“আমরা নিঃসন্দেহে হাসিনার জাহেলি আমল থেকে ভালো আছি, নিরাপদ আছি”

ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্টডক্টরাল ফেলো এবং উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. সিব্বির আহমদ নিউইয়র্কভিত্তিক টাইম টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে “জুলাই বিপ্লবের এক বছর: আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” নিয়ে কথা বলেছেন। পরে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সংক্ষেপে ওই আলোচনার মূল বক্তব্য শেয়ার করেন।
ড. সিব্বির বলেন, “আমরা নিঃসন্দেহে হাসিনার জাহেলি আমল থেকে এখন অনেক বেশি ভালো আছি, নিরাপদ আছি। কিন্তু যে স্বপ্ন, যে প্রত্যাশা নিয়ে এই পরিবর্তন এসেছিল—সেসবের অনেকটাই এখনও অপূর্ণ রয়ে গেছে।”
তিনি চারটি প্রধান বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেন—
১) আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া
২) বিচারের কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়া
৩) প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়া
৪) এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- ডিআওয়ামীফিকেশনের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে ফ্যাসিবাদী এলিমেন্টগুলো দূর করার প্রক্রিয়া শুরু না করা।
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

ডেস্ক রিপোর্ট: জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করছে। যা ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরো ভালো করছে। তাই ব্যবহারকারীদের কথা ভেবে সম্প্রতি নতুন আপডেট এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এ ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজে ভুয়া সংবাদ বা মিথ্যা ছবি শনাক্ত করতে পারবেন। এমনকি সেগুলোর আসল উৎস সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই অ্যান্ড্রয়েডে বিটা টেস্টিং ফিচার শুরু করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই টিপস্টার এই ধাপগুলো ভাগ করে নিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট স্ক্রিনের একদম উপরে ডান দিকে একটি নতুন থ্রি-ডট মেন্যু অপশন পাওয়া যাবে। যেকোনো ছবিতে ব্যবহারকারীকে ক্লিক করতে হবে। আর এরপর গুগলের জন্য সার্চ অন দ্য ওয়েব অপশনে ক্লিক করতে হবে। আর এভাবেই প্রকৃত ছবির ডাটাবেসে প্রবেশের সুযোগ পাওয়া যাবে।
এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা জানতে পারবেন এই টুলের সাহায্যে আরো তথ্য অনুসন্ধান করলে শুধুমাত্র এই নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু অথবা মেসেজটি গুগলে আপলোড হয়ে যাবে। এই চ্যাট অবশ্য শেয়ার বা স্টোর করে রাখতে পারবে না হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীরা সার্চ বাটনে ক্লিক করতে পারেন। পরিচিত কারো শেয়ার করা নির্দিষ্ট কোনো ছবি নিয়ে মনে কোনো প্রশ্ন কিংবা দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকলে তা সহজেই জেনে নিতে পারেন
ফেসবুককে ইলন মাস্কের খোঁচা!

প্রায় দেড় ঘণ্টা নিষ্ক্রিয় ছিল মেটার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত ৯টার পর থেকে সাড়ে ১০টার পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় ছিল সামাজিক মাধ্যমটি।
এ নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক নিজের আইডি ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিশ্বজুড়ে শুরু হয় হইচই।
এ অবস্থায় ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করতে এক্সে একটি পোস্ট করেন মেটার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর অ্যান্ডি স্টোন। তিনি লেখেন, ‘আমাদের পরিষেবা ব্যবহার করতে মানুষের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।’
কিছু সময় পর তার পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে মেটাকে খোঁচা দিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করেন এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। মাস্কের পোস্ট করা ছবিতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস মাথায় হাত দিয়ে থাকতে দেখা যায়। আর ফুরফুরে মেজাজে দেখা যায় এক্সকে।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের কোথাও কেউ ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে প্রবেশ করতে পারছে না। এই দুটি মাধ্যমের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস উভয়ই অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
ওয়াইফাই স্লো? স্পিড বাড়িয়ে নেবেন যেভাবে

অনেকেই বাসায় বসে কমবেশি অফিসের কাজ করে থাকেন। বাসায় বসেই অফিসের জরুরি মিটিংয়ে যোগ দেন অনেকেই। অনেক সময় দেখা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে মিটিং শুরু হবে এরই মধ্যে হঠাৎই ওয়াইফাইয়ের গতি ধীর (স্লো) হয়ে গেল। জুম মিটিং তো দূরের কথা, হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজই যাচ্ছে না।
বিভিন্ন সময়ে এ সমস্যার মুখোমুখি অনেকেই হয়েছেন। এর মূল কারণ হলো রাউটার। রাউটারের কারণেই ইন্টারনেটের গতি শ্লথ হয়ে যায়। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ করার সময় হঠাৎ এমন হলে খুবই অসুবিধা হয়। তবে সহজ কিছু টোটকা কাজে লাগিয়ে বাড়িয়ে নিতে পারেন ওয়াইফাইয়ের গতি। জেনে নিন সে টোটকাগুলো:অনলাইন কেনাকাটায় নকল ওয়েবসাইট চিনবেন যেভাবে

মেসেজিং কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া স্ত্রোল করছেন। আবার ভিডিও দেখা কিংবা বই পড়ার জন্য হাতে আছে স্মার্টফোনটি। বলা যায় নিত্যসঙ্গী এখন স্মার্টফোন। এখন অনেকেই অনলাইন কেনাকাটা করেন।
করোনার সময় থেকে অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে গেছেন অনেকেই। আবার মার্কেটে গিয়ে ঘুরে দেখে কেনার সময়ও থাকে না। তবে অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণার ঘটনাও খুব সাধারণ। প্রতারকরা নকল ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণা করছে ক্রেতাদের সঙ্গে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে নকল ওয়েবসাইট চিনবেন-
>> প্রথমেই অ্যাড্রেস বার চেক করুন। প্রথমেই অ্যাড্রেস বারের শুরুতে https:// আছে কি না দেখে নিন। https://-এ ‘S’ এর অর্থ সিকিউর। অর্থাৎ ‘S’ থাকলে বুঝে নিন ওয়েবসাইটটি সঠিক।
>> ওয়েবসাইটে প্যাডলক বা তালা চিহ্ন আছে কি না দেখে নিন। ওয়েবসাইটে প্যাডলক থাকার অর্থ হলো ওয়েবসাইটটি সুরক্ষিত।অ্যাড্রেস বারের উপরের বাঁ দিকে লকটি দেখতে পাবেন।
>> একটু খেয়াল করলেই দেখবেন স্ক্যামাররা বড় বড় ডিসকাউন্ট অফার দেয় তাদের স্টোরে। সেগুলো আবার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে প্রচারও করা হয়। মানুষ সেই প্রচার দেখে তাদের ওয়েবসাইটে ঢোকে। তাই যখনই বিরাট কোনো অফার দেখবেন এড়িয়ে যাবেন।
>> ইউআরএলের বানান চেক করুন। কোনো বানান ভুল আছে কি না দেখে নিন। নকল সাইট চেনার আরও একটি উপায় হল, ইউআরএলের বানান ভুল।
>> অনলাইন রিভিউ দেখে নিন। কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করার আগে গুগলে তার রিভিউ দেখ নিন।যে কোনো ওয়েবসাইটের অনলাইন রিভিউ জানার জন্য গুগলে গিয়ে ‘রিভিউস ফর (সাইটের নাম)’ সার্চ করুন। সেখানেই এর বিভিন্ন ধরনের রিভিউ পাবেন। খারাপ রিভিউ দেখলে ওয়েবসাইটটি এড়িয়ে যান।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও
মন্তব্য