ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ৪ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

বাংলাদেশের সিলেট সীমান্তে ভারতের কারফিউ জারি, রাতের চলাচল নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
১০ মে, ২০২৫ ১৭:৩৪
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের সিলেট সীমান্তে ভারতের কারফিউ জারি, রাতের চলাচল নিষিদ্ধ

সিলেট সীমান্তঘেঁষা ভারতের মেঘালয় রাজ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাত্রিকালীন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতীয় প্রশাসন। ৮ মে থেকে কার্যকর হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওইসব এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মেঘালয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলস, পূর্ব খাসি হিলস, দক্ষিণ গারো হিলস এবং পশ্চিম গারো হিলস জেলার সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। সীমান্তের শূন্যরেখার ২০০ মিটার থেকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাকে ‘নিরাপত্তা সংবেদনশীল’ ঘোষণা করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

প্রশাসনের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কারফিউ চলাকালীন নিচের কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে—পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, কোনো ধরনের অস্ত্র বা লাঠিসোঁটা বহন, গবাদিপশু ও পণ্য পরিবহন (বিশেষ করে চা পাতা, সুপারি, পানের পাতা, শুকনা মাছ), সীমান্ত পারাপার বা অবৈধ অনুপ্রবেশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বৃহস্পতিবার সিলেটের তামাবিল সীমান্তে উভয় দেশের যৌথ জরিপ কার্যক্রম চলাকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাধার মুখে পড়ে। স্থানীয় লোকজনের আপত্তিতে জরিপ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনার পরই ভারতীয় প্রশাসন সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়।

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বাসিন্দা তাওহীদুল ইসলাম (৪০) বলেন, আমরা যারা বৈধভাবে চলাফেরা করি, তাদের জন্য এটা বড় সমস্যা নয়। তবে যারা অবৈধ কাজ করে, যেমন চোরাচালান বা সীমান্ত অতিক্রম করে, তাদের জন্য এটা কঠিন হবে। আইন মেনে চললে আমাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।

জৈন্তাপুর উপজেলার বাসিন্দা মো. সাজু হোসেন বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবশ্যই প্রয়োজন, তবে এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে সমস্যা যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে অনেকেই ভোরবেলায় মাঠে কাজ করতে যান। এমন অবস্থায় যদি সীমান্তে কারফিউ থাকে, তাহলে তাদের জন্য এটা কিছুটা সমস্যার হতে পারে। আশা করি, কর্তৃপক্ষ সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে, যাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত না হয়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্ত তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। সীমান্তে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে, সে জন্য আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্ডার এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করানো হয়েছে। স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানরা যাতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করেন সে বিষয়েও জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনাসহ ৪৪৭ জনের নামে মামলা করলেন মুশতাকের শ্বশুর

অনলাইন ডেস্ক
৭ মে, ২০২৫ ১৬:১৭
অনলাইন ডেস্ক
শেখ হাসিনাসহ ৪৪৭ জনের নামে মামলা করলেন মুশতাকের শ্বশুর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অর্থ যোগান ও ৪৪ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে জামাই মুশতাক আহমেদ ও শেখ হাসিনার নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম।

তারা দু’জনসহ সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনসহ ৪৪৭ জন জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত ১০ হাজার জনের নামে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১১টায় মোবাইল ফোনে ঢাকা পোস্টকে বাদী সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের উত্তর ঠাকুরগাঁও বকসের হাট বামনপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর উত্তর মুগদায় থাকেন, পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং ৩নং আকচা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক।

মামলার অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, গত ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনকে দমানোর জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দমন-পীড়ন শুরু করে। আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী, চরম দুর্নীতিবাজ, দলবাজ ও ৪৪৭ জন আসামি এবং ১০ হাজার ২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির অর্থায়নে, নির্দেশে, পরিকল্পনায় এবং অংশগ্রহণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালায় এবং পারস্পরিক যোগসাজসে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৪৪ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে অন্তত ১৪০০ জন ছাত্র-জনতা ও ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ সময় হাজার হাজার মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন ও চিরতরে অন্ধত্ববরণ করেছেন। আসামিরা দেশের বিচার বিভাগকে বুদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বুক ফুলিয়ে চলছে। অভিযোগটি রেজিস্ট্রারভুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ অনুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ্য করা হয়।

বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক মানুষের প্রাণ গেছে। আবার অনেকেই এখনো পঙ্গু অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এই আন্দোলনে যে শুধু ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে তা কিন্তু নয়। দেশের বিভিন্ন থানায় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশের ৪৪ জন সদস্য প্রাণ দিয়েছে। আমি চাই ছাত্র-জনতার হত্যাকারীদের কঠোর বিচার হোক। সেই সঙ্গে আমাদের ৪৪ জন পুলিশ যে মারা গেল তাদের পরিবার যাতে বিচার পায়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের প্রায় ১০ মাস হয়ে গেল এখনো পুলিশ হত্যার বিচার চেয়ে কেউ কোনো মামলা করেনি। তদন্ত তো দূরের কথা। এতোগুলো পুলিশ কিভাবে মারা গেল সেটার সঠিক তদন্তে এই মামলা করা। মামলা না হলে তো তদন্ত হবে না। কার নির্দেশে এতোগুলো পুলিশের প্রাণ গেল সেটা অবশ্যই উঠে আসা দরকার। সেই সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে যে সব পুলিশের কর্মকর্তা হাসিনার নির্দেশে নির্বিচারে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদেরও কঠোর শাস্তি চাই। এমনকি যেই সাংবাদিকরা স্বৈরাচার হাসিনার সঙ্গে আতাত করে সাধারণ মানুষের বিপক্ষে কাজ করেছিল তাদেরও বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, তাদের বিরুদ্ধেও আমি মামলা করেছি। এতো মানুষ প্রাণ দিল আর আসামিরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে আমি তা মেনে নিতে পারছি না। তাই বিবেকের তাড়নায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছি। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হলে উল্লেখিত আসামিদের সঙ্গে মামলার সংশ্লিষ্টতা ও অজ্ঞানামা আসামিদের নাম উঠে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা, ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

    জেলা প্রতিনিধি
    ৬ মে, ২০২৫ ১৮:০
    জেলা প্রতিনিধি
    ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা, ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। লক্ষ্মীপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া হত্যা মামলায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

    গ্রেপ্তার মো. জুলফিকার (২৮) লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার সৈয়দপুনর কাশেম ভূঁইয়ার বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে।

    গতকাল সোমবার (৫ মে) রাতে সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার মরদেহ বাড়ির পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার চার দিন পর নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলার তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা শাখা আটজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানির পর ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। মো. জুলফিকার ছিলেন ওই মামলার একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।  ৫ মে রাত ৮টার দিকে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে আসামিকে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
     

    প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ‘শিরক’ তকমা দিয়ে মাদারীপুরে কেটে ফেলা হলো ২০০ বছরের প্রাচীন বটগাছ

    অনলাইন ডেস্ক
    ৬ মে, ২০২৫ ১৬:৪৯
    অনলাইন ডেস্ক
    ‘শিরক’ তকমা দিয়ে মাদারীপুরে কেটে ফেলা হলো ২০০ বছরের প্রাচীন বটগাছ

    মাদারীপুর সদর ইউনিয়নের শিরখাড়া ইউনিয়নের আলম মীরের কান্দি এলাকায় প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি বটগাছ কেটে ফেলেছেন স্থানীয় আলেমরা। ‘বিদআত’সহ নানা কারণ দেখিয়ে গাছটির বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার ঘটনাটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

    মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে প্রায় ২০০ বছরের পুরানো গাছটি কাটার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে সোমবার সকাল ৯টার দিকে গাছটি কাটা শুরু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপর একে একে ডালপালা থেকে শুরু করে মূল দণ্ডায়মান গাছটির প্রায় ৭৫ শতাংশ কেটে ফেলা হয়।

    স্থানীয়রা জানান, কুমার নদীর পাড়ে অবস্থিত বটগাছটি 'অলৌকিক ক্ষমতার' অধিকারী বলে বিশ্বাস করে অনেকে। এ কারণে প্রাচীন এই বটগাছের গোড়ায় অনেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে মানত করতেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    শিরখাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় আলেমরা বটগাছটি কেটে ফেলেছেন। তবে গাছটি কাদের নেতৃত্বে কাটা হয়েছে সে তথ্য আমি এখনও পাইনি। অনেক স্থানীয় বাসিন্দাই মনে করছেন গাছটি কাটা ঠিক হয়নি। তবে তারা ভয়ে কথা বলছেন না। 

    ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজম খান বলেন, ওই বটগাছটির নিচে কিছু লোক ‘আচার’ পালন করত, যা আলেমরা আপত্তিকর মনে করেন। ইসলামে এ ধরনের বিধি-বিধান না থাকার কারণেই গাছটি কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণেই সবাই একত্রিত হয়ে বটগাছটি কাটা শুরু করেন। তারা কেউ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।  ইউনিয়নের সব গ্রাম থেকেই ওই ঘটনাস্থলে লোক গেছে, তাদের মধ্যে তার এলাকার মানুষও ছিল।

    গাছ কাটার ওই ভিডিও ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। ১৪ সেকেন্ডের একটি  ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন লোক গাছটি চারপাশে দাঁড়িয়ে আছে। একটি করাত দিয়ে গাছে শাখা-কাণ্ড কাটছেন দুজন ব্যক্তি। বাকিরা তাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।

    এসময় এক ব্যক্তি বলে ওঠেন, ‘পোচ (কাটা) হবে মুজাহিদ ভাই ঠিক আছে। শিরকের আস্তানা ইনশাল্লাহ গুঁড়িয়ে দিতেসে..’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াদিয়া শাবাব গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমি এই বিষয়টি সোমবার রাতে জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদেরকে ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি পরবর্তীতে এ বিষয়টি আপনাদেরকে জানাতে পারব—যে কারণে বিষয়টি নিয়ে আমি এখন কথা বলতে চাচ্ছি না।'

     

    মন্তব্য

    নোয়াখালীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান

    জেলা প্রতিনিধি
    ৬ মে, ২০২৫ ১৪:১৬
    জেলা প্রতিনিধি
    নোয়াখালীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান

    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৭জন শিক্ষার্থীকে নগদ টাকা, ক্রেস্টসহ সম্মাননা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

    মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে চররপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মো.জাহাঙ্গীর। এতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট মো.মামুনুর রশীদ মামুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা:এ.এন.এম মনিরুজ্জামান,অনুপম মজুমদার।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা মোবাইল মুখী। তাদের পড়ালেখা মুখী করতে ১০টি ক্যাটাগরিতে মাসিক মূল্যায়নে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এমন আয়োজন ইতিবাচক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তুলবে। একই সাথে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলে সমাজে মাদক সেবন ও সামাজিক অপরাধ কমে আসবে।

    সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেগম তাসলিমা আবেদা,আবু মাঝিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুন নাছির, অভিভাবক সদস্য মো.ইকবাল হোসাইন প্রমূখ।      
     

    মন্তব্য
    সর্বশেষ সংবাদ
      সর্বাধিক পঠিত