ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

দিন শেষে পাক-ভারত যুদ্ধ কারো জন্যই কল্যাণকর নয় : জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
৭ মে, ২০২৫ ১৬:৩৪
অনলাইন ডেস্ক
দিন শেষে পাক-ভারত যুদ্ধ কারো জন্যই কল্যাণকর নয় : জামায়াত আমির

সম্প্রতি কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত-পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি হামলার খবরও এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, হামলা-পাল্টা হামলার মতো ঘটনা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। দিন শেষে যুদ্ধ কারো জন্যেই কল্যাণকর নয়।

বুধবার (৭ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতের ঘটনার গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত বলেও মনে করেন জামায়াত আমির।

ফেসবুক পোস্টে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সম্প্রতি কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, ইতোমধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। তা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।

তিনি বলেন, এ ঘটনার গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত এবং উভয় পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। দিন শেষে যুদ্ধ কারো জন্যেই কল্যাণকর নয়। কাশ্মিরবাসীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান আন্তরিকভাবে কামনা করি।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। রাতের আঁধারে চালানো এ হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এমনই দাবি করেছে ভারত।

পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে লজ্জাজনক বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে চলমান সংকট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অন্যদিকে এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স, এএফপি ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রতিবেশী দেশ চীন। এ দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

চীন দুই দেশেরই প্রতিবেশী এবং পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করে চীন জানিয়েছে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    খালেদা জিয়ার জন্য বানানো কারাগারে এখন থাকবেন আ.লীগ নেতারা

    অনলাইন ডেস্ক
    ৭ মে, ২০২৫ ১৫:৩৮
    অনলাইন ডেস্ক
    খালেদা জিয়ার জন্য বানানো কারাগারে এখন থাকবেন আ.লীগ নেতারা

    আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর বেগম খালেদা জিয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ কারাগার। তবে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যাওয়ায় সেই কারাগারে এখন বন্দি থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

    জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে ওই কারাগারে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালে তিনি মুক্তি পান। এরপর কয়েক দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

    ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। একের পর এক মামলায় খালাস পান খালেদা জিয়া। আর জেলে ফেরেননি তিনি।

    অন্তর্বর্তী সরকার খালেদা জিয়ার জন্য তৈরি করা সেই বিশেষ কারাগার নতুনভাবে চালু করছে। ১৫ মে থেকে সেখানে বন্দি স্থানান্তরের কথা রয়েছে। কারাগারটিতে রাখা হবে আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার হওয়া মন্ত্রী, এমপি ও ভিআইপিদের।

    কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ কারাগার চালুর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। ইতোমধ্যে কারা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে মোহাম্মদ তাইফুদ্দিন ও জেলার হিসেবে শাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব নিয়েছেন। সিসিটিভি, জ্যামারসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্ত করা হচ্ছে।

    কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া প্রভাবশালী নেতাদের এই কারাগারে স্থানান্তর করা হবে। বর্তমানে গ্রেপ্তার হওয়া ভিআইপির সংখ্যা ১৪৬ জন।

    কারাগারে যাচ্ছেন যারা

    উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মন্ত্রী শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাধন চন্দ্র মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক, আরিফ খান জয়সহ আরও অনেকে।

    এছাড়াও আছেন পুলিশের সাবেক এসপি সাদেক খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর সালেহ ইমন, বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. সোহাইল, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব শাহ কামাল।

    আরও রয়েছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ডা. এনামুর রহমান, ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু সুর চৌধুরী, দীপংকর তালুকদার, চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, হাজি সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, শমসের মবিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে সাফি মোদাচ্ছের খান জ্যোতি, মহিউদ্দিন ফারুকী, কামরুল ইসলাম খান পোটন, পুলিশ কর্মকর্তা শাহেন শাহ এবং তানজিল আহমেদ।

    এছাড়াও বিশেষ কারাগারে স্থানান্তরের তালিকায় রয়েছেন আরও একঝাঁক ভিআইপি বন্দি- সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও এমপিরা। তাদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবহান মিয়া (গোলাপ), কাজী জাফরউল্লাহ, আহম্মদ হোসাইন, শাহে আলম ও হাজি মোহাম্মদ সেলিম। রয়েছেন সাবেক হুইপ মাহবুব আরা গিনি, বিতর্কিত এমপি আব্দুর রহমান বদি এবং উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

    এই তালিকায় আরও আছেন- সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, আমিনুল ইসলাম খান, নজিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মেজবাহ উদ্দিন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, হেলালুদ্দিন আহমেদ, টিপু মুনশি, জ্যাকব, মাহবুব আলী, ফরহাদ হোসেন, ইমরান আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও কামাল আহমেদ মজুমদার।

    এছাড়া রয়েছেন জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, আবুল কালাম আজাদ, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আমির হোসেন আমু, আব্দুস শহীদ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শহিদুজ্জামান সরকার, ইসমাইল হোসেন, ডা. দীপু মনি, সাবেক আইজিপি মো. শহিদুল হক, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, গোলাম দস্তগীর গাজী, রমেশ চন্দ্র সেন, এবং সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তালিকার আরও আছেন একরামুল করিম চৌধুরী, কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      সারাদেশে ৩৫ বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান চলমান

      অনলাইন ডেস্ক
      ৭ মে, ২০২৫ ১৪:৩৬
      অনলাইন ডেস্ক
      সারাদেশে ৩৫ বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান চলমান

      ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালচক্রের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দেশের ৩৫টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিসে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

      বুধবার (৭ মে) সকালে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার দুদক কার্যালয় থেকে একযোগে এই অভিযান শুরু হয়। উত্তরা, কেরানীগঞ্জসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিআরটিএ অফিসগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

      ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অফিসে দালালের উপস্থিতি ও নানা অনিয়ম হাতেনাতে ধরা পড়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

      বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বলেন, ‘আজ সারাদেশের ৩৫টি বিআরটিএ অফিসে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’

      যেসব অফিসে দুদকের অভিযান

      দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে– ঢাকার উত্তরা ও কেরানীগঞ্জ বিআরটিএ অফিস, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ অফিস, বাগেরহাট, বরিশাল, বরগুনা, ও ঝালকাঠি বিআরটিএ অফিস।

      এ ছাড়া বগুড়া, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, দিনাজপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর, মাদারীপুর, নেত্রকোণা, নোয়াখালী, জয়পুরহাট, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, শেরপুর ও রাঙ্গামাটি বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

      মূলত অভিযোগ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে ঘুষ ও হয়রানির বিষয়ে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ দালালদের সরব উপস্থিতি। অধিকাংশ অফিসে দালাল ছাড়া সহজে কাজ করানো যাচ্ছে না।

      এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রধান কার্যালয়সহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৩৬ অফিসে এবং গত ১৬ এপ্রিল দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি ও নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দেশের ৩৫ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছিল দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি সেবা নিয়ে একযোগে বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

       

      মন্তব্য

      আরাকান আর্মি নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

      আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র, আমাদের স্বার্থে আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে দেখা করব

      অনলাইন ডেস্ক
      ৬ মে, ২০২৫ ১৯:৪৭
      অনলাইন ডেস্ক
      আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র, আমাদের স্বার্থে আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে দেখা করব

      পাশ্ববর্তী  দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, আমাদের স্বার্থে আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে দেখা করব। কে কী বলল যায়-আসে না। মঙ্গলবার (৬ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

      অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, আমরা সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের স্বার্থে আমরা যার সঙ্গে ইচ্ছা তার সঙ্গে দেখা করব। কে কী বলল যায়-আসে না। আমরা একটা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছি এবং সেটা বাস্তবায়ন করছি। মিয়ানমার আরাকান আর্মিকে একটা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দেখে কিন্তু তারাও কথা বলছে। তারা যুদ্ধবিরতির কথা বলছে।

      কেন আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ প্রয়োজন তা তুলে ধরে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সীমান্তের ওপারে এখন নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির। এটা তো আমাদের সীমান্ত এবং এটা আমাদের সার্বভৌম সীমান্ত। এই সীমান্ত আমাকে ম্যানেজ করতে হবে, রক্ষা করতে হবে, শান্তিপূর্ণভাবে রক্ষা করতে হবে। এটা একটা ক্রসবর্ডার। এজন্য ওপারে যেই থাক তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখব।

      মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যদি ওই পাশে আসে আসুক। তাদের সঙ্গে আগে আমাদের যোগাযোগ ছিল। তারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুক, আমরা তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করব।

      আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এপ্রিলে জেনারেল মিন অং হ্লায়িংয়ের সরকার ঢাকায় কূটনৈতিক পত্র দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সেই চিঠিতে জান্তা সরকার ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছে। তবে এখন অবধি বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।

      মন্তব্য

      এনসিপি নেতা সরোয়ার তুষার

      প্রাদেশিক সরকার এই মুহূর্তে দরকার নেই, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার চাই

      অনলাইন ডেস্ক
      ৬ মে, ২০২৫ ১৯:১৮
      অনলাইন ডেস্ক
      প্রাদেশিক সরকার এই মুহূর্তে দরকার নেই, শক্তিশালী স্থানীয় সরকার চাই

      জনসংস্কার কমিশনের ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা যাবে এমন নয়টি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি বলেছেন, প্রাদেশিক সরকারকে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি। এটা এই মুহূর্তে দরকার নেই।

      আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে হওয়া বৈঠকের বিরতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

      তিনি বলেন, সংসদে স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থাকতে হবে। আজকে আলোচনা এসেছে যে, সকল মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় আছে সেই মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থেকে প্রধান হবেন। যেমন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এগুলোর প্রধান যেন বিরোধী দল থেকে হয় সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।

      তিনি আরও বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে আমাদের যে মতামত ছিল সেখানে আমরা বলেছি যে, সরকারের স্থিতিশীলতা এবং সংসদ সদস্যদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা— তথা দলের বিরুদ্ধে ভোট প্রদানের অধিকারের পক্ষে আমরা অবস্থান নিয়েছি। যে কারণে আমরা বলেছিলাম যে, অর্থবিল এবং অনাস্থা ভোট বাদে, অন্য যেকোনো সংসদ সদস্য দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন।

      সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে দলের সংসদ সদস্যরা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন, এমন বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আওতায় কী কী কাজ করতে পারবে, কী কী ধরনের বিচারিক ক্ষমতা থাকবে— এগুলো আলোচনায় এসেছে।

      এনসিপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় কীভাবে আনা যাবে, সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন মত আছে। কমিশন প্রস্তাব করেছে সংসদীয় কমিটির মধ্য দিয়ে একটা তদন্ত করা হবে। অনেক রাজনৈতিক দল মত প্রকাশ করেছে। এতে করে রাজনীতি করার একটা সম্ভাবনা থাকে। অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মধ্যে দিয়ে এটা সমাধান করা যেতে পারে।

      জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। নিম্নকক্ষ এবং উচ্চ কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের পরে গণভোটের বিধান থাকতে হবে। এর মধ্যদিয়ে সংবিধান সংশোধন হবে। মাইনর সংশোধন যদি হয়, সেক্ষেত্রে গণভোটে যেতে হবে কিনা প্রশ্ন উঠেছে। আমরা স্পেসিফিক করে কয়েকটা ধারা বলে দিয়েছি যে, এই সমস্ত সংশোধনের জন্য অবশ্যই গণভোটে যেতে হবে। পাওয়ার স্ট্রাকচার বা পিএম বেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বা মূলনীতি সংশোধনের জন্য গণভোটে যেতে হবে। রুটিন সংশোধনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশই যথেষ্ট।

      তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। জ্যেষ্ঠ তিনজনের মধ্যে একজনকে বাছাইয়ের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলেছে। যিনি জ্যেষ্ঠতম থাকবেন তিনি প্রধান বিচারপতি হবেন।

      তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিটাকে আমরা সমর্থন করেছি। সেখানে দুই পক্ষের সংসদ সদস্যদের বাইরে জেলা কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কাউন্সিল রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করবে। আরও স্থানীয় প্রতিনিধি যোগ করার জন্য আমরা বলেছি।

      এমসিপির এই নেতা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন অর্থবছরে একবার করে তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য বলেছে কমিশন। আমরা বলেছি, প্রতি আয়কর বছরই এটা করা দরকার। প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের হিসাব দিতে বাধ্য থাকবে।

      নিম্নকক্ষে নারী আসন নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছিল, আজকেও আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০০ আসনে সরাসরি নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ১০০ জন নারী পার্লামেন্টে যাবেন। এটাকে আমরা সমর্থন করছি। উচ্চ আসনে ১০০ জনের ২৫ শতাংশ নারী রাখার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি।

      তিনি আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকারকে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি। এটা এই মুহূর্তে দরকার নেই। আমরা স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে পারি। এর বাইরে দুটি নতুন বিভাগের প্রস্তাব তারা করেছিলেন— ফরিদপুর এবং কুমিল্লা। আমরা এটার সাথে একমত হয়েছি।

      জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলা গ্রহণের ক্ষমতা দিয়েছে কমিশন। আমরা দ্বিমত করেছি। বিচারিক ক্ষমতা বিচার বিভাগে থাকার জন্য আমরা বলেছি, যোগ করেন তিনি।

      সরোয়ার তুষার বলেন, জেলা পরিষদ বাতিলের প্রস্তাব করেছে, আমরা বলেছি না, জেলা পরিষদ থাকা দরকার। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্তির কথা বলেছেন, আমরা বলেছি না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মেম্বারদের ভোটে নির্বাচিত করার কথা বলেছেন। চেয়ারম্যান সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক যেন না থাকে। এটার কারণে আমাদের সমাজে সহিংসতা একেবারে গভীর পর্যন্ত পৌঁছেছে। আমাদের ভয়ংকর একটা সাংস্কৃতিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ড থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে ভালো ভালো যেসব ব্যক্তি আছেন তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য দলীয় প্রতীক বাতিল করা দরকার।

      তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ভূমি আদালতের কমিশন প্রস্তাব দিয়েছে, আমরা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত পজিটিভ। কাঠামোগত দিক কী ধরনের হবে, এটা নিয়ে কমিশনের সাথে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

      মন্তব্য
      সর্বশেষ সংবাদ
        সর্বাধিক পঠিত