পায়ে হেঁটে রাবি রোভার স্কাউট-এর ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ যাত্রা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রোভার স্কাউট উদ্যোগে রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ যাত্রা করেছে স্কাউট গ্রুপের চার জন রোভার।
এ উপলক্ষ্যে গত ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গ্রুপ কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব এ যাত্রার উদ্বোধন করেন। আজ ১৯ মে ৫ দিনব্যাপী
এ পরিভ্রমণ যাত্রা শেষ হবে।
রোভার স্কাউটস্ এর সর্বোচ্চ সম্মান “প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট এ্যাওয়ার্ড” প্রাপ্তির লক্ষ্যে পরিভ্রমণ ব্যাজ অর্জন করার জন্য তারা এই পরিভ্রমণ সম্পন্ন করছে। পাঁচ দিনব্যাপি এই প্রোগ্রামে তারা রাজশাহী থেকে নাটোর হয়ে সিরাজগঞ্জ পযর্ন্ত পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করেছে।
এ সময় সমাজ সচেতনতামূলক চারটি শ্লোগান দেন "প্লাস্টিক বর্জন করবো, টেকসই সমাজ গড়বো", "বৈষম্যহীন সমাজ গড়বো, স্কাউটিং করবো", "মাদক কে না বলুন", "গাছ লাগান, জীবন বাঁচান" এছাড়াও 'স্কাউট ফর ক্রিয়েটিভ এ বেটার ওয়াল্ড' স্লোগান দেন তারা।
পরিভ্রমণকারী রোভারবৃন্দ হলেন রোভার অরূপ বৈষ্ণব (দলনেতা), রোভার ইন্দ্রজিৎ চন্দ্র বেদ (সহকারী দলনেতা), রোভার মো: সালমান শেখ (সদস্য), রোভার সাহবাজ হুসাইন (সদস্য)।
পরিভ্রমণ পথে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ইত্যাদি পরিদর্শন করবে এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়।
এবিষয়ে ৪৫ তম ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি অরূপ বৈষ্ণব বলেন, 'আমরা ১৫ মে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করি। পরিভ্রমণ পথে আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস পরিদর্শন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবো। ১৯ মে স্কাউট গার্ডেন সিরাজগঞ্জে ১৫০ কি,মি পরিভ্রমণ শেষ করবো।'
সাত দফা দাবিতে চবি শিবিরের বিক্ষোভ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
চাকসু থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি প্রশাসনিক ভবন, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শিবির নেতারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সংকট, আবাসন সমস্যা, সেশনজটসহ শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
তাদের উত্থাপিত সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
১. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা এবং তা না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন ভাতা প্রদান।
২. সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন ও শিক্ষার আধুনিকায়ন।
৩. পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৪. অবিলম্বে চাকসু নির্বাচন আয়োজন।
৫. দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনা সংস্কার।
৬. জুলাই অভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা।
৭. ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগে জড়িতদের বিচার ও নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা।
চবি শিবির সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “আমরা প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় স্মারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু শতভাগ আবাসন নিশ্চিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা মেধার যথাযথ চর্চা করতে পারছে না। বাস ও শাটল ট্রেনের সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিভিন্ন বিভাগে সেশনজট শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ফেলছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানে যারা স্বৈরাচারের সহযোগী ছিল, তাদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন পদে বহাল রয়েছেন, অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।”
চবি শিবির সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী বলেন, “এই সাত দফা কেবল ছাত্রশিবিরের নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর দাবি। বিশেষ করে যারা আবাসন সংকটে হলে থাকতে পারছে না, তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসন দাবি মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
মাভাবিপ্রবিতে "অর্থনীতি বিভাগে ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন" শীর্ষক শিক্ষকদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি -এর আয়োজনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে উক্ত বিভাগের সেমিনার হলে “ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৯ মে (সোমবার) ২০২৫ইং তারিখে দিনব্যাপী কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি, মাভাবিপ্রবি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মতিউর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো নাজমুস সাদেকীন ও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সাহা। রিসোর্স পার্সন ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল হাকিম।
প্রধান অতিথি বলেন, "বর্তমানে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে Outcome Based Education বা ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনীতি বিভাগে এই শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। কারণ, শিক্ষার্থীদের শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন নয় — বরং তাদের দক্ষতা, আচরণ এবং নৈতিকতার উন্নয়ন নিশ্চিত করাই Outcome Based Education-এর মূল লক্ষ্য।"
আরও পড়ুন
আজকের এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের কী অর্জন হবে, তারা কীভাবে সমাজে অবদান রাখতে পারবে, সেই দিক নির্দেশনাগুলো নির্ধারণ করা হবে। সেই সঙ্গে পাঠ্যক্রম, মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং শিক্ষণ কৌশলকেও আধুনিকায়ন করা হবে। যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মান উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
আমি সবসময় চেষ্টা করি, আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যেন সময়োপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন শিক্ষার্থী তৈরি করা, যারা শুধু ভালো রেজাল্ট করবে না, বরং জ্ঞান, দক্ষতা এবং মূল্যবোধে হবে সমৃদ্ধ। Outcome Based Education-এর মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
আজ সারাদিন অর্থনীতি বিভাগে কর্মশালাটি চলবে।
রাবি প্রশাসনের অসহযোগিতায় বিলম্ব হচ্ছে সাবেক ভিসির দুদকের দুর্নীতির তদন্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সোবহান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৩৮জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের স্বার্থে সোবহানের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার চিঠি দিয়েও সহযোগিতা পাননি দুদক। ফলে সোবহানের দুর্নীতি বিষয়ক তদন্তের কাজ বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বারবার তথ্য চেয়েও সহযোগিতা না পাওয়ায় দুদকের ধারায় রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নামে যেকোনো সময় মামলা হতে পারে। দুদকের ১৯ এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে তথ্য চেয়ে সহযোগিতা না পেলে তার নামে মামলা করতে পারবে দুদক।
এদিকে সোবহানের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানকে দলনেতা করে আফনান জান্নাত কেয়া ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আব্দুস সোবহানের দুর্নীতির তথ্য ও রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েক দফায় প্রেরণ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে অনুসন্ধানের কাজ বিঘ্নিত ও বিলম্বিত হচ্ছে।
এইদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আব্দুস সোবহানের যেসব তথ্য চান দুদক:
১. প্রফেসর এজাজুল হক এর নেতৃত্বে গঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী'র "পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজিডি)"প্রকল্পের তিন কোটি টাকা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত ফটোকপি। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থা সমূহের বিস্তারিত বিবরণ ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
২. আব্দুস সোবহানের মেয়াদ শেষে ৩৪ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা ঘাটতি সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। তাঁর কর্মকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খাত ভিত্তিক আয় ও ব্যয়ের বিবরণী (অর্থ বছর ভিত্তিক)।
৩. সোবহানের মেয়ে সানজানা সোবহান, প্রভাষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জামাতা এ টি এম সাহেদ পারভেজ এর এন আই ডি/স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি।
৪. মো. আব্দুস সোবহান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ার পূর্বের এবং পরের কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার সত্যায়িত ফটোকপি।
৫. সোবহানের এর ব্যক্তিগত নথির সত্যায়িত ফটোকপি।
৬. আব্দুস সোবহান এর সময়ে গৃহীত প্রকল্পের নাম, প্রাক্কলিত টাকার পরিমাণ, প্রাপ্ত টেন্ডারের সংখ্যা, টেন্ডার আহ্বানের পদ্ধতি, কার্যাদেশ প্রদ্দত্ত টাকার পরিমাণ, পরিশোধিত টাকার পরিমাণ,
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা,প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম, পদবী ও তাদের স্ব দায়িত্ব সকল ডকুমেন্ট এর ফটোকপি।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি কিন্তু কোনো ধরনের তথ্য তাদের কাছ থেকে পাইনি। ফলে সোবহানের তদন্তের কাজ বিলম্ব হচ্ছে। আমরা আবারও দেখবো যদি তথ্য না পাই তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে দুদক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দুদকের চিঠি এসেছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, "দুদক কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে আমার। তবে তারা যেসকল তথ্য চেয়েছেন তারমধ্যে কিছু তথ্য দিতে পেরেছি এবং অনেক তথ্যই আমাদের কাছে নেই যার ফলে আমরা সময় নিয়েছি।"
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, দুদকের একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমার কাছে এসেছিলেন। দুদক যেসকল তথ্য আমাদের কাছে চাইবে সে সকল ধরনের তথ্য দেওয়ার জন্য আমি বলে দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন দেয়নি সেই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনি খোঁজ নিচ্ছি কেন তাদেরকে তথ্য দেওয়া হয়নি?
আশার আলো দেখছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তত্ত্বাবধানে একটি সমন্বিত কাঠামোর অধীনে চলবে ঢাবি অধিভুক্ত থাকা সাতটি সরকারি কলেজের কার্যক্রম। সাময়িক এই ব্যবস্থায় সাত কলেজের প্রশাসকের দায়িত্ব পেতে পারেন ঢাকা কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইলিয়াস।
তবে ইতোমধ্যে তাঁর চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় যে জটিলতা তৈরী হয়েছিলো সেটা নিরসনে পুনরায় তাঁকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ পদে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করে গতকাল রবিবার (১৮ই মে) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ নিয়োগের মাধ্যমে তিনি সাত কলেজের জন্য গঠিত হতে যাওয়া সমন্বিত কাঠামোর প্রশাসকের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে মোতাবেক অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান দপ্তর হতে পারে ঢাকা কলেজে। খুব দ্রুতই সমন্বিত প্রশাসন এবং প্রশাসক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির আশাবাদ ব্যাক্ত করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
দাবি মেনে নিয়ে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রেক্ষিতে আপাতত নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ৫ দফা দাবির বাকি দাবিগুলোর বিষয়েও নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
গতকাল রবিবার (১৮ই মে) সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের প্রতিনিধি মোঃ নাঈম হাওলাদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাত কলেজ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের সময়ক্ষেপণের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এখান থেকে ৫ দফা দাবি উল্লেখসহ ঝুলে থাকা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যক্ষ করছি, সরকার আমাদের দাবির বিষয়টি আমলে নিয়েছে। ইতিমধ্যে অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস স্যারকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।
এতে আরও বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি, আগামীকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যাপক ইলিয়াস স্যারকে সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রশাসক করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যেহেতু সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, সেহেতু আমরা আগামীকাল সোমবার (১৯ মে, ২০২৫ খ্রি.) কোনো কর্মসূচি রাখছি না। আমরা সম্পূর্ণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো। একইসঙ্গে আমরা আমাদের ৫ দফা দাবির বাকি দাবিগুলোর বিষয়েও নজর রাখবো। সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য