ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫ ৩ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

শিল্প খাতে বেড়েই চলেছে সাইবার আক্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিল্প খাতে বেড়েই চলেছে সাইবার আক্রমণ

করোনাভাইরাস ও লকডাউনে গোটা বিশ্ব থমকে গেলেও থামেনি সাইবার অপরাধ। বরং এই সময়ে বেড়েছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপর সাইবার আক্রমণের ঘটনা।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যানোমালির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত তিন বছরে বিভিন্ন খাতের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপর সাইবার হামলার ঘটনা বেড়েছে ১৫ শতাংশ। অ্যানোমালির জরিপ বলছে, গেল তিন বছরে সাইবার আক্রমণে নানাভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ। সাইবার আক্রমণের ওই ঘটনাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, ভেঙে পড়েছে সেবা এবং ফাঁস হয়েছে গোপন তথ্য।

জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রতি দশজনের মধ্যে তিনজন বলেছেন, ২০২১ সালে সাইবার আক্রমণের ফলে তাদের সব মিলিয়ে অন্তত পাঁচ লাখ ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে; ২০১৯ সালের তুলনায় যা ছিল দ্বিগুণ। এক লাখ ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেকের। বিভিন্নভাবে সাইবার অপরাধের সুযোগ থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে ‘র‌্যানসমওয়্যার’ আক্রমণের ঘটনা। র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণের শিকার হয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক। এর মধ্যে মুক্তিপণ দিয়েছেন ৩৯ শতাংশ; পাঁচ লাখ ডলারের বেশি দিয়েছেন ১৯ শতাংশ।

গেল বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট। জরিপে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, হয়কয়, ভারত, নিউজিল্যান্ড, মেক্সিকো এবং ব্রাজিলের বিভিন্ন শিল্প খাতের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী। সূত্র: সিনেট

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে বদলে যাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫২
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে বদলে যাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি

    মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বা চাহিদা গঠনে বিজ্ঞাপন দুর্দান্ত ভূমিকা রাখে। একটি সঠিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেকোনো নতুন বা পুরোনো পণ্যকে দ্রুত জনপ্রিয় করা যায়। অনুরূপভাবে প্রচার করা যায় বিশেষ কোনো আদর্শ বা রাজনৈতিক মতবাদ।

    দ্য কনভারসেশনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আবির্ভাবের আগে প্রথাগত গণমাধ্যম মানুষের মত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। এসব মাধ্যম বিশেষ কোনো ধারণা জনপ্রিয় করতে চাইলে একটা বিশেষ প্রক্রিয়ায় তা করতে হতো। অর্থাৎ সেখানে প্রতিপক্ষ পাঠক বা দর্শক তা কীভাবে নেবেন, সে বিবেচনাটা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হতো। তাই, চাইলেই কোনো গণমাধ্যমের যাচ্ছেতাই করার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত ছিল। করলে, স্বয়ং মাধ্যমটিই হুমকিতে পড়ার শঙ্কা থাকত।

    কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলতে গেলে সে সমস্যা নেই। এটা একটা অদ্ভুত জিনিস। এর কোনো সীমা নেই, এ এক অন্তহীন জগৎ। এটার ব্যবহারকারীরা কে কীভাবে কার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী নিজেও জানেন না। কারণ ব্যবহারকারীর নিজে তাঁর চাহিদা, রুচি সম্পর্কে যতটা জানেন, তার চেয়ে বেশি জানে অ্যালগরিদম! কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ব্যবহারকারীর যাবতীয় তথ্য চলে যায় গোয়েন্দা, গবেষণা বা বিজ্ঞাপন নির্মাণকারী এজেন্সিগুলোর হাতে। যে এজেন্সির তথ্যভান্ডার যত বড়, তারা তত শক্তিশালী।

    প্রথাগত বিজ্ঞাপনমাধ্যম বা গণমাধ্যম ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মধ্যে আরেকটা বড় তফাৎ হলো, অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতি ব্যবহারকারীকে আলাদা আলাদা করে টার্গেট করা যায়, যা প্রথাগত মাধ্যমে সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া কোনো বিজ্ঞাপন বা রিকমেন্ডেশন অনলাইনে যতটা অনায়াসে বারবার আসতে থাকে, তা একদম নতুন ব্যাপার। এসব কিছু কোনো ধারণা বা প্রোপাগান্ডা ব্যাপক হারে দ্রুত ছড়াতে সাহায্য করে।

    ৩৪৯ ইউটিউব চ্যানেলের ৩ লাখ ৩০ হাজার ভিডিও পোস্টের প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ ব্যবহারকারীর মন্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীদের নিজস্ব পছন্দ অত্যন্ত সীমিত। তাঁরা অ্যালগরিদমের রিকমেন্ডেশনের অনুগত দাস হয়ে পড়েন। তাই যেকোনো রিকমেন্ডেশনে ক্লিক না করে, নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ঠেকাতে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:১৬
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ঠেকাতে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

      সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে অপপ্রচার কিংবা গুজব রটানোর বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং ব‌্যবস্থা নেওয়ার জন‌্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি ইন্টারনেট প্রোটোকল টেলিভিশন-আইপিটিভি ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে যাতে সংবাদ পরিবেশন করতে না পারে সে বিষয়েও ডিসিদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।

      বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের সমাপনী দিনের তৃতীয় অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তথ‌্যমন্ত্রী।

      মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে তথ‌্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ‌্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্য অধিবেশন হয়।

      অধিবেশন শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম, সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে, তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, দেশে প্রায় ৯ কোটি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, সেটি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

      ‘সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্র, তেমনি অপপ্রচার বা গুজব রটানোরও ক্ষেত্র। গত ৭-৮ বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে, দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তার সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে করানো হয়েছে,’ স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী।

      তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সেই বিষয়টি তুলে ধরেছি। অনেক সময় দেখা যায়, বিভ্রান্তিমূলক নানান খবর ছড়ানো হয়। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হয়। সেই বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তারা যেন এসব বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

      আইপিটিভি-ইউটিউবে সংবাদ প্রচার করা যাবে না জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না। কিন্তু দেখা যায় আইপিটিভির মাধ্যমে এখনও বিভিন্ন স্থানে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। সেখানে নিয়মিত সংবাদ বুলেটিন পরিবেশন করা হয়। ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে। এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা বিরোধী। জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে ব‌্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

      মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন, মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এজন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার মূল্যায়নেও আইসিটি বিভাগ শীর্ষে

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৪
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার মূল্যায়নেও আইসিটি বিভাগ শীর্ষে

        তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সার্বিক মূল্যায়নেও প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

        বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার সার্বিক মূল্যায়নে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৯.৮ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এ বিভাগ।

        উদ্ভাবন কার্যক্রমে এমন নজির স্থাপন করায় আধা-সরকারি পত্রের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

        প্রতি বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের দপ্তরের বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়।

        বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর উদ্ভাবন কার্যক্রম সরকারের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গতিশীল ভূমিকা রাখে।

        এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে।

        তিনি বলেন, বিগত ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যথাযথ অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কারণে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।

        প্রতিমন্ত্রী এ অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়াও আইসিটি বিভাগ, সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর, সংস্থা ও প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে, তাদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

        ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। অর্থ অবমুক্তির ভিত্তিতে এ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল শতকরা ৯৯ দশমিক ৯২ ভাগ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলোর মাসিক ভিত্তিতে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          দৈনিক মোবাইল ফোনে মানুষ ব্যয় করে ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ৯:৫৬
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          দৈনিক মোবাইল ফোনে মানুষ ব্যয় করে ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট

          স্মার্ট ফোনে মেতেছে বিশ্ব। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অ্যাপের সংযোজন এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কথা নাই বা বললাম। আমরা অবচেতন মনেই খানিক সময় পর পর হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের ওই অ্যাপ গুলিতে ঢুঁ মারছি। এতে দিনে তার কত সময় ব্যয় করছি এ বিষয়ে কোনো ধারণাই আমাদের নেই।

          মোবাইল ফোনে মানুষ গড়ে কত সময় ব্যয় করছে এ বিষয়ে একটি পরিসংখান চালিয়েছে অ্যাপ মনিটরিং ফার্ম অ্যাপ অ্যানি। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে দিনে একজন মানুষ গড়ে ৪ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট মোবাইল ফোনে ব্যয় করে থাকেন। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক অফকম প্রায় একই ধরনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।

          মনিটরিং ফার্ম অ্যাপ অ্যানির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল বছর বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে মোট অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়েছে ২৩০ বিলিয়ন বার। যেখানে ব্যবহারকারীদের মোট খরচ হয়েছে ১৭০ বিলিয়ন ডলার। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২১ সালে সর্বাধিক ডাউনলোড করা অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল টিক টক। যেখানে ২০২০ সালের তুলনায় ব্যবহারকারীরা ৯০ শতাংশ বেশি সময় ব্যয় করছেন।

          অ্যানির প্রধান নির্বাহী থিওডোর ক্রান্টজ বলছেন, সব ক্ষেত্রেই মানুষের মোবাইল নির্ভরতা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সময় ব্যয়, ডাউনলোড এবং আয়ের দিক দিয়ে মোবাইল প্রতিনিয়তই নতুন নতুন রেকর্ড করে চলছে। ফলে টেলিভিশন বা বড় পর্দা কার্যতভাবেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে।

          চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতি মাসে টিক টকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে ধারণা করছে সংস্থাটি। তারা বলছে ২০২১ সালে মোবাইল ফোনে সময় ব্যয় করার হার ২০১৯ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

          ভারত, তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মেক্সিকো, সিঙ্গাপুর এবং কানাডা সহ মোট দশটি দেশের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মোবাইল ব্যবহারকারীরা দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা করে মোবাইলে ব্যয় করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

          প্রতি দশ মিনিটে সাত বার একজন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া, ফটো এবং ভিডিও অ্যাপে ঢুঁ মারে। তবে এর মধ্যে টিকটকেই সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করা হয়ে থাকে বলে জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত