যতদিন প্রয়োজন ততদিনই ইরানে হামলা অব্যাহত রাখব: নেতানিয়াহু

ইরানের রাজধানী তেহরান এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতভর চালানো এই হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ও রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামিসহ আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন।
তবে এই হামলা এখানেই শেষ নয়। যতদিন প্রয়োজন হবে, ততদিন ইসরায়েল আক্রমণ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (১৩ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, “এই হামলা ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে।”
বিবিসি বলছে, রাজধানী তেহরান থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর নাতাঞ্জে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। এটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল এলাকা হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ইরানি বোমা বানানোর সঙ্গে জড়িত” বিজ্ঞানীরা তাদের নিশানায় রয়েছেন। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “যতদিন প্রয়োজন, ততদিন এ আক্রমণ অব্যাহত থাকবে।”
এদিকে ইরানে হামলার পরপরই নিজ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েলি সরকার। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই ইসরায়েলের ওপর পাল্টা হামলা” চালাতে পারে ইরান।
এছাড়া ইরানের ওপর যখন হামলা চালানো হয় ইসরায়েলের মানুষ তখন ঘুমাচ্ছিলেন। জেরুজালেমে অবস্থানরত একজন বিবিসি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সাইরেনের বিকট শব্দে এবং মোবাইলে জরুরি সতর্কবার্তা পেয়ে তারা জেগে ওঠেন।
অন্যদিকে সিএনএন বলছে, শুক্রবার ভোরে ইরানে হামলা চালানোর পর সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক আক্রমণের আশঙ্কায় ইসরায়েল সরকার নাগরিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন
ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল রাফি মিলো বলেন, “এই অভিযান চলাকালে আমরা দেশে ব্যাপক সতর্কতা সংকেত বা সাইরেন বাজতে দেখতে পারি। তাই প্রত্যেক নাগরিককে অনুরোধ করছি— নিজ নিজ অবস্থান থেকে দ্রুত ও যথাসম্ভব সুরক্ষিতভাবে আশ্রয় নিতে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনার বাসাবাড়িতে বা যে স্থানে আছেন, সেখানে যদি সুরক্ষিত কক্ষ, বাংকার বা হোম ফ্রন্ট কমান্ড অনুমোদিত নিরাপদ স্থান থাকে, তাহলে সেগুলোতে আশ্রয় নিন। তা না হলে অন্তত ভবনের সিঁড়িঘরে বা ভেতরের কোনও কক্ষে অবস্থান করুন।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও সরকার আগেই মনে করছিল, ইরানের পাল্টা হামলা যে কোনও সময় শুরু হতে পারে। তাই নাগরিকদের জন্য আগে-ভাগেই এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
ইরান-ইসরাইল: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে দুই শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। জবাবে শতাধিক ড্রোন দিয়ে তেল আবিবে হামলা চালিয়েছে তেহরানও।
পালটা-পালটি এ হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বের নজর এখন ইরান ও ইসরাইলের দিকে। দুদেশের এই হামলা-পালটা হামলাকে ঘিরে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
কারণ সক্ষমতার দিক থেকে তুলনা করলে দেখা যায় দুটি দেশই সামরিক দিক থেকে বেশ শক্তিশালী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরাইলের তুলনায় এক ধাপ পিছিয়ে ইরান। তবে দুটি দেশই বিশ্বের সামরিক শক্তিধর শীর্ষ ২০ টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে।
সামরিক শক্তির তুলনা
প্রতিরক্ষা খাতে ইরান ও ইসরাইল- দুই দেশই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। তবে বাৎসরিক সামরিক বাজেটে ইরানের তুলনায় ইসরাইলের ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৪৪০ কোটি ডলার। অন্যদিকে ইরানের বাজেট ৯৯৫ কোটি ডলার। এই র্যাংকিংয়ের ১৪৫ দেশের মধ্যে ইরান ১৬তম অবস্থানে আর ইসরাইল ১৫ তম অবস্থানে রয়েছে।
নিয়মিত সৈন্য
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার জানাচ্ছে, সৈন্য সংখ্যার হিসেবে ইসরাইলের চেয়ে বহু এগিয়ে আছে ইরান। ইরানের নিয়মিত সেনা আছে যেখানে ১১ লাখ ৮০ হাজার সেখানে ইসরাইলের সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরাইলের রিজার্ভ সেনা আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার।
যুদ্ধ বিমান
ইরানের মোট সামরিক বিমানের সংখ্যা ৫৫১টি আর ইসরাইলের আছে ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরাইলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি।
ইরানের অ্যাটাকিং বিমান সংখ্যা ২৩টি যেখানে ইসরাইলের আছে ৩৯টি।
ইরানের পরিবহণ বিমান আছে ৮৬টি ইসরাইলের আছে ১২টি।
ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরাইলের আছে ১৫৫টি।
হেলিকপ্টার
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ইরানের হেলিকপ্টার আছে ১২৯টি আর ইসরাইলের ১৪৬টি।
৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে ইরানের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে ইসরাইল। ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৩টি।
ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্যানুযায়ী, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরাইলের চেয়েএগিয়ে আছে ইরান। ইসরাইলের ট্যাংক আছে ১৩৭০টি আর ইরানের ১৯৯৬টি। সাঁজোয়া যান আছে ইরানের ৬৫ হাজার ৭৬৫টি আর ইসরাইলের আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি।
আরও পড়ুন
এছাড়া আর্টিলারি সক্ষমতায় এগিয়ে ইরান; তাদের রকেট আর্টিলারি এমএলআরএস এর সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি।
অন্যদিকে ইসরাইলের এ দিক থেকে সেফল প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৬৫০টি এবং এমএলআরএস বা রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ১৫০টি।
নৌ শক্তি
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকে এগিয়ে আছে ইরান।
দেশটির ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে যেখানে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ আর ইসরাইলের যুদ্ধজাহাজ সংখ্যা ৬৭টি।
এর মধ্যে টহল জাহাজ আছে ৪৫টি এবং ইসরাইলের কোনো ফ্রিগেট নেই। সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। দেশটির সাবমেরিন আছে ১৯টি যেখানে ইসরাইলের সাবমেরিন আছে ৫টি।
পারমাণবিক শক্তি
সুইডেন-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)'র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে।
দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরাইল। এই তালিকায় ইরানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই ছিল না।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুদ দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। ইরান দাবি করে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
এদিকে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেনি যে কোন দেশের হাতে কতটি এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র ক্ষমতার বিষয়টি তারা তাদের রিপোর্টে বিবেচনায় নেয়নি।
ইসরাইলি হামলায় ইরানের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত

ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরাইলের সামরিক হামলায় তেহরানের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম তাসনিম নিউজ এ খবর দিয়েছে।
ইহুদিবাদী সরকারের সামরিক হামলা সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ছয়জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন, যাদের নাম-আব্দুলহামিদ মিনুচেহর, আহমদ রেজা জোলফাকারি, সৈয়দ আমির হোসেন ফেকহি, মাতলাবিজাদেহ, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি এবং ফেরেইদুন আব্বাসি।
নিহত পরমাণু বিজ্ঞানীদের মধ্যে ফেকহি তেহরানের শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল অনুষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন
এর বাইরে নিহতদের মধ্যে পরামাণু বিজ্ঞানী মাতলাবিজাদেহর সঙ্গে তার স্ত্রীও এই হামলায় শহীদ হয়েছেন।
এছাড়া ইসরাইলের এই ভয়াবহ বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাকেরি, ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ড কর্পসের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামি এবং ইরানের খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ নিহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী ইহুদিবাদী সরকারকে কঠোর পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই অপরাধের জন্য ইহুদিবাদী সরকার নিজেদের জন্য একটি তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে, যা তারা অবশ্যই দেখতে পাবে।’
ইরানে ‘‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’’ কেন চালানো হচ্ছে, এর লক্ষ্য কী?

ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শুক্রবার (১৩ জুন) চালানো হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এর লক্ষ্য ছিল তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ‘হৃদয়’-এ আঘাত হানা।
হামলা চালানোর পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভাষণে বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হওয়ার হুমকি দূর করার জন্য ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ যত দিন প্রয়োজন তত দিন অব্যাহত থাকবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল নাতানজে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরাইল ‘ইরানি বোমা তৈরি করা’ তেহরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদেরও আঘাত করেছে।
‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ কী?
শুক্রবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইসরাইলের অস্তিত্বের জন্য ইরানি হুমকিকে প্রতিহত করা।
নেতানিয়াহু বলেন, অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক সক্ষমতায় আঘাত করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই হুমকিগুলো রেখে যেতে পারি না। কারণ আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আর কোন প্রজন্ম থাকবে না। যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আমরা এখানে থাকব না। ’
আরও পড়ুন
নেতানিয়াহু ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ইরান ছয় বছরের মধ্যে ২০ হাজারটি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, তাই ইসরাইল সেগুলো অপসারণের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ’
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মতে, এটি ছিল প্রথম পর্যায়ের হামলা। প্রাথমিক হামলায় ইরানের বিভিন্ন এলাকায় পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তু সহ কয়েক ডজন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আইডিএফ সামনে এবং পেছনে অভিযানের জন্য মূল্যায়ন এবং প্রস্তুতির একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে।
এদিকে, জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোর বিরুদ্ধে অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ শুরু করেছে, যার লক্ষ্য ইসরাইল এবং সমগ্র বিশ্বের নাগরিকদের জন্য একটি অস্তিত্বগত এবং তাৎক্ষণিক হুমকি দূর করা।
তথ্যসূত্র: অ্যাক্সিওস।
‘সিংহের লেজ’ ধরে টান মেরেছে ইসরায়েল

ইরানে হামলাকে ‘সিংহের লেজ নিয়ে খেলা’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির পেজেশকিয়ান সরকার। বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘ইরানে যুদ্ধ শুরু করার অর্থ হচ্ছে সিংহের লেজ নিয়ে খেলা করা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কাপুরুষোচিত এই হামলা এসেছে ঠিক সেই মুহূর্তে যখন পারমাণবিক সমঝোতা নিয়ে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চলছিল। এটি প্রমাণ করে যে, দখলদার শাসনটি আসলে দুর্বল ও ভীত।’
‘ইরান বিগত দুইশ বছর কারো ওপর আক্রমণ শুরু করার ইতিহাস নেই। কিন্তু আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে তারা বিন্দুমাত্র পিছু হটেনি এবং হবেও না।’
‘ইরান ও এর জনগণের ওপর এই হামলা আবারও প্রমাণ করে যে দখলদার সরকারটি স্বভাবগতভাবেই অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদী। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে তারা যে দাবি করে যে তাদের হামলা সরকারকে লক্ষ্য করে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইসরায়েল শুধু বলপ্রয়োগের ভাষাই বোঝে। তাই প্রত্যেক শহীদীর রক্তের বিনিময়ে উপযুক্ত প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’
মন্তব্য