ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

পাকিস্তানের সেনাদের গুলিতে ভারতের কাশ্মিরে নিহত ৭

অনলাইন ডেস্ক
৭ মে, ২০২৫ ১৪:১৮
অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের সেনাদের গুলিতে ভারতের কাশ্মিরে নিহত ৭
ভারত-শাসিত কাশ্মিরের উরি সেক্টরে সীমান্তবর্তী গোলাগুলিতে আহত এক মেয়েকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বুধবারের ছবি

কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি ভারতীয়।

কাশ্মির উপত্যকার পুঞ্চ জেলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বুধবার (৭ মে) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ভারত-শাসিত কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, পুঞ্চ জেলায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গোলাগুলিতে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং প্রায় ৩২ জন আহত হয়েছেন।

পুঞ্চ জেলাটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) কাছে অবস্থিত। পুঞ্চের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আজহার মজিদ বলেছেন, “এখন গোলাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি”।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র এর আগে এই অঞ্চলে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

এদিকে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক হামলা চালানোর পর পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।

তিনি উল্লেখ করেছেন, সমস্ত ভারতীয় বিমান তাদের আকাশসীমায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের এই প্রধান সামরিক মুখপাত্রের মতে, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বর্তমানে তীব্র গুলি বিনিময় চলছে। তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) সমস্ত বিমান নিরাপদ রয়েছে।

এদিকে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সূত্র জিও নিউজকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় ভূপাতিত ভারতীয় বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফাল ফাইটার জেট, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান রয়েছে।

 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাকিস্তানে হামলার যে ব্যাখ্যা দিলো ভারত

    অনলাইন ডেস্ক
    ৭ মে, ২০২৫ ১৪:১১
    অনলাইন ডেস্ক
    পাকিস্তানে হামলার যে ব্যাখ্যা দিলো ভারত
    ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। ছবি: সংগৃহীত

    পাকিস্তানে বিমান হামলা চালানোর পক্ষে শক্ত যুক্তি তুলে ধরেছে ভারত। কাশ্মীরে বন্দুক হামলার ঘটনায় দুই দেশের চলমান উত্তেজনার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (৬ মে) গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁন্দুর’ নামে পাকিস্তানে অভিযান চালিয়েছে ভারত। খবর হিন্দুস্তান টাইমস

    বুধবার (৭ মে) এ হামলার পর কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে ভারতের হামলা ঠেকাতে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে। ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় এ হামলা চালানো হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, একটি রেসিট্যান্স ফ্রন্ট পেহেলগামে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এই সংগঠনটির সঙ্গে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠী লঙ্কর-ই-তৈয়েবার সম্পর্ক রয়েছে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় কাশ্মীরে হামলায় পাকিস্তানের যোগসূত্র রয়েছে। 

    মিশ্রি বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য ও বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পাকিস্তান বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে একটি পরিচিতি তৈরি করেছে।’

    এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত ২০২৪ সালের মে এবং নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটির মনিটরিং টিমকে ওই রেসিট্যান্স ফ্রন্টের সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল এবং বলা হয়েছিল এটি পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারত মনিটরিং টিমকে জানিয়েছিল যে লস্কর ও জইশ-ই-মোহাম্মদ, দ্য রেসিট্যান্স ফ্রন্টের মতো ছোট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে কাজ করছে। পরতীতে ওই বছরের ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রেস বিবৃতিতে টিআরএফ’র কার্যক্রম বন্ধে পাকিস্তানকে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানায়। 

    মিশ্রি আরও বলেন, পেহেলগামে হামলা পর তদন্তে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা উঠে এসেছে। কারণ এই গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে পাকিস্তান যোগাযোগ রক্ষা করেছিল। পরবর্তীতে রেসিট্যান্ট ফ্রন্টের দায় স্বীকার এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলোতে অনেক বিষয় স্পষ্ট হয়। 

    মিশ্রি উল্লেখ করেন, জম্মু ও কাশ্মীরসহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পেহেলগামে হামলা চালানো হয়েছে। 

    তিনি বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই গোষ্ঠীগুলো আরও হামলার পরিকল্পনা করছে। এজন্য তাদের থামাতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।  

    ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল্লাহ মুজাহিদীন গোষ্ঠীর ওপর অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। 

    মন্তব্য

    যুদ্ধ শুরু করেছে ভারত, শেষ করবে পাকিস্তান: জামায়াত

    অনলাইন ডেস্ক
    ৭ মে, ২০২৫ ১৪:৫
    অনলাইন ডেস্ক
    যুদ্ধ শুরু করেছে ভারত, শেষ করবে পাকিস্তান: জামায়াত
    পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির সিরাজ-উল-হক

    কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা জবাবে রাতেই পাকিস্তানও হামলা চালায়।

    এই উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির সিরাজ-উল-হক ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু করেছে ভারত, কিন্তু এর শেষ করবে পাকিস্তান।’  তিনি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর তাৎক্ষণিক জবাবের প্রশংসা করে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গোটা জাতি সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছে।

    সিরাজ-উল-হক বলেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। তবে জাতীয় স্বার্থে কোনো আগ্রাসন বরদাশত করা হবে না। ভারতের উসকানিমূলক পদক্ষেপ তাদের নিজেদের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে ভারতের সেনাবাহিনী কোটলি, বাহাওয়ালপুর, বাগ, মুরিদকে এবং মুজাফফরাবাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান একে ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়।

    পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, জবাবে পাকিস্তান অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাফায়েল ও এসইউ-৩০ মডেলের যুদ্ধবিমান। পাশাপাশি পাকিস্তানি সেনারা সীমান্তবর্তী ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর এবং নিয়ন্ত্রণরেখার দুদনিয়াল সেক্টরে একটি তল্লাশি চৌকি ধ্বংস করেছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।

    এদিকে এই সামরিক উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভারতের আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।

    সূত্র: জিও নিউজ

      

    মন্তব্য

    পাক-ভারত সংঘাত

    ভারতের পাশে ইসরায়েল, পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক!

    অনলাইন ডেস্ক
    ৭ মে, ২০২৫ ১৩:৫৪
    অনলাইন ডেস্ক
    ভারতের পাশে ইসরায়েল, পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক!

    কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ভারত। ভারতের এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’।  হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে আসে ইসরায়েলের সমর্থন।

    বুধবার (৭ মে) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) বার্তায় ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রেউভেন আজার বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের জানা উচিত, তাদের জঘন্য অপরাধের জন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই। ইসরায়েল ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে।’

    মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে চালানো এই হামলার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত, যদিও ইসলামাবাদ তা সরাসরি অস্বীকার করেছে। এমনকি ভারতীয় রাজনীতিতেও এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, হামলার তিন দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল।

    নিউজ১৮ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যানুযায়ী সুনির্দিষ্টভাবে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় কোনো হামলা হয়নি বলেই দাবি নয়াদিল্লির।

    ইসরায়েল ভারতের পাশে দাঁড়ালেও ভিন্ন সুরে কথা বলেছে তুরস্ক। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দারকে ফোন করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই হামলাকে ‘অপ্রস্তুত আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক এবং পাকিস্তানের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। দুই দেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখবে বলে জানানো হয়।

    আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এই অভিযান ঘিরে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে চালানো ভারতের এই সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব গভীর উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।’

    এদিকে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এইমাত্র এর খবর পেয়েছি। ভারত-পাকিস্তান বহু দশক ধরে লড়াই করছে। আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হবে।’

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা জারি, বন্ধ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

      অনলাইন ডেস্ক
      ৭ মে, ২০২৫ ১৩:৩৪
      অনলাইন ডেস্ক
      পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা জারি, বন্ধ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
      ছবি: সংগৃহীত

      পাকিস্তানের জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এলো এমন ঘোষণা। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

      বুধবার (৭ মে) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এছাড়া হাসপাতালসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

      জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ভারতের হামলার নিন্দা জানান মরিয়ম নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেন, জনগণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত হয়তো এটা (হামলা) শুরু করেছে, কিন্তু আমরা এটা শেষ করব।

      পাকিস্তান শান্তি চায় উল্লেখ করে মরিয়ম নওয়াজ শরিফ বলেন, আমরা শান্তি চাই, তবে সেটা সম্মানের সঙ্গে। যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়, তবে পুরো দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি শক্তিতে পরিণত হবে।

      পাঞ্জাবের এ মুখ্যমন্ত্রী জানান, সব চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্বে ফেরত আসতে বলা হচ্ছে।

      গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত।

      বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র লেফটেনান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত তার দেশের ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর শারকিয়া, মুরদিক, শিয়ালকোট এবং শকরগড় ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মিরের কোটলি ও মুজফ্ফরাবাদে এইসব হামলা হয়েছে।

      এদিকে, ভারত সরকার দাবি করেছে যে তারা পাকিস্তানের নয়টি জায়গায় হামলা চালিয়েছে এবং কোনও ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল না।

      এসব হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে রাতেই পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

      লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতের পাঁচটি আকাশযান, যার মধ্যে রয়েছে– তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

      মন্তব্য
      সর্বশেষ সংবাদ
        সর্বাধিক পঠিত