ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি

অনলাইন ডেস্ক
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫৩
অনলাইন ডেস্ক
আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি

আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।


বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


সাংবাদিকরা বিস্তারিত জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত আপনারা রোডম্যাপেই জানতে পারবেন।


প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, এ বিষয়ে আরো আলোচনা বাকি আছে। আলোচনার পর সাংবাদিকদের অবহিত করা হবে।


তিনি আরো জানান, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত ৩১৮টি আবেদন পেয়েছে কমিশন, যা যাচাই-বাছাই চলছে।


এর আগে গত ৭ আগস্ট সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ।


বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘সভার শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- ৫ আগস্ট আমার প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ থেকে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।’


প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ১৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা, টার্গেট যেসব জেলা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৭
    অনলাইন ডেস্ক
    ১৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার আশঙ্কা, টার্গেট যেসব জেলা

    শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীকে সামনে রেখে ১৫ আগস্ট ঘিরে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া নাশকতার আশঙ্কা মোকাবিলায় কঠোর ও সর্বাত্মক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের সাতটি জেলা এবং দুটি মহানগর এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন সরকারের উচ্চপর্যায় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।


    এরই অংশ হিসাবে বুধবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ সভা হয়। আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সাত জেলার এসপি, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং সব রেঞ্জের ডিআইজি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার সভায় যুক্ত না হলেও তার পক্ষে ছিলেন একজন অতিরিক্ত কমিশনার। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।


    সূত্র জানায়, যেসব স্থানে নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেগুলো হলো—ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা। এসব জেলার এসপি এবং মেট্রোপলিটন কশিনারকে বিশেষ নির্দেশনা দেন আইজিপি। 


    বলা হয়, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। ব্যাপক ধরপাকড় চালাতে হবে। এমনভাবে নিরাপত্তা ছক আঁকতে হবে, যাতে কেউ কোনো ধরনের অপকর্মের সুযোগ না পায়। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান আরও জোরদার করার পাশাপাশি শিক্ষক অন্দোলনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার নির্দেশ দেন আইজিপি। দাবি আদায়ের আন্দোলনের নামে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না পান।


    পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ডিআইজি যুগান্তরকে বলেন, সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। শিক্ষকদের সমাবেশের বিষয়টিও উঠে এসেছে আলোচনায়। নিরাপত্তার প্রশ্নে গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা, চট্টগ্রাম এবং লালমনিরহাট জেলাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


    এসব এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে বলা হয়েছে। এ কারণে ব্রিফিংয়ে সব জেলার এসপিকে যুক্ত না করে কেবল সাত জেলার এসপিকে যুক্ত করা হয়েছে।


    ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া একজন এসপি যুগান্তরকে বলেন, কোনো মামলার আসামি যেন গ্রেফতারের বাইরে না থাকে, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। ১৫ আগস্ট ঘিরে কোথায়, কীভাবে ফোর্স মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়ারেন্টভুক্ত সব আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। কোন এসপি এবং কোন মেট্রেপলিটন কমিশনার ইতোমধ্যে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন, সে বিষয়টিও অবগত করা হয় আইজিপিকে। 


    সভায় জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের ৫ হাজার ৭৫৩টি অস্ত্র লুট হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৩৬৩টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এছাড়া গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ রাউন্ড। লুট হওয়া ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭২০ রাউন্ড গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। দ্রুত এগুলো উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।


    সভায় আর কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে ওই এসপি বলেন, পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। এই নিয়োগ যাতে যথানিয়মে হয়, সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। কেআইজিপি। কেউ যেন দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন, এ বিষয়টিও খেয়াল রাখতে বলেছেন।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ‘আমার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ঘুষ খেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫৫
      অনলাইন ডেস্ক
      ‘আমার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ঘুষ খেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’

      হজ ওমরা নিয়ে তার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা যদি এক টাকাও ঘুষ খায়, তাহলে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।


      বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।


      ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কোনো স্টাফ যদি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়, কোনো এজেন্সির কাছ থেকে টাকা দাবি করে তাহলে আমাদের জানাবেন আপনারা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।


      তিনি বলেন, হজ এজেন্সির এক মালিক ৩ হাজার বিড়ি নিয়ে গেছেন সৌদি আরবে। আসার সময় প্রায় আড়াই কেজি সোনা নিয়ে ধরা খেয়েছেন। অনেক এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট লোকজন ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। নিষ্ক্রিয় এজেন্সিগুলোকে সরকার বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।


      উপদেষ্টা বলেন, সৌদির সরকারি ক্যাটারিং সার্ভিসের খাবার বাদ দেওয়ার দাবি ও মুজদালিফায় টয়লেট ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে অনুরোধ করবে ঢাকা। এ বছরের মতো ২০২৬ সালেও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


      ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকে হজকে মুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও হজ ফ্লাইটের বিমান ভাড়া নিয়ে বৈঠকে বসলে হাবের প্রতিনিধিদেরও সেখানে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        হাসিনার নির্দেশে ইয়াকুব-ইসমামুলকে হত্যা করা হয়

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১১:১৩
        অনলাইন ডেস্ক
        হাসিনার নির্দেশে ইয়াকুব-ইসমামুলকে হত্যা করা হয়

        জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জবানবন্দিতে শহীদ ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা আড়াইটার দিকে লোকজন আমার ছেলের লাশ খাটিয়ায় করে গলির ভেতর নিয়ে আসে। ছেলের শরীর থেকে তখনো খাটিয়া বেয়ে অনেক রক্ত পড়ছিল। তারপর কাপড় সরিয়ে দেখি, পেটে গুলি লেগে পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে। ভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে, রক্ত পড়া থামছে না।’ ছেলের মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এদিকে অপর সাক্ষী শহীদ আহম্মেদ তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনেছেন।


        এদিন শহীদ ইয়াকুবের (৩৫) চাচা নাজিমুদ্দিন রোডের শহীদ আহম্মেদ (৪০) ও শহীদ ইসমামুল হকের (১৭) ভাই চট্টগ্রামের মহিবুল হক (২১) সাক্ষ্য দেন। ইয়াকুব ছিলেন ঢাকার নিউমার্কেটের একটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান। তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে মিলি গলির বাসিন্দা। পরে সাক্ষীদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। 


        এ নিয়ে মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ বুধবার এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। মামলায় আটজন আসামির মধ্যে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল পলাতক। আর গ্রেফতার আছেন শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। বুধবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।


        আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী কুতুব উদ্দিন আহমেদ শুনানি করেন।


        মা রহিমা বলেন, ‘আমার ছেলে ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল নাজিমুদ্দিন রোডে আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। খবর শুনে আমি চিৎকার করে বের হয়ে গলিতে যাই। মহল্লার লোকজন আমাকে যেতে দেয়নি। আমাকে জানায় আমার ছেলে সুস্থ আছে। তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ছেলের বয়স ছিল ৩৫ বছর। প্রতিবেশীরা কান্নাকাটি শুরু করলে আমার সন্দেহ হয়, আমার ছেলের কিছু হয়েছে। বেলা ২টার দিকে দেখি আমার ছেলের লাশ খাটিয়ায় করে গলির ভেতর নিয়ে আসে। শহীদসহ (প্রতিবেশী) অনেকেই ছিল। ছেলের শরীর থেকে তখনো রক্ত পড়ছিল। কাপড় সরিয়ে দেখি ভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে, রক্ত পড়া থামছে না।’ তিনি জানান, তিনি পরবর্তী সময়ে টিভি নিউজ, ভিডিও এবং বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেন যারা গুলি করেছে, তারা ছাপা কাপড়ের পোশাক পরিহিত ছিল। পুলিশের গুলিতে তার ছেলে পড়ে যান। প্রতিবেশী শহীদ এই দৃশ্য তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। রহিমা ছেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং নির্দেশদাতা সবার বিচার চান। এ সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম বলেন নির্দেশদাতা হিসাবে।


        চিকিৎসকরা তার ভাইয়ের ময়নাতদন্ত করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে ইসমামুলের লাশ নিয়ে চট্টগ্রামে নিজ বাড়িতে যাই। ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় রওয়ানা দিয়ে রাত ২টায় চট্টগ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছি।’ পরদিন জানাজা শেষে ইসমামুলের মরদেহ নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে মহিবুল ট্রাইব্যুনালকে জানান।


        সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, এডিসি আক্তারুল ইসলাম, ইমরুল এবং আরশাদের নির্দেশে সুজন হোসেন, নাসিরুল ইসলাম, ইমাজ হাসান ইমনসহ আরও অনেকে গুলি করেছেন বলে তিনি তার সাক্ষ্যে বলেন। ভাইয়ের হত্যাকারী এবং নির্দেশদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন মহিবুল।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৫৮
          অনলাইন ডেস্ক
          শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি

          ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবর চিঠি দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।


          আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে নরেন্দ্র মোদি বরাবর ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় এ চিঠি দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।


          চিঠিতে বলা হয়, ভারতের জনগণকে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যাত্রা শুরু করে, যখন ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ লুট করে। শুরু থেকেই ভারত বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্য হিসেবে দেখতে চেয়েছিল, যা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।


          চিঠিতে আরো বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ভারত দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছে। অবৈধভাবে ভারত বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। উপরন্তু ভারত তার নিজেদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট রুট ও করিডর ব্যবহার করেছে।


          এসব কিছুর ওপরে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অননুমোদিতভাবে বাংলাদেশের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করেছে—এটি একটি অনৈতিক কাজ, যা আপনার দেশের জন্য লজ্জাজনক বলেও চিঠিতে বলা হয়।


          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত