ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

গবেষণা উৎসবের ব্যানারে ৯টি বানান ভুল, বিতর্কে পবিপ্রবি গবেষণা উৎসব

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৮ মে, ২০২৫ ২০:৩০
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
গবেষণা উৎসবের ব্যানারে ৯টি বানান ভুল, বিতর্কে পবিপ্রবি গবেষণা  উৎসব

পবিপ্রবি প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘গবেষণা উৎসব - ২০২৫’। ১৮ মে (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম আয়োজন করা হয় গবেষণা উৎসব। তবে উৎসব ঘিরে প্রশংসার চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে বানান ভুলের মহোৎসব।

‘পবিপ্রবি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবের ব্যানারে একসঙ্গে নয়টি বানান ভুল ধরা পড়ে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। শেষ পর্যন্ত ব্যানার সরিয়ে ফেলেই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হয় আয়োজকদের।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের। তবে রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণে তিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারেননি, যদিও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তিনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মামুন-উর-রশিদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মাসুমা হাবিব, পবিপ্রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং সিনিয়র প্রফেসর মো. হামিদুর রহমান।

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সময় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স কক্ষে ব্যানার টানানো হয়। এরপর একে একে চোখে পড়ে একাধিক বানান ভুল। ব্যানারে 'Livestock'-এর পরিবর্তে লেখা হয় 'Live stock', থিম "Research for Coastal Resilience"-এ 'Coastal' এর জায়গায় লেখা হয় 'Costal'। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নাম ‘Research and Training Center (RTC), PSTU’ লিখতে গিয়ে করা হয় ‘Orgnaize’ এবং ‘Traning’ এর মতো স্পষ্ট বানান ভুল।

সবচেয়ে গুরুতর ভুল ছিল সভাপতির পদবিতে। রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মামুন-উর-রশিদ ছিলেন সভাপতির দায়িত্বে, কিন্তু ব্যানারে তাঁকে ‘প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, পবিপ্রবি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এমন ভুল দেখে কেউ কেউ ধারণা করে বসেন যে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পরিবর্তন করা হয়েছে! এসব গুরুতর ভুলের কারণে ব্যানার সরিয়ে ফেলেই অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে বাধ্য হন আয়োজকরা।

অতিথিদের উপহারস্বরূপ দেওয়া ব্যাগেও বানান ভুল চোখে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের নিচে ‘পটুয়াখালী’ বানানেও ভুল করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, “একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা উৎসবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সিনিয়র শিক্ষক উপস্থিত, সেখানে এমন ভুল থাকলে তা আমাদের শিক্ষার মান নিয়েই প্রশ্ন তোলে।”

ব্যানার ছাড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মামুন-উর-রশিদ বলেন, “ব্যানারটি গতকাল রাত ১১টায় তৈরি করা হয়েছিল। এরপর আর চেক করা হয়নি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভুলগুলো চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যানার সরিয়ে নিই এবং ব্যানার ছাড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন করি।”

এতসব ভুলের দায় আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে তিনি স্বীকার করে বলেন, “ব্যানার ছাড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা যদি লজ্জাজনক হয়, তবে এর পুরো দায় আমারই। আমি চেষ্টা করেছি, হয়তো আমার অসাবধানতাই এর জন্য দায়ী।”

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য

রাবি শিক্ষার্থীর গবেষণায় উঠে এলো জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের শিশু হত্যা

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৮ মে, ২০২৫ ২০:১৬
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
রাবি শিক্ষার্থীর গবেষণায় উঠে এলো জুলাই অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের শিশু হত্যা
রাবি শিক্ষার্থী মো. সাব্বির শেখ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মো. সাব্বির শেখের গবেষণায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের শিশু হত্যাকাণ্ডের বিবরণ উঠে এসেছে। যেখানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৯ শিশুকে নৃশংসতায় প্রাণ দিতে হয়েছে। নিহত শিশু-কিশোরদের সবার বয়স ৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্য।

মো. সাব্বির শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ইরান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল 'জার্নাল অফ ইনজুরি এন্ড ভায়োলেন্স রিসার্চ' এ "Violence and Trauma towards Children and Adolescents in the July Mass Uprising (2024) in Bangladesh: A Socio-demographic Analysis of 89 Deaths" শিরোনামে তার এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি ইরানের কেরমানশাহ ইউনির্ভাসিটি অফ মেডিকেল সায়েন্সেস থেকে প্রকাশিত ওপেন-একসেস পিয়ার-রিভিউড মেডিকেল জার্নাল।

গবেষণার সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সর্বমোট ৮৯ জন শিশু-কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বয়স সীমা ছিল ৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে এবং গড় বয়স ছিল ১৫.২ বছর। ১৮ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৫৬ জন মারা যায় এবং আহত ৩৩ জন মারা যায় ৫ আগস্টের পরে। এর মধ্যে ৫৮ জন মারা যায় ঢাকায় এবং বাকি ৩১ জন মারা যায় ঢাকার বাইরের ১৬ টি জেলায়। ৮৯ জন শিশু-কিশোরের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ৭৯ জন,  পুড়ে মারা যায় ৯ জন এবং একজনের মৃত্যু হয় স্প্লিন্টারের আঘাতে। এর মধ্যে ৪২ জন ছাত্র এবং ২৯ জন শিশুশ্রমের সাথে জড়িত ছিল। এই বিশ্লেষণে দেখা গেছে প্রায় ৯০ শতাংশ শিশু-কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে, যা সশস্ত্র সংঘাতের তৎপরতা নির্দেশ করে এবং ঢাকা ছিল সহিংসতার কেন্দ্রস্থল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব্বির বলেন, 'আমরা ফ্যাসিবাদী হাসিনার সহিংস কর্মকাণ্ড, হত্যাকাণ্ড, এবং জুলাই অভ্যুত্থান ও এর অবদানকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমাদের এই গবেষণা তারই সামান্য একটা প্রয়াস মাত্র। তাছাড়া হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদি শাসনকালে সংগঠিত অত্যাচার, সহিংসতা এবং ট্রামাটিক  ঘটনা নিয়ে গবেষণা কাজ চলছে।'

গবেষণা পত্রটির অন্য এক অথর 'বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন' এর ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেন "শুনতে অবাক লাগলেও, আমরাই প্রথম যারা জুলাই নিয়ে ফুল রিসার্চ পেপার পাবলিকেশন করেছে"। এছাড়া এই গবেষণার কো-রেসপন্ডিং অথর হিসেবে ছিলেন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এস এম ইয়াসির আরাফাত।

মন্তব্য

‎বিএসসি নার্সদের উপর ডিপ্লোমাধারী নার্সদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বেরোবিতে বিক্ষোভ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৮ মে, ২০২৫ ১৯:৭
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
‎বিএসসি নার্সদের উপর ডিপ্লোমাধারী নার্সদের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বেরোবিতে বিক্ষোভ

বিএসসি নার্সদের উপর নার্সিং-এ ডিপ্লোমাধারী সহিংস আক্রমণ ও শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‎আজ রবিবার (১৮ মে) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন, বেরোবির উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

‎এসময় শিক্ষার্থী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন ও তিন দফা পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে,

‎১) ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড/সহকারী প্রকৌশলী সমমান পদ এ প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ন হতে হবে এবং বি এস সি ডিগ্রিধারী হতে হবে।কোটার মাধ্যমে কোন পদোন্নতি নয়,এমনকি অন্য কোন নামেও সমমান পদ তৈরী করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না।

‎২) টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড /সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার /সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মানে ডিপ্লোমা ও বি এস সি সবাই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

‎৩) বি এস সি ডিগ্রিধারী ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিবেচিত হবে না।

‎এ সময় মাহফুজ বলেন, ডিপ্লোমাধারী নার্সরা প্রতিনিয়ত অযৌক্তিক দাবি নিয়ে সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করছে। যার ফলে জনগণের মধ্যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ডিপ্লোমা নার্সরা যে ৬ টি দাবি দিয়েছে তা শুধু অযৌক্তিক দাবি নয় যোগ্যতার অবমূল্যায়নের দাবিও। তাদের এই অযৌক্তিক দাবিকে অনেক সংগঠন যৌক্তিক বলে দাবি করেছে। বর্তমান প্রশাসন এই অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড কে শক্ত হাতে প্রতিহত না করে নতজানু করছে। ২৪ পরবর্তী সময় সাম্যের ও যোগ্যতা ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করার উদাত্ত আহ্বান জানাই। আমরা এই দেশে যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন চাই।

‎আর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‎যদি যোগ্যতার মূল্যায়ন না হয় তাহলে দেশ কোন দিকে যাবে? কোন দিকে আগাবে? আমরা বৈষম্য নিরসনে জীবন দিয়েছি তারপরও যদি যোগ্যতার অবমূল্যায়ন অব্যাহত থাকে, প্রকৃত মেধাবীরা মূল্যায়ন না পায় তাহলে তারা কোথায় যাবে? ফলে অনেক মেধাবী দেশের বাইরে চলে যায় অপরদিকে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে যোগ্য লোকের সংকট রয়ে যায়। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে বিদেশ থেকে লোক আনতে হয়। ডিপ্লোমা নার্সরা সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করে মেধা শূন্য শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করছে। তারা মেধাবী হলে এ রকম অনৈতিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হতো না। দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান এ রকম অযৌক্তিক আন্দোলন শক্ত হাতে প্রতিহত করুন।

‎উল্লেখ্য যে, গত ১৩ই মে রাজশাহীতে বিএসসি নার্সদের উপর ডিপ্লোমা নার্সদের সহিংস আক্রমণের প্রতিবাদে সারাদেশে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও নার্সরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

মন্তব্য

রাকসু নির্বাচন কমিশন একটি হাঁটু ভাঙ্গা কমিশন: ফাহিম রেজা

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৮ মে, ২০২৫ ১৭:১৬
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
রাকসু নির্বাচন কমিশন একটি হাঁটু ভাঙ্গা কমিশন: ফাহিম রেজা

'রাকসু রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করছে না এটি একটি হাটুঁভাঙ্গা নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো খসড়া ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে পারেনি' বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা।

রবিবার (১৮ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে শতভাগ আবাসন ও রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধনে এক বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি। 

এসময় তিনি আরো বলেন, 'জুলাই আন্দোলনের ৯ দফার অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি হলো ছাত্র সংসদ বাস্তবায়ন এবং তার সাথে আরেকটি প্রতিশ্রুতি ছিল লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির মূলোৎপাটন করা। আমরা মনে করছি কার্যকর রাকসু গঠনের মাধ্যমে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো সম্ভব। কিন্তু যারা এ লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চায় তারাই এ ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে।'

 
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সুষ্ঠ ক্যাম্পাসের জন্য রাকসু নির্বাচন ও আবাসিকতা নিশ্চিত করা খুব প্রয়োজন। কিন্তু তার কোনো কিছু করা হয়নি। আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদের সময় যেসব শিক্ষক-কর্মচারী ছিল তারা সেখানেই বহাল থেকে আবার ছাত্রলীগের দোষরদের মাধ্যমে এই ক্যাম্পাসের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তারা। শিক্ষার্থীদের প্রানের দাবি রাকসু নিয়ে যেখানে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস পরিচালনা ও পুর্ণ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে।"

মানববন্ধনে সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, রাকসু আমাদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ৯ দফার অন্যতম একটি দাবি। রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের যে পরিমাণ তৎপরতা প্রথমদিকে লক্ষ করেছি, নির্বাচন কমিটি গঠন করার পর থেকে তৎপরতা ততটাই কম লক্ষ করছি আমরা। গত মাসে রাকসু নির্বাচন কমিশন গঠন করব হলেও এখনও তারা একটি ফর্মাল মিটিং করতে পারেনি, এর চেয়ে অথর্ব কমিটি আর কী হতে পারে বলে মনে হয়? আমাদের এই আজকের আন্দোলন আজকেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমরা আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলনে ফিরে যাব যতদিন পর্যন্ত রাকসু বাস্তবায়ন না হচ্ছে।"

তিনি আরো বলেন, "আবাসন সংকট সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি রোডম্যাপ দিতে হবে যে কতদিনের মধ্যে আমাদের শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন দিতে পারবে। যতদিন পর্যন্ত শতভাগ আবাসন আমাদের শিক্ষার্থীদের না দিতে পারবে, ততদিন পর্যন্ত প্রশাসনকে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে।"
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কুবিতে মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৮ মে, ২০২৫ ১৫:৪
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
কুবিতে মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ মে) উপাচার্যের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চলতি ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পর ভর্তি ফি বৃদ্ধি এবং মাইগ্রেশন ফি আদায় করছে। কয়েকটি বিভাগে ভর্তি ফি প্রায় ২২,০০০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়াও মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে। এতে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তি ফির পরবর্তী মাইগ্রেশন ফি একটি অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ভর্তি শেষে মাইগ্রেশন ফি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে।

'ইনকিলাব মঞ্চ'-এর আহ্বায়ক হান্নান রাহিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক শিক্ষার্থী এসব বিড়ম্বনার কারণে মাইগ্রেশনই করতে চায় না। এ অবস্থায় বিভাগ কিংবা ক্লাবভিত্তিক অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ এক ধরনের জুলুম। আমরা এই জুলুমের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছি। বিভাগেরা মাইগ্রেশনে আর কোনো আলাদা টাকা নিতে পারবে না। ভিসি স্যার একদিন সময় নিয়েছেন, কালকের মধ্যেই এর সমাধান চাই।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোজ্জাম্মেল হোসাইন আবির বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের ২০–২২ হাজার টাকা দিতে হয়, যা অনেক পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা কঠিন। ভর্তির পর মাইগ্রেশনের ফলে আগের বিভাগের ফি ফেরত না দিয়ে নতুন বিভাগে আবার ৭–৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়—এটি এক ধরনের বৈষম্য। হলে সিট না পাওয়ায় মেসের খরচও যুক্ত হয়, ফলে পরিবারগুলো মারাত্মক আর্থিক চাপে পড়ে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, এই অর্থনৈতিক বোঝা লাঘবে পদক্ষেপ নিতে। যদি যৌক্তিক দাবি মানা না হয়, তবে কুবিয়ানরা জানে কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়।”

ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম ভূঁইয়া বলেন, “গত কয়েক বছর গুচ্ছভুক্ত থাকার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে পারিনি। গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার পর এবার আমরা যৌক্তিক দাবি তুলে ধরছি। মাইগ্রেশনের ফলে শিক্ষার্থীদের বারবার ফি দিতে হয়, যা আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। আমরা দাবি করেছি, শুধুমাত্র চূড়ান্ত বিভাগে ফি প্রদান করতে হবে। ভিসি স্যার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবস্থা নেবেন। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করব; সঠিক জবাব না পেলে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।”

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
    সর্বাধিক পঠিত