আবু সাঈদদের ২০০ বছর পরও স্মরণ করবে মানুষ: মাহমুদুর রহমান

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে যারা উৎখাত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শহিদদের আমরা কখনো ভুলব না। আজ থেকে ২০০ বছর পরও আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ যারা এ আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের তিতুমীরের মতো স্মরণ করবে মানুষ। তাদের ভুলে যাওয়া কখনো সম্ভব না।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় তুরস্ক থেকে দেশে ফিরে শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে এবং একটি মামলায় আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে দিয়ে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে। আমার বয়স হয়ে গেছে। তবে জেল খাটার মতো মানসিক শক্তি আমার এখনো আছে। জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর আরও বড় পরিসরে সবাইকে নিয়ে লড়াই করব।
বিদেশে বসে বিদেশি বন্ধুদের দিয়ে বিপ্লবকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান।
আওয়ামী সরকারের সময় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুনে প্রথমে দফায় আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আবারও দ্বিতীয় দফায় আমার দেশ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। পরবর্তীতে সাজানো এক মামলায় মাহমুদুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শিবির রগ কাটে মন্তব্যে যা বললেন শিবির সেক্রেটারি

ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সাদিক মো. কায়েম এবং সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের আত্মপ্রকাশের পর ভার্চুয়াল জগৎসহ নানা জায়গায় তৈরি হয় আলোচনা সমালোচনা। শিবিরের নেতৃবৃন্দের কাছে করা হয় নানা প্রশ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ শিবির নিয়ে সকল প্রশ্ন এবং সমালোচনার জবাবে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করেন।
শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতি অপছন্দের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্যমান চিন্তাভাবনা ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের অপকর্মের ফলাফল। শিক্ষার্থীরা ১৫ বছর ধরে ছাত্ররাজনীতি যেমন দেখে আসছে ছাত্ররাজনীতি বলতে তাই ধরে নিচ্ছে। আগামী দিনে ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করবে না। প্রশাসনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিদ্ধান্ত নিবে। ছাত্ররাজনীতিকে যদি সঠিক ভাবে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা যায় তাহলে তারা খুব সহযেই গ্রহণ করে নিবে বলে বিশ্বাস এস এম ফরহাদের।
শিবির রগ কাটে এমন মন্তব্যে এস এম ফরহাদ বলেন, আপনার একটু সার্চ করে দেখবেন, শিবিরের সংশ্লিষ্টতা এমন কিছুর সাথে খুঁজে পান কিনা। ফ্যাসিবাদ সরকার ১৫ বছর ধরে এমন একটি নেরেটিভ দাঁড় করিয়েছে,যা সমর্থন না করলেও বিরোধিতা করার সুযোগ কারো ছিল না। যার ফলে এই নেরেটিভ অনেকের মনেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।
ছাত্রশিবিরকে শেখ হাসিনা সরকার এতো বেশি প্রতিরোধ কেন করেছে এ প্রশ্নের জবাবে এস এম ফরহাদ বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েমের পথে যাদেরকেই হাসিনা সরকার বাধা মনে করেছে তাদেরকে পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ড থেকে শিবিরের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার এরই ধারাবাহিকতা।
শিবিরের আত্মপ্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা কীভাবে দেখছে এবিষয়ে এস এম ফরহাদ বলেন হলের ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী আমাদেরকে পজিটিভলি নিচ্ছে। হলের শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে বিগত বছর গুলোতে নিকট থেকে দেখার এবং যাচাই - বাছাই করার সুযোগ পেয়েছে। যার ফলে ফ্যাসিবাদের তৈরিকৃত শিবির ভীতি ক্রমেই দূর হচ্ছে।
কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শীগ্রই প্রকাশ করা হবে। সদস্যদের সরাসরি ভোটে কমিটির সদস্যরা নির্বাচিত হয় বলে জানান তিনি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল দল আন্দোলন করেছে। অনুরূপভাবে আগামী দিনেও রাজনীতির মাঠে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আশাবাদী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ।
শেখ পরিবার ভদ্রতা-শিষ্টাচারের কালচার শেখেনি: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ পরিবার ভদ্রতা-শিষ্টাচারের কালচার শেখেনি, তাদের মধ্যে আছে শুধু দৃষ্টতা, ঔদ্ধত্য আর নিজেদের অহঙ্কার। এসব করতে গিয়ে তখনই তাদের পতন হয়েছে অত্যন্ত ভয়াবহভাবে। আমরা কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতেই বলেছি— তার পতন হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। উনি (শেখ হাসিনা) কানে লাগাননি, গ্রাহ্য করেননি। জনগণ ধেয়ে এসে তার সাধের গণভবনের দিকে যাবে কল্পনাই করতে পারেননি। এটা তিনি কল্পনা করতে পারেননি বলেই আজকে তার ময়ূরের সিংহাসন মাটিতে লুটে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহিদ সৈকত চন্দ্র দে এবং শহিদ পারভেজের পরিবারের প্রতি তারেক রহমানের নির্দেশে সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় সুদূর আটলান্টিকের পাড় থেকে মাঝে মাঝে দু-একটা বাণী ছাড়েন। এর আগে কত কথাই তো তিনি বলেছেন। আমি শুধু এখন এই কথাটাই বলব— শেখ হাসিনা আপনার তো সন্তান দুজন— একটা ছেলে, একটা মেয়ে। আপনি কিন্তু তাদের ভদ্রতা-শিষ্টাচারের কালচার শেখাননি। এই সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তুই বলে সম্বোধন করেছেন তার কয়েকটি বক্তৃতায়। আমরা কিন্তু এত বর্বরোচিত আচরণের পরও কখনো শেখ হাসিনাকে তুই বলে সম্বোধন করিনি। আপনি বলেই সম্বোধন করেছি সবসময়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই যে জুলাই বিপ্লব এই বিপ্লবে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে শেখ হাসিনা। স্কুল-কলেজের কত মাছুম বাচ্চার জীবন কেড়ে নিলেন। তার পরও তার কোনো বিকার নেই, তার প্রতিহিংসা কিন্তু এখনো রয়েছে— দুই তিন দিন আগে বগুড়ার শিশুশিক্ষার্থী রাতুল মারা গেল ৪৫ দিন ধুঁকতে ধুঁকতে। শেখ হাসিনার বর্বর হিংসা, রক্ত ঝরানোর হিংসা তার প্রতিফলন এখনো কিন্তু আমরা দেখছি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কতই না কথা বলেছেন। তারা বলেছিলেন— শেখ হাসিনা না থাকলে বীভৎসতা বাংলাদেশে দেখা যাবে। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন— শেখ হাসিনা না থাকলে একদিনে ১ লাখ লোক মারা যাবে। আরেকদিন বলেছিলেন— ১০ লাখ লোক মারা যাবে। ৫ আগস্ট তার পতন হয়ে গেল শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেন কই কিছুই তো হলো না। একজন আওয়ামী লীগের ওপরও তো হামলা করা হয়নি। এই কথাগুলো বলে তারা শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছিল। কারণ শেখ হাসিনা টিকে থাকলে টেলিভিশনের মালিক হওয়া যায়, রেডিওর মালিক হওয়া যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক হওয়া যায় এবং জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করা যায়।
সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা জনগণের পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা যতটুকু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি, এটা ছাত্র-জনতার আন্দোলন তাদের আত্মত্যাগের কারণে, তাদের জীবন উৎসর্গের কারণে এবং এর সাথে সেনাবাহিনীর যে সমর্থন ছিল এটা অনেকটাই কাজে লেগেছে।
তিনি বলেন, দেশটা একেবারেই পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়েছিল শেখ হাসিনা। সে, তার বাবা, তার পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যেত না। তার ঘনিষ্ঠ লোকজনরা লুটপাট করলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলা যেত না। জ্বালানি নেই কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো কার— শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ লোকজনের, তার আত্মীয়স্বজনের। জনগণের পকেট কেটে পকেটমার শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা, লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই কারণেই তিনি আন্দোলনের কথা শুনলেই আন্দোলনকারীদের ওপর বর্বর আক্রমণ চালিয়েছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার'র উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, আমরা বিএনপি পরিবারের কৃষিবিদ মিথুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমান মনির, আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে রচিত ‘খালেদা জিয়া: এ বায়োগ্রাফি অব ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ইংরেজিতে বইটি লিখেছেন অধ্যাপক কাজী কাইউম শিশির।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন ও গ্রন্থের ওপর আলোচনা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদিন ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ।
বইটি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে বক্তারা বলেন, এই বইটিতে এমন কিছু আছে যেগুলো আগামী প্রজন্ম যেন জানতে ও শিখতে পারে সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তাদের দশম- একাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে যোগ করতে পারে। এই প্রজন্ম জানে না দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বৃত্তান্ত। কীভাবে তিনি রাজনীতিতে আসলেন, কী করেছেন।
বিশেষ বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ড. খালেকুজ্জামান। আরো বক্তব্য রাখেন- নাট্যব্যক্তিত্ব আজিজ আহমেদ ও প্রফেসর আতাউর রহমান প্রমুখ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ডেমোক্রেসির যে একটা বায়োগ্রাফি আছে, সেটাই এই বইটা।
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদিন বলেন, বইটিতে সুন্দর করে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন লেখক। গেল ১৫ বছর আমাকে মূক ও বধির করে রাখা হয়েছিল।বইটি প্রশংসিত, অনেক অজানা তথ্য এই বইটিতে রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে আমাদের আরও ভালো সম্পর্ক হবে: ফখরুল

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি মনে করি— বরফ গলতে শুরু করেছে। আশা করি এই সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিশ্বাস করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রণয় ভার্মার সঙ্গে হওয়া এই বৈঠক উভয় দেশকে অনেক ইতিবাচক দিকে নিয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে গত নির্বাচনের পর থেকেই আমাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এবার আমাদের অফিসে (ভারতের) হাইকমিশনার আসায় অবশ্যই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বরফ গলতে শুরু করেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সবসময়ই খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। অবশ্যই এটি টার্নিং পয়েন্ট।
মির্জা ফখরুল বলেন, তার দল ভারতকে আশ্বস্ত করেছে যে— ক্ষমতায় এলে তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে ব্যবহার করতে দেবে না। যদিও অতীতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা পানি ভাগাভাগি সমস্যা, সীমান্ত হত্যা, বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার কথা উল্লেখ করেছি। একই সময়ে, ভারতের প্রধান ইস্যু ছিল নিরাপত্তা সমস্যা। আমরা আশ্বস্ত করেছি, আমরা ক্ষমতায় থাকলে, আমরা নিশ্চিত করব— এই ভূখণ্ডটি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ব্যবহার করবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি মনে করি— বরফ গলতে শুরু করেছে। আশা করি এই সম্পর্ক আরও ভালো হবে।
মন্তব্য