লন্ডন থেকে ‘আশীর্বাদ’ নিয়ে এসেছেন তামিম, দাঁড়াবেন বিসিবি নির্বাচনে

মাহবুবুল আনাম বিসিবির নির্বাচন করবেন না, এই খবরে সভাপতি হওয়ার দৌড়ের হিসাব-নিকাশ বদলে যাচ্ছে। নির্বাচন অক্টোবরে হওয়ার কথা। মাহবুবুল আনামের সরে যাওয়ার খবরে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের নাম উঠে আসছে। এর বাইরেও রাজনৈতিকভাবে কিছু নাম ঘোরাফেরা করছে। এই সময়ে নির্বাচন করা জটিল হতে পারে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলে অ্যাডহক কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
আর নির্বাচন হলে আবারও আমিনুল ইসলামের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেখানে বিসিবিতে যে প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন হয় তার কিছুই মানা হবে না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে কাউন্সিলর বানিয়ে অন্যদের বলা হবে আমিনুলকে সভাপতি করতে। শুরুতে নির্বাচন নিয়ে কিছু না বললেও পরে নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছেন আমিনুল। এসিসির সভা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে মন কষাকষিতে আমিনুল বুঝতে পেরেছেন, আইসিসিতে তার চাকরি পাওয়া কঠিন হবে।
মাহবুবুল আনামের নির্বাচন নিয়ে তার এক ঘনিষ্ঠজন যুগান্তরকে বলেন, ‘পরিবার থেকে মনে করা হচ্ছে তার আর বিসিবিতে থাকার প্রয়োজন নেই। এখানে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এজন্য তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই জায়গায় মানসম্মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, তিনিও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। তার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। অনেক পরিচালকও তাকে সমর্থন করবেন। তিনি অপেক্ষায় আছেন রাজনৈতিক সাড়া পাওয়ার।
তালিকায় রয়েছেন তামিম ইকবালও। একটি সূত্রমতে, লন্ডন থেকে এক রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদ নিয়ে এসেছেন তামিম। দেড় মাস আগে তিনি সেখানে যান।
বিসিবির গঠনতন্ত্রে ১৭১ জন কাউন্সিলরের ৭৬ জনই ঢাকার ক্লাব থেকে আসেন। আবার বোর্ডের ২৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জন আসেন ক্লাব ক্রিকেট থেকে। বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় থেকে ১০ জন। ঢাকার অধিকাংশ ক্লাব কয়েকজনের হাতে বন্দি। প্রতি বছর ক্লাব চালাতে তাদের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়।
এর আগে দেশের ক্রিকেটের দক্ষ সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল হকের নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর উদযাপনে দাওয়াত না পাওয়ায় অনেকেই বুঝে গেছেন তিনি তালিকায় নেই।
এদিকে একটি বড় অংশের ধারণা, এবার নির্বাচন হবে না। অ্যাডহক কমিটি দিয়েই চলবে কিছুদিন। সূত্রমতে, সেই অ্যাডহক কমিটিতে বর্তমান পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন শুধু ফাহিম সিনহা। বাকিদের কাউকে রাখা হয়নি। এটা টের পেয়েছেন বাকিরা। ফাহিম সিনহার এক ঘনিষ্ঠজন উপদেষ্টা হওয়ায় তাকে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের আজ ভারত পরীক্ষা

নারী ফুটবলে এখন দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশের। একের পর এক সুখবর নিয়ে আসছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সিনিয়র নারী দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট কেটে লিখেছে নতুন ইতিহাস। অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছে দেশের মেয়েরা। বয়সভিত্তিক ফুটবলে এর আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ও সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ শিরোপা ঘরে তুলেছে বাংলাদেশের কন্যারা। কিন্তু সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এখনো অধরা। বয়সভিত্তিক ফুটবলের এই আসরের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ নিতে নতুন মিশনে নেমেছে অর্পিতা দাস বিশ্বাসরা। টুর্নামেন্টটা দারুণ জয়ে শুরুও করেছে মেয়েরা। আসরে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মেয়েরা। আজ ভারতের বিপক্ষেও এমন আরো একটি জয় উপহার দিতে চান তারা।
আজ বাংলাদেশের সামনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ভারত। থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে দুদল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায়। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৬টায় নেপালের মুখোমুখি হবে আয়োজক ভুটান। ভুটানের বিপক্ষে জিতে এ ম্যাচের আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসী অর্পিতারা। লড়াই কঠিন হবে জেনেও জয়ের ছন্দটা তারা ধরে রাখতে চান এ ম্যাচেও। অন্য দিকে দারুণ জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে ভারতও। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে তারা রীতিমতো গোল উৎসব করেছে নেপালের জালে। আজও তারা গোলের বন্যা বইয়ে দিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখবে না। তবে ছেড়ে কথা বলবেন না প্রথম ম্যাচের গোলদাতা আলপি আক্তার ও সুরভী আকন্দ প্রীতিরা। ভারতের জাল কাঁপাতে তারাও নিয়ে রেখেছেন শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
ভুটানের মতো ভারতের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। গতকাল বাফুফের পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ তারকা ফুটবলার বলেন, ‘আমাদের দলের সবাই সুস্থ আছে, ভালো আছে। টুকটাক ইনজুরি আছে। আশা করি, আজ ও কালের মধ্যে সেরে যাবে। কাল (আজ) ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচ। এটা ভাইটাল একটি ম্যাচ। ভুটানের বিপক্ষে আমরা যে ভুলগুলো করেছি। চেষ্টা করব কাল যেন ভুলগুলো না হয়। ওরা আলহামদুলিল্লাহ ভালো। সবার একটাই লক্ষ্য, সবাই জয় নিয়ে ফিরব। বাংলাদেশে ট্রফি নিয়ে ফিরব, ইনশাআল্লাহ।’
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোন দেশে কয়টি ম্যাচ?

১৮ বছর পর আবার আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে। তবে প্রধান আয়োজক দেশ হিসেবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন দেশের কোনটিতে কতগুলো করে ম্যাচ হবে সম্প্রতি সেটা জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
২০২৭ বিশ্বকাপে মোট ৫৪টি ম্যাচ হবে। এর মধ্যে ৪৪টি ম্যাচ হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভেন্যু আটটি। সেগুলো হল- জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপ টাউন, ডারবান, কেবেরহা, ব্লুমফনটেইন, ইস্ট লন্ডন ও পার্ল। এই আট মাঠে মোট ৪৪টি ম্যাচ হলেও কোন মাঠে কতগুলো ম্যাচ হবে তা এখনও জানানো হয়নি। বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হবে টুর্নামেন্টের কিছুদিন আগে। বিশ্বকাপের বাকি ১০টা ম্যাচ হবে নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে।
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার আগে দেশটিতে ২০০৩ সালের ওয়ানডে ও ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। ২০০৯ সালের পর আর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়নি। যদিও অ-১৯ বিশ্বকাপ হয়েছে তবে সেটি সিনিয়র পর্যায়ের না। ফলে বেশ দীর্ঘসময় পরই দেশটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, স্থানীয় এক সংস্থাকে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অর্থমন্ত্রী ট্রেভর ম্যানুয়েল। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারপার্সন পার্ল মাফোশে বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার বৈচিত্র গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরাই আমাদের বোর্ডের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে আমরা তৈরি হচ্ছি।”
২০২৩ সালে শেষ বার ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা সেবার সেমিফাইনালে হেরেছিল। এখন পর্যন্ত একবারও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৭ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বসেরা হওয়ার লক্ষ্যে তারা।
যে দুই তারকাকে ভেড়াতে ২০০ মিলিয়ন খরচ করতে প্রস্তুত বার্সেলোনা

বার্সেলোনার উচ্চাকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। যদিও বর্তমান দল ইতোমধ্যেই শক্তিশালী, তবুও ক্লাব ক্রমাগত উন্নতির পথ খুঁজছে। সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার লক্ষ্য ২০২৬ সালের জন্য বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
ফিচাখেসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৬ সালের গ্রীষ্মে বার্সেলোনা দুই খেলোয়াড়কে দলে আনার পরিকল্পনা করছে।
প্রথমটি হলো অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ এবং দ্বিতীয়টি ইন্টার মিলানের ডিফেন্ডার আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। এই দুই খেলোয়াড়ের জন্য ক্লাব প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট বরাদ্দ করতে প্রস্তুত।
আলভারেজকে রবার্ট লেভানদোস্কির প্রতিস্থাপন হিসেবে দেখা হচ্ছে। অ্যাতলেতিকোর প্রকল্প তার ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে মিলছে না বলে আলভারেজও বার্সেলোনায় আগ্রহী।
অপরদিকে, বাস্তোনি বাঁ পায়ে দক্ষ, টেকনিক্যালি পরিপূর্ণ ডিফেন্ডার, যিনি পাউ কুবার্সির পাশে দীর্ঘকাল খেলতে সক্ষম।
দুই খেলোয়াড়ই এখনো তরুণ (আলভারেজ ২৫, বাস্তোনি ২৬ বছর)। তাদের যোগদানের মাধ্যমে ক্লাব বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে পারবে। বাজেটের অংশ সংগ্রহের জন্য বড় কোনো খেলোয়াড়ের বিদায়ও সহায়ক হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, রোনাল্ড আরাউহো যদি তার স্থান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন, তাকে বিক্রি করে প্রায় ৭০–৮০ মিলিয়ন ইউরো তোলা সম্ভব।
তবে, ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম এখনো দূরে। বর্তমানে ক্লাবের মনোযোগ থাকবে চলমান মৌসুমে, যেখানে হ্যান্সি ফ্লিক দলের সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন।
ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলে আয় করা অর্থ গাজায় পাঠাবে নরওয়ে

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের আয় গাজায় জরুরি সহায়তা কার্যক্রমে দান করার ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ের ফুটবল ফেডারেশন। ওসলোতে আগামী ১১ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে মাঠে নামবে হালান্ডরা।
নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লিসে ক্লাভেনেস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজার সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যে মানবিক কষ্ট ও অসম মাত্রার আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তা থেকে আমরা কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান চুপ করে থাকতে পারি না। আমরা চাই এই ম্যাচের আয় এমন এক মানবিক সংস্থাকে দিতে, যারা প্রতিদিন গাজায় মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করছে এবং জরুরি সহায়তা দিচ্ছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তবে এ সিদ্ধান্তে ইসরায়েলি ফুটবল ফেডারেশন বুধবার প্রতিক্রিয়া জানায়। নরওয়ের প্রতি ইসরায়েল আহ্বান জানায়, যেন তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ ও জিম্মি নেওয়ার ঘটনাকেও সমানভাবে নিন্দা জানায়।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি ফেডারেশন আরো দাবি করে, নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই অর্থ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কাছে না যায়।
ফেডারেশন জানিয়েছে, ম্যাচ ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ও স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করছেন। উলেভাল স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের খেলায় সাধারণত ২৬ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকেন। তবে এই ম্যাচে অতিরিক্ত নিরাপত্তার কারণে মাত্র তিন হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন।
গত বছরের অক্টোবর থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েল কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের দেশে ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না।
নরওয়ের বিপক্ষে নিজেদের ‘হোম’ ম্যাচ তারা হাঙ্গেরিতে খেলেছিল। সেই ম্যাচে নরওয়ে ৪-২ গোলে জয় পায়। বর্তমানে নরওয়ে পাঁচ দলের বাছাইপর্বের গ্রুপে শীর্ষে আছে, ইসরায়েল রয়েছে তাদের পেছনে।
মন্তব্য