বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠন

মেহরাব হোসেন, ববি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে রাকিব আহমেদকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত একপত্রে এই কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে মো. শাহেদ হোসেনকে মুখ্য সংগঠক, মো. মাইনুল ইসলামকে মুখপাত্র, মো.জাহিদুল ইসলাম ও শারমিলা জামান সেঁজুতিকে সহ মুখপাত্র করা হয়।
এছাড়া ১৫ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৪ জনকে যুগ্ম সদস্য সচিব, ৮ জনকে সংগঠক ও ৩২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
হেল্পার চালাচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস, প্রাণ গেল পথচারীর

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বাসের চাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটার দিকে পাবনা শহরের অনন্ত বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ রঘবপুর মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পথচারীর নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি, তবে তার বয়স আনুমানিক পঞ্চাশ (৫০) বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে পাবনা শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস অনন্ত বাজারের দিকে আসছিলো, মসজিদের সামনে দিয়ে এক পথচারী রাস্তা অতিক্রম করতে নিলে বাসটি ঐ পথচারীকে ধাক্কা দেয়। বাসটি পথচারীরকে গাড়ির নিচে করে ১৫-২০ ফিট ছেঁচড়ে নিয়ে যায়। এরপর গাড়িটি থামানোর ২-৩ মিনিটের মধ্যেই ঐ পথচারী মৃত্যুবরণ করেন।
তবে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা জানান, সকালের স্টাফ বাস লাইব্রেরি বাজার দিয়ে অনন্ত হয়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলো। অনন্ত একালায় গাড়ি আসলে গাড়ির গতি কমানো হয় কিন্তু হুট করেই রাস্তা পাড় হতে এক পথচারী বাসের সামনে চলে আসেন। চালক গাড়ি থামানোর আগেই তিনি বাসের চাকার নিচে পড়ে যান। এরপর গাড়ি থামানোর ২-৩ মিনিটের ঐ পথচারীর মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসের চালকের নাম জালাল। তিনি বাসের একজন হেল্পার। বাসের চালকরা অনুপস্থিত থাকলে তিনি নিয়মিতই গাড়ি চালান। শুধু জালালই না, তিনজন হেল্পার নিয়মিতই চালকদের অনুপস্থিতিতে গাড়ি চালান।
গাড়িতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্টাফ বলেন, ‘নিয়মিত চালক হলে এই দুর্ঘটনাটা নাও হতে পারতো। ঐ পথচারী কখন গাড়ির সামনে চলে আসেন সেটা চালক খেয়াল করেননি। গাড়ির যাত্রীরা বলার পরে তিনি গাড়ি থামিয়েছেন।’
নিহত পথচারীর বিষয়ে পাবনা সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, ‘রাস্তা পারাপারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি তাকে ধাক্কা দেয়। খুব জোরে ধাক্কা লাগার কারণে লোকটি সেখানেই মারা যায়। আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু লাশের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘স্টাফ বাসের বাসটি ভার্সিটি থেকে বের হয়ে লাইব্রেরী বাজার হয়ে আবার ক্যাম্পাসে ফেরত আসে। ফেরত আসার সময় এ ঘটনাটি ঘটে, সকাল ৮:৪০ মিনিটের এর দিকে। আমি নিজে গিয়ে লাশটি দেখে এসেছি। যদি তদন্তে ড্রাইভারের কোনো ভুল উঠে আসে আমরা ব্যবস্থা নিবো।’
কৃষি গুচ্ছ ভর্তির আবেদন শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি, পরীক্ষা ১২ এপ্রিল

বাকৃবি প্রতিনিধি: দেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। আবেদন চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা (ট্রান্সজেকশন ফি ছাড়া)। আগামী ১২ এপ্রিল এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার কৃষিগুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৩ হাজার ৮৬৩টি। গত বছরের তুলনায় আসন বেড়েছে ১৪৫ টি। গত বছর আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭১৮ টি। এবার কৃষি গুচ্ছের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বাকৃবির রেজিস্ট্রার ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড. মো হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে অনলাইনে আবেদন আহবান করা হয়।
কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর ৪৩৫টি, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৫ টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ২৭৫ টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৮০টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৫০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৯টি ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি আসন রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ২০২০/২০২১/২০২২ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩ সালে এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটির চতুর্থ বিষয় ছাড়া ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।
O এবং A লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে লেভেল পরীক্ষার অন্তত ৫ টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে A ও B গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।
শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং প্রকৃত উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীরা উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি কোটায় আবেদন করতে পারবে।
কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার প্রার্থীদেরকে পিতা-মাতার অনুকূলে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্রের সফট কপি এবং (উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীদের স্ব-স্ব জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত জেলার স্থায়ী বাসিন্দা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্রের সফট কপি অনলাইনে আপলোড করতে হবে।
নম্বর বন্টন ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ (এক) নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে কৃষি গুচ্ছে।
ভর্তি পরীক্ষা:
১২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্র সারা দেশে পরীক্ষাকেন্দ্র ৯টি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রামে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ফলাফল প্রস্তুত: মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য https://acas.edu.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
বাকৃবিতে বহিরাগতদের মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) গত বছরের ২৮ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্র শিক্ষকসহ সকল ধরনের রাজনীতি। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সকল রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড স্থিমিত থাকলেও দাপট দেখাচ্ছে বহিরাগত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসের মধ্যে সম্প্রতি দফায় দফায় বহিরাগত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মিছিল ও শোডাউনের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা সংকট ও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি কেওয়াটখালী থেকে একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিলটি ফাস্ট গেট থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে শোডাউন করতে দেখা যায়। পরে মিছিলটি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের সামনে দিয়ে আবার ফাস্ট গেইটের দিকে যেতে দেখা যায়। একই দিনে ছাত্রদলের আরেকটি গ্রুপ আব্দুল জব্বার মোড় থেকে মিছিল শুরু করে কেআর মার্কেট হয়ে ফাস্ট গেটের দিকে অগ্রসর হয়।
এছাড়া, ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আব্দুল জব্বার মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাস্তা ধরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে কেআর মার্কেটে গিয়ে মিছিল শেষ করে। এসময় চার থেকে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে "খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া, একটা দুইটা লীগ ধরে খুনি হাসিনার বিচার চাই" ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিলের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভেরিভাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টও দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, গণহত্যা ও গণতন্ত্র ধ্বংসের দায়ে শেখ হাসিনার ফাঁসি ও তার দোসরদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভমিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের পূর্ব থানা আহ্বায়ক মো. রিপন মিয়া ও কোতোয়ালি থানার আহ্বায়ক মো. সোলেমান হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। বাকৃবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তান ও সাধারণ জনগন বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
এছাড়াও এর আগে বিভিন্ন সময় বাকৃবি ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকবার বহিরাগতদের এমন মিছিলের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বলেন , বিএনপি কে চিন্তাভাবনায় আরও স্মার্ট হতে হবে। বর্তমান প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ ধরে রাখতে পারেনি কারণ তাদের পালস বুঝেনি। বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এখানে কোন খুনের আসামীকে ধরতেও পুলিশ ঢুকতে পারবেনা প্রক্টর স্যারের অনুমতি ছাড়া। এমনকি প্রভোস্টের অনুমতি ছাড়া হলের মধ্যে পুলিশ এক পা দিতে পারবেনা। বাকৃবি ময়মনসিংহের গর্বের প্রতিষ্ঠান। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলির প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই, মাতৃসম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখবেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের পূর্ব থানা আহ্বায়ক মো. রিপন মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতিত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে আমরা মিছিল করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যথার্থ সম্মান রেখে ও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। গণতান্ত্রিক দেশে মিছিল, মিটিং করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি না নিলেও আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে কর্মসূচি পালন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যারা সাধারন হিসেবে আছে তারা তো বিষয়টা স্বাভাবিক হিসেবে নেবে। কারণ এজন্যই তো তারা আন্দোলন করেছে এবং তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এই বর্তমান বাংলাদেশ। আমরাও তো ওই কাজটি করেছি পতিত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের জন্য আমরা কর্মসূচি পালন করেছি।
মিছিলের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, আমরা এই বিষয় নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন এর আগেও একদিন মিছিল হয়েছিল। সম্প্রতি মিছিল নিয়েও সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা হয়েছে। গতকালের মিছিল সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা ছিল না। আমরা যতক্ষণে জেনেছি তার আগেই তাদের মিছিল শেষ হয়ে গেছে । ওরা আজকে মঙ্গলবার মিছিল মিটিং করতে চেয়েছিল কিন্তু হয়নি। তাদেরকে বলা হয়েছে এটা সংরক্ষিত এলাকা।
অনুমতি না নিয়ে মিছিল করায় যারা নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন,' তারা ক্যাম্পাসের বাইরের। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি।
ভিন্নমত সহ্য করতে না পারলে সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়: ড. আলী রিয়াজ

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সৌন্দর্য হচ্ছে ভিন্নমতকে সহ্য করা। ভিন্নমত ধারণ, ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা, ভিন্নমতের অধিকারকে রক্ষা করা জীবনের বড় অর্জন। ভিন্নমত সহ্য করতে না পারলে সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়।'
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে ড. আলী রীয়াজ আরো বলেন,‘যিনি বিশ্ববিদ্যালয় আসেনি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বার সুযোগ পাননি, এমনকি মহাবিদ্যালয়েও যাননি তার কাছেও শিখবার অনেক কিছু আছে। শিক্ষা কেবলমাত্র চার দেয়ালের মধ্যে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো সূত্রটা ধরিয়ে দেওয়া।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ আমি যখন লাইব্রেরিতে যাই তখন আমার চোখে যে জিনিস ধরা পড়ে সেটা হলো-একই বিষয়ের ভিন্ন মতের বই পাশাপাশি থাকে সেখানে। বইয়ের লাইব্রেরীতে যখন যাবেন, বই মেলায় যখন যাবেন সেখানে দেখবেন বইগুলো সব তো এক কথা বলছে না; একই বিষয়ে ভিন্নমত আছে, পদ্ধতিগত ভিন্নতা আছে। সেটা সম্ভব হবে যখন আপনি মুক্তচিন্তা করতে পারেন।’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজিম আকন্দ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রাজ্জাক।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মীর হুমায়ূন কবীর এবং নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক সাইমুন নাহার রিতু।
মন্তব্য