ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭ হাজার জনের নিয়োগ

অনলাইন ডেস্ক
১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৪৩
অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭ হাজার জনের নিয়োগ

ত্রয়োদশ নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীতে ২৭ হাজারের বেশি সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনকালে তিনি এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা পুলিশে ১৫ হাজার ৮৫১ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দিয়েছি। বিজিবিতে ৪ হাজার ৪৬৯ জন, ৫ হাজার ৫৫১ জন আনসার, ১ হাজার ৫৫৮ জন কারা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ২০৮ জন। এগুলো সব নতুন নিয়োগ। এসব পদের মধ্যে কিছু সৃজিত পদ এও কিছু শূন্যপদ। পুলিশের এসব নিয়োগ সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত। এ ছাড়া আনসার ও বিজিবির ক্ষেত্রেও কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই মব জাস্টিসটা যতটা কমিয়ে আনা যায়। কয়েকদিন আগে রংপুরে একটা মব জাস্টিস হয়েছে। ঢাকায় মব জাস্টিস কমলেও আশপাশে কিন্তু মব জাস্টিস কিছু হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এটা যতটা কমিয়ে আনা যায়।


জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সবসময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই মাছ সবসময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়েছে, এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না। সুতরাং নির্দোষ এমন কেউ ছোটখাটো কিন্তু তাকে ধরা হলে সে সম্পর্কে আপনারা বলেন। আপনারা সবসময় সত্য ঘটনা বলে থাকেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ।




প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে নোটিশ

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৩৭
    অনলাইন ডেস্ক
    এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে নোটিশ

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।


    সোমবার (১৮ আগস্ট) ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের (এনএলসি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

    নোটিশে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ চাওয়া হয়েছে।

    আইনজীবী বলেন, যদি এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে আমি বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।

    নোটিশে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট মাসের নৃশংস ঘটনায় করা সাত শতাধিক হত্যা মামলায় বহু পুলিশ অফিসার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আইনের মৌলিক নীতি হলো, কোনো মামলার এজাহারভুক্ত আসামি যদি দায়িত্বশীল পদে বহাল থাকেন, তবে মামলার তদন্ত কার্যক্রম, সাক্ষ্যগ্রহণ ও বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার সুস্পষ্ট আশঙ্কা থাকে। ওই আসামিরা বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বশীল পদে বহাল থাকায় তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে তাদের চাকরিতে বহাল থাকা অনুচিত ও অগ্রহণযোগ্য।

    বাংলাদেশ সার্ভিস রুলসে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের তদন্ত চলাকালীন অবস্থায় তাকে জনস্বার্থে সাময়িক বরখাস্ত করা যেতে পারে।

    পুলিশ রেগুলেশনে বলা আছে, যদি কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আনা হয় বা মামলা দায়ের হয়, তবে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনবোধে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারে।

    আইন অনুযায়ী, পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হয় যে এজাহারভুক্ত পুলিশ অফিসারদের পদে বহাল রাখা আইন, ন্যায়বিচার ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। তাই অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।




    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      প্রত্যাহার হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ১৬৪২৯ মিথ্যা মামলা

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২১:২৩
      অনলাইন ডেস্ক
      প্রত্যাহার হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ১৬৪২৯ মিথ্যা মামলা

      রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ১৬ হাজার ৪২৯টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা রাত ৮টা ১৩ মিনিটে অন্তর্বর্তী সরকারের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


      এতে বলা হয়, হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে আইনকে অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এসব মামলা অভিযুক্ত ও তাদের পরিবারের জন্য গভীর ভোগান্তি ডেকে এনেছে, একইসাথে রাজনৈতিক ও বিচারব্যবস্থাকেও বিকৃত করেছে।


      ফেসবুক পোস্টটিতে আরও বলা হয়, মোট ১৬ হাজার ৪২৯টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো অন্যায্য হয়রানি বন্ধ করা, রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানো এবং নির্বাচনের আগে একটি সমতাভিত্তিক পরিবেশ তৈরি করা।


      মামলা প্রত্যাহারের এই পদক্ষেপ কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর ব্যাখ্যায় সরকার বলছে, এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে যারা অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত হয়েছিল, তাদের ন্যায়বিচার ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং একটি ন্যায্য রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে নির্বাচনে আরও বিস্তৃত অংশগ্রহণ সম্ভব হবে। শেষ পর্যন্ত এই সংস্কার বিচারব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়াবে এবং আরও শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথ সুগম করবে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        মাইটিভির চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার প্রশ্নে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৩১
        অনলাইন ডেস্ক
        মাইটিভির চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার প্রশ্নে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

        স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে অ্যারেস্ট করা অবৈধ হলে কোর্ট তাকে ছেড়ে দেবে, তারা তো স্বাধীন। সোমবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২তম সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নাসিরের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।


        আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সবসময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই মাছ সবসময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়েছে, এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না।

        স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী


        মাইটিভির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বাদী বলেছেন এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নেই। তবুও কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে– এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে কোর্টকে জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের অ্যারেস্ট করা অবৈধ হলে কোর্ট তাকে ছেড়ে দেবে। তারা তো স্বাধীন।


        জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। যে দোষী সে কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না। আমরা সবসময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই মাছ সবসময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়েছে, এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না।

        ত্রয়োদশ নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীতে ২৫ হাজার ৮৭১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীতে ১৫ হাজার ৮৫১ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) ৪ হাজার ৪৬৯ জন, ১ হাজার ৫৫৮ জন কারা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ২০৪ জন। এগুলো সব নতুন নিয়োগ।


        এসব পদের মধ্যে কিছু সৃজিত পদ ও কিছু শূন্যপদ। পুলিশের এসব নিয়োগ সাব ইন্সপেক্টর থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত। এ ছাড়া আনসার ও বিজিবির ক্ষেত্রেও কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


        নাসিরকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়া উদ্দিন আহমেদ সোমবার রিমান্ডের আদেশ দেন। এরআগে রোববার নাসিরকে এদিন আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান।


        রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, তদন্তে জানা গেছে- মামলার এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট, আজ্ঞাবহ হয়ে মাইটিভির দায়িত্বশীল চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়ে মো. নাসির উদ্দিন সাথী উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তার এমন উসকানিমূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে আসাদুল হক বাবু মারা যান বলে তদন্তে এসেছে।


        তদন্ত কর্মকর্তা তার আবেদনে বলেন, তদন্তে উঠে এসেছে, মাইটিভির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদের নাসির উদ্দিন সাথী সাংবাদিকতার পেশায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ও দায়িত্বে থেকেও তার অনৈতিক প্রভাব ও প্রতিপত্তিতে দলীয় এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে সাবেক সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে বিরোধী দলমতকে প্রত্যাখান করেছে। প্রকৃত ঘটনা, অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য ও রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রোববার নাসির উদ্দিন সাথীকে তার গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ৪৩তম বিসিএস

          পিএসসির সামনে নন-ক্যাডার প্রার্থীদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:৪৩
          অনলাইন ডেস্ক
          পিএসসির সামনে নন-ক্যাডার প্রার্থীদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি

          ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্নের দাবি জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে হাজারও পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন অবস্থায় থাকা প্রার্থীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সোমবার দুপুরে পিএসসি’র প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন তারা।


          প্রার্থীরা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ রয়েছে। অথচ সরকারি উদাসীনতার কারণে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে দেশের সামগ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে শূন্যপদ বাড়ছে, অন্যদিকে বেকারত্বও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।


          কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রার্থী মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি হিসাবে বর্তমানে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। এসব পদ পূরণ না করায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ খাতে কর্মক্ষমতার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। অথচ নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন।


          চাকরিপ্রার্থীদের তিন দফা দাবি হলো-


          ১. দ্রুততম সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে হবে।


          ২. প্রাথমিক ও যুব উন্নয়নসহ যেসব মন্ত্রণালয়ে নন-ক্যাডার পদ রয়েছে, সেখানে শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে।


          পাচারের অর্থে বিদেশে গড়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান

          ৩. বিসিএসের নামে অনুমোদিত সব পদ ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার সুপারিশপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


          চাকরিপ্রার্থীরা মনে করেন, এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে সরকারের বিভিন্ন খাত সচল হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে। তারা বলেন, ‌বেকারত্ব নিরসনে ও দুর্নীতি প্রতিরোধে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই এখন সময়ের দাবি।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত