দুই পুত্রবধূর কাঁধে ভর দিয়ে ফিরোজায় ফিরলেন বেগম জিয়া

চার মাসের চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে ফিরে গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসভবনে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে করতে তিনি ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
প্রায় দশ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথে খালেদা জিয়াকে একনজর দেখতে এবং শুভেচ্ছা জানাতে সড়কের দুই পাশে জড়ো হন হাজারো নেতাকর্মী। জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে তারা খালেদা জিয়াকে স্লোগান দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। খালেদা জিয়াও গাড়ির জানালা থেকে হাত নাড়িয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সাধারণত গাড়ির পেছনে বসলেও এবার খালেদা জিয়াকে সামনের আসনে বসতে দেখা যায়। পেছনের সিটে ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শারমিলা রহমান সিঁথি। ফিরোজার সামনের সড়কজুড়ে নিরাপত্তা ছিল কঠোর। সেনা, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে অবস্থিত ‘ফিরোজা’ বাসভবনে খালেদা জিয়াকে বরণ করে নেন তার মেজ বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছিলেন বিএনপির মহিলা দলের নেত্রী আফরোজা আব্বাস এবং সুলতানা আহমেদও।
বেগম জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ ছাড়াও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মেডিকেল বোর্ড প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদসহ ১৪ জন।
আগের দুই শনিবার অফিস খোলা
এবার ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এই ছুটি ঘোষণা করেছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
জানতে চাইলে শফিকুল আলম ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা ছিল।
পেট্রোবাংলায় দুদকের অভিযান

দুর্নীতির অভিযোগে পেট্রোবাংলায় দুদকের অভিযান চলমান..
বিস্তারিত আসছে....................
খালেদা জিয়ার আগমনে বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। বিমানবন্দরে প্রবেশের গোলচত্বর এলাকায় কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ সদস্যদের। যারা প্রবেশ করছেন সঠিক কারণ যাচাই-বাছাই ও নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে প্রবেশ করছেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি সিহাব কায়সার খান বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের আগমনকে কেন্দ্র নেতাকর্মীদের ঢল নামবে। এ ঢল ঠেকাতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর সেই মোতাবেক তারা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, পোশাকে, সাদা পোশাক, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। আর্মড পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি।
এদিকে আর্মড পুলিশের পাশাপাশি সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব সিকিউরিটি, অ্যাভসেক, বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দায়িত্বপালন করতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের।
সরেজমিন দেখা যায়, বিমানবন্দরের প্রবেশের গোলচত্বর ও বেবিচক সদর দফতর গেটের দুই পাশেই বিপুল সংখ্যক পুলিশের অবস্থান। এই দুই গেট দিয়ে যারাই যাচ্ছেন তাদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিশেষ এয়ার এ্যাম্বুলেন্সটি সকাল সাড়ে ১০টায় শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। অবতরণ করার পর তার গাড়ি বহর বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেট দিয়ে বের হয়ে তার বাসভবন গুলশানে যাবে।
বাবার দিকে খেয়াল রাখবে : বিদায়বেলায় নাতনির উদ্দেশে খালেদা জিয়া

নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদায়বেলায় বলেছেন, ‘বাবার দিকে খেয়াল রাখবে।’
এছাড়া, হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে আসা ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালেদা জিয়া জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কখন যাবে?’
জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘তুমি বিমানে উঠলে জাইমা চলে আসবে। তারপর বাবা-মেয়ে একসঙ্গে বাসায় চলে যাব।’
মন্তব্য