ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

‘আমার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ঘুষ খেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’

অনলাইন ডেস্ক
১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৫৫
অনলাইন ডেস্ক
‘আমার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা ঘুষ খেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে’

হজ ওমরা নিয়ে তার মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা যদি এক টাকাও ঘুষ খায়, তাহলে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।


বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হজ ও ওমরাহ ফেয়ার ২০২৫’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।


ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কোনো স্টাফ যদি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়, কোনো এজেন্সির কাছ থেকে টাকা দাবি করে তাহলে আমাদের জানাবেন আপনারা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।


তিনি বলেন, হজ এজেন্সির এক মালিক ৩ হাজার বিড়ি নিয়ে গেছেন সৌদি আরবে। আসার সময় প্রায় আড়াই কেজি সোনা নিয়ে ধরা খেয়েছেন। অনেক এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট লোকজন ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। নিষ্ক্রিয় এজেন্সিগুলোকে সরকার বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।


উপদেষ্টা বলেন, সৌদির সরকারি ক্যাটারিং সার্ভিসের খাবার বাদ দেওয়ার দাবি ও মুজদালিফায় টয়লেট ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে অনুরোধ করবে ঢাকা। এ বছরের মতো ২০২৬ সালেও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছ থেকে হজকে মুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও হজ ফ্লাইটের বিমান ভাড়া নিয়ে বৈঠকে বসলে হাবের প্রতিনিধিদেরও সেখানে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    হাসিনার নির্দেশে ইয়াকুব-ইসমামুলকে হত্যা করা হয়

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ১১:১৩
    অনলাইন ডেস্ক
    হাসিনার নির্দেশে ইয়াকুব-ইসমামুলকে হত্যা করা হয়

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জবানবন্দিতে শহীদ ইয়াকুবের মা রহিমা আক্তার বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা আড়াইটার দিকে লোকজন আমার ছেলের লাশ খাটিয়ায় করে গলির ভেতর নিয়ে আসে। ছেলের শরীর থেকে তখনো খাটিয়া বেয়ে অনেক রক্ত পড়ছিল। তারপর কাপড় সরিয়ে দেখি, পেটে গুলি লেগে পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে। ভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে, রক্ত পড়া থামছে না।’ ছেলের মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এদিকে অপর সাক্ষী শহীদ আহম্মেদ তার জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় পুলিশের পোশাক পরিহিত লোকদের হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শুনেছেন।


    এদিন শহীদ ইয়াকুবের (৩৫) চাচা নাজিমুদ্দিন রোডের শহীদ আহম্মেদ (৪০) ও শহীদ ইসমামুল হকের (১৭) ভাই চট্টগ্রামের মহিবুল হক (২১) সাক্ষ্য দেন। ইয়াকুব ছিলেন ঢাকার নিউমার্কেটের একটি প্রতিষ্ঠানের ডেলিভারিম্যান। তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজের পাশে মিলি গলির বাসিন্দা। পরে সাক্ষীদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। 


    এ নিয়ে মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ বুধবার এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। মামলায় আটজন আসামির মধ্যে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল পলাতক। আর গ্রেফতার আছেন শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। বুধবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।


    আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী কুতুব উদ্দিন আহমেদ শুনানি করেন।


    মা রহিমা বলেন, ‘আমার ছেলে ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল নাজিমুদ্দিন রোডে আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। খবর শুনে আমি চিৎকার করে বের হয়ে গলিতে যাই। মহল্লার লোকজন আমাকে যেতে দেয়নি। আমাকে জানায় আমার ছেলে সুস্থ আছে। তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ছেলের বয়স ছিল ৩৫ বছর। প্রতিবেশীরা কান্নাকাটি শুরু করলে আমার সন্দেহ হয়, আমার ছেলের কিছু হয়েছে। বেলা ২টার দিকে দেখি আমার ছেলের লাশ খাটিয়ায় করে গলির ভেতর নিয়ে আসে। শহীদসহ (প্রতিবেশী) অনেকেই ছিল। ছেলের শরীর থেকে তখনো রক্ত পড়ছিল। কাপড় সরিয়ে দেখি ভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে, রক্ত পড়া থামছে না।’ তিনি জানান, তিনি পরবর্তী সময়ে টিভি নিউজ, ভিডিও এবং বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেন যারা গুলি করেছে, তারা ছাপা কাপড়ের পোশাক পরিহিত ছিল। পুলিশের গুলিতে তার ছেলে পড়ে যান। প্রতিবেশী শহীদ এই দৃশ্য তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। রহিমা ছেলের হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং নির্দেশদাতা সবার বিচার চান। এ সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম বলেন নির্দেশদাতা হিসাবে।


    চিকিৎসকরা তার ভাইয়ের ময়নাতদন্ত করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে ইসমামুলের লাশ নিয়ে চট্টগ্রামে নিজ বাড়িতে যাই। ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় রওয়ানা দিয়ে রাত ২টায় চট্টগ্রামে নিজ বাড়িতে পৌঁছি।’ পরদিন জানাজা শেষে ইসমামুলের মরদেহ নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে মহিবুল ট্রাইব্যুনালকে জানান।


    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, এডিসি আক্তারুল ইসলাম, ইমরুল এবং আরশাদের নির্দেশে সুজন হোসেন, নাসিরুল ইসলাম, ইমাজ হাসান ইমনসহ আরও অনেকে গুলি করেছেন বলে তিনি তার সাক্ষ্যে বলেন। ভাইয়ের হত্যাকারী এবং নির্দেশদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন মহিবুল।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি

      অনলাইন ডেস্ক
      ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৫৮
      অনলাইন ডেস্ক
      শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি

      ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবর চিঠি দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।


      আজ বুধবার দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে নরেন্দ্র মোদি বরাবর ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় এ চিঠি দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।


      চিঠিতে বলা হয়, ভারতের জনগণকে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যাত্রা শুরু করে, যখন ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ লুট করে। শুরু থেকেই ভারত বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্য হিসেবে দেখতে চেয়েছিল, যা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।


      চিঠিতে আরো বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ভারত দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছে। অবৈধভাবে ভারত বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। উপরন্তু ভারত তার নিজেদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট রুট ও করিডর ব্যবহার করেছে।


      এসব কিছুর ওপরে রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অননুমোদিতভাবে বাংলাদেশের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করেছে—এটি একটি অনৈতিক কাজ, যা আপনার দেশের জন্য লজ্জাজনক বলেও চিঠিতে বলা হয়।


      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

        অনলাইন ডেস্ক
        ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:২
        অনলাইন ডেস্ক
        নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

        অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এটার বাস্তবায়ন পুরোপুরিভাবে নির্ভর করবে রাজনৈতিক সংস্কৃতির উপর। 


        আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সর্বজনীন পেনশন অ্যাপ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। 


        নির্বাচন মানেই কালোটাকার ছড়াছড়ি। বিশেষ প্রেক্ষাপটের অন্তর্বর্তী সরকার কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এটি নিশ্চিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ও সহায়তা করবে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন।


        তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লজিস্টিকের জন্য সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। 


        অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের একজন নেতা নির্বাচন হবে না বললেই তা বন্ধ হয়ে যাবে না। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে।


        ঋণ খেলাপিরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ভালো একটি নির্বাচন দিতে চায় সরকার। এটা করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: অর্থ উপদেষ্টা

          অনলাইন ডেস্ক
          ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৭
          অনলাইন ডেস্ক
          ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: অর্থ উপদেষ্টা

          ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।


          বুধবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ইপি পেনশন স্কিম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।


          তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে আদালতের স্টে অর্ডার। মহিউদ্দিন খান আলমগীর তো এই ঋণখেলাপি ইস্যু নিয়েই পাঁচ বছর পার করে দিয়েছিলেন।


          আগামী নির্বাচনে কালোটাকা ব্যবহার রোধে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না-এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কালোটাকা নিয়ন্ত্রণে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ-টাকার উৎস ও প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, টাকার উৎস আগের চেয়ে অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। আগে ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, সংবাদপত্রের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক-সব একই ব্যক্তি হতেন। এখন সেই অবস্থা নেই। মোটামুটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স ব্যবস্থা চালু হয়েছে।


          তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি টাকার বিনিময়ে নমিনেশন বা ভোট কেনার মতো কাজে উৎসাহ দেন, তাহলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কিছুই করতে পারব না।


          উপদেষ্টা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা করছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

           

          কোনো ব্যক্তি বা দলের কেউ বললেই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে। 

           

          সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কিমে চাকরিজীবী, শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছেন না। এটি কেন হচ্ছে এবং মানুষের অনীহা কোথায় সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত