ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫ ১ ভাদ্র ১৪৩২
 
শিরোনাম

ছাত্রশিবিরে কেউ দখল–চাঁদাবাজির জন্য আসে না: নুরুল ইসলাম সাদ্দাম

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২৬
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
ছাত্রশিবিরে কেউ দখল–চাঁদাবাজির জন্য আসে না: নুরুল ইসলাম সাদ্দাম

ছাত্রশিবিরে কেউ লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা টেম্পুস্ট্যান্ড দখলের জন্য আসে না। এখানে যোগ দিয়ে এসব কাজ করা সম্ভবও নয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরে সবাই নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার জন্যই আসে।


শনিবার (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত "ফ্রেশার রিসিপশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডলাইন" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।


তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানবিক মানুষ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এদেশের প্রকৃত অভাব যোগ্য ও সৎ নেতৃত্বের। ইসলামী ছাত্রশিবির সেই নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন সৎ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রশাসন বারবার ছাত্রশিবিরকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—ছাত্রশিবির কখনো শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ হবে না।”


তিনি আরও বলেন, “ছাত্রশিবিরে কাউকে জোর করে যোগদান করানো আমাদের লক্ষ্য নয়। একজন সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ছাত্রসমাজকে গড়ে তোলাই আমাদের কাজ।”


অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রশিবিরের আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি ছিল আন্তর্জাতিক মানের। বিভিন্ন স্কলারদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।


প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আয়োজিত এ নবীনবরণে প্রায় ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০০ জন ছাত্রী ছিলেন। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও উপহার প্রদান করা হয়।


চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাহিত্য সম্পাদক সাঈদ বিন হাবিব ও শিক্ষা সম্পাদক মোনায়েম শরীফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ইরাসমাস মন্ডুস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আশিকুর রহমান। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমিন।


এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্ল্যা পাটওয়ারী ও ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয় : সালাহউদ্দিন

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৯
    অনলাইন ডেস্ক
    যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয় : সালাহউদ্দিন

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এবারও বিতর্কিত নির্বাচন হলে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, যারা নানান অজুহাতে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়।


    শনিবার (১৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।


    সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া, তার নির্দেশনায় কাজ করছে বিএনপি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর দেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খালেদা জিয়া। বেগম জিয়াই পরামর্শ দিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথকে সহজ করতে।


    বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিএনপি অপেক্ষা করছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে।


    তবে নির্বাচন নিয়ে তিনি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াবে। গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টিকারীরা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের শক্তি নয়।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে: বদিউল আলম

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫
      অনলাইন ডেস্ক
      নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে: বদিউল আলম

      আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।


      তিনি বলেছেন, সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এখন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, সেটা সরকার ও নির্বাচন কমিশন আইনি প্রক্রিয়ায়ই সিদ্ধান্ত নেবে। আর আওয়ামী লীগ ছাড়া আগামী নির্বাচন অন্তর্ভূক্তিমূলক হবে কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে।


      শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।


      ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।


      আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো অনিশ্চয়তা দেখছেন না জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারও আন্তরিকভাবেই নির্বাচনের পথেই এগুচ্ছে। আশা করছি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 


      আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, সবাই যার যার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। দেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে। 


      বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থাই তাকে স্বৈরাচারের পরিণত করেছে। এজন্যই সংস্কার পরিবার প্রয়োজন। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরনো ব্যবস্থায় চললে নির্বাচন আবারও বিতর্কিত হবে। স্বৈরাচার সৃষ্টির পথ থেকে যাবে।


      অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলেও দল, প্রার্থী ও ভোটারদের দায়িত্বশীল ভূমিকা ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। কেন্দ্র দখল, প্রতিপক্ষের এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে ৪০ হাজার কেন আরো বেশি বডি ক্যামেরা কিনে নিরাপত্তা জোরদার করলেও গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তাই যেকোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, ভোটার ও প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নিরপেক্ষ না থাকলে আমরা আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার যে স্বপ্ন দেখছি তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে পারে। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রধান স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দলগুলো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।


      তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় ঘোষণা হলেও জুলাই সনদ চূড়ান্ত হয়নি। সনাতন না পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে তা নিয়ে এখনো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ শেষ হয়নি। এ অবস্থায় জুলাই সনদে স্বাক্ষরসহ আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নতুনভাবে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচন যদি সঠিক সময়ে করা সম্ভব না হয় তাহলে দেশ এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। তাই গণতন্ত্র, দেশ ও জাতির স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে যার যার অবস্থান থেকে ছাড় দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের গতিকে বেগবান করা উচিত।


      তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে স্বৈরাচার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। পাল্টাপাল্টি দোষারোপের রাজনীতি বর্জন করে নেতাদের বক্তব্যে শালীনতা বজায় রাখতে হবে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ তৈরি করা যাবে না। যদি আগামী নির্বাচন আয়োজন নিয়ে এই বিভেদ ও মতবিরোধ বাড়তে থাকে তাহলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি হবে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বিভেদের সুযোগ নিয়ে পরাজিত শক্তি দেশে অরাজকতা তৈরি করতে পারে। তবে কেউ কেউ দেশে ১/১১ ও গৃহযুদ্ধের যে জুজুর ভয় দেখাচ্ছে তা অমূলক। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও ফ্যাসিবাদ ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দল ও শক্তি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।


      এর আগে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই প্রধান শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি দল বিজয়ী হয়।


      এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক জাকির হোসেন লিটন ও সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর।


      প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।


      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ : শিবির সভাপতি

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:২৬
        অনলাইন ডেস্ক
        সংস্কার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ : শিবির সভাপতি

        রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, গত ১৫ বছরের দমন-পীড়ন, স্বৈরশাসন ও ফ্যাসিবাদের কাঠামো ভেঙে নতুন পরিবর্তনের যাত্রা শুরুর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ক্ষমতার লোভে সংস্কার এজেন্ডা থেকে সরে এসেছে।


        শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে রংপুর মহানগর ছাত্রশিবির আয়োজিত এসএসসি ও দাখিল সমমান পরীক্ষায় জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


         

        জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে গত এক বছরে যে সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের কথা ছিল, তা হয়নি। বরং আমরা দেখেছি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আন্তরিকতার ঘাটতি। জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, স্থায়ী পরিবর্তনের যে দাবি ছিল, তা উপেক্ষিত হয়েছে।


        তিনি আরো বলেন, অতিমাত্রায় ক্ষমতালোভী মানসিকতা আমাদের জাতীয় অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।


        দেশের সাধারণ মানুষ এখন চায়— বাংলাদেশ স্থায়ী পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাক। কিন্তু সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলো বাস্তবে সেই সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।

        অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলার সাবেক আমির রংপুর-৩ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক মাহবুবার রহমান বেলাল ও জেলা মহানগর জামায়াত ও মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি নুরুল হুদাসহ শিবিরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

        মন্তব্য

        বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি : হান্নান মাসউদ

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৩৪
        অনলাইন ডেস্ক
        বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি : হান্নান মাসউদ

        বর্তমান সংবিধানের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।


        শুক্রবার ( ১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।


        আবদুল হান্নান মাসউদ অভিযোগ করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সব রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করেছেন, যাতে তিনি ‘সেইফ এক্সিট’ নিতে পারেন। এতে অন্যান্য দলের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।


        তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা সবাই দেশদ্রোহী হয়ে থাকব। সরকার আমাদের ফাঁসিতে ঝোলাতে চায়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই জুলাইয়ের সবচেয়ে বড় গাদ্দার।


        এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১০৬ অনুচ্ছেদের অধীনে শপথ নিলেও সেখানে নির্বাচনের দায়িত্বের কথা নেই। পরে রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজি করিয়ে ওই অনুচ্ছেদে নতুন বিধি যোগ করে নির্বাচন দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


        তিনি প্রশ্ন তোলেন, অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, এবারও কি সেইভাবে নির্বাচন হবে? গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি মেনে না নেওয়া এবং জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে না এনসিপি।


        ‘জুলাই বিপ্লবী ছাত্র-জনতা’ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জুলাইয়ের পক্ষে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।


        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য
          সর্বশেষ সংবাদ
            সর্বাধিক পঠিত