ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
২০ মে, ২০২৫ ১১:৪৫
অনলাইন ডেস্ক
সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল গ্রেফতার

নারী নির্যাতন মামলায় সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানায় পুলিশ।

নোবেল এক সময় গান দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিলেও ব্যক্তিগত জীবন ও নানা বিতর্কিত আচরণে তিনি আজ অনেকটা ভিন্ন পরিচিতিতে পরিচিত।

এর আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন নোবেল। দুই বছর আগে প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। অভিযোগ ছিল, একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য অগ্রিম অর্থ নিয়েও তিনি সেখানে যাননি। সেই ঘটনায় ২০২৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: আছিয়ার রায় ১২ কার্যদিবসে, বাকি ধর্ষণ মামলাগুলোও কি ৯০ দিনে রায় পাবে?

গানের মঞ্চেও বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই শিল্পী। ২০২৩ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে মদ্যপ অবস্থায় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত দর্শকরা তার দিকে জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন। সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

গানের রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ‘তোমায় দিলাম’, ‘তোমার মনের ভেতর’—এর মতো গান দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেন। কিন্তু জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নিয়মিতভাবেই তার নাম উঠে এসেছে বিভিন্ন বিতর্কে।

ব্যক্তিগত জীবনেও অস্থিরতা পিছু ছাড়েনি। একাধিকবার বিয়ের খবর এসেছে সংবাদ শিরোনামে। ২০১৯ সালে সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন, তবে সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি—অভিযোগ ছিল, তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। এরপর ২০২৩ সালের শেষ দিকে ফের বিয়ের খবরে সামনে আসেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    নিরীহ কাউকে হয়রানি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৯ মে, ২০২৫ ১৮:২৬
    অনলাইন ডেস্ক
    নিরীহ কাউকে হয়রানি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

    নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

    সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে জুলাই আন্দোলনের গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

    জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গার্মেন্টস কর্মীদের বোনাস মে মাসের মধ্যে ও বেতন ১-৩ জুনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মালিকদের মানতে হবে। তবে, অযৌক্তিক কোন দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছরের মতো ঈদের আগে আমরা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা করলাম। এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সেক্টরের অনেকেই ছিলেন। আপনারা জানেন যে আমাদের গরুর হাটগুলো শৃঙ্খলার মধ্যে থাকে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব গরুর গাড়ি আসবে, সে সবের সামনে সুনির্দিষ্ট হাটের তথ্য থাকতে হবে। যেখানে-সেখানে গরু নামাতে পারবে না। নামালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তায় গরু না নামিয়ে, নির্ধারিত স্থানে নামাতে হবে।

    জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরো  বলেন, প্রতিটি হাটেই আনসার রাখতে হবে। কিছু হাটে ৭৫ জন করে আবার কিছু হাটে এর কম-বেশি হতে পারে। নিরাপত্তার পাশাপাশি পশুর চিকিৎসক থাকতে হবে। 

    তিনি বলেন, কোনোভাবেই যেন অসুস্থ গরু বিক্রি না হয়। অনেক সময় গরুর আঘাতে মানুষ আহত হয়, এজন্য ফার্স্ট এইডেরও ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    গরুর হাটের হাসিলের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বছর শতকরা ৫ টাকা হাসিল নিলেও আগামী বছর ১০০ টাকায় ৪ টাকা নিতে হবে। টেন্ডার হয়ে যাওয়ায় এ বছরই এটা করতে পারলাম না। এ নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। আর ঈদের ৫ দিন আগে থেকে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের পর তিন দিন চলাচল বন্ধ থাকবে। এটা কোনো অবস্থায় রাতে চলতে পারবে না।

    চলমান অনেকগুলো আন্দোলনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দাবি-দাওয়া তো থাকবেই। এ জন্যই তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দাবি-দাওয়া থাকবে, পূরণ হবে। আবার কেউ নতুন দাবি নিয়ে আসবে। আমি বলবো, যাদের যৌক্তিক দাবি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় যেন তা মেনে নেয়। কেউ যেন অযৌক্তিক দাবি না করে। আর আমি সবার কাছে অনুরোধ করবো, দাবির আন্দোলন যাতে নিজস্ব কমপ্লেক্সের মধ্যে হয়। রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বা সাধারণ জনগণের ভোগান্তি করে যেন না হয়।

    মন্তব্য

    বিএনপি গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছে : উপদেষ্টা আসিফ

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৯ মে, ২০২৫ ১৮:১৭
    অনলাইন ডেস্ক
    বিএনপি গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছে : উপদেষ্টা আসিফ

    বিএনপি গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

    ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে চলমান আন্দোলন নিয়ে সোমবার (১৯ মে) বিকেলে ফেসবুকে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    আসিফ মাহমুদ ওই পোস্টে লিখেছেন–

    প্রথমত,
    আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইবুনাল এই রায় প্রদান করেছে।

    দ্বিতীয়ত,
    নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি।

    তৃতীয়ত,
    আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেওয়ার আগেই এবং একইসঙ্গে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

    dhakapost

    চতুর্থত,
    ওই মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই।

    পঞ্চমত,
    শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনও বিচারাধীন।

    ষষ্ঠত,
    বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত মামলায়, আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইবুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না।

    সপ্তম,
    মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।

    অষ্টম,
    নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ’ এর কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।

    নবম,
    এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।

    দশম,
    আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।

     

    উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এ আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

    এসব জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এই আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোনো কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেও বলবেন না যে এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

    মন্তব্য

    জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ মিউজিয়ামে রূপান্তর করা হবে: ফারুকী

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৯ মে, ২০২৫ ১৭:৫৯
    অনলাইন ডেস্ক
    জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ মিউজিয়ামে রূপান্তর করা হবে: ফারুকী

    সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর ১৬ বছর বন্ধ ছিল। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর জাদুঘরের যে বাজেট ছিল তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ মিউজিয়ামে রূপান্তর করা হবে। সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। 

    তিনি বলেন, ‘যেহেতু জিয়া স্মৃতি জাদুঘর, তাই এ জাদুঘরে জিয়াউর রহমানের পুরো জীবনের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। এর জন্য জিয়াউর রহমানের জীবনী নিয়ে গবেষণা করা দরকার এবং জাদুঘরের বিষয়ে সুন্দর করে জানানোর জন্য কিউরেটর নিয়োগ করা দরকার।’

    আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এ সময় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে সকালে চট্টগ্রামে অবস্থিত জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 

    সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমরা অল্প কয়েকদিনের সরকার। ফলে আমাদের কাজ মূলত কালচারাল ক্ষেত্রে কিছু বড় পরিসরে কাজ করা। সেটা আপনারা ইতোমধ্যেই দেখেছেন যে স্বাধীনতার পরে এই বছর সবচেয়ে বড় নববর্ষ পালন করা হয়েছে। চাঁদ রাতে ঈদের অনুষ্ঠান হয়েছে আবার বৌদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠানও হয়েছে। এগুলোর মূল কারণ হচ্ছে- বাংলাদেশের সংস্কৃতি যেন বাংলাদেশের সবার হয়ে ওঠে। কোনো একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর যেন না হয়। সেই কাজটা আমরা কিছু কিছু করছি।’

    চট্টগ্রামের ঐতিহ্য তুলে ধরে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘জব্বারের বলি খেলা দেশের সংস্কৃতির বড় একটি অংশ। চট্টগ্রামের নাম বললেই জব্বারের বলি খেলা চলে আসে। আগামী বছর থেকে জব্বারের বলিখেলা ও সাম্পান বাইচের সঙ্গে যুক্ত হবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। 

    তিনি বলেন, ‘আমরা এটুকু বলতে পারি যে, জব্বারের বলি খেলা এখন থেকে বাংলাদেশের কালচার হেরিটেজের একটা গুরুত্বপূর্ণ  জিনিস হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এটা আরও অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল।’

    সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘এগুলো মানুষেরই আয়োজন, স্থানীয় পর্যায়ে হচ্ছে। সরকারের সাহায্যের দিকে তারা কখনো তাকায়নি। কোনো স্বীকৃতিও তারা চায়নি। তারা তাদের কাজ করছে। কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে- তার দেশের মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পৃথিবীর কাছে তুলে ধরা, এবং সেই কাজটা আমাদের করা উচিত। কিন্তু ৫৪ বছর দেরি হয়ে গেছে। জব্বারের বলিখেলা ও সাম্পান বাইচকে আমাদের কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে আমাদের ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হলো। শুধু চট্টগ্রামে হবে তা না, সারাদেশের হবে। আমরা তালিকা করার কাজ শুরু করেছি।’ 

    তিনি বলেন, ‘সাম্পান চট্টগ্রামের হার্ট। নিউইয়র্ক শহর যেমন কল্পনা করা যায় না হলুদ ট্যাক্সি ছাড়া তেমনি চট্টগ্রাম কল্পনা করা যায় না সাম্পান ছাড়া। তাই এবার চট্টগ্রাম আসার আগে প্রথমে এইসব উৎসবের তালিকা করার জন্য কাজ দিয়েছি আপাতত শিল্পকলা একাডেমিকে। তারা তালিকাটা করছে। এই তালিকা হওয়ার পরে এগুলো আমাদের ক্যালেন্ডারের মধ্যে ঢুকবে এবং ঢাকা থেকে আমরা এই কাজগুলোকে ফ্যাসিলেটেইড করার চেষ্টা করবো।’ 

    দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার আগে ‘নোট টু সাকসেস’ নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করা হবে জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো কাজ করছি। যাওয়ার আগে আমরা একটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছি; আগামী ৫ বছরে কী করা উচিত, ১০ বছরে কী করা উচিত। যাওয়ার আগে আমি একটা প্রেস কনফারেন্স করে নোট টু সাকসেস তৈরি করে যাবো। পরবর্তীতে আমার পরে যে আসবে নির্বাচিত হয়ে, তার উদ্দেশ্যে আমার উপলব্ধি নোট আকারে দিয়ে যাবো। উনি যদি ফিল করেন এখান থেকে উনার নেয়ার মতো কিছু আছে তাহলে উনি নিবেন। আশা করি দেশের কাজে লাগাবেন।’ 

    এসময় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলিখেলা নিয়ে বক্তব্য রাখেন বলিখেলা আয়োজক কমিটি ২০২৫ এর আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান ও সাম্পান বাইচ নিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান। 

    মন্তব্য

    অন্তর্বর্তী সরকারের মূল উদ্দেশ্য জানালেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৮ মে, ২০২৫ ১৯:২০
    অনলাইন ডেস্ক
    অন্তর্বর্তী সরকারের মূল উদ্দেশ্য জানালেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা

    দেশের রাজনীতির মাঠে থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে নানা সন্দেহ ও প্রশ্নের মুখে বিষয়টি খোলাসা করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে।দুটি উদ্দেশ্য কী- সেটিও তুলে ধরেছেন উপদেষ্টা।

    রোববার জাতীয় অর্থনেতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু আমি মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য দুটি। এক হলো- একটি সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে একটা ভালো নির্বাচন দেওয়া এবং দুই হলো- সুশাসন নিশ্চিত করতে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করা। আমরা সেগুলো করছি। তাহলে আমাদের কাছে কেন এত দাবি?

    তিনি বলেন, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও শত শত সংগঠন তাদের বঞ্চনা দূর করতে আমাদের কাছে আন্দোলন করছে। এত বছরের বঞ্চনা আমরা এই অল্প সময়ে কিভাবে দূর করব? এসব চাপের কারণে তো আমরা সংস্কার নিয়ে ভাবতে ও সুস্থভাবে চিন্তা করতে পারছি না। সবাইতো বলে গণতান্ত্রিক সরকার অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাহলে সেই সরকার আসলে তখনতো দাবিগুলো পূরণ করতে পারে।  

    এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, আগামী অর্থবছরে এডিপি যাতে শুরু থেকেই বাস্তবায়ন করা যায়, সেটি নিয়ে এনইসিতে আলোচনা হয়েছে। সেই প্রচেষ্টা থাকবে।

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত