২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোন দেশে কয়টি ম্যাচ?

১৮ বছর পর আবার আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে। তবে প্রধান আয়োজক দেশ হিসেবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন দেশের কোনটিতে কতগুলো করে ম্যাচ হবে সম্প্রতি সেটা জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
২০২৭ বিশ্বকাপে মোট ৫৪টি ম্যাচ হবে। এর মধ্যে ৪৪টি ম্যাচ হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভেন্যু আটটি। সেগুলো হল- জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপ টাউন, ডারবান, কেবেরহা, ব্লুমফনটেইন, ইস্ট লন্ডন ও পার্ল। এই আট মাঠে মোট ৪৪টি ম্যাচ হলেও কোন মাঠে কতগুলো ম্যাচ হবে তা এখনও জানানো হয়নি। বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হবে টুর্নামেন্টের কিছুদিন আগে। বিশ্বকাপের বাকি ১০টা ম্যাচ হবে নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে।
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার আগে দেশটিতে ২০০৩ সালের ওয়ানডে ও ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল। ২০০৯ সালের পর আর কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়নি। যদিও অ-১৯ বিশ্বকাপ হয়েছে তবে সেটি সিনিয়র পর্যায়ের না। ফলে বেশ দীর্ঘসময় পরই দেশটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, স্থানীয় এক সংস্থাকে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংস্থার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অর্থমন্ত্রী ট্রেভর ম্যানুয়েল। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারপার্সন পার্ল মাফোশে বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকার বৈচিত্র গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরাই আমাদের বোর্ডের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে আমরা তৈরি হচ্ছি।”
২০২৩ সালে শেষ বার ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা সেবার সেমিফাইনালে হেরেছিল। এখন পর্যন্ত একবারও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৭ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বসেরা হওয়ার লক্ষ্যে তারা।
যে দুই তারকাকে ভেড়াতে ২০০ মিলিয়ন খরচ করতে প্রস্তুত বার্সেলোনা

বার্সেলোনার উচ্চাকাঙ্ক্ষার শেষ নেই। যদিও বর্তমান দল ইতোমধ্যেই শক্তিশালী, তবুও ক্লাব ক্রমাগত উন্নতির পথ খুঁজছে। সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার লক্ষ্য ২০২৬ সালের জন্য বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
ফিচাখেসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৬ সালের গ্রীষ্মে বার্সেলোনা দুই খেলোয়াড়কে দলে আনার পরিকল্পনা করছে।
প্রথমটি হলো অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ এবং দ্বিতীয়টি ইন্টার মিলানের ডিফেন্ডার আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। এই দুই খেলোয়াড়ের জন্য ক্লাব প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট বরাদ্দ করতে প্রস্তুত।
আলভারেজকে রবার্ট লেভানদোস্কির প্রতিস্থাপন হিসেবে দেখা হচ্ছে। অ্যাতলেতিকোর প্রকল্প তার ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে মিলছে না বলে আলভারেজও বার্সেলোনায় আগ্রহী।
অপরদিকে, বাস্তোনি বাঁ পায়ে দক্ষ, টেকনিক্যালি পরিপূর্ণ ডিফেন্ডার, যিনি পাউ কুবার্সির পাশে দীর্ঘকাল খেলতে সক্ষম।
দুই খেলোয়াড়ই এখনো তরুণ (আলভারেজ ২৫, বাস্তোনি ২৬ বছর)। তাদের যোগদানের মাধ্যমে ক্লাব বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে পারবে। বাজেটের অংশ সংগ্রহের জন্য বড় কোনো খেলোয়াড়ের বিদায়ও সহায়ক হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, রোনাল্ড আরাউহো যদি তার স্থান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন, তাকে বিক্রি করে প্রায় ৭০–৮০ মিলিয়ন ইউরো তোলা সম্ভব।
তবে, ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম এখনো দূরে। বর্তমানে ক্লাবের মনোযোগ থাকবে চলমান মৌসুমে, যেখানে হ্যান্সি ফ্লিক দলের সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন।
ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলে আয় করা অর্থ গাজায় পাঠাবে নরওয়ে

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের আয় গাজায় জরুরি সহায়তা কার্যক্রমে দান করার ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ের ফুটবল ফেডারেশন। ওসলোতে আগামী ১১ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে মাঠে নামবে হালান্ডরা।
নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লিসে ক্লাভেনেস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজার সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যে মানবিক কষ্ট ও অসম মাত্রার আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তা থেকে আমরা কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান চুপ করে থাকতে পারি না। আমরা চাই এই ম্যাচের আয় এমন এক মানবিক সংস্থাকে দিতে, যারা প্রতিদিন গাজায় মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করছে এবং জরুরি সহায়তা দিচ্ছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তবে এ সিদ্ধান্তে ইসরায়েলি ফুটবল ফেডারেশন বুধবার প্রতিক্রিয়া জানায়। নরওয়ের প্রতি ইসরায়েল আহ্বান জানায়, যেন তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ ও জিম্মি নেওয়ার ঘটনাকেও সমানভাবে নিন্দা জানায়।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি ফেডারেশন আরো দাবি করে, নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই অর্থ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কাছে না যায়।
ফেডারেশন জানিয়েছে, ম্যাচ ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ও স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করছেন। উলেভাল স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের খেলায় সাধারণত ২৬ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকেন। তবে এই ম্যাচে অতিরিক্ত নিরাপত্তার কারণে মাত্র তিন হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন।
গত বছরের অক্টোবর থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েল কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের দেশে ম্যাচ আয়োজন করতে পারছে না।
নরওয়ের বিপক্ষে নিজেদের ‘হোম’ ম্যাচ তারা হাঙ্গেরিতে খেলেছিল। সেই ম্যাচে নরওয়ে ৪-২ গোলে জয় পায়। বর্তমানে নরওয়ে পাঁচ দলের বাছাইপর্বের গ্রুপে শীর্ষে আছে, ইসরায়েল রয়েছে তাদের পেছনে।
শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে সাকিবের শ্রদ্ধা

আজ ১৫ আগস্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে সংঘটিত ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম সেই হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর আজ।
শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সেই ফটোকার্ডে রক্তের মধ্যে লেখা রয়েছে ১৫ আগস্ট। শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফটোকার্ডে আরও লেখা রয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাকিবের এই পোস্টে লাইক পড়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার। এছাড়া প্রায় ৭০ হাজার কমেন্ট ও ১৭ হাজার শেয়ার হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়াও তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।
ওই সময় শেখ মুজিবর রহমানের দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থান করায় বেঁচে যান।
১৫ আগস্টের সেই রাতে সেনাসদস্যদের আরেকটি দল শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে যুবলীগের নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে হত্যা করে।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবি, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় আবদুল নঈম খানকে হত্যা করা হয়।
১ ম্যাচে ২ বিশ্বরেকর্ড গড়লেন আফ্রিদি

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর তারোবার ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ে ফেললেন পাকিস্তানের পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেট নিয়ে নতুন মাইলফলক গড়লেন। এক ম্যাচেই গড়লেন দুটো বিশ্বরেকর্ড।
এদিন তিনি ৮ ওভারে ৫১ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাতেই তিনি পুরুষদের ওয়ানডেতে (আইসিসির ফুল মেম্বার দেশগুলোর মধ্যে) সেরা স্ট্রাইক রেটের রেকর্ডের মালিক হয়ে গেছেন। এখন তার স্ট্রাইক রেট ২৫.৪। এর আগে এই রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ শামির দখলে। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৫.৮।
শুধু স্ট্রাইক রেট নয়, শাহীন আরও এক বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়েছেন। প্রথম ৬৫ ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা এখন ১৩১, যা এই পর্যায়ে কোনো বোলারের সর্বোচ্চ।
এর আগে মিচেল স্টার্ক ও রশিদ খান ১২৯ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন। গড়ে প্রতি ম্যাচে দুইয়ের বেশি উইকেট পাওয়া এই তালিকায় একমাত্র বোলারও তিনি।
সে ম্যাচে পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান করে। এভিন লুইস ৬০, শাই হোপ ৫৫ এবং রোস্টন চেজ ৫৩ রান করেন। শাহীন ৪ উইকেটের পাশাপাশি নাসিম শাহ নেন ৩ উইকেট।
জবাবে পাকিস্তান ৪৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। বাবর আজম করেন ৪৭, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৩, আর ম্যাচসেরা হাসান নওয়াজ ৫৪ বলে অপরাজিত ৬৩ রান করেন। হুসেইন তালাতও অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। একসময় ১৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও নওয়াজ ও তালাত জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলকে।
মন্তব্য