ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

মওদুদের এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক দেখভালোর দায়িত্বে জেলা বিএনপি

জেলা প্রতিনিধি
২০ মে, ২০২৫ ১৫:৪৯
জেলা প্রতিনিধি
মওদুদের এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক দেখভালোর দায়িত্বে জেলা বিএনপি

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করবেন জেলা বিএনপি। এ আসনে ৫ আগস্টের পর সাংগঠনিক নেতা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী-৫ আসনে পাঁচবার এমপি ছিলেন।  

সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ নির্দেশনা দেন। এতে তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত ছিলেন।  

দলীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারেক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে দলের নানা বিষয় উঠে এসেছে। বৈঠকে জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেন। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি সমূহ গঠনের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

জানা যায়, বৈঠকে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম হায়দার বিএসসি নোয়াখালী-৫ কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক অভিভাবক শূন্যতার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবহিত করেন। ওই সময় এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) নির্বাচনী এলাকা দেখবে জেলা বিএনপি।

জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন,নোয়াখালী-৫ কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম জেলা কমিটির ওপর ন্যস্ত করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  
 
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক দলনেতা আহমেদ আজম খানের নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ, সদস্য গোলাম হায়দার বিএসসি, সদস্য এডভোকেট আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নগর ভবনে ‘ব্লকেড’

অন্তর্বর্তী সরকার ও এনসিপি নেতাদের কড়া কথা বললেন ইশরাক

অনলাইন ডেস্ক
১৯ মে, ২০২৫ ১৯:৫২
অনলাইন ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকার ও এনসিপি নেতাদের কড়া কথা বললেন ইশরাক

আদালতের রায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঘিরে নেতাকর্মীদের কর্মসূচি এবং অন্তর্বর্তী সরকার ও এনসিপি নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে মুখ খুলেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। দীর্ঘ নীরবতার পর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার লোভ এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ এবং এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।

তিনি অভিযোগ করেন, সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপির মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করবে তা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিল।

ইশরাক হোসেন আরও বলেন, কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে নয় বরং একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এরা হাসিনার মতোই বিচারকদের হুমকি দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে, উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং আমলাতন্ত্র হাসিনার দোসরদের সাথে নিয়ে লম্বা কুচক্র পরিকল্পনা করছে। একদিন এদের সবার নামপরিচয় প্রকাশ পাবে।

তিনি আরও বলেন, হাসিনারেও বলছিলাম কবরটা ঠিক করাই আছে, আল্লাহর হুকুম থাকলে সেখানেই হবে ইনশাআল্লাহ। লড়াই শেষ হয় নাই। হয় দাবি আদায় করব, না হয় আল্লাহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব। গণতন্ত্রের সাথে, জনগণের ভোটার অধিকারের সাথে এক চুল ছাড় হবে না।

মন্তব্য

এনসিপির অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
১৯ মে, ২০২৫ ১৬:২৯
অনলাইন ডেস্ক
এনসিপির অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে আজ কয়েকটি বিষয়ে এনসিপি’র অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলো মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই এনসিপির পথচলা। এছাড়াও আমরা বাংলার হিন্দু-মুসলমান-দলিতের উপনিবেশবিরোধী ও ব্রাহ্মণ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপি নাগরিকের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম-তার নৈতিকতা ও মানবিকতা এবং বাঙালি মুসলমানের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনচর্চাকে এনসিপি মূল্যায়ন করে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এনসিপি।’

তিনি বলেন, ‘এনসিপি মনে করে রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। এনসিপি ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে এবং ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক (Theocratic)—কোনো মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও দায়-দরদ অনুশীলনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়াই এনসিপির লক্ষ্য।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপি জাতি, ধর্ম বা গোত্রভিত্তিক পরিচয়ের পরিবর্তে সভ্যতাগত জাতীয় পরিচয় ধারণ করে। বহু ভাষা ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র বঙ্গীয় বদ্বীপের সভ্যতাগত পরিচয়কে ধারণ করে জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলবে এনসিপি।’

তিনি বলেন, ‘নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন এনসিপির অন্যতম মূলনীতি। নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতে এনসিপি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পারিবারিক আইনের আওতায় সম্পত্তিতে নারীর ন্যায্য অধিকার আদায়ে এনসিপি কাজ করবে।’

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ বাংলাদেশের জন্য একটি সাংস্কৃতিক ও ভূরাজনৈতিক হুমকি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপি এই আধিপত্যবাদী প্রবণতার বিরুদ্ধে কঠোর রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবে। এনসিপি মনে করে বাংলাদেশের উচিত ন্যায্যতা, মর্যাদা, সভ্যতা ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে অন্য রাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।’

তিনি বলেন, ‘এনসিপি বৈষম্যহীন, ইনসাফভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত  আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে যা একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুরূপ হবে। শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু, নগর ব্যবস্থাপনা, শ্রম অধিকার ও কর্মসংস্থান হবে এনসিপির প্রধান নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন অর্থনৈতিক জোন তৈরির ভিশন আছে এনসিপির।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপি বিশ্বাস করে, একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠন, প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা এনসিপির প্রধানতম রাজনৈতিক কর্তব্য। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য প্রথম ধাপটি হচ্ছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়ন।’

মন্তব্য

সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার কোনো ভাবেই প্রশ্রয় পাবে না: সারজিস

অনলাইন ডেস্ক
১৮ মে, ২০২৫ ২০:৭
অনলাইন ডেস্ক
সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার কোনো ভাবেই প্রশ্রয় পাবে না: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (পশ্চিমাঞ্চল) সারজিস আলম। ছবি সংগৃহীত

সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার প্রশ্রয়ের প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (পশ্চিমাঞ্চল) সারজিস আলম।

রোববার (১৮ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘নারীদের অধিকার রক্ষায় যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে। কিন্তু সেসবের আড়ালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যদি সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার কিংবা এলজিবিটিকিউ এর মতো জঘন্য ও ধ্বংসাত্মক কালচারগুলোকে প্রমোট করা হয়, তবে সেই অপচেষ্টায় আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে হবে।’

তিনি লেখেন, ‘পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্র ধ্বংস করার এই মরণব্যাধিগুলো যেসব মানসিক বিকারগ্রস্তরা লালন ও প্রমোট করার চেষ্টা করছে, তাদের মানসিক চিকিৎসা করানো হোক। কিন্তু তাদের প্রশ্রয়ের প্রশ্নই আসে না। এটা সেই ক্যান্সার যা ধীরে ধীরে আপনার ঘর থেকে শুরু করে জাতি পর্যন্ত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। সেই সুযোগ আমরা করে দিতে পারি না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘পাশাপাশি পতিতাবৃত্তির মতো মর্মান্তিক নির্যাতন কখনো পেশা হতে পারে না। বরং যারা বাধ্য হয়ে কিংবা ফাঁদে পড়ে এই পেশার সঙ্গে ইতোমধ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে তাদেরকে সেই পথ থেকে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল পুনর্বাসন করা হোক।’

 

এদিকে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচি থেকে নারীর অধিকার নিশ্চিত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে কর্মসূচিতে পাঠ করা ঘোষণাপত্রে এই দাবি জানানো হয়। ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন জুলাই শহীদ পরিবারের তিন নারী সদস্য। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, চব্বিশের অভূতপূর্ব জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আজ আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের দাবি একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ। যেখানে সব মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বৈষম্যবিরোধিতা ও সাম্যের যৌথ মূল্যবোধের ওপর। সমতা ও ন্যায্যতার পথে এ মৈত্রীযাত্রায় আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। আজ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্বজন, মানবাধিকারকর্মী, পেশাজীবী, শিল্পী, গার্মেন্টস শ্রমিক, চা বাগানের শ্রমিক, যৌনকর্মী, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, তৃতীয় লিঙ্গ, তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থী, আদিবাসী, অবাঙালি অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ। এতে আরও বলা হয়, কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও নারীসহ অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এ অগ্রযাত্রায় নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ক্ষেত্রেও তারা বাধা তৈরি করছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা এবং অনলাইনে হয়রানি করে রাজনৈতিক পরিসরে নারীর অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করার তৎপরতা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত হামলা, আন্দোলনে বাধা, পরিকল্পিত মব আক্রমণ, মোরাল পুলিশিং, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রকাশ্যে মারধর এবং নানান ধরনের হুমকি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সম্প্রতি নারী অধিকার সংক্রান্ত সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত অন্যান্য কমিশনের মতোই এ কমিশনটি গঠিত হয়েছিল। এ কমিশন শ্রমজীবী নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ নারীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ৪৩৩টি সুপারিশ পেশ করে। অন্যান্য সব কমিশনের মতোই এ কমিশনের সুপারিশেও ছিল নানা আলোচনা-সমালোচনার উপাদান। কিন্তু আমরা দেখেছি রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত সুপারিশগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গিয়ে এবং গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনার সুযোগ না রেখে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশবাসীর সামনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হচ্ছে। জনসম্মুখে কমিশনের সদস্যদেরকে জঘন্যভাবে অপমান করা হয়েছে।

মন্তব্য

সময়মতো নির্বাচন দেওয়া না হলে আমরা মাঠে নামবো : ফারুক

অনলাইন ডেস্ক
১৮ মে, ২০২৫ ১৮:১০
অনলাইন ডেস্ক
সময়মতো নির্বাচন দেওয়া না হলে আমরা মাঠে নামবো : ফারুক
জাতীয় প্রেস ক্লাবে নবীন দলের উদ্যোগে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক আলোচনা সভায় কথা বলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, নির্বাচনের জন্য আমরা মাঠে নামবোই, যদি সময়মতো নির্বাচন দেওয়া না হয়।

রোববার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নবীন দলের উদ্যোগে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ফারুক বলেন, এদেশে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেছে, এই সরকার নয় মাসে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যে অধিকার, দাবির জন্য আমরা রাজপথে লড়াই করেছি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছি, সফলতা অর্জন করেছি, সেই সফলতাকে ম্লান করে দিয়েছে সরকার।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার কাছে পাওয়ার কিছুই নেই। সংসদ সদস্য, ঠিকাদারি, লুটের টাকার ভাগ চাই না। আমরা একটা জিনিসই চেয়েছি, দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যারা শেখ হাসিনার আমলে রক্ত দিয়েছে, জেল খেটেছে, বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে জেল খেটেছেন, আমাদের সবার দাবি- এ দেশের মানুষের জন্য সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। এ জন্য দেশের জনগণ আপনাকে (ড. ইউনূস) সরকারে বসিয়েছে।

তিনি বলেন, কোন দিন নির্বাচন দিবেন তা বলে দিতে অসুবিধা কোথায়? আমার মনে হয়, সরকার নির্বাচন দিতে বিলম্ব করছে কারও কারও শক্তি-সমর্থন জোগাড় করার জন্য। এসব টালবাহানা এদেশে চলবে না। আমরা ভেসে আসি নাই।

সাবেক বিরোধীদলীয় এই চিপ হুইপ বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন, তাই আমরা ধৈর্য ধরে আছি। কিন্তু এই ধৈর্যের ফল যদি হয় নির্বাচন বিলম্বিত, তাহলে সেই ধৈর্যের বাঁধ আমরা ভেঙে ফেলব। মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তখন যদি আমাদের থামতে বলেন, আমরা থামব না। নির্বাচনের জন্য আমরা মাঠে নামবোই, যদি সময়মতো নির্বাচন দেওয়া না হয়।

তিনি বলেন, গতকাল মিডিয়াতে দেখলাম দেশ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এখনতো হাসিনা নাই এগুলো কে পাচার করল। আমরা তো প্রতিদিনই বলি হাসিনার দোসরদের আইনের আওতায় হোক।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি। বিশ্বের দরবারে সম্মান অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে আপনজন ভেবে সরকারে বসিয়েছে। দেশের জনগণের সম্মানের ক্ষেত্রে আপনাকে এখনই এই মুহূর্তে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।

মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
    সর্বাধিক পঠিত