আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় মন খারাপ ভারতের

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।
তিনি বলেন, (বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর (পলিটিক্যাল স্পেস) সঙ্কুচিত হয়ে আসছে তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বভাবতই উদ্বিগ্ন বোধ করছে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক (ইনক্লুসিভ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে আমরা জোরালো সমর্থন জানাই।
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর ফলে ‘আওয়ামী লীগ’ নামে দলটির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন
শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে দলটির বিচার হবে। এ বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
ওইদিন একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ-সংগঠন বা সমর্থকগোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাইজিং ক্যাম্পাস/আরকেএস
ব্যাটারি রিকশা বন্ধে ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে এসব রিকশার ওয়ার্কশপ ও চার্জিং পয়েন্ট বন্ধ করা হবে বলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও ডিএনসিসির ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রশাসক বলেন, 'ঢাকার মূলসড়কে কোনো রিকশা চলাচল করতে পারবে না। রিকশা চলাচল করবে অভ্যন্তরের সড়কে। ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ডেসকোর সহয়তায় এসব রিকশার চার্জিং পয়েন্ট ও উৎপাদনের ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ করা হবে।'
তিনি বলেন, 'সমীক্ষায় দেখা গেছে ২০ শতাংশ দুর্ঘটনা এই ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারী ও শিশুরা। এগুলো কোনো নীতিমালা বা যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়নি। প্রায়ই দেখা যায় পথচারীদের উপর রিকশা উঠে যাচ্ছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।'
ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও সড়কে গণপরিবহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। বুয়েটের সহায়তায় ইতোমধ্যে ব্যাটারিচালিত নিরাপদ রিকশার নকশা প্রস্তুত করে কয়েকটি কোম্পানিকে প্রস্তুতের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, 'এ মাসের মধ্যে ডিএনসিসি রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। প্রশিক্ষণ শেষে উত্তীর্ণরা বৈধ লাইসেন্স পাবেন এবং অনুমোদিত কোম্পানির তৈরি রিকশা শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় চালাতে পারবে।'
তবে, এক এলাকার বৈধ রিকশা অন্য এলাকায় যেতে পারবে না এবং যাত্রী ভোগান্তি কমাতে ভাড়া নির্ধারিত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, 'একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হবে। চলমান রিকশা বাণিজ্য বন্ধ করা হবে।'
আজকের অভিযানে মূলসড়কে চলাচলরত প্রায় ১০০টির বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
এনবিআর বিলুপ্তির কারণ কি? যা জানালো সরকার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বড় কাঠামোগত সংস্কার ঘোষণা করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে রাজস্ব খাতকে দুটি পৃথক বিভাগে ভাগ করে রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নত করা, স্বার্থের দ্বন্দ্ব হ্রাস করা এবং দেশের কর ভিত্তি সম্প্রসারণ করা, কর প্রশাসন থেকে কর নীতি নির্ধারণকে পৃথক করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের পাঠানো এক বার্তায় তা জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর ধারাবাহিকভাবে তার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত প্রায় ৭.৪%, যা এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশ্বব্যাপী গড় ১৬.৬%, যেখানে মালয়েশিয়ার ১১.৬%। জনগণের উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা অর্জনের জন্য, বাংলাদেশকে অবশ্যই তার কর-জিডিপি অনুপাত কমপক্ষে ১০% এ উন্নীত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য এনবিআর পুনর্গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর নীতি প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করার জন্য একটি একক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়— এই ধরনের ব্যবস্থা স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করে এবং অদক্ষতা বৃদ্ধি করে। বছরের পর বছর ধরে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছে যে নীতিমালাগুলো প্রায়শই ন্যায্যতা, প্রবৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার চেয়ে রাজস্ব সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেয়।
আরও বলা হয়, এই পুনর্গঠন কেবল একটি আমলাতান্ত্রিক রদবদল নয়। এটি একটি ন্যায্য, আরও সক্ষম কর ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। বাংলাদেশের সব নাগরিকের চাহিদা পূরণ এবং তাদের আশা বাস্তবায়নের জন্য নীতি নির্ধারণ এবং পরিচ্ছন্ন কর প্রশাসন শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান বেশ কিছু সমস্যা এনবিআরকে জর্জরিত করেছে বলে উল্লেখ্য করা হয়।
স্বার্থের দ্বন্দ্ব
নীতি নির্ধারণ এবং প্রয়োগ উভয়কেই এক ছাদের নিচে রাখার ফলে কর নীতির সঙ্গে আপস এবং ব্যাপক অনিয়মের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায়, কর আদায়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো জবাবদিহিতা কাঠামোর আওতায় নেই এবং প্রায়শই জনস্বার্থের সঙ্গে আপস করে কর খেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ প্রদানের জন্য আলোচনা করতে সক্ষম হন। অনেক ক্ষেত্রে, কর আদায়কারীরা কর ফাঁকি দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে তাদের তা করতে সহায়তা করতে অনিচ্ছুক। কর আদায়কারীদের কর্মক্ষমতা বস্তুনিষ্ঠভাবে পরিমাপ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়া নেই। তাদের কর্মজীবনের অগ্রগতি পরিমাপযোগ্য কর্মক্ষমতা সূচকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি।
অদক্ষ রাজস্ব সংগ্রহ
দ্বৈত আদেশ নীতি প্রণয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি উভয়ের উপরই মনোযোগ কমিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরূপ, করের জাল সংকীর্ণ রয়ে গেছে। রাজস্ব আদায় সম্ভাবনার তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
দুর্বল শাসনব্যবস্থা
এনবিআর অসংগত প্রয়োগ, দুর্বল বিনিয়োগ সুবিধা এবং পদ্ধতিগত শাসন সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে। যার সবকটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস করেছে। আইনের শাসনকে দুর্বল করে দিয়েছে।
আমলাতান্ত্রিক ওভারল্যাপ
বিদ্যমান কাঠামো—যেখানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রধানও এনবিআরের নেতৃত্ব দেন- বিভ্রান্তি এবং অদক্ষতা তৈরি করেছে, কার্যকর কর নীতি নকশা এবং প্রদানকে ব্যাহত করেছে।
নৈতিকতা হ্রাস এবং অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা
সংস্কার প্রক্রিয়া অভিজ্ঞ কর ও শুল্ক কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন যে, তাদের পাশে রাখা হতে পারে বা উপেক্ষা করা হতে পারে।
পুনর্গঠন কীভাবে সাহায্য করবে
নতুন কাঠামোটি একটি পরিষ্কার, আরও জবাবদিহিমূলক কাঠামোর মাধ্যমে এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
দায়িত্বের স্পষ্ট বিভাগ
রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রণয়ন, হার নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক কর চুক্তি পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রয়োগ, নিরীক্ষা এবং সম্মতি তত্ত্বাবধান করবে। এই পৃথকীকরণ নিশ্চিত করে যে, কর আদায়কারী কর্মকর্তারা কর আদায়কারীদের মতো নন, যা যেকোনো ধরনের যোগসাজশের সুযোগ দূর করে।
উন্নত দক্ষতা এবং শাসনব্যবস্থা
প্রতিটি বিভাগকে তার মূল আদেশের ওপর মনোনিবেশ করার অনুমতি দিয়ে সংস্কারটি বিশেষীকরণ বৃদ্ধি করবে, স্বার্থের দ্বন্দ্ব হ্রাস করবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক অখণ্ডতা উন্নত করবে।
সম্প্রসারিত কর ভিত্তি এবং শক্তিশালী প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা
এ সংস্কার করের জাল সম্প্রসারণ করবে। পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং দক্ষ পেশাদারদের উপযুক্ত ভূমিকায় নিয়োগ করে প্রত্যক্ষ কর আদায়কে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উন্নত, আরও উন্নয়নমুখী নীতি
একটি নিবেদিতপ্রাণ নীতি ইউনিট কেবলমাত্র স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত প্রতিক্রিয়াশীল নীতির পরিবর্তে প্রমাণ-ভিত্তিক, ভবিষ্যতমুখী কর কৌশল তৈরি করতে পারে।
বৃহত্তর বিনিয়োগকারীদের আস্থা
স্বচ্ছ, পূর্বাভাসযোগ্য নীতি এবং একটি পেশাদার কর প্রশাসন বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং বেসরকারি খাত থেকে অভিযোগ কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুদকে আওয়ামী আমলে নিয়োগ পাওয়া ১৩৫ আইন কর্মকর্তা এখনো বহাল, বিচারপ্রক্রিয়া ধীরগতি

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ও অন্য নেতাদের পছন্দে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ১৩৫ আইনজীবীকে সাড়ে ৯ মাসেও পরিবর্তন করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত-অনুসন্ধানে সাফল্য থাকলেও মামলা ট্রায়ালের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে দুদক। মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শৈথিল্য মনোভাবের অভিযোগ উঠেছে, দুদক কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকেও।
দুদকের মামলা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত উপ-পরিচালক এবং সহকারী পরিচালক পদের কর্মকর্তারা এসব আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার মৌখিক অভিযোগ করেছেন ঊর্ধ্বতনদের কাছে।
সরকার পরিবর্তনের সাড়ে ৯ মাসেও পরিবর্তন করা হয়নি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া দুদক আইনজীবীদের। ফলে এই সময়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রুজু, গ্রেফতার, হাজার হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক, অবরুদ্ধ আদেশ পাওয়ার পরও এসব আইনজীবীর অসহযোগিতামূলক আচরণের কারণে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার গতি পাচ্ছে না।
দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম বাসস’কে জানান, দুদকের প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার ও লিগ্যাল উইং কাজ করছে। আশা করা যায়, অতি দ্রুত দুদকের মামলা পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্যানেল ল’ইয়ার নিয়োগ দেওয়া হবে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিচালক ও তিনজন উপ-পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, উচ্চ আদালতসহ সারাদেশের আদালতগুলোতে দুদকের মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগকৃত ১৩৫ জন আইনজীবীর মধ্যে ৫ আগস্টের পর নিজ থেকে পদত্যাগ করেছেন মাত্র ৩/৪ জন।
কর্মকর্তারা আরো বলেন, প্রধান প্যানেল ল’ইয়ার খোরশেদ আলম খান দীর্ঘদিন আদালতেই আসছেন না।
মোশাররফ হোসেন কাজলসহ অধিকাংশ আইনজীবী আদালতে অনুপস্থিত কিংবা অনিয়মিত থাকায় মামলা সংক্রান্ত কাজে তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছেনা। আওয়ামী আইনজীবী ফোরাম কিংবা দলটির সঙ্গে সরাসরি জড়িতরা ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
দুদক জানিয়েছে, উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য প্রধান আইনজীবী হিসেবে আছেন খোরশেদ আলম খান। তার সঙ্গে রয়েছেন আরো ১৫ আইনজীবী। খোরশেদ আলম খান নিয়োগ পাওয়ার আগে এই পদে ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী (বর্তমানে হত্যা মামলাসহ দুর্নীতি ও জ্ঞাত বহির্ভূত মামলায় কারাগারে) আনিসুল হক। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের নানা ফরমায়েশি মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন।
অন্যদিকে, তার বিশ্বস্ত মোশাররফ হোসেন কাজল ঢাকার বিশেষ জজ কোর্টে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অশোভন উক্তি ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছিলেন তিনি।
আর খোরশেদ আলম খান হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায়ের সাজার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদনসহ নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। ওই মামলায় বেগম খালেদা জিয়া সাজা খাটলেও শেষ পর্যন্ত গত ১৫ জানুয়ারী তিনিসহ অন্য আসামিরাা খালাস পান।
দুদক কর্মকর্তাদের মতে, গণরোষে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত সাড়ে ৯ মাসে দুদক মামলার তদন্ত ও অনুসন্ধানে সর্বোচ্চ সাফল্য দেখিয়েছে। এই সময়ে সাবেক মন্ত্রী, এমপি, ব্যাংক বীমা লুটেরা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ ও তাদের কয়েক হাজার সুবিধাভোগি দোসরের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে অভিযান পরিচলানা ও মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী মনোভাবাপন্ন দুদক আইনজীবীদের কারণে মামলার বিচারকাজ তরান্বিত হচ্ছেনা। তারা বিভিন্ন অজুহাতে আদালতে অনুপস্থিত থেকে সময়ক্ষেপণ করছে। মামলার সাক্ষিরা নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হলেও আইনজীবীদের ছলচাতুরীপনায় সাক্ষি না দিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সাক্ষিসহ সংশ্লিষ্টদের হয়রানীর সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক উপ-পরিচালক বাসস’কে জানান, আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ করা দুদক আইনজীবীদের বাদ দিয়ে নতুন করে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করছে কমিশন। খুব দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
দুদক জানিয়েছে, ঢাকায় ১৩ টি আদালতে এবং ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলায় দুদকের মামলা রুজু ও পরিচালনার জন্য আদালত রয়েছে। রাজধানীরগুলো হল, বিশেষ জজ আদালত-১ থেকে বিশেষ জজ আদালত -১০ পর্যন্ত ১০টি, মহানগর দায়রা জজ আদালত, বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত পদাধিকার বলে সিনিয়র স্পেশাল জজ হিসেবে দুদকের মামলা পরিচালনা করে থাকে।
দুদকের জেলা ও সমন্বিত জেলা কার্যালয় রয়েছে ৩৬টি আর বিভাাগীয় কার্যালয় ৮টি। প্রধান কার্যালয়ে অপারেশন উইং এর তত্ত্বাবধানে বিশেষ শাখা, মানি লন্ডারিং শাখা, তদন্ত-১ ও তদন্ত-২ রয়েছে। এসব দপ্তর বিভাগের মামলা তদন্ত, অনুসন্ধান, মামলা রুজু ও চার্জশিট দিয়ে থাকে। কিন্তু আইনজীবীদের অসহযোগিতামুলক আচরনের কারণে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পরবর্তী দায়ের করা মামলাগুলোর আইনী গতি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তরা।
দলের প্রতি অনুগত ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আস্থাভাজন আইনজীবীরা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের উচ্চ আদালতসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে আদালতসমূহে দুদকের মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ পেয়েছিল। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর দুদক দুর্নীতি দমনে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। কোনরূপ হস্তক্ষেপ ছাড়াই মামলার তদন্ত, অনুসন্ধান, চার্জশীট দাখিল, আসামী গ্রেফতার এবং মামলার বিচার প্রক্রিয়া তরান্বিত করার পদক্ষেপ নেয় কমিশন। কিন্তু আদালতে দুদক আইনজীবীদের অনুপস্থিতি, অনাগ্রহ ও ঢিমেতালে মনোভাবের কারণে কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছে মামলাগুলোর কার্যক্রম। দুদক তাদের কাছ থেকে কোন কার্যকর পরামর্শও পাচ্ছেনা। ফলে গত সাড়ে ৯ মাসে আদালতে পলাতক আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের শত শত কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান, অনুসন্ধান, ক্রোক ও গ্রেফতার আসামীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করছেন আওয়ামী লীগের অনুগত এসব আইনজীবী।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বাসসকে বলেন, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট দুদক বুঝতে সক্ষম না হলে তা হবে জাতির জন্য দুভার্গ্যজনক। এই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন তারা এদেশে আওয়ামী লীগের লুটতরাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন।
সাড়ে ৯ মাসেও কমিশনের আওয়ামী লীগের অনুগত আইনজীবীদের পরিবর্তন করা হয়নি, এটা দুঃখজনক।
পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে দুদক প্রতিষ্ঠান হিসাবে তার মর্যাদা হারাবে।
অবিলম্বে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া দুদক আইনজীবীদের পরিবর্তন করে জুলাই স্পিরিটের সঙ্গে সম্পৃক্ত আইনজীবীদের নিয়োগ দিতে দুদকের প্রতি আহবান জানান তিনি।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট গাজী কামরুল হাসান সজল বাসস’কে বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী রাষ্ট্র পুর্নগঠনের সময় দুদক পিছিয়ে পড়বে, তা কাম্য নয়।
সাড়ে ৯ মাস পেরিয়ে গেছে, এখনো দুদকে তাদের প্যানেল লইয়ার পরিবর্তন করতে পারেনি। এটি ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের সহযোগিতা ও মামলার দীর্ঘসূত্রিতার শামিল।
তিনি আরো বলেন, “সর্ষের ভেতর ভূত’ থাকলে দুর্নীতি দমন হবেনা। দুদক প্যানেল লইয়ার নিয়োগের জন্য দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে যে যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, তাতে দক্ষ ও যোগ্য আইনজীবী পাওয়া যাবে না।
তবু বলবো, অবিলম্বে দুদকে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলাগুলোর ট্রায়াল (বিচার প্রক্রিয়া) করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
জুলাই-আগস্টে ‘জেনোসাইড’ নয়, ‘ম্যাস কিলিং’ হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় গুলি করে হত্যা ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউশনের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থা।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তিনি ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনো মামলায় তদন্ত শেষ হলো।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এই মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে আসা তথ্য ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তা দাখিল করা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এর পরে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম। সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।
জুলাই-আগাস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গণহত্যার কোনো অভিযোগ আনা হয়নি বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গণহত্যার কোনো চার্জ বা অভিযোগ নেই। আন্তর্জাতিকভাবে যে সংজ্ঞা রয়েছে, সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়েছে, সেগুলো ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি বা মানবতাবিরোধী অপরাধ! গণহত্যা নয়। বাংলাদেশে যে ধরনের অপরাধ হয়েছে, সেটি ম্যাস কিলিং বা ম্যাসাকার হয়েছে; জেনোসাইড নয়।’
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে কি না—এমন প্রশ্নে তাজুল জানান, ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘গত রাতেই মাত্র সংশোধনী এ আইনে এসেছে। এখন প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তদন্ত সংস্থা মনে করলে দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে কি না, সে বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী তদন্তের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১০ সালের ২৫ মার্চ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আইনে সংশোধনী আনা হয়। এখন এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিপরিষদ, সেই সময়কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘উসকানিদাতা’ হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এই মানবতাবিরোধী অপরাধের উসকানি ও প্ররোচনা দিয়েছিলেন। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতি-পুতি, রাজাকার—এসব বলেছিলেন।’ এভাবে রাজাকার বলার মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন বাহিনীকে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘লেলিয়ে দেওয়া’ হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তাজুল আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ—এসব সংগঠন সহযোগী বাহিনী, অর্থাৎ অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদের হত্যা করে, আহত করে এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্ররোচনা, উসকানি দেওয়া, ষড়যন্ত্র ও সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য