সাংবাদিককে ইট দিয়ে থেঁতলে দেয় বিএনপির কর্মীরা। দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সাংবাদিক তুহিনকে গাজীপুরের চৌরাস্তায় চা দোকানে রাতে জ** করে হ*ত্যা করেছে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা! আনোয়ার এবং তুহিন বন্ধু ছিলেন।”


    পরদিন ৮ আগস্ট সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে তিনি পোস্টটি সম্পাদনা করে ‘চাঁদাবাজ’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ছিনতাইকারী’ শব্দ ব্যবহার করেন।


    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন জামায়াত আমির

      অনলাইন ডেস্ক
      ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:১৭
      অনলাইন ডেস্ক
      হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন জামায়াত আমির

      হার্টের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাসায় ফিরলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় রওনা দেন। এ সময় দলের জামায়াত আমিরের গাড়ি বহরে ও রাস্তার দুই পাশে দলের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত হন।


      এর আগে গত ২ আগস্ট হাসপাতালটিতে ওপেন হার্ট সার্জারির মাধ্যমে জামায়াত আমিরের ৪টি ব্লকের বাইপাস করা হয়। বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবিরের তত্ত্বাবধানে সফল এই অপারেশন করা হয়। পরে তিনি ক্রমেই সুস্থ হয়ে ওঠেন।


      মঙ্গলবার জামায়াত আমিরের হাসপাতাল ছাড়ার সময় সেখানে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ভালো আছেন। তিনি এখন বাসায় যাবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় আরো দুই সপ্তাহ তার বিশ্রামের প্রয়োজন হবে। তবে এ সময় তিনি আমাদেরকে পরামর্শ দিতে পারবেন। তিন সপ্তাহ পর আবার দেশ-জাতির জন্য সক্রিয় হবেন বলে আমরা আশা করি।


      ডা. তাহের বলেন, হাসপাতালে থাকার সময় জামায়াত আমিরকে দেখার জন্য অনেক ব্যক্তি আসেন। সবাইকে দেখার সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। সবার প্রতি দলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, আমরা জামায়াত আমিরের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সালাম জানাচ্ছি এবং তার সুস্থতার জন্য আরো দোয়া কামনা করছি। তার নেতৃত্বে যাতে একটি পজিটিভ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি সেই দোয়াও চাচ্ছি।


      প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের ডা. শহীদ আহমেদ চৌধুরী, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বক্তব্য রাখেন।


      এ সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা‘ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলালম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সারজিস আলমের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

        অনলাইন ডেস্ক
        ১২ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৩৮
        অনলাইন ডেস্ক
        সারজিস আলমের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

        সাংবাদিক তুহিন হত্যায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।


        মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর কোর্টে মামলা দায়ের করেন বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ। মানহানির জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরন চাওয়া হয়েছে।


        তানভীর সিরাজ বলেন, ‘অপরাধী চক্রের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু এসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম না জেনেই ফেসবুকে এই ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়েছে, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।


        মন্তব্য

        সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র

        খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

        অনলাইন ডেস্ক
        ১২ আগস্ট, ২০২৫ ৯:৩৩
        অনলাইন ডেস্ক
        খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

        অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।


        সোমবার (১১ আগস্ট) খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


        খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


        মামলার অন্য আসামিরা হলেন– খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএম মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, এস এম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট পারভেজ আলম খান। এ ছাড়া মামলায় আরও ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে।


        মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা থেকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এম মুজিবুর রহমানকে। তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল থেকে জানা যায় হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ‘তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’, ‘বিজয় একাত্তর’ ও ‘জয় বাংলা আমার প্রাণ’ গ্রুপের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়। কেএমপি থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহর মামলার অনুমতি চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ৪ আগস্ট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি পায় কেএমপি। সোমবার এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত